চার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি বড় কিছু নয় : মুহিত
হলমার্ক গ্রুপকে দেওয়া সোনালী ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারি নিয়ে গণমাধ্যমের ভূমিকার সমালোচনা করে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, 'ব্যাংকিং খাতে আমরা ৪০ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিই। অথচ মাত্র চার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি নিয়ে যা প্রচার করা হচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে পুরো ব্যাংকিং খাতেই ধস নেমেছে।
এটা নিয়ে হৈচৈ করারও কিছু নেই। সংবাদমাধ্যম এটা নিয়ে অতিরিক্ত প্রচারণা চালিয়ে দেশের ক্ষতি করছে। এটা বড় কিছু নয়।
অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, দেশের সংবাদমাধ্যমেরও সংস্কারের (রিফর্ম) দরকার আছে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর রূপসী বাংলা হোটেলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), ইউএসএআইডি, প্রগতি এবং এমআরডিআই আয়োজিত 'দুর্নীতি প্রতিরোধে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার' শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান গোলাম রহমানের সভাপতিত্বে গোলটেবিল আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের উপাচার্য জামিলুর রেজা চৌধুরী। এতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশারফ হোসেন ভুঁইয়া, প্রগতি এবং ইউএসএআইডির মিশন ডিরেক্টর রিচার্ড গ্রিন, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, তথ্য কমিশনার অধ্যাপক সাদেকা হালিম, টেলিযোগাযোগসংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনুসহ সংসদ সদস্য, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বিভিন্ন জেলার জেলা প্রশাসকরা বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডি নেটের নির্বাহী পরিচালক ড. অনন্য রায়হান।
আলোচনায় বিশ্বব্যাংকের সততা নিয়ে প্রশ্ন তুলে অর্থমন্ত্রী মুহিত বলেন, বিশ্বব্যাংকের সততা বিভাগ জিহাদি মনোভাব নিয়ে কাজ করে। এই জিহাদি মনোভাব নিয়ে কাজ করা যাবে না। বিশ্বব্যাংক যা বলে, তা পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য ও জবাবদিহিহীন। এটি দুর্নীতি প্রতিরোধের বিরোধী হিসেবে কাজ করে। ওই বিভাগটিকে সংশোধন করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, 'কালো টাকা বাংলাদেশের জন্য বড় সমস্যা। কালো টাকা থাকবেই। এটা মেনে নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে।'
আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, শেয়ারবাজারে যে দুর্নীতি হয়েছে, এ জন্য দুদকে কেউ সাক্ষ্য দিচ্ছে না। সাক্ষী পাওয়া যাচ্ছে না।
খুচরা দুর্নীতি বন্ধে আইসিটি বা তথ্যপ্রক্রিয়া সাহায্য করবে। কিন্তু সিস্টেমেটিক দুর্নীতি বন্ধে আইসিটি কী করবে- এমন প্রশ্ন রেখে হাসানুল হক ইনু বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতি বন্ধে যদি অনুমতি নিতে হয়, তাহলে দুর্নীতি কিভাবে বন্ধ হবে। তিনি বলেন, দুর্নীতিবাজ হিসেবে প্রমাণিত হলে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে বিচারপতিকেও পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
মোশারফ হোসেন ভুঁইয়া বলেন, ছোট ধরনের দুর্নীতি কমে এসেছে, এখন বড় ধরনের দুর্নীতি কমানোর জন্য বড় পদক্ষেপ নিতে হবে।
গোলামুর রহমান বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার দুর্নীতি কমাতে সহায়ক হতে পারে। দুর্নীতি একদিনে আসেনি। তাই দুর্নীতি একদিনে, এক মাসে বা এক বছরে কমে যাবে না। যদি বছরে ১০০ জনের শাস্তি হয়, তাহলে এটা একটা উদাহরণ হতে পারে।
অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, দেশের সংবাদমাধ্যমেরও সংস্কারের (রিফর্ম) দরকার আছে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর রূপসী বাংলা হোটেলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), ইউএসএআইডি, প্রগতি এবং এমআরডিআই আয়োজিত 'দুর্নীতি প্রতিরোধে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার' শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান গোলাম রহমানের সভাপতিত্বে গোলটেবিল আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের উপাচার্য জামিলুর রেজা চৌধুরী। এতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশারফ হোসেন ভুঁইয়া, প্রগতি এবং ইউএসএআইডির মিশন ডিরেক্টর রিচার্ড গ্রিন, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, তথ্য কমিশনার অধ্যাপক সাদেকা হালিম, টেলিযোগাযোগসংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনুসহ সংসদ সদস্য, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বিভিন্ন জেলার জেলা প্রশাসকরা বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডি নেটের নির্বাহী পরিচালক ড. অনন্য রায়হান।
আলোচনায় বিশ্বব্যাংকের সততা নিয়ে প্রশ্ন তুলে অর্থমন্ত্রী মুহিত বলেন, বিশ্বব্যাংকের সততা বিভাগ জিহাদি মনোভাব নিয়ে কাজ করে। এই জিহাদি মনোভাব নিয়ে কাজ করা যাবে না। বিশ্বব্যাংক যা বলে, তা পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য ও জবাবদিহিহীন। এটি দুর্নীতি প্রতিরোধের বিরোধী হিসেবে কাজ করে। ওই বিভাগটিকে সংশোধন করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, 'কালো টাকা বাংলাদেশের জন্য বড় সমস্যা। কালো টাকা থাকবেই। এটা মেনে নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে।'
আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, শেয়ারবাজারে যে দুর্নীতি হয়েছে, এ জন্য দুদকে কেউ সাক্ষ্য দিচ্ছে না। সাক্ষী পাওয়া যাচ্ছে না।
খুচরা দুর্নীতি বন্ধে আইসিটি বা তথ্যপ্রক্রিয়া সাহায্য করবে। কিন্তু সিস্টেমেটিক দুর্নীতি বন্ধে আইসিটি কী করবে- এমন প্রশ্ন রেখে হাসানুল হক ইনু বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতি বন্ধে যদি অনুমতি নিতে হয়, তাহলে দুর্নীতি কিভাবে বন্ধ হবে। তিনি বলেন, দুর্নীতিবাজ হিসেবে প্রমাণিত হলে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে বিচারপতিকেও পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
মোশারফ হোসেন ভুঁইয়া বলেন, ছোট ধরনের দুর্নীতি কমে এসেছে, এখন বড় ধরনের দুর্নীতি কমানোর জন্য বড় পদক্ষেপ নিতে হবে।
গোলামুর রহমান বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার দুর্নীতি কমাতে সহায়ক হতে পারে। দুর্নীতি একদিনে আসেনি। তাই দুর্নীতি একদিনে, এক মাসে বা এক বছরে কমে যাবে না। যদি বছরে ১০০ জনের শাস্তি হয়, তাহলে এটা একটা উদাহরণ হতে পারে।
No comments