আইনশৃঙ্খলার অবনতি-জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন
রাজধানীসহ সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। যার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে শুক্রবার। ওই দিন রাত সাড়ে ৮টায় উত্তরার সোনারগাঁও জনপদ সড়ক এলাকায় দুর্ভাগ্যজনকভাবে ছিনতাইকারী সন্দেহে র্যাব-১-এর সাদা পোশাকে থাকা সদস্যদের গুলিতে পাঁচ যুবক নিহত হয়। তবে এ ঘটনায় র্যাবের কোনো সদস্য আহত হননি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, একটি নীল রঙের প্রাইভেট কারে থাকা ছিনতাইকারীদের সঙ্গে র্যাবের গুলিবিনিময় হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিহতদের মধ্যে যাদের পরিচয় পাওয়া গেছে, তাদের বাড়ি টঙ্গীর কোটবাড়ীতে। ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২৬ মার্চ র্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়। তখন থেকেই দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়ন ও জঙ্গি দমনে এই এলিট ফোর্স তৎপর রয়েছে।
দেশে চুরি, ছিনতাই, রাহাজানি মাত্রাতিরিক্ত হারে বেড়ে গেছে। ঈদ সামনে রেখে দেশে প্রতিবছরের মতো বৃদ্ধি পাওয়া এ অপরাধ নিয়ন্ত্রণের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে। সাদা পোশাকে নেমেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সদস্যরা। পরিস্থিতির উন্নয়ন আমরা তথা দেশের জনগণই চেয়েছে। জনগণ প্রয়োজনে কঠোরহস্তে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করাকে সমর্থনও করে। ছিনতাইকারী বা অপরাধীদের কঠোর শাস্তি কামনা করে। কিন্তু পরিস্থিতির এতটাই অবনতি ঘটেছে যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে গুলি চালাতে হচ্ছে, নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটছে, যা কাম্য নয়। র্যাবের কিছু কর্মকাণ্ড নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতি অনুযায়ী তাদের অন্য কোনো পথ খোলা আছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে না। নিউ ইয়র্ক-ভিত্তিক হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ইতিমধ্যে র্যাবের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেছে। আমরা এ কথা জানি যে দেশে তদন্ত, ফরেনসিক টেস্ট ও প্রসিকিউশনে অনেক দুর্বলতা আছে। এসব দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে না পারলে র্যাবের তথা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে কোনো বিকল্প উপায় থাকবে না। তাই এসব অনাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে হলে দুর্নীতি ও সার্বিক অবনতিশীল পরিস্থিতির দিকে নজর দিতে হবে। এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে দেশে র্যাব তৎপর না থাকলে অপরাধীদের দৌরাত্ম্য আরো বেড়ে যাবে। এলিট ফোর্স অপারেশন চালাতে গিয়ে কখনো কখনো ভুল করছে। সে ব্যাপারে আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে আরো সতর্ক হতে অনুরোধ জানাচ্ছি।
দেশে চুরি, ছিনতাই, রাহাজানি মাত্রাতিরিক্ত হারে বেড়ে গেছে। ঈদ সামনে রেখে দেশে প্রতিবছরের মতো বৃদ্ধি পাওয়া এ অপরাধ নিয়ন্ত্রণের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে। সাদা পোশাকে নেমেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সদস্যরা। পরিস্থিতির উন্নয়ন আমরা তথা দেশের জনগণই চেয়েছে। জনগণ প্রয়োজনে কঠোরহস্তে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করাকে সমর্থনও করে। ছিনতাইকারী বা অপরাধীদের কঠোর শাস্তি কামনা করে। কিন্তু পরিস্থিতির এতটাই অবনতি ঘটেছে যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে গুলি চালাতে হচ্ছে, নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটছে, যা কাম্য নয়। র্যাবের কিছু কর্মকাণ্ড নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতি অনুযায়ী তাদের অন্য কোনো পথ খোলা আছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে না। নিউ ইয়র্ক-ভিত্তিক হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ইতিমধ্যে র্যাবের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেছে। আমরা এ কথা জানি যে দেশে তদন্ত, ফরেনসিক টেস্ট ও প্রসিকিউশনে অনেক দুর্বলতা আছে। এসব দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে না পারলে র্যাবের তথা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে কোনো বিকল্প উপায় থাকবে না। তাই এসব অনাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে হলে দুর্নীতি ও সার্বিক অবনতিশীল পরিস্থিতির দিকে নজর দিতে হবে। এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে দেশে র্যাব তৎপর না থাকলে অপরাধীদের দৌরাত্ম্য আরো বেড়ে যাবে। এলিট ফোর্স অপারেশন চালাতে গিয়ে কখনো কখনো ভুল করছে। সে ব্যাপারে আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে আরো সতর্ক হতে অনুরোধ জানাচ্ছি।
No comments