সরল গরল-বেআইনি প্রক্রিয়ায় বিচারপতি বাছাই! by মিজানুর রহমান খান

বুধবার অপরাহ্নে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ্দীন মালিকের ফোন পেলাম। জানতে চাইলেন, আমরা ছয় বিচারক নিয়োগ নিয়ে কিছু লিখছি কি না। তিনি প্রথমেই স্মরণ করিয়ে দিলেন, ১০ বিচারকের মামলায় আপিল বিভাগের পর্যবেক্ষণটা খুবই প্রাসঙ্গিক। তাঁর উদ্বেগ সহজে বোধগম্য।


কারণ, ১০ বিচারকের মামলার বড় অর্জন আমরা হিসাব করেছিলাম, বিচারপতি আবদুর রশীদের নেতৃত্বাধীন বৃহত্তর বেঞ্চের দেওয়া রায়; যে রায় অনুসরণ করা হলে আমরা একটা যুগান্তকারী বদল পেতাম। আপিল বিভাগ তার অনেকটা কাটছাঁট করেছিলেন। তদুপরি সেখানে বিচারপতি এম এ মতিন এ কথা নির্দিষ্ট করেছিলেন যে নিয়োগে প্রধান বিচারপতির মতই প্রাধান্য পাবে। আর এ কথা ফলিতার্থ যে বাছাই-প্রক্রিয়ায় অন্য জ্যেষ্ঠ বিচারক ও বারের আইনজীবীদের সঙ্গে তিনি আলাপ-আলোচনা করবেন।
আপিল বিভাগের রায় হলো, বিচারকপ্রার্থীর আইনি বুদ্ধি প্রকর্ষ বা ‘লিগ্যাল অ্যাকুমেন’ এবং উপযুক্ততা নিশ্চিত করবেন সুপ্রিম কোর্ট, অ্যান্টিসেডান্টাস বা পূর্ববর্তী ঘটনাবলির জোগান দেবেন নির্বাহী বিভাগ। সরকারের গোয়েন্দাসহ নানা বিভাগ আছে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের তো গোয়েন্দা শাখা নেই। তাহলে প্রধান বিচারপতি বিপুলসংখ্যক আগ্রহীর মধ্য থেকে কার বেশি ধীশক্তি ও উপযুক্ততা, তা কী করে যাচাই-বাছাই করবেন? তাঁর তো একটা মাধ্যম থাকবে। এখন যদি প্রধান বিচারপতি জ্যেষ্ঠ ব্যক্তিদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেছেন বলে প্রতীয়মান না হয়, তাহলে এর বাছাই-প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেওয়াই স্বাভাবিক।
২০০৯ সালের রায়টিই বিদ্যমান আইন। প্রধান বিচারপতি তাঁর জ্যেষ্ঠ সহকর্মী ও বারের জ্যেষ্ঠ সদস্যদের সঙ্গে আলাপ করবেন। আমরা যদি ধরে নিই, প্রধান বিচারপতি এই শর্ত পূরণ করেছেন, তা বললেই কিন্তু আপিল বিভাগের রায়ের শর্ত পূরণ হবে না। তাই কাদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে, অর্থাৎ বাছাই-প্রক্রিয়ার রূপটি আমরা জানতে ও বুঝতে চাই। আইনমন্ত্রী, অ্যাটর্নি জেনারেলসহ আওয়ামী লীগের সক্রিয় অনেক নেতা বারের জ্যেষ্ঠ নেতা। যদি দেখা যায়, তাঁরাই শুধু আলাপের প্রক্রিয়ায় আছেন, তাহলে চিত্রটা আরও পরিষ্কার হতে পারে। আইন বলছে, বাছাই-প্রক্রিয়া হতে হবে স্বচ্ছ। সেই স্বচ্ছতা কেমন, তা-ও নির্দিষ্ট। বিচারপতি এম এ মতিন লিখেছেন, ‘প্রক্রিয়াটি হবে স্বচ্ছ, সুষ্ঠু এবং তার ওজস্বিতাও থাকবে। সুষ্ঠু ও স্বাধীন বাছাই-প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এই পদের জন্য এমন লোক বেছে নিতে হবে, যাঁদের সর্বোচ্চ পেশাগত যোগ্যতা এবং ব্যক্তিগত চারিত্রিক শুদ্ধতা রয়েছে। এর আরও একটি শর্ত রয়েছে। বাছাই থেকে নিয়োগ পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়াটি লিখিত হতে হবে। প্রত্যেক প্রার্থীর জন্য আলাদা রেকর্ড থাকবে।’ যথাযথভাবে এর রেকর্ড তৈরি ও তা সংরক্ষিত থাকছে কি না, তা আমরা জানতে চাই। তবে আমরা আওয়ামী লীগের চেতনা ধারণ করেন এমন অনেক যোগ্য আইনজীবীকেও উন্মুক্ত মন নিয়ে এই প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিতে দেখি না। অবশ্য অনেকে বলবেন, স্মরণকালে এটা কে কবে দেখেছে। আমাদের জবাব, ২০০৯ সালে দেওয়া রায়ের পরে অবস্থাটি আগের মতো থাকতে পারে না। যদি থাকে, তাহলে বুঝতে হবে, রায় বা আইন লঙ্ঘিত হচ্ছে।
আগেভাগে কাউকে কিছু না জানতে দিয়ে ছয়জনকে বিচারক বাছাইয়ে তেমন একটা ধারণাই মিলছে। এই নিয়োগ-প্রক্রিয়া তাই গতানুগতিক। বদলের লেশমাত্র নেই। যদিও সেভাবে সক্রিয় দলীয় কর্মী বা ক্যাডার টাইপের কেউ নেই, সেটা খুবই ইতিবাচক। কিন্তু মূলগতভাবে এই বাছাই দলীয় দৃষ্টিভঙ্গিমুক্ত নয়, এখানে দলীয় চিন্তা-চেতনার ঊর্ধ্বে ওঠার কোনো প্রয়াস নেই। বরং তদবির, জ্যাক ও ধরাধরি প্রাধান্য পেয়েছে বলেই প্রতীয়মান হয়। তাঁরা সাধারণভাবে একটি দলের প্রতিই সমবেদনাশীল। তবে সার্বিকভাবে এই পর্বটি মোটামুটি। একজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবীর কথায়, ‘খুব একটা খারাপ নয়, খুব একটা ভালোও নয়।’ অবশ্য দু-একজনের যোগ্যতা ও দক্ষতা বেশ প্রশ্নসাপেক্ষ।
এখন প্রকারান্তরে অঙ্ক কষা চলছে। আর কতজন নিলে দলানুসারীরা আরও ভারী হবে। বিচারক নিয়োগের কারণ সম্পর্কে মুখে মন্ত্রীরা বলবেন সুপ্রিম কোর্টে মামলার পাহাড় জমে আছে। জনগণকে দ্রুত বিচারসেবা তো দিতে হবে ইত্যাদি। কিন্তু এই মন্ত্রীরা কখনো মামলার নিষ্পত্তি হারের সঙ্গে বিচারকসংখ্যার অনুপাত প্রকাশ করবেন না। কারণ, চিত্রটি অত্যন্ত ধূসর। সরকার অযোগ্য ও অদক্ষ বিচারকদের বহাল রেখে এবং অযোগ্যদের সংখ্যা বাড়িয়ে কিংবা অধিকতর যোগ্যদের পেছনে ফেলে শুধু মাথা ভারী করতে পারবে। মামলার জট কমানো কিংবা সুবিচার দিতে পারবে না। বিচারপ্রার্থীদের কষ্ট লাঘব করতে পারবে না।
এর আগে আমরা দলীয়করণকে নিষ্ঠুর নিয়তি ধরে বলেছিলাম, আওয়ামী লীগের অনুসারীদেরই (চেতনাগতভাবে কোনো দলের সমর্থক হয়েও বিচারকাজে নিরপেক্ষ থাকা সম্ভব) বিচারক নিয়োগ দেওয়া হোক, তবে যেন তাঁদের মধ্য থেকে যোগ্যতমদের দেওয়া হয়। যোগ্যতা ও দক্ষতার প্রশ্নে যেন আপস না করা হয়। এখন সমস্যা দাঁড়াচ্ছে, সুপ্রিম কোর্ট ও নির্বাহী বিভাগ উভয়ে যেন যোগ্যতা ও দক্ষতার মানদণ্ডকে বায়বীয় রাখার পক্ষপাতী। উভয়ে যেন অস্বচ্ছতা বজায় রাখতেই আগ্রহী। বাছাইয়ের ক্ষেত্রে পদ্ধতি নয়, ব্যক্তিবিশেষের পছন্দ-অপছন্দই নিয়ামকশক্তি।
বিএনপি-সমর্থক বার সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেনের কাছে মন্তব্য চাইলাম। তিনি সনাতনি নেতিবাচকতা কিছুটা পরিহার করেই বললেন, ‘আমরা তাঁদের সংবর্ধনা দেব না। কারণ, আমরা বিচারক নিয়োগে নির্দিষ্ট নীতিমালাভিত্তিক পদ্ধতি চেয়েছি। দলীয় রাজনৈতিক বিবেচনা পরিহার করতে বলেছি, সেটা করা হয়নি। অধিকতর যোগ্য ও দক্ষদের নিয়োগ দেওয়া হয়নি।’ তাঁর কথায়, ‘দক্ষতা পাশ কাটিয়ে ২০০ বিচারক নিয়োগ করেও মামলার জট কমবে না।’
আমরা দেখি, আগে যেসব অযোগ্য বিচারককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের বিষয়ে বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণের কোনো তৎপরতা নেই; বারের সভাপতি যদিও বলছেন, ‘মেধার ভিত্তিতে নয়, আনুগত্যের ভিত্তিতে নিয়োগ হলে তাঁদের অপসারণে পরবর্তী সরকার রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেবে।’ কিন্তু তাতে আমরা ভরসা পাই না। কারণ, আমরা একটা বাস্তব ভাগাভাগি দেখছি।
আমরা অনেক সময় একদল চেনা আইনজীবীকে এক ধরনের বেঞ্চে আবার তাঁদের প্রতিপক্ষকে অন্য ধরনের বেঞ্চে গিয়ে প্রতিকার প্রার্থনায় বড়ই উথাল-পাথাল হতে দেখি।
আওয়ামী লীগ অতীতের ‘ভুল’ থেকে ‘শিক্ষা’ নেবে। তারা সম্ভবত তাদের মেয়াদ শেষে এমন একটি সুপ্রিম কোর্ট দেখতে চায়, যেখানে তাদের আমলে নিয়োগ পাওয়া বিচারকেরা সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং তাঁরা সবাই স্থায়ী। সেই লক্ষ্যে আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে ঢোকানো হবে, যাতে তাদের বাছাই ভবিষ্যতে ছাঁটাই না হয়।
আমাদের রাষ্ট্রপতির কাছে আমরা নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ কিছু সহজে আশা করি না। তবে বিচারক নিয়োগে তিনি যেভাবে তাঁর সাংবিধানিক ক্ষমতার প্রয়োগ করছেন, তাতে দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি প্রকট। এতে সংবিধানের চেতনাও নস্যাৎ হচ্ছে। বিশ্বের কোনো সভ্য দেশ দাবি করতে পারে না যে তারা সাংবিধানিক পদধারীদের সংখ্যা নির্দিষ্ট করবে না। যখন যেমন খুশি তখন তেমন তারা সংখ্যা বাড়িয়ে চলবে কিংবা হ্রাস করবে।
কিছুদিন আগে আমরা দেখেছি, আপিল বিভাগের বিচারকসংখ্যা আইন দ্বারা ১১ জন নির্দিষ্ট করার পরও বেশ কিছু পদ দীর্ঘদিন খালি রাখা হয়েছে। এখনো তিনটি পদ খালি রাখা হচ্ছে। তদুপরি অজানা কারণে আটজন বিচারক থাকা সত্ত্বেও দুটি স্বতন্ত্র বেঞ্চ গঠন করা হচ্ছে না। এর কোনো কিছুই আইন সমর্থন করে না।
যা আইনের হিসাবে মেলে না, তা অনেক সময় দূষিত রাজনৈতিক হিসাবে মেলে।
সরকার পরিকল্পিতভাবে হাইকোর্টের বিচারকের সংখ্যা নির্দিষ্ট করেনি। আইনমন্ত্রী কি জবাব দেবেন, আপিল বিভাগের বিচারকসংখ্যা, যা কোনো দিন নির্দিষ্ট ছিল না, সেটা নির্দিষ্ট করা সংবিধানসম্মত হলে হাইকোর্টের বিচারকসংখ্যা আইন দ্বারা নির্দিষ্ট করা হচ্ছে না কেন?
বিএনপি-সমর্থিত সুপ্রিম কোর্ট বার সভাপতি চান হাইকোর্টের বিচারকসংখ্যা নির্দিষ্ট করা হোক। কিন্তু এ নিয়ে তাঁরা আন্দোলনে যাবেন না। কারণ, বিএনপিও চায়, এটা খালি থাকুক। ব্ল্যাঙ্ক চেক সবারই পছন্দ। ইচ্ছামতো টাকার অঙ্ক লিখে চেক ভাঙানোর মজাই আলাদা। বিএনপির ক্ষমতা পুনর্দখলের খোয়াব পূরণ হলে তারাও সংখ্যার খেলা খেলবে। না হলে সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনে এখন যাঁরা জ্বালাও-পোড়াও কর্মসূচি দিয়ে ‘বেগম খালেদা জিয়া ও তদীয় পুত্রের’ জন্য এত কষ্ট সইছেন, তাঁদের কাজের মূল্যায়ন কীভাবে হবে! সে জন্য তাঁদের চোখ ওই সংখ্যাহীন সুড়ঙ্গের দিকে।
এ বি এম খায়রুল হক তখন প্রধান বিচারপতি। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুই বছরের জন্য নিয়োগ পাওয়া কয়েকজন অতিরিক্ত বিচারককে তিনি স্থায়ী করার সুপারিশ করেননি। তাঁরা কী কারণে বাদ পড়লেন, তার কোনো মানদণ্ড ছিল কি না, সেটা যাচাইয়ে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। কোনো পরিষ্কার ধারণা পেলাম না। তবে বাদ পড়া একজন বিচারক আমাকে বলেছিলেন, তিনি তাঁর দুই বছরে যেসব রায় দিয়েছিলেন, তার একটা সংকলন তিনি প্রস্তুত করেছিলেন। আশায় ছিলেন, বাছাই-প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে প্রধান বিচারপতির দপ্তর থেকে তাঁর ডাক পড়বে। তখন তিনি তাঁর যোগ্যতার দাবি ব্যাখ্যা করবেন। কিন্তু সেটা ঘটেনি। এখন আমরা যদি জানতাম সুপ্রিম কোর্ট তাঁর নিজস্ব ব্যবস্থায় এ ধরনের একটি অনুশীলন করেছিলেন, তাহলে আমরা নিশ্চিত হতাম। কিন্তু সে ধরনের কিছু আমরা জানি না।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত দাবি করতে পারেন, তাঁর একটি ভবিষ্যদ্বাণী আজ প্রমাণিত। ভাগ্যিস, গ্যালিলিওর মতো তাঁকে বাহাত্তরে কেউ পাগল বলেনি। সংবিধানে তাঁর সই না দেওয়ার অন্যতম কারণ ছিল আইনজীবীদের হাইকোর্টের জজ বানানোর বিধান করা। তিনি লিখেছিলেন, ১০০ শতাংশই জেলা জজ থেকে নিয়োগ দেওয়া হোক। কারণ, আইনজীবীদের মধ্য থেকে নিলে দলীয়করণ ঘটবে। তাঁর আশঙ্কা সত্যে পরিণত হয়েছে। বাড়তি পাওনা হলো, যা কখনো ঘটেনি, ১০০ শতাংশই জেলা জজমুক্ত বিচারক নিয়োগ ঘটেছে এবারে। যদিও দলদূষণের প্রকোপ থেকে আজ জেলা জজরাও মুক্ত নন।
তবে ড. শাহ্দীন মালিক যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, সেটার একটা জবাব পাওয়া দরকার। ছয় বিচারক নিয়োগে তাঁর মন্তব্য, ‘বিচারক বাছাইয়ে স্পষ্টতই প্রধান বিচারপতি ও জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের কাছে দলীয় পরিচয় অন্যতম যোগ্যতা হয়ে গেছে। দলের ব্যাপারে সরকার এবং প্রধান বিচারপতির মধ্যে কোনো পার্থক্য আছে বলে প্রতীয়মান হয় না।’ এরপর প্রশ্নটি যদি এই হয়, সরকার যে ক্ষেত্রে দলীয় বিবেচনায় প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেয়, তখন কী হবে?
প্রশ্ন তো বিচিত্র। দলীয়করণকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করা আবশ্যক। প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের সুপারিশের সব আইনজীবী বিচারক হলেন না কেন? প্রধান বিচারপতির সুপারিশ গ্রহণ যদি আপিল বিভাগের রায়ের মতে নির্বাহী বিভাগের জন্য বাধ্যতামূলক হয়, তাহলে তা অগ্রাহ্য হচ্ছে কীভাবে? সাবেক প্রধান বিচারপতির কোনো সুপারিশ কারণ না দেখিয়ে নির্বাহী বিভাগ অগ্রাহ্য করতে না পারলে উত্তরসূরি প্রধান বিচারপতিরও পারার কথা নয়। তাই বলি, বিচারক বাছাইয়ের প্রক্রিয়াটি আপিল বিভাগের রায় বা আইনমতেই অস্বচ্ছ মনে হয়। অস্বচ্ছ প্রক্রিয়া মানেই বেআইনি!
 মিজানুর রহমান খান: সাংবাদিক।
mrkhanbd@gmail.com

No comments

Powered by Blogger.