সিরিয়া পরিস্থিতি ক্রমেই বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছে
সিরিয়ায় সহিংসতায় মৃতের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। অব্যাহত যুদ্ধের ফলে পরিস্থিতি 'বিপর্যয়কর' হয়ে উঠছে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন সিরিয়াবিষয়ক আরব লিগের শান্তি দূত লাখদার ব্রাহিমি। গত মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন তিনি এ কথা বলেন।
এরইমধ্যে গতকাল বুধবারও সিরিয়ায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। আলেপ্পোর বিভিন্ন স্থানে বিদ্রোহীদের ঘাঁটি লক্ষ্য করে সরকারি বাহিনীর হামলায় ১৯ জন নিহত হয়েছে।
আলজেরিয়ার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রাহিমি গত শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘের সিরিয়াবিষয়ক দূতের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এর আগে এই দায়িত্ব পালন করেন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান। সিরিয়া ইস্যুতে তাঁর শান্তি পরিকল্পনা কাজ না করায় কয়েকদিন আগে আনান পদত্যাগ করেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর জাতিসংঘে এটাই ব্রাহিমির প্রথম ভাষণ।
ব্রাহিমি বলেন, 'সহিংসতায় মৃতের সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে চলেছে। ধ্বংসযজ্ঞ বাড়ার কারণে পরিস্থিতি ক্রমেই বিপর্যয়কর হয়ে উঠছে। এতে সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।' তিনি আরো বলেন, 'ভবিষ্যতে সিরিয়ার পুনর্গঠন কাজ সেদেশের লোকজনই করবে, অন্য কেউ নয়। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সাহায্য অত্যাবশ্যক ও অপরিহার্য। আর এটা তখনই ফলপ্রসূ হবে যখন সবাই একই মনোভাব নিয়ে কাজ করবে।' আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তিনি দামেস্ক সফরে যাওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন।
এদিকে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন বলেছেন, সিরিয়া সরকার ও বিদ্রোহী উভয় দুই পক্ষকেই অন্যান্য দেশের অস্ত্র সরবরাহের কারণে দেশটির গৃহযুদ্ধ বিস্তৃৃত ও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দেওয়া ভাষণে তিনি অভিযোগ করেন, 'বিবদমান পক্ষগুলোকে অস্ত্র জোগান দিয়ে সরবরাহকারীরা সিরিয়ায় বিপর্যয় আরো বাড়িয়ে তুলছে। অপ্রত্যাশিতভাবে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ায় ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে। এ অবস্থা বেশি দিন চললে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে যাবে। সমস্যার সমাধান আরো জটিল হয়ে পড়বে। ফলে ভবিষ্যতে দেশটির পুনর্গঠন ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা প্রায় অসম্ভব হয়ে যাবে।' তবে মহাসচিব সরাসরি কারো নাম উল্লেখ করেনি তাঁর ভাষণে।
সিরিয়ায় গত ১৮ মাস ধরে চলা সহিংসতায় প্রায় ২০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে বলে মানবাধিকার সংস্থাগুলো জানিয়েছে। আর উদ্বাস্তু হয়েছে লাখ লাখ মানুষ। সূত্র : বিবিসি, এএফপি, আলজাজিরা।
আলজেরিয়ার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রাহিমি গত শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘের সিরিয়াবিষয়ক দূতের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এর আগে এই দায়িত্ব পালন করেন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান। সিরিয়া ইস্যুতে তাঁর শান্তি পরিকল্পনা কাজ না করায় কয়েকদিন আগে আনান পদত্যাগ করেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর জাতিসংঘে এটাই ব্রাহিমির প্রথম ভাষণ।
ব্রাহিমি বলেন, 'সহিংসতায় মৃতের সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে চলেছে। ধ্বংসযজ্ঞ বাড়ার কারণে পরিস্থিতি ক্রমেই বিপর্যয়কর হয়ে উঠছে। এতে সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।' তিনি আরো বলেন, 'ভবিষ্যতে সিরিয়ার পুনর্গঠন কাজ সেদেশের লোকজনই করবে, অন্য কেউ নয়। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সাহায্য অত্যাবশ্যক ও অপরিহার্য। আর এটা তখনই ফলপ্রসূ হবে যখন সবাই একই মনোভাব নিয়ে কাজ করবে।' আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তিনি দামেস্ক সফরে যাওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন।
এদিকে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন বলেছেন, সিরিয়া সরকার ও বিদ্রোহী উভয় দুই পক্ষকেই অন্যান্য দেশের অস্ত্র সরবরাহের কারণে দেশটির গৃহযুদ্ধ বিস্তৃৃত ও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দেওয়া ভাষণে তিনি অভিযোগ করেন, 'বিবদমান পক্ষগুলোকে অস্ত্র জোগান দিয়ে সরবরাহকারীরা সিরিয়ায় বিপর্যয় আরো বাড়িয়ে তুলছে। অপ্রত্যাশিতভাবে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ায় ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে। এ অবস্থা বেশি দিন চললে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে যাবে। সমস্যার সমাধান আরো জটিল হয়ে পড়বে। ফলে ভবিষ্যতে দেশটির পুনর্গঠন ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা প্রায় অসম্ভব হয়ে যাবে।' তবে মহাসচিব সরাসরি কারো নাম উল্লেখ করেনি তাঁর ভাষণে।
সিরিয়ায় গত ১৮ মাস ধরে চলা সহিংসতায় প্রায় ২০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে বলে মানবাধিকার সংস্থাগুলো জানিয়েছে। আর উদ্বাস্তু হয়েছে লাখ লাখ মানুষ। সূত্র : বিবিসি, এএফপি, আলজাজিরা।
No comments