ভারত চায় বর্তমান চুক্তির অনির্দিষ্টকাল মেয়াদ-ভারতের সঙ্গে নতুন বাণিজ্য চুক্তি করতে চায় বাংলাদেশ by ফখরুল ইসলাম ও জাহাঙ্গীর শাহ
নবায়ন নয়, বরং ভারতের সঙ্গে নতুন বাণিজ্য চুক্তি করতে চায় বাংলাদেশ। আর ভারত চায় বর্তমান বাণিজ্য চুক্তির অনির্দিষ্ট মেয়াদকাল এবং স্বয়ংক্রিয় নবায়ন। ভারতের প্রস্তাবে হুবহু রাজি না হলেও বিদ্যমান চুক্তির মেয়াদ ছয় মাস থেকে এক বছর বাড়ানোর চিন্তা করা হচ্ছে। আগামী ৩১ মার্চ এ চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে।
সচিবালয়ে গতকাল বুধবার অনুষ্ঠিত ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধি সম্পর্কিত আন্তমন্ত্রণালয়ের এক বৈঠক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। বাণিজ্যসচিব গোলাম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে নতুন বাণিজ্য চুক্তি করার ব্যাপারেই মত এসেছে বলে জানা গেছে। আলোচনা হয়েছে, রেওয়াজ অনুযায়ী প্রতি তিন বছর পর পর ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির যে নবায়ন হচ্ছে, তা থেকে সরে আসবে বাংলাদেশ।
কারণ হিসেবে এনবিআরের একজন কর্মকর্তা জানান, ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নয়ন নিয়ে সরকার কাজ করছে। বিদ্যমান বাণিজ্য চুক্তির আওতায় সেগুলো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ খুব কম। নতুন বাণিজ্য চুক্তির পক্ষে সে কারণেই বাংলাদেশের অবস্থান দৃঢ়।
যোগাযোগ করলে বাণিজ্যসচিব মো. গোলাম হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভারতের প্রস্তাবে চুক্তির অনির্দিষ্ট মেয়াদকাল ও স্বয়ংক্রিয় নবায়নের কথা বলা আছে। আমরা এর পক্ষপাতী নই। আমরা চাই, ভারতের সঙ্গে নতুন বাণিজ্য চুক্তি। তবে এ জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত দরকার।’
নীতিগত সিদ্ধান্তের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি চাওয়া হয়েছে বলেও জানান গোলাম হোসেন। সচিব আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে যৌথ বাণিজ্য কমিশনের (জেটিসি) বৈঠক হয় না। আশা করছি, ৩১ মার্চের আগে জেটিসিরও একটি বৈঠক হবে।’
জানা গেছে, সরকারের অনুমোদন পেলে শিগগিরই ভারতের সঙ্গে নতুন বাণিজ্য চুক্তির খসড়া তৈরিতে হাত দেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে মেয়াদ শেষ হওয়ার সময় কাছাকাছি চলে আসায় নতুন বাণিজ্য চুক্তি এখনই করা সম্ভব হচ্ছে না। সে কারণেই ছয় মাস থেকে এক বছর সময় বাড়িয়ে দেওয়ার চিন্তা করছে সরকার।
এদিকে ভারতের সঙ্গে চুক্তিটির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট দুটি প্রস্তাব দিয়েছে এনবিআর। প্রথমত, চুক্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব প্রটোকল ও স্ট্যান্ডার্ড অপারেশন প্রসিডিউরগুলো (এসওপি) বাণিজ্য চুক্তির অংশ হিসেবে সংযুক্ত করা। কারণ, এই বাণিজ্য চুক্তির অধীনে কোনো প্রটোকল ও এসওপি রয়েছে তা অনেক মন্ত্রণালয় বা সংস্থার কর্মকর্তারা জানেন না। এতে কাজের ক্ষেত্রে গতিশীলতা নষ্ট হয়।
দ্বিতীয়ত, যেহেতু পূর্ণাঙ্গ ট্রানজিট দিতে সরকার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাই বাণিজ্য চুক্তির ৮ নম্বর অনুচ্ছেদ সংশোধন না করে নবায়ন করা যুক্তিযুক্ত হবে না। বাণিজ্য চুক্তির ৮ অনুচ্ছেদে সড়ক, নৌ ও রেলপথে ট্রানজিট দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
বাণিজ্য চুক্তির মতো বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত নৌ-প্রটোকলের মেয়াদও শেষ হচ্ছে আগামী ৩১ মার্চ। নৌ-প্রটোকলটি বর্তমানে বাণিজ্য চুক্তির আওতায় সম্পাদিত।
এদিকে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে বাণিজ্য চুক্তির নবায়ন নিয়ে আলোচনা হবে। আগামী ১২ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি এই বৈঠক হওয়ার কথা। পরে যৌথ নবায়ন কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে দুই দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিরা চুক্তি নবায়নে স্বাক্ষর করবেন।
১৯৮০ সালের ৪ অক্টোবর ভারতের সঙ্গে এই বাণিজ্য চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়, যা তিন বছর পর পর নবায়ন হয়ে আসছে। ২০০৯ সালে সর্বশেষ নবায়নপত্রে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান ও ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রণব মুখার্জি। তার আগে ২০০৬ সালের ২১ মার্চ তৎকালীন অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান ও ভারতীয় বাণিজ্যমন্ত্রী কমল নাথ নবায়নপত্রে স্বাক্ষর করেছিলেন।
বৈঠকে নতুন বাণিজ্য চুক্তি করার ব্যাপারেই মত এসেছে বলে জানা গেছে। আলোচনা হয়েছে, রেওয়াজ অনুযায়ী প্রতি তিন বছর পর পর ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির যে নবায়ন হচ্ছে, তা থেকে সরে আসবে বাংলাদেশ।
কারণ হিসেবে এনবিআরের একজন কর্মকর্তা জানান, ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নয়ন নিয়ে সরকার কাজ করছে। বিদ্যমান বাণিজ্য চুক্তির আওতায় সেগুলো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ খুব কম। নতুন বাণিজ্য চুক্তির পক্ষে সে কারণেই বাংলাদেশের অবস্থান দৃঢ়।
যোগাযোগ করলে বাণিজ্যসচিব মো. গোলাম হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভারতের প্রস্তাবে চুক্তির অনির্দিষ্ট মেয়াদকাল ও স্বয়ংক্রিয় নবায়নের কথা বলা আছে। আমরা এর পক্ষপাতী নই। আমরা চাই, ভারতের সঙ্গে নতুন বাণিজ্য চুক্তি। তবে এ জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত দরকার।’
নীতিগত সিদ্ধান্তের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি চাওয়া হয়েছে বলেও জানান গোলাম হোসেন। সচিব আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে যৌথ বাণিজ্য কমিশনের (জেটিসি) বৈঠক হয় না। আশা করছি, ৩১ মার্চের আগে জেটিসিরও একটি বৈঠক হবে।’
জানা গেছে, সরকারের অনুমোদন পেলে শিগগিরই ভারতের সঙ্গে নতুন বাণিজ্য চুক্তির খসড়া তৈরিতে হাত দেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে মেয়াদ শেষ হওয়ার সময় কাছাকাছি চলে আসায় নতুন বাণিজ্য চুক্তি এখনই করা সম্ভব হচ্ছে না। সে কারণেই ছয় মাস থেকে এক বছর সময় বাড়িয়ে দেওয়ার চিন্তা করছে সরকার।
এদিকে ভারতের সঙ্গে চুক্তিটির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট দুটি প্রস্তাব দিয়েছে এনবিআর। প্রথমত, চুক্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব প্রটোকল ও স্ট্যান্ডার্ড অপারেশন প্রসিডিউরগুলো (এসওপি) বাণিজ্য চুক্তির অংশ হিসেবে সংযুক্ত করা। কারণ, এই বাণিজ্য চুক্তির অধীনে কোনো প্রটোকল ও এসওপি রয়েছে তা অনেক মন্ত্রণালয় বা সংস্থার কর্মকর্তারা জানেন না। এতে কাজের ক্ষেত্রে গতিশীলতা নষ্ট হয়।
দ্বিতীয়ত, যেহেতু পূর্ণাঙ্গ ট্রানজিট দিতে সরকার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাই বাণিজ্য চুক্তির ৮ নম্বর অনুচ্ছেদ সংশোধন না করে নবায়ন করা যুক্তিযুক্ত হবে না। বাণিজ্য চুক্তির ৮ অনুচ্ছেদে সড়ক, নৌ ও রেলপথে ট্রানজিট দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
বাণিজ্য চুক্তির মতো বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত নৌ-প্রটোকলের মেয়াদও শেষ হচ্ছে আগামী ৩১ মার্চ। নৌ-প্রটোকলটি বর্তমানে বাণিজ্য চুক্তির আওতায় সম্পাদিত।
এদিকে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে বাণিজ্য চুক্তির নবায়ন নিয়ে আলোচনা হবে। আগামী ১২ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি এই বৈঠক হওয়ার কথা। পরে যৌথ নবায়ন কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে দুই দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিরা চুক্তি নবায়নে স্বাক্ষর করবেন।
১৯৮০ সালের ৪ অক্টোবর ভারতের সঙ্গে এই বাণিজ্য চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়, যা তিন বছর পর পর নবায়ন হয়ে আসছে। ২০০৯ সালে সর্বশেষ নবায়নপত্রে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান ও ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রণব মুখার্জি। তার আগে ২০০৬ সালের ২১ মার্চ তৎকালীন অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান ও ভারতীয় বাণিজ্যমন্ত্রী কমল নাথ নবায়নপত্রে স্বাক্ষর করেছিলেন।
No comments