আবার ইলিশ রপ্তানি শুরুর সুপারিশ by রাজীব আহমেদ
মাছ রপ্তানি বন্ধ হওয়ার সুফল না পেতেই আবার তা চালু করার প্রক্রিয়া চলছে। কিছু রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের চাপে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে মাছ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার সুপারিশ করে চিঠি দিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। অভিযোগ উঠেছে, মাছ বাজারে না ছেড়ে রপ্তানিকারকরা এত দিন হিমাগারে মজুদ করে রেখেছেন।
এখন রপ্তানি করতে মরিয়া হয়ে এফবিসিসিআইয়ের ওপর চাপ তৈরি করে সুপারিশ আদায় করে নিয়েছেন তাঁরা। এ ক্ষেত্রে কাজ করেছে সংগঠনটির ভোটের রাজনীতি। আগামী নির্বাচনে ভোট হারানোর আশঙ্কায় শীর্ষ নেতৃত্ব একটি অংশের চাপে মাছ রপ্তানি চালুর সুপারিশ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এফবিসিসিআই তাদের দেওয়া চিঠিতে উল্লেখ করেছে, মাছ রপ্তানি বন্ধ করা হয়েছিল কেবল রমজান মাসের জন্য। আসলে নির্দেশনাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য দেওয়া হয়েছিল। কাঁচা ইলিশ ছাড়া হিমায়িত মাছ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার সুপারিশ করেছে এফবিসিসিআই। কিন্তু ব্যবসায়ীরা বলছেন, এর মাধ্যমে আসলে সব ধরনের মাছ রপ্তানির দরজা খোলার ব্যবস্থা হলো। কারণ মাছ ১৫ দিন বরফে রাখলেই সেটা হিমায়িত হয়ে যায়।
এফবিসিসিআই কেন মাছ রপ্তানি চালুর সুপারিশ করল জানতে চাইলে সংগঠনটির দ্রব্যমূল্য মনিটরিং সেলের আহ্বায়ক হেলাল উদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে তাঁকে না জানিয়ে এফবিসিসিআইয়ের ওপর মহল সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় এফবিসিসিআইয়ের দ্রব্যমূল্য মনিটরিং সেলের পক্ষ থেকে রমজান উপলক্ষে মাছ রপ্তানি বন্ধ রাখার সুপারিশ করা হয়েছিল। ৩১ জুলাই বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মাছ রপ্তানি বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়। নির্দেশনায় বলা হয়, পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত চিংড়ি ব্যতীত ইলিশসহ সব ধরনের কাঁচা মাছ রপ্তানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে মন্ত্রণালয়।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের মিঠা পানির প্রায় সব প্রজাতির মাছ রপ্তানি হয়। ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে এসব মাছ রপ্তানি হয় প্রক্রিয়াজাত করে। কিন্তু ভারতে রপ্তানি হচ্ছে সরাসরি কাঁচা মাছ। মাছ বেশি উৎপাদনকারী এলাকা খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরা, জামালপুর, ময়মনসিংহ থেকে ভারতে মাছ চলে যাচ্ছে বৈধ ও অবৈধভাবে।
জানা গেছে, মাছ রপ্তানি বন্ধের পর কয়েক দিন বাজারে স্বস্তি ছিল। ইলিশসহ অন্যান্য মাছের সরবরাহ ছিল প্রচুর। কিন্তু কয়েক দিন পরই বাজারে আগের অবস্থা তৈরি হয়। অভিযোগ রয়েছে, ব্যবসায়ীরা রমজানের পর রপ্তানির জন্য মাছ মজুদ করেছেন, বাজারে ছাড়েননি। মাছ রপ্তানি চালু করার আবেদনে সংশ্লিষ্ট কয়েকটি সংগঠন মজুদ করার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছে। যেমন- বাংলাদেশ নন-প্যাকার ফ্রোজেন ফুড এঙ্পোর্টার অ্যাসোসিয়েশন তাদের আবেদনে বলেছে, তারা দুই হাজার টন মাছ রপ্তানির জন্য মজুদ করেছে। বাংলাদেশ অ্যাকোয়াকালচার অ্যালায়েন্স নামের একটি সংগঠন বলেছে, তাদের বিপুল পরিমাণ হিমায়িত মাছ হিমাগারে পড়ে আছে।
জানা গেছে, দেশীয় প্রজাতির মিঠা পানির মাছ বাদে অন্য মাছ রপ্তানির বিষয়ে সুপারিশ করতে চেয়েছিল এফবিসিসিআইয়ের একটি অংশ। কিন্তু রপ্তানিকারকরা বলেছেন, বিভিন্ন ধরনের মাছ একসঙ্গে না দিলে আমদানিকারকরা নিতে চান না।
ব্যবসায়ীরা মাছ রপ্তানির জন্য বেপরোয়া হলেও দেশের মানুষ রপ্তানি চায় না। গতকাল কারওয়ান বাজারে মো. রফিক নামের এক ক্রেতা কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আনন্দবাজার পত্রিকায় পড়েছি, ভারতে ইলিশের দাম ৯০০ টাকা কেজি। তাদের ৯০০ টাকায় বাংলাদেশের তেরো-চৌদ্দ শ টাকা হবে। ওই দরে এ দেশের মানুষই ইলিশ কিনতে পারে। বর্তমানে এর চেয়ে বেশি দাম দিয়ে তারা কিনছে। তবু কেন সামান্য ধরা পড়া ইলিশসহ অন্য মাছ তাদের দিতে হবে।'
ঢাকা মহানগর মাছ ও কাঁচাবাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আনেয়ার হোসেন শিকদার বলেন, 'বর্তমান মূল্যের চেয়ে দাম বাড়ানো উচিত। আমাদের দেশে ৮০০ টাকা পাইকারি দাম আছে। অথচ ভারতে পাচ্ছি ৪৮০ টাকা। এটা বাড়ানো দরকার। কমপক্ষে ১০ ডলার হওয়া উচিত। কম দামে কেন রপ্তানি করা হয় তা খতিয়ে দেখা দরকার।' তিনি বলেন, 'আমাদের যখন কোনো পণ্যের প্রয়োজন হয় তখন পাই না। ভারত পেঁয়াজ, চাল মাঝে মাঝে রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। সে বিষয়ে একটা সমঝোতা হওয়া দরকার।'
এফবিসিসিআই তাদের দেওয়া চিঠিতে উল্লেখ করেছে, মাছ রপ্তানি বন্ধ করা হয়েছিল কেবল রমজান মাসের জন্য। আসলে নির্দেশনাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য দেওয়া হয়েছিল। কাঁচা ইলিশ ছাড়া হিমায়িত মাছ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার সুপারিশ করেছে এফবিসিসিআই। কিন্তু ব্যবসায়ীরা বলছেন, এর মাধ্যমে আসলে সব ধরনের মাছ রপ্তানির দরজা খোলার ব্যবস্থা হলো। কারণ মাছ ১৫ দিন বরফে রাখলেই সেটা হিমায়িত হয়ে যায়।
এফবিসিসিআই কেন মাছ রপ্তানি চালুর সুপারিশ করল জানতে চাইলে সংগঠনটির দ্রব্যমূল্য মনিটরিং সেলের আহ্বায়ক হেলাল উদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে তাঁকে না জানিয়ে এফবিসিসিআইয়ের ওপর মহল সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় এফবিসিসিআইয়ের দ্রব্যমূল্য মনিটরিং সেলের পক্ষ থেকে রমজান উপলক্ষে মাছ রপ্তানি বন্ধ রাখার সুপারিশ করা হয়েছিল। ৩১ জুলাই বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মাছ রপ্তানি বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়। নির্দেশনায় বলা হয়, পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত চিংড়ি ব্যতীত ইলিশসহ সব ধরনের কাঁচা মাছ রপ্তানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে মন্ত্রণালয়।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের মিঠা পানির প্রায় সব প্রজাতির মাছ রপ্তানি হয়। ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে এসব মাছ রপ্তানি হয় প্রক্রিয়াজাত করে। কিন্তু ভারতে রপ্তানি হচ্ছে সরাসরি কাঁচা মাছ। মাছ বেশি উৎপাদনকারী এলাকা খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরা, জামালপুর, ময়মনসিংহ থেকে ভারতে মাছ চলে যাচ্ছে বৈধ ও অবৈধভাবে।
জানা গেছে, মাছ রপ্তানি বন্ধের পর কয়েক দিন বাজারে স্বস্তি ছিল। ইলিশসহ অন্যান্য মাছের সরবরাহ ছিল প্রচুর। কিন্তু কয়েক দিন পরই বাজারে আগের অবস্থা তৈরি হয়। অভিযোগ রয়েছে, ব্যবসায়ীরা রমজানের পর রপ্তানির জন্য মাছ মজুদ করেছেন, বাজারে ছাড়েননি। মাছ রপ্তানি চালু করার আবেদনে সংশ্লিষ্ট কয়েকটি সংগঠন মজুদ করার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছে। যেমন- বাংলাদেশ নন-প্যাকার ফ্রোজেন ফুড এঙ্পোর্টার অ্যাসোসিয়েশন তাদের আবেদনে বলেছে, তারা দুই হাজার টন মাছ রপ্তানির জন্য মজুদ করেছে। বাংলাদেশ অ্যাকোয়াকালচার অ্যালায়েন্স নামের একটি সংগঠন বলেছে, তাদের বিপুল পরিমাণ হিমায়িত মাছ হিমাগারে পড়ে আছে।
জানা গেছে, দেশীয় প্রজাতির মিঠা পানির মাছ বাদে অন্য মাছ রপ্তানির বিষয়ে সুপারিশ করতে চেয়েছিল এফবিসিসিআইয়ের একটি অংশ। কিন্তু রপ্তানিকারকরা বলেছেন, বিভিন্ন ধরনের মাছ একসঙ্গে না দিলে আমদানিকারকরা নিতে চান না।
ব্যবসায়ীরা মাছ রপ্তানির জন্য বেপরোয়া হলেও দেশের মানুষ রপ্তানি চায় না। গতকাল কারওয়ান বাজারে মো. রফিক নামের এক ক্রেতা কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আনন্দবাজার পত্রিকায় পড়েছি, ভারতে ইলিশের দাম ৯০০ টাকা কেজি। তাদের ৯০০ টাকায় বাংলাদেশের তেরো-চৌদ্দ শ টাকা হবে। ওই দরে এ দেশের মানুষই ইলিশ কিনতে পারে। বর্তমানে এর চেয়ে বেশি দাম দিয়ে তারা কিনছে। তবু কেন সামান্য ধরা পড়া ইলিশসহ অন্য মাছ তাদের দিতে হবে।'
ঢাকা মহানগর মাছ ও কাঁচাবাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আনেয়ার হোসেন শিকদার বলেন, 'বর্তমান মূল্যের চেয়ে দাম বাড়ানো উচিত। আমাদের দেশে ৮০০ টাকা পাইকারি দাম আছে। অথচ ভারতে পাচ্ছি ৪৮০ টাকা। এটা বাড়ানো দরকার। কমপক্ষে ১০ ডলার হওয়া উচিত। কম দামে কেন রপ্তানি করা হয় তা খতিয়ে দেখা দরকার।' তিনি বলেন, 'আমাদের যখন কোনো পণ্যের প্রয়োজন হয় তখন পাই না। ভারত পেঁয়াজ, চাল মাঝে মাঝে রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। সে বিষয়ে একটা সমঝোতা হওয়া দরকার।'
No comments