নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়োগ-স্বাধীন কমিশনের কোনো বিকল্প নেই
নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়োগ হয়ে গেছে। নতুন নির্বাচন কমিশনের জন্য গঠিত সার্চ কমিটি রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ চূড়ান্ত করে রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেওয়ার পর বেছে নেওয়া হয়েছে নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদসহ অন্য নির্বাচন কমিশনারদের। নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনেই হবে আগামী সংসদ নির্বাচন।
বিগত কমিশনের মেয়াদ শেষ হয়েছে। একটি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করাটা ছিল অত্যন্ত জরুরি। এই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতি সংলাপ করেন। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বিভিন্ন জনের নাম উঠে আসে। আবার, বিএনপির সঙ্গে সংলাপে দলটি নির্বাচন কমিশনের চেয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যাপারে তাদের আগ্রহের কথা জানায়। আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনই ছিল তাদের দাবি। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার পর গঠন করা হয় একটি সার্চ কমিটি। এই সার্চ কমিটি দুই প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ মোট ১০ জনের নাম প্রস্তাব করে। ওই ১০ জনের মধ্য থেকে বেছে নেওয়া হয়েছে নতুন নির্বাচন কমিশন।
বিগত নির্বাচন কমিশন তাদের কার্যকালে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছে। সেনাশাসিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পর একটি নির্বাচিত দলীয় সরকারের শাসনামলে প্রায় তিন বছর কাজ করতে হয়েছে নির্বাচন কমিশনকে। কিন্তু বোধ হয় এবারই প্রথমবারের মতো বিগত নির্বাচন কমিশন দলীয় সরকারের শাসনামলে কাজ করেও নির্বাচন কমিশনের স্বাতন্ত্র্য ও স্বাধীনতার বিষয়টি সবার দৃষ্টিতে নিতে পেরেছে। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য মূলত একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশনের বিকল্প নেই। অতীতে আমরা দেখেছি, অনেক নির্বাচনই নির্বাচন কমিশনের কারণে বিতর্কিত হয়েছে। দলীয় সরকারের আমলে নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠুভাবে তাদের কর্তব্য সম্পাদন করতে পারে না বলেই ধরে নেওয়া হয়। কিন্তু বিগত নির্বাচন কমিশন অন্তত নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা সমুন্নত রেখেছিল। বিদায় নেওয়ার আগে নির্বাচন কমিশন কিছু সুপারিশ রেখে গেছে। ওই সুপারিশগুলো বাস্তবায়িত হলে নির্বাচন কমিশন আরো শক্তিশালী হবে বলে মনে করা হয়। বিশেষ করে বিদায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার চারটি মন্ত্রণালয় নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনের অধীনে দেওয়ার কথা বলেছেন।
মোট কথা, গ্রহণযোগ্য একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য শক্তিশালী নির্বাচন কমিশনের বিকল্প নেই। একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশনই পারে সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে। বিগত নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে কয়েকটি উপনির্বাচন, সিটি করপোরেশন নির্বাচন এবং পৌরসভা নির্বাচনে সেটা প্রমাণিত হয়েছে। প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এই নিয়োগ মেনে নেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। বিএনপি এর আগে এক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছিল, নির্বাচন কমিশনের চেয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিলেও সেই নির্বাচন পরিচালনা করবে একটি নির্বাচন কমিশন। কাজেই শক্তিশালী নির্বাচন কমিশনের বিকল্প নেই।
অবশেষে নির্বাচন কমিশন গঠন হচ্ছে। নতুন নির্বাচন কমিশন আগের নির্বাচন কমিশনের মতোই স্বাধীনভাবে কাজ করবে বলে আমরা মনে করি। মূলত নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই। সরকারের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোরও দায়িত্ব রয়েছে এই স্বাধীনতা ও শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করার। আমরা আশা করব, সরকারের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোও নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করতে সহায়তা দেবে, নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখবে।
বিগত নির্বাচন কমিশন তাদের কার্যকালে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছে। সেনাশাসিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পর একটি নির্বাচিত দলীয় সরকারের শাসনামলে প্রায় তিন বছর কাজ করতে হয়েছে নির্বাচন কমিশনকে। কিন্তু বোধ হয় এবারই প্রথমবারের মতো বিগত নির্বাচন কমিশন দলীয় সরকারের শাসনামলে কাজ করেও নির্বাচন কমিশনের স্বাতন্ত্র্য ও স্বাধীনতার বিষয়টি সবার দৃষ্টিতে নিতে পেরেছে। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য মূলত একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশনের বিকল্প নেই। অতীতে আমরা দেখেছি, অনেক নির্বাচনই নির্বাচন কমিশনের কারণে বিতর্কিত হয়েছে। দলীয় সরকারের আমলে নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠুভাবে তাদের কর্তব্য সম্পাদন করতে পারে না বলেই ধরে নেওয়া হয়। কিন্তু বিগত নির্বাচন কমিশন অন্তত নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা সমুন্নত রেখেছিল। বিদায় নেওয়ার আগে নির্বাচন কমিশন কিছু সুপারিশ রেখে গেছে। ওই সুপারিশগুলো বাস্তবায়িত হলে নির্বাচন কমিশন আরো শক্তিশালী হবে বলে মনে করা হয়। বিশেষ করে বিদায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার চারটি মন্ত্রণালয় নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনের অধীনে দেওয়ার কথা বলেছেন।
মোট কথা, গ্রহণযোগ্য একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য শক্তিশালী নির্বাচন কমিশনের বিকল্প নেই। একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশনই পারে সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে। বিগত নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে কয়েকটি উপনির্বাচন, সিটি করপোরেশন নির্বাচন এবং পৌরসভা নির্বাচনে সেটা প্রমাণিত হয়েছে। প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এই নিয়োগ মেনে নেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। বিএনপি এর আগে এক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছিল, নির্বাচন কমিশনের চেয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিলেও সেই নির্বাচন পরিচালনা করবে একটি নির্বাচন কমিশন। কাজেই শক্তিশালী নির্বাচন কমিশনের বিকল্প নেই।
অবশেষে নির্বাচন কমিশন গঠন হচ্ছে। নতুন নির্বাচন কমিশন আগের নির্বাচন কমিশনের মতোই স্বাধীনভাবে কাজ করবে বলে আমরা মনে করি। মূলত নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই। সরকারের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোরও দায়িত্ব রয়েছে এই স্বাধীনতা ও শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করার। আমরা আশা করব, সরকারের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোও নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করতে সহায়তা দেবে, নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখবে।
No comments