সংসদের চতুর্দশ অধিবেশন-অব্যাহত থাকুক গণতান্ত্রিক ধারা
বিরোধী দলের অংশগ্রহণ ছাড়াই শুরু হলো নবম জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশন। বিরোধীদলীয় জোট যে এই অধিবেশনে অংশ নিচ্ছে না, সেটা সোমবারই স্পষ্ট করে দেন বিরোধী দলের চিফ হুইপ। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতির বিল এই সংসদে উত্থাপন করতে হবে- এটাকেই সংসদ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার শর্ত হিসেবে উল্লেখ
করেছেন তিনি। সংসদের এই অধিবেশনটি খুব একটা দীর্ঘ না হলেও বিভিন্ন ইস্যুতে সংসদ উত্তপ্ত থাকবে, এমন সম্ভাবনা রয়েছে। এই অধিবেশনে বিরোধী দলের উপস্থিতি নিশ্চিত করা গেলে সংসদ প্রাণবন্ত হতো।
সরকার সংসদকে অকার্যকর করে রেখেছে, এমনটাই বিরোধী দলের দাবি। পরিবেশ নেই- এই অজুহাতে বিরোধী দল সংসদ বর্জন করছে দীর্ঘদিন থেকে। চলতি নবম সংসদের ১৩টি অধিবেশনের ৩১৭ কার্যদিবসে বিরোধী দল সংসদে ছিল মাত্র ৫৫ কার্যদিবস। টানা ৮৩ কার্যদিবস অনুপস্থিত থাকার পর গত ১৮ মার্চ সংসদে যায় বিরোধী দল। এর আগে গত বছরের ২৪ মার্চ সংসদ অধিবেশনে যোগ দিয়েছিল প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। চলতি অধিবেশনের প্রথম দিনটি বাদ দিলে সংসদে বিরোধী দলের অনুপস্থিতি ২৯ কার্যদিবস। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে ডাকা এই অধিবেশন সংক্ষিপ্ত হলেও এবারের অধিবেশনে দুর্নীতি দমন কমিশন (সংশোধন) আইন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিলসহ ১৯টি বিল পাসের কথা রয়েছে। এর মধ্যে ১৬টি বিল এর আগে সংসদে উত্থাপনের পর তা অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। অধিবেশনে গ্রামীণ ব্যাংক (সংশোধন) আইন ২০১২ উত্থাপন করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ছাড়া স্পিকারের রুলিংয়ের বিরুদ্ধে আদালতের দেওয়া রায় নিয়ে এবারের সংসদ উত্তপ্ত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে সংসদে বিরোধী দলের উপস্থিতি একান্ত কাম্য। কারণ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সংসদ যেমন সব কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু, তেমনি বিরোধী দলের গুরুত্ব সরকারের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। সরকারের ভুলত্রুটি ধরিয়ে দেওয়া ও শোধরানোর পথ দেখিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব বিরোধী দলের। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় বিরোধী দল সংসদে মূল প্রভাবকের ভূমিকা পালন করে। বিরোধী দলের ওপর নির্ভর করে সংসদের ভারসাম্য। যদিও বাংলাদেশের চলতি সংসদে বিরোধী দলের সদস্যসংখ্যা একেবারেই কম। কিন্তু সদস্য কম মানেই বিরোধী দলের গুরুত্ব কমে গেল, এমন মনে করার কোনো কারণ নেই। কারণ একটি গণতান্ত্রিক দেশে, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সংসদে বিরোধী দলও সরকারের একটি অপরিহার্য অংশ; সংখ্যাশক্তিতে কম হয়েও যা সংসদীয় মর্যাদায় অভিন্ন। বিরোধী দল সংসদে অনুপস্থিত থাকলে জনগণ সরকারের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অন্ধকারে থেকে যায়। কোন ব্যাপারে সরকার ভুল করছে, কোনটা সরকারের ভালো কাজ, তা তুলে ধরার মূল কাজটি আবশ্যিকভাবে বিরোধী দলকেই করতে হয়।
সব গণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডের উৎস সংসদ। এই সংসদে জনগণের কথা তুলে ধরার দায়িত্ব নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের। সরকারি ও বিরোধী দল নির্বিশেষে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা সেই দায়িত্ব পালন করবেন- এটাই আমাদের আশা। সরকার ও বিরোধী দলের অংশগ্রহণে সংসদ অধিবেশন প্রাণবন্ত হবে বলে মনে করি আমরা।
সরকার সংসদকে অকার্যকর করে রেখেছে, এমনটাই বিরোধী দলের দাবি। পরিবেশ নেই- এই অজুহাতে বিরোধী দল সংসদ বর্জন করছে দীর্ঘদিন থেকে। চলতি নবম সংসদের ১৩টি অধিবেশনের ৩১৭ কার্যদিবসে বিরোধী দল সংসদে ছিল মাত্র ৫৫ কার্যদিবস। টানা ৮৩ কার্যদিবস অনুপস্থিত থাকার পর গত ১৮ মার্চ সংসদে যায় বিরোধী দল। এর আগে গত বছরের ২৪ মার্চ সংসদ অধিবেশনে যোগ দিয়েছিল প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। চলতি অধিবেশনের প্রথম দিনটি বাদ দিলে সংসদে বিরোধী দলের অনুপস্থিতি ২৯ কার্যদিবস। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে ডাকা এই অধিবেশন সংক্ষিপ্ত হলেও এবারের অধিবেশনে দুর্নীতি দমন কমিশন (সংশোধন) আইন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিলসহ ১৯টি বিল পাসের কথা রয়েছে। এর মধ্যে ১৬টি বিল এর আগে সংসদে উত্থাপনের পর তা অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। অধিবেশনে গ্রামীণ ব্যাংক (সংশোধন) আইন ২০১২ উত্থাপন করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ছাড়া স্পিকারের রুলিংয়ের বিরুদ্ধে আদালতের দেওয়া রায় নিয়ে এবারের সংসদ উত্তপ্ত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে সংসদে বিরোধী দলের উপস্থিতি একান্ত কাম্য। কারণ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সংসদ যেমন সব কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু, তেমনি বিরোধী দলের গুরুত্ব সরকারের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। সরকারের ভুলত্রুটি ধরিয়ে দেওয়া ও শোধরানোর পথ দেখিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব বিরোধী দলের। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় বিরোধী দল সংসদে মূল প্রভাবকের ভূমিকা পালন করে। বিরোধী দলের ওপর নির্ভর করে সংসদের ভারসাম্য। যদিও বাংলাদেশের চলতি সংসদে বিরোধী দলের সদস্যসংখ্যা একেবারেই কম। কিন্তু সদস্য কম মানেই বিরোধী দলের গুরুত্ব কমে গেল, এমন মনে করার কোনো কারণ নেই। কারণ একটি গণতান্ত্রিক দেশে, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সংসদে বিরোধী দলও সরকারের একটি অপরিহার্য অংশ; সংখ্যাশক্তিতে কম হয়েও যা সংসদীয় মর্যাদায় অভিন্ন। বিরোধী দল সংসদে অনুপস্থিত থাকলে জনগণ সরকারের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অন্ধকারে থেকে যায়। কোন ব্যাপারে সরকার ভুল করছে, কোনটা সরকারের ভালো কাজ, তা তুলে ধরার মূল কাজটি আবশ্যিকভাবে বিরোধী দলকেই করতে হয়।
সব গণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডের উৎস সংসদ। এই সংসদে জনগণের কথা তুলে ধরার দায়িত্ব নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের। সরকারি ও বিরোধী দল নির্বিশেষে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা সেই দায়িত্ব পালন করবেন- এটাই আমাদের আশা। সরকার ও বিরোধী দলের অংশগ্রহণে সংসদ অধিবেশন প্রাণবন্ত হবে বলে মনে করি আমরা।
No comments