ব্রিটিশ প্রশাসক হাচিনসনের গ্রাম by পলাশ বড়ুয়া
জনশ্রুতি রয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামের ব্রিটিশ প্রশাসক আর এইচ এস হাচিনসন ১৯০৬ সাল থেকে ১৯১০ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালনকালে মাইনী উপত্যকা সফর করেন। সেই সময় খাগড়াছড়ির দীঘিনালার নাম ছিল রিয়াং দেশ। রিয়াং দেশের মাইনী নদীর তীরে তাঁবু টাঙিয়ে কয়েক দিন থেকেছেন এই ইংরেজ প্রশাসক।
তখন থেকে মাইনী নদীর তীরের গ্রামটির নাম হয় হাচিনসনপুর।
বর্তমানে খাগড়াছড়ির দীঘিনালার ৩ নম্বর কবাখালী ইউনিয়নের ৪ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে হাচিনসনপুর গ্রামটির অবস্থান। গ্রামটিতে রয়েছে হাচিনসনপুর উচ্চবিদ্যালয় ও হাচিনসনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে দুিট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। চোখজুড়ানো ধানখেত, পিচঢালা রাস্তা ও মাইনী নদীর ওপর ঝুলন্ত সেতুর কারণে গ্রামটি সহজেই মুগ্ধ করে আগত পর্যটকদের। বর্তমানে উত্তর ও দক্ষিণ হাচিনসনপুর গ্রামে সাড়ে ছয় শতাধিক আদিবাসী ও বাঙালি পরিবারের বসবাস।
রাঙামাটির জেলা তথ্য বাতায়ন অনুযায়ী, আর এইচ এস হাচিনসন ১৮৯৪, ১৮৯৯, ১৯০৬ ও ১৯১১ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯০৬ সালে সুপারিনটেনডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে এন অ্যাকাউন্ট অব দ্য চিটাগং হিল ট্র্যাক্ট নামের একটি বই লেখেন তিনি। বেঙ্গল সেক্রেটারিয়েট বুক ডিপো থেকে বইটি সে বছরই প্রকাশিত হয়।
হাচিনসনপুর গ্রামের বাসিন্দা ৩ নম্বর কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বিশ্ব কল্যাণ চাকমা বলেন, ‘বাপ-দাদার আমল থেকে শুনে আসছি পার্বত্য চট্টগ্রামের ব্রিটিশ প্রশাসক হাচিনসন এখানে এসেছিলেন।’
ব্রিটিশ রাজ কর্মচারী হাচিনসন তাঁর বিখ্যাত বইতে পার্বত্য চট্টগ্রামের কৌতূহল জাগানো বিবরণ দিয়েছেন। বইটির ১২তম অধ্যায়ে তিনি লিখেছেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের বাসিন্দাদের প্রায় সবাই নানা খেলাধুলায় পারদর্শী। খুব ছোটবেলায় তাঁরা তির-ধনুক ও গুলতিতে হাত পাকায়। রোদে শুকানো মাটির ছোট ছোট গোলা নিয়ে গুলতি হাতে পাহাড়ি ছেলেরা বের হয় আর সামনে যা পায় তা-ই ধ্বংস করে।’
হাচিনসন তাঁর বইতে মাইনী উপত্যকার জীববৈচিত্র্য নিয়েও বিশদ লিখেছেন। মাইনী নদীর ধারে ঘন জঙ্গলে তিনি প্রচুর দুই শিংওয়ালা গন্ডারের দেখা পেয়েছিলেন। এ ছাড়া এখানকার ঘন জঙ্গলে হাতি, বাঘসহ নানা ধরনের হিংস্র জন্তু ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।
এন অ্যাকাউন্ট অব দ্য চিটাগং হিল ট্র্যাক্ট বইয়ের বিবরণ থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় হাচিনসন মাইনীর তীর পর্যন্ত এসেছিলেন। এখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে মেলামেশাও করেছেন তিনি। আদিবাসী জীবনের প্রতি এই ব্রিটিশ প্রশাসকের অনুরাগের বিষয়টি বুঝতে পেরেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। তাই তাঁর স্মৃতি ধরে রাখতেই হয়তো গ্রামটির এমন নামকরণ।
বর্তমানে খাগড়াছড়ির দীঘিনালার ৩ নম্বর কবাখালী ইউনিয়নের ৪ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে হাচিনসনপুর গ্রামটির অবস্থান। গ্রামটিতে রয়েছে হাচিনসনপুর উচ্চবিদ্যালয় ও হাচিনসনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে দুিট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। চোখজুড়ানো ধানখেত, পিচঢালা রাস্তা ও মাইনী নদীর ওপর ঝুলন্ত সেতুর কারণে গ্রামটি সহজেই মুগ্ধ করে আগত পর্যটকদের। বর্তমানে উত্তর ও দক্ষিণ হাচিনসনপুর গ্রামে সাড়ে ছয় শতাধিক আদিবাসী ও বাঙালি পরিবারের বসবাস।
রাঙামাটির জেলা তথ্য বাতায়ন অনুযায়ী, আর এইচ এস হাচিনসন ১৮৯৪, ১৮৯৯, ১৯০৬ ও ১৯১১ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯০৬ সালে সুপারিনটেনডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে এন অ্যাকাউন্ট অব দ্য চিটাগং হিল ট্র্যাক্ট নামের একটি বই লেখেন তিনি। বেঙ্গল সেক্রেটারিয়েট বুক ডিপো থেকে বইটি সে বছরই প্রকাশিত হয়।
হাচিনসনপুর গ্রামের বাসিন্দা ৩ নম্বর কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বিশ্ব কল্যাণ চাকমা বলেন, ‘বাপ-দাদার আমল থেকে শুনে আসছি পার্বত্য চট্টগ্রামের ব্রিটিশ প্রশাসক হাচিনসন এখানে এসেছিলেন।’
ব্রিটিশ রাজ কর্মচারী হাচিনসন তাঁর বিখ্যাত বইতে পার্বত্য চট্টগ্রামের কৌতূহল জাগানো বিবরণ দিয়েছেন। বইটির ১২তম অধ্যায়ে তিনি লিখেছেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের বাসিন্দাদের প্রায় সবাই নানা খেলাধুলায় পারদর্শী। খুব ছোটবেলায় তাঁরা তির-ধনুক ও গুলতিতে হাত পাকায়। রোদে শুকানো মাটির ছোট ছোট গোলা নিয়ে গুলতি হাতে পাহাড়ি ছেলেরা বের হয় আর সামনে যা পায় তা-ই ধ্বংস করে।’
হাচিনসন তাঁর বইতে মাইনী উপত্যকার জীববৈচিত্র্য নিয়েও বিশদ লিখেছেন। মাইনী নদীর ধারে ঘন জঙ্গলে তিনি প্রচুর দুই শিংওয়ালা গন্ডারের দেখা পেয়েছিলেন। এ ছাড়া এখানকার ঘন জঙ্গলে হাতি, বাঘসহ নানা ধরনের হিংস্র জন্তু ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।
এন অ্যাকাউন্ট অব দ্য চিটাগং হিল ট্র্যাক্ট বইয়ের বিবরণ থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় হাচিনসন মাইনীর তীর পর্যন্ত এসেছিলেন। এখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে মেলামেশাও করেছেন তিনি। আদিবাসী জীবনের প্রতি এই ব্রিটিশ প্রশাসকের অনুরাগের বিষয়টি বুঝতে পেরেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। তাই তাঁর স্মৃতি ধরে রাখতেই হয়তো গ্রামটির এমন নামকরণ।
No comments