১৫ বছরের ভোগান্তির ক্ষতিপূরণ ২২ লাখ ডলার
১৯৬৫ সালের কথা। চেয়ং নামে দক্ষিণ কোরিয়ার এক জেলে পীত সাগরে মাছ ধরতে বের হয়ে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে বিতর্কিত সীমান্তের কাছাকাছি চলে যান। ধরা পড়েন তিনি এবং তাঁর সহযাত্রী আরো কয়েক জেলে। তবে খুব একটা দুর্ভোগ পোহাতে হয়নি তাঁদের। কয়েক দিনের মধ্যেই উত্তর কোরিয়া কর্তৃপক্ষ তাঁদের ছেড়ে দেয়।
শত্রুর কাছ থেকে মুক্তি মিললেও আটকে যান নিজ দেশে পেঁৗছে। চেয়ং-এর দুর্ভোগের কাহিনী শুরু হয় এখান থেকেই।
উত্তর কোরিয়ার জন্য গুপ্তচরবৃত্তি করছেন সন্দেহে নজরদারি শুরু হয়। তবে এতে সন্তুষ্টি আসেনি তাঁদের। ১৭ বছর পর ১৯৮২ সালে কোনো ধরনের গ্রেপ্তারিপরোয়ানা ছাড়াই আটক করা হয় তাঁকে। গুপ্তচরবৃত্তির দায় স্বীকারের জন্য চালানো হয় অকথ্য নির্যাতন। গুপ্তচর সন্দেহে ১৫ বছর কারাবন্দি করে রাখা হয় তাঁকে। ছাড় পায়নি তাঁর পরিবারও। পরিবারের ছয় সদস্যকে নজরবন্দি করে রাখে দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা বিভাগ। ১৯৯৮ সালে প্যারোলে মুক্তি পান চেয়ং।
সেসময় দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষমতায় ছিল সেনা সমর্থিত সরকার। মুক্তি পাওয়ার পর দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ঘটলে সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেন চেয়ং ও তাঁর পরিবার। সম্প্রতি ওই মামলার রায় দিয়েছেন আদালত। রায়ে চেয়ংকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২২ লাখ ডলার দিতে সরকারের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়। রাজধানী সিউলের ওই আদালত বলেন, কোনো গ্রেপ্তারিপরোয়ানা ছাড়াই চেয়ংকে গ্রেপ্তারের পর মিথ্যা সাক্ষ্য আদায়ের জন্য নির্যাতন করা হয়। এমনকি প্যারোলে মুক্তি পাওয়ার পরও তাঁকে নজরবন্দি করে রাখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আদালতের মতে, রাষ্ট্রের আচরণ ওই ব্যক্তির মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করেছে। সূত্র : দ্য টেলিগ্রাফ।
উত্তর কোরিয়ার জন্য গুপ্তচরবৃত্তি করছেন সন্দেহে নজরদারি শুরু হয়। তবে এতে সন্তুষ্টি আসেনি তাঁদের। ১৭ বছর পর ১৯৮২ সালে কোনো ধরনের গ্রেপ্তারিপরোয়ানা ছাড়াই আটক করা হয় তাঁকে। গুপ্তচরবৃত্তির দায় স্বীকারের জন্য চালানো হয় অকথ্য নির্যাতন। গুপ্তচর সন্দেহে ১৫ বছর কারাবন্দি করে রাখা হয় তাঁকে। ছাড় পায়নি তাঁর পরিবারও। পরিবারের ছয় সদস্যকে নজরবন্দি করে রাখে দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা বিভাগ। ১৯৯৮ সালে প্যারোলে মুক্তি পান চেয়ং।
সেসময় দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষমতায় ছিল সেনা সমর্থিত সরকার। মুক্তি পাওয়ার পর দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ঘটলে সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেন চেয়ং ও তাঁর পরিবার। সম্প্রতি ওই মামলার রায় দিয়েছেন আদালত। রায়ে চেয়ংকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২২ লাখ ডলার দিতে সরকারের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়। রাজধানী সিউলের ওই আদালত বলেন, কোনো গ্রেপ্তারিপরোয়ানা ছাড়াই চেয়ংকে গ্রেপ্তারের পর মিথ্যা সাক্ষ্য আদায়ের জন্য নির্যাতন করা হয়। এমনকি প্যারোলে মুক্তি পাওয়ার পরও তাঁকে নজরবন্দি করে রাখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আদালতের মতে, রাষ্ট্রের আচরণ ওই ব্যক্তির মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করেছে। সূত্র : দ্য টেলিগ্রাফ।
No comments