বীর মুক্তিযোদ্ধা-তোমাদের এ ঋণ শোধ হবে না
৩০৮ স্বাধীনতার চার দশক উপলক্ষে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ধারাবাহিক এই আয়োজন। মোহাম্মদ ইব্রাহিম, বীর প্রতীক জানা হলো না তাঁর বীরত্বের কথা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইব্রাহিম ২০০৭ সালে মারা গেছেন। তাঁর এক মেয়ে। ছেলে নেই। স্ত্রীও বেঁচে নেই। পরিবারের সদস্যরা তাঁর সম্পর্কে তেমন তথ্য দিতে পারেননি, বিভিন্নজনের কাছে খোঁজ করেও তাঁর বীরত্ব বা কোন কোন যুদ্ধে তিনি অংশ নিয়েছেন, সে সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়নি।
মোহাম্মদ ইব্রাহিম চাকরি করতেন ইপিআরে (ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস, পরে বিডিআর, এখন বিজিবি)। ১৯৭১ সালে কর্মরত ছিলেন চট্টগ্রাম ইপিআর সেক্টরের (বর্তমানে ব্যাটালিয়ন) অধীনে। তখন তাঁর পদবি ছিল হাবিলদার। হালিশহরে ছিল সেক্টর হেডকোয়ার্টার। এর অধীনে ছিল তিনটি উইং—১১ ও ১৪ উইং হালিশহরে, ১৭ উইং কাপ্তাইয়ে। ১১ উইংয়ের ইপিআর সদস্যরা কক্সবাজার, টেকনাফ, বরকল ও মাসলংয়ে এবং ১৪ উইংয়ের সদস্যরা সাজেক, ট্যানডং ও রামগড়ে ছিলেন।
মার্চ মাসের শুরুতে চট্টগ্রাম ইপিআর সেক্টরের অধীন ইপিআর সদস্যদের চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন স্থানে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়। অল্পসংখ্যক সদস্য থেকে যান সীমান্ত এলাকায়। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তাঁরা ঝাঁপিয়ে পড়েন যুদ্ধে। ২৬ মার্চ থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ইপিআর বাহিনীর সদস্যরা সংঘবদ্ধ ও বিচ্ছিন্নভাবে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন। এসব যুদ্ধে ইপিআর বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধারা যথেষ্ট সাহস ও বীরত্ব প্রদর্শন করেন। এর মধ্যে কোন যুদ্ধে মোহাম্মদ ইব্রাহিম অংশ নিয়েছেন, সে সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়নি। মোহাম্মদ ইব্রাহিম পরে যুদ্ধ করেন ২ নম্বর সেক্টরের রাজনগর সাব-সেক্টরে। এই সাব-সেক্টরের অধীন এলাকা ছিল বিলোনিয়ার পশ্চিমাঞ্চল, লাকসামের দক্ষিণাঞ্চল, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম-লাঙ্গলকোট, ফেনী জেলার অংশবিশেষ এবং নোয়াখালী জেলার কিছু অংশ। রাজনগর সাব-সেক্টর এলাকায় অসংখ্য যুদ্ধ সংঘটিত হয়। মোহাম্মদ ইব্রাহিম বেশ কয়েকটি যুদ্ধে অংশ নিয়ে সাহসিকতার পরিচয় দেন।
মুক্তিযুদ্ধে সাহস ও বীরত্ব প্রদর্শনের জন্য মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত করা হয়। ১৯৭৩ সালের সরকারি গেজেট অনুযায়ী তাঁর বীরত্বভূষণ নম্বর ১৯৩।
মোহাম্মদ ইব্রাহিমের পৈতৃক বাড়ি নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাইমুড়ী পৌরসভার অন্তর্গত পাপুয়া মিজিবাড়িতে। তাঁর বাবার নাম হায়দার আলী মিজি। মা ছামারফ বানু। স্ত্রী ছলেমা বেগম।
মোহাম্মদ ইব্রাহিমের মেয়ে ইয়াসমিন আক্তার বললেন, ‘আমার বাবা খেতাবধারী মুক্তিযোদ্ধা, এটা জানি। কিন্তু কোন কোন যুদ্ধে অংশ নিয়ে বীরত্ব দেখিয়েছেন, সেটা জানি না।’ ইয়াসমিন আক্তারের প্রত্যাশা, সরকার খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের জন্য কিছু করবে।
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধে রাইফেলস ও অন্যান্য বাহিনী, সুকুমার বিশ্বাস ও ফখরুল ইসলাম (নোয়াখালী)।
গ্রন্থনা: রাশেদুর রহমান
trrashed@gmail.com
মার্চ মাসের শুরুতে চট্টগ্রাম ইপিআর সেক্টরের অধীন ইপিআর সদস্যদের চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন স্থানে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়। অল্পসংখ্যক সদস্য থেকে যান সীমান্ত এলাকায়। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তাঁরা ঝাঁপিয়ে পড়েন যুদ্ধে। ২৬ মার্চ থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ইপিআর বাহিনীর সদস্যরা সংঘবদ্ধ ও বিচ্ছিন্নভাবে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন। এসব যুদ্ধে ইপিআর বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধারা যথেষ্ট সাহস ও বীরত্ব প্রদর্শন করেন। এর মধ্যে কোন যুদ্ধে মোহাম্মদ ইব্রাহিম অংশ নিয়েছেন, সে সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়নি। মোহাম্মদ ইব্রাহিম পরে যুদ্ধ করেন ২ নম্বর সেক্টরের রাজনগর সাব-সেক্টরে। এই সাব-সেক্টরের অধীন এলাকা ছিল বিলোনিয়ার পশ্চিমাঞ্চল, লাকসামের দক্ষিণাঞ্চল, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম-লাঙ্গলকোট, ফেনী জেলার অংশবিশেষ এবং নোয়াখালী জেলার কিছু অংশ। রাজনগর সাব-সেক্টর এলাকায় অসংখ্য যুদ্ধ সংঘটিত হয়। মোহাম্মদ ইব্রাহিম বেশ কয়েকটি যুদ্ধে অংশ নিয়ে সাহসিকতার পরিচয় দেন।
মুক্তিযুদ্ধে সাহস ও বীরত্ব প্রদর্শনের জন্য মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত করা হয়। ১৯৭৩ সালের সরকারি গেজেট অনুযায়ী তাঁর বীরত্বভূষণ নম্বর ১৯৩।
মোহাম্মদ ইব্রাহিমের পৈতৃক বাড়ি নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাইমুড়ী পৌরসভার অন্তর্গত পাপুয়া মিজিবাড়িতে। তাঁর বাবার নাম হায়দার আলী মিজি। মা ছামারফ বানু। স্ত্রী ছলেমা বেগম।
মোহাম্মদ ইব্রাহিমের মেয়ে ইয়াসমিন আক্তার বললেন, ‘আমার বাবা খেতাবধারী মুক্তিযোদ্ধা, এটা জানি। কিন্তু কোন কোন যুদ্ধে অংশ নিয়ে বীরত্ব দেখিয়েছেন, সেটা জানি না।’ ইয়াসমিন আক্তারের প্রত্যাশা, সরকার খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের জন্য কিছু করবে।
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধে রাইফেলস ও অন্যান্য বাহিনী, সুকুমার বিশ্বাস ও ফখরুল ইসলাম (নোয়াখালী)।
গ্রন্থনা: রাশেদুর রহমান
trrashed@gmail.com
No comments