গণক’ দিয়ে পররাষ্ট্রনীতি চলে না-কী বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী?
পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি বহুল আলোচিত তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি সম্পর্কে কোনো সুসংবাদ দিতে পারেননি; বরং মঙ্গলবার নিজ দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের হতাশ না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে নিজেই দেশবাসীর কাছে একরাশ হতাশা ছড়িয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি গণক নই। তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি কবে হবে, সেই দিনক্ষণ বলতে পারব না।’
কেবল তিস্তার পানিচুক্তি নয়, পররাষ্ট্রনীতি-সংক্রান্ত সব বিষয়ে বাংলাদেশ কী অর্জন করল, কী করতে পারল না, তা জানার অধিকার নিশ্চয়ই জনগণের আছে। আর পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তাঁর কাছেই তো জানতে চাইবে। এ বিষয়ে সাংবাদিকেরা যেসব প্রশ্ন করেছেন, তা জনগণেরই মনের কথা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাতে উষ্মা প্রকাশ করতে পারেন না, কিংবা ‘আমি গণক নই’ বলে এই অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে হালকা করে দেখাও সমীচীন নয়।
মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের অনেক আগে থেকে সরকারের দায়িত্বশীল মহল তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির ব্যাপারে আশার কথা শুনিয়ে আসছিল। এমনকি গত ৫ সেপ্টেম্বর ভারতের পররাষ্ট্রসচিব যখন বললেন, মমতার আপত্তির কারণে তিস্তার পানিচুক্তি হচ্ছে না, তখনো আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেশ জোরের সঙ্গেই বলেছিলেন, ‘চুক্তি হবেই।’ কারণ যা-ই হোক, সেই চুক্তি যখন হয়নি, দেশবাসীকে তার কারণ ব্যাখ্যা করা কিংবা চুক্তি কবে হবে, সে বিষয়ে অবহিত করা পররাষ্ট্রমন্ত্রীরই দায়িত্ব। দেশবাসী চুক্তির দিনক্ষণই জানতে চাইছে, গত ৪০ বছরে কোন সরকার কী করেছে, কী করেনি—সেই গল্প শুনতে চাইছে না। ভারত সরকার যেখানে সে দেশের বিরোধী দল, গণমাধ্যম, এমনকি বাংলাদেশের গণমাধ্যমকেও তাদের অবস্থান খোলাখুলি ব্যাখ্যা করেছে—বাংলাদেশ সরকারের নীতিনির্ধারকেরা তার প্রয়োজন বোধ করেননি। মনমোহনের সফরের পরও প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী একাধিকবার বলেছেন, শিগগিরই চুক্তি হবে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জানিয়েছিলেন, ‘তিন মাসের মধ্যে চুক্তি হবে।’ আর এখন পররাষ্ট্রমন্ত্রী যদি বলেন, দিনক্ষণ বলতে পারছি না, তখন মানুষ কী বুঝবে? এই সমন্বয়হীনতা সুস্থ পররাষ্ট্রনীতির লক্ষণ নয়।
কারণ যা-ই হোক, স্বীকার করতে হবে, সরকার মনমোহন সিংয়ের সফরের সময় তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তিটা করতে পারেনি। কে কতবার আলোচনা করেছিলেন, কিংবা এর পেছনে ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি কতটা দায়ী, সেসব দেশবাসীকে আশ্বস্ত করবে না। কবে নাগাদ তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি হবে, সেটাই তারা জানতে চাইবে। এ ব্যাপারে কী অগ্রগতি হয়েছে, তা জানানো সরকারের দায়িত্ব।
ট্রানজিটের বিষয়েও নীতিনির্ধারকদের বক্তব্য বেশ বিভ্রান্তিকর। প্রথমে বলা হয়েছিল, ট্রানজিট-সুবিধার বিনিময়ে ভারতের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের আর্থিক সুবিধা পাওয়া যাবে। এখন বলা হচ্ছে, পরীক্ষামূলক ট্রানজিট দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তার বিনিময়ে বাংলাদেশ যে সামান্য মাশুল পাচ্ছে, তাতে লাভ দূরের কথা, ক্ষতিই পোষাবে না বলে গবেষকদের অভিমত। এ বিষয়েও আমরা সরকারের স্পষ্ট বক্তব্য চাই।
মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের অনেক আগে থেকে সরকারের দায়িত্বশীল মহল তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির ব্যাপারে আশার কথা শুনিয়ে আসছিল। এমনকি গত ৫ সেপ্টেম্বর ভারতের পররাষ্ট্রসচিব যখন বললেন, মমতার আপত্তির কারণে তিস্তার পানিচুক্তি হচ্ছে না, তখনো আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেশ জোরের সঙ্গেই বলেছিলেন, ‘চুক্তি হবেই।’ কারণ যা-ই হোক, সেই চুক্তি যখন হয়নি, দেশবাসীকে তার কারণ ব্যাখ্যা করা কিংবা চুক্তি কবে হবে, সে বিষয়ে অবহিত করা পররাষ্ট্রমন্ত্রীরই দায়িত্ব। দেশবাসী চুক্তির দিনক্ষণই জানতে চাইছে, গত ৪০ বছরে কোন সরকার কী করেছে, কী করেনি—সেই গল্প শুনতে চাইছে না। ভারত সরকার যেখানে সে দেশের বিরোধী দল, গণমাধ্যম, এমনকি বাংলাদেশের গণমাধ্যমকেও তাদের অবস্থান খোলাখুলি ব্যাখ্যা করেছে—বাংলাদেশ সরকারের নীতিনির্ধারকেরা তার প্রয়োজন বোধ করেননি। মনমোহনের সফরের পরও প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী একাধিকবার বলেছেন, শিগগিরই চুক্তি হবে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জানিয়েছিলেন, ‘তিন মাসের মধ্যে চুক্তি হবে।’ আর এখন পররাষ্ট্রমন্ত্রী যদি বলেন, দিনক্ষণ বলতে পারছি না, তখন মানুষ কী বুঝবে? এই সমন্বয়হীনতা সুস্থ পররাষ্ট্রনীতির লক্ষণ নয়।
কারণ যা-ই হোক, স্বীকার করতে হবে, সরকার মনমোহন সিংয়ের সফরের সময় তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তিটা করতে পারেনি। কে কতবার আলোচনা করেছিলেন, কিংবা এর পেছনে ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি কতটা দায়ী, সেসব দেশবাসীকে আশ্বস্ত করবে না। কবে নাগাদ তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি হবে, সেটাই তারা জানতে চাইবে। এ ব্যাপারে কী অগ্রগতি হয়েছে, তা জানানো সরকারের দায়িত্ব।
ট্রানজিটের বিষয়েও নীতিনির্ধারকদের বক্তব্য বেশ বিভ্রান্তিকর। প্রথমে বলা হয়েছিল, ট্রানজিট-সুবিধার বিনিময়ে ভারতের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের আর্থিক সুবিধা পাওয়া যাবে। এখন বলা হচ্ছে, পরীক্ষামূলক ট্রানজিট দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তার বিনিময়ে বাংলাদেশ যে সামান্য মাশুল পাচ্ছে, তাতে লাভ দূরের কথা, ক্ষতিই পোষাবে না বলে গবেষকদের অভিমত। এ বিষয়েও আমরা সরকারের স্পষ্ট বক্তব্য চাই।
No comments