বইমেলা-স্বপ্ন দেখতে ক্ষতি কী by মাহবুব আলম
প্রতিবছরের মতো এবারও একুশে বইমেলায় রাশি রাশি ভারা ভারা বই। নতুন ছাপা আর কাগজের গন্ধে চারদিক ম ম। পুষ্পিত এ গ্রন্থোদ্যানে বই থেকে বইয়ে ভেসে বেড়াতে বইপ্রেমীদের নেই ক্লান্তি। মনের সবকটি জানালা খুলে দেয় বইমেলা। সেই জানালা দিয়ে ভেসে আসা আলোর পরশ থেকে যায় সারা বছর।
মেলায় বই দেখতে দেখতে অনেকেরই হয়তো মনে পড়বে রবীন্দ্রনাথের ‘পয়লা নম্বর’ ছোটগল্পের নায়ক অদ্বৈতকে। তার বইতৃষ্ণা প্রবল, কিন্তু অল্প বয়সে আর্থিক অসদ্ভাবের দিনে সে তৃষ্ণা মেটেনি তার। ছেলেবেলায় অদ্বৈত এক আত্মীয়বাড়ির আলমারিতে তালাবদ্ধ সারি সারি বই দেখে সময় কাটাত। তার ধারণা, সেই বই কেউ কোনো দিন পড়ে দেখেনি। কারণ, এগুলোর একটিও কখনো খোয়া যায়নি। বইগুলোর দিকে তাকিয়ে তার ‘চক্ষুর জিভে জল আসত’। বইমেলার অনেক পাঠকের হয়তো অদ্বৈতের মতো অবস্থা।
বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয়েছে—এমন কথা শোনা যায়নি কখনো। তবে ঘি খেয়ে ঋণে নিঃস্ব হয়েছে—এমন দৃষ্টান্ত প্রচুর। বই যে শুধু মনের জানালা খুলে দেয় তা-ই নয়, আধুনিক জীবনযাত্রার নিঃসঙ্গতা, হতাশা ও নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে বইয়ের চেয়ে এমন বিশ্বস্ত বন্ধু আর কে আছে; বই বিনে যে বাঙালির গতি নেই। এই দুর্দিনেও বইয়ের দাম যখন প্রায় নাগালের বাইরে যেতে চলেছে, তখনো গ্রন্থানুরাগে যে ভাটা পড়েনি, এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ এই একুশে বইমেলার ক্রমবর্ধমান প্রসার। ১৯৭২ সালে মাত্র কয়েকটি বই নিয়ে যে মেলার যাত্রা শুরু, আজ তা ৪০ বছরের ব্যবধানে সর্বস্তরের মানুষের সমর্থন ও অনুরাগে পরিণত হয়েছে জাতীয় অহংকারে, জাতীয় উৎসবে। বইমেলায় পাঠক ঘুরে ঘুরে সংগ্রহ করে মনের আহার, মনের খোরাক। এ যে এক অপার আনন্দ আর সে আনন্দ অন্যের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে মানুষ বই কেনে, বই পড়ে।
রবীন্দ্রনাথ তাঁর গল্পের নায়ক অদ্বৈতর মুখ দিয়ে একটি মোক্ষম কথা বলিয়েছেন, ‘ধন বল, আয়ু বল, অন্যমনস্ক ব্যক্তির ছাতা বল, সংসারে যত কিছু সরণশীল পদার্থ আছে, বাংলা বই হচ্ছে সকলের সেরা।’ অদ্বৈতর সেই বইকেনা আত্মীয় তাই নিজের স্ত্রীকে পর্যন্ত বইয়ের আলমারির চাবি ছুঁতে দেন না। তবে বই কি শুধু নিজের পড়ার জন্যই? অন্যকে বই পড়িয়ে, সেই বইয়ের বিষয়বস্তু নিয়ে বুদ্ধিদীপ্ত আলোচনায় যে তৃপ্তি মেলে, তালাবদ্ধ বই পাহারা দেনেওয়ালা গ্রন্থপ্রভুরা তা কখনো ভাবতেই পারেন না।
বই পড়ার এমন আনন্দ উৎসবে যোগ দিতে প্রতিবছর সবাইকে ডাক দিয়ে যায় বইমেলা। এ আমন্ত্রণ গ্রহণ করা না-করা ব্যক্তির বিচারযোগ্য। বাংলাদেশে লেখক, কবি ও গবেষকরা লেখালেখির জগৎ নিয়ত সমৃদ্ধ করে তুলছেন। প্রতিষ্ঠিত ও অভিজ্ঞ প্রকাশকের কমতি নেই। বাংলা বইয়ের বাজারও নেহাত ছোট নয়। পাঠকের সংখ্যাও প্রতিবছর বেড়ে চলেছে, কিন্তু প্রকাশনা জগতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যে উপাদানের প্রচণ্ড অভাব প্রতিবছরই অনুভুত হয়, সেটি হলো বইয়ের সম্পাদনা ও সম্পাদকের অনুপস্থিতি।
দক্ষ সম্পাদকের হাতে পড়লে বই যে পাঠকের তৃপ্তি ও পড়ার আনন্দ কতখানি বাড়িয়ে তোলে—সে কথা বিস্তারিত বলার প্রয়োজন নেই। লেখকের নানা অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি, কালানৌচিত্য দোষ, তথ্যের অসংগতি, অতিকথন ইত্যাদি ত্রুটি ধুয়ে-মুছে একটি যথার্থ বই সম্পাদকই পারেন পাঠকের হাতে তুলে দিতে। লেখক, প্রকাশক ও সম্পাদক—এ তিনজন মিলে কাজটি হাতে নিলে ফল লাভের সম্ভাবনা দ্বিগুণ। সামান্য বাড়তি খরচের ভয় এড়িয়ে দু-একটি অতিরিক্ত পাতা যোগ করে একটি নির্ঘণ্ট বা সূত্রনির্দেশক অথবা দু-চারটি প্রয়োজনীয় টাকা জুড়ে দিলে যেকোনো প্রবন্ধ বা গবেষণামূলক বইয়ের মর্যাদা ও বক্তব্যের গ্রহণযোগ্যতা যে কতখানি বেড়ে যায়, তা-ও প্রকাশকদের অজানা নয়। সুখের বিষয়, এ ব্যাপারে কিছু কিছু প্রকাশক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছেন।
পুনর্মুদ্রণ আর সংস্করণ যে এক নয়, এ ব্যাপারে অনেক সময় একটা ঝাপসা ধারণায় পাঠক বিভ্রান্ত হয়। বইয়ের দ্বিতীয় সংস্করণ তখনই দাবি করা যায়, যখন লেখক তাঁর বই পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা পরিমার্জন করে বিদ্যমান টেক্সটকে সমৃদ্ধ করেন। গ্রহণ-বর্জন না করে সেই একই বই দ্বিতীয়বার ছাপালে তা হবে পুর্নমুদ্রণ বা দ্বিতীয় মুদ্রণ, দ্বিতীয় সংস্করণ নয়।
তথ্য ও বিশ্লেষণ ঘেঁটে আজকাল যে ধরনের গল্প-উপন্যাস লেখা হয়, তাতে ইতিহাসের মোটা মোটা নিরস বই না ঘেঁটে উপন্যাসেই অনেক তথ্য পাওয়া যায়। পাওয়া যায় নৃবিজ্ঞান, মহাকাশবিজ্ঞান, সমাজতত্ত্ব, চিত্রকলা, প্রত্নতত্ত্ব ও মনোবিজ্ঞানের নানা চিত্তাকর্ষক এবং জটিল তথ্য সহজ-সরল ও পাঠকবান্ধব ভাষায়। সুতরাং, কোনো বইকেই সম্পূর্ণ বৃথা বলে রায় দেওয়া যায় না।
আজকাল স্থানসমস্যা মেটানোর জন্য ই-বইয়ের গুণগান খুব জোরেশোরে বলা হচ্ছে। প্রযুক্তি দিয়ে কাগজের বইয়ের নব অবতার তৈরির প্রচেষ্টাও অনেক দূর এগিয়েছে। তবে এ পথে সমস্যা একটিই; বইয়ের অবয়ব আছে পাঠকের কাছে, সেই অবয়বে বিশাল আবেদনও আছে। বই হাতে নিয়ে এর পাতায় হাত বুলিয়ে পাঠকের মনে যে তৃপ্তির সৃষ্টি হয়, তা কী করে জোগাবে ই-বই। স্বীকার করি খুব দুষ্প্রাপ্য ও দুর্মূল্য বই ডাউনলোড করলে গবেষক ও ছাত্রদের কিছুটা সুবিধা হবেই, কিন্তু বইপ্রেমীদের কাছে কালো হরফে ছাপানো কাগজের বই-ই একমাত্র বই নামের দাবি রাখবে, বইয়ের বিকল্প বই ই-বই নয়।
বইমেলায় প্রতিবছর বইয়ের সংখ্যা বেড়ে চলেছে, বইয়ের বিষয় বস্তুতে দেখা দিয়েছে বৈচিত্র্য। শোনা যাচ্ছে, অন্য বছরের চেয়ে অনেক বেশি নতুন বই এবার মেলায় উঠবে—এসব আনন্দের সংবাদ। এ বছরের বইমেলায় প্রতিপাদ্য বিষয় মহান ভাষা আন্দোলনের ৬০ বছর। ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ অর্ঘ্য আর কী হতে পারে।
বইমেলা ৪০ বছরে পা রেখেছে। এ মেলা শতবর্ষ পেরিয়ে যাক—এই আমাদের কামনা। আমরা অনেকেই সেই প্রভাতে থাকব না। তবু এমন শুভদিনের প্রত্যাশা বুকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে ক্ষতি কী?
মাহবুব আলম: প্রাবন্ধিক, সাবেক রাষ্ট্রদূত।
mahboob1122@hotmail.com
বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয়েছে—এমন কথা শোনা যায়নি কখনো। তবে ঘি খেয়ে ঋণে নিঃস্ব হয়েছে—এমন দৃষ্টান্ত প্রচুর। বই যে শুধু মনের জানালা খুলে দেয় তা-ই নয়, আধুনিক জীবনযাত্রার নিঃসঙ্গতা, হতাশা ও নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে বইয়ের চেয়ে এমন বিশ্বস্ত বন্ধু আর কে আছে; বই বিনে যে বাঙালির গতি নেই। এই দুর্দিনেও বইয়ের দাম যখন প্রায় নাগালের বাইরে যেতে চলেছে, তখনো গ্রন্থানুরাগে যে ভাটা পড়েনি, এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ এই একুশে বইমেলার ক্রমবর্ধমান প্রসার। ১৯৭২ সালে মাত্র কয়েকটি বই নিয়ে যে মেলার যাত্রা শুরু, আজ তা ৪০ বছরের ব্যবধানে সর্বস্তরের মানুষের সমর্থন ও অনুরাগে পরিণত হয়েছে জাতীয় অহংকারে, জাতীয় উৎসবে। বইমেলায় পাঠক ঘুরে ঘুরে সংগ্রহ করে মনের আহার, মনের খোরাক। এ যে এক অপার আনন্দ আর সে আনন্দ অন্যের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে মানুষ বই কেনে, বই পড়ে।
রবীন্দ্রনাথ তাঁর গল্পের নায়ক অদ্বৈতর মুখ দিয়ে একটি মোক্ষম কথা বলিয়েছেন, ‘ধন বল, আয়ু বল, অন্যমনস্ক ব্যক্তির ছাতা বল, সংসারে যত কিছু সরণশীল পদার্থ আছে, বাংলা বই হচ্ছে সকলের সেরা।’ অদ্বৈতর সেই বইকেনা আত্মীয় তাই নিজের স্ত্রীকে পর্যন্ত বইয়ের আলমারির চাবি ছুঁতে দেন না। তবে বই কি শুধু নিজের পড়ার জন্যই? অন্যকে বই পড়িয়ে, সেই বইয়ের বিষয়বস্তু নিয়ে বুদ্ধিদীপ্ত আলোচনায় যে তৃপ্তি মেলে, তালাবদ্ধ বই পাহারা দেনেওয়ালা গ্রন্থপ্রভুরা তা কখনো ভাবতেই পারেন না।
বই পড়ার এমন আনন্দ উৎসবে যোগ দিতে প্রতিবছর সবাইকে ডাক দিয়ে যায় বইমেলা। এ আমন্ত্রণ গ্রহণ করা না-করা ব্যক্তির বিচারযোগ্য। বাংলাদেশে লেখক, কবি ও গবেষকরা লেখালেখির জগৎ নিয়ত সমৃদ্ধ করে তুলছেন। প্রতিষ্ঠিত ও অভিজ্ঞ প্রকাশকের কমতি নেই। বাংলা বইয়ের বাজারও নেহাত ছোট নয়। পাঠকের সংখ্যাও প্রতিবছর বেড়ে চলেছে, কিন্তু প্রকাশনা জগতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যে উপাদানের প্রচণ্ড অভাব প্রতিবছরই অনুভুত হয়, সেটি হলো বইয়ের সম্পাদনা ও সম্পাদকের অনুপস্থিতি।
দক্ষ সম্পাদকের হাতে পড়লে বই যে পাঠকের তৃপ্তি ও পড়ার আনন্দ কতখানি বাড়িয়ে তোলে—সে কথা বিস্তারিত বলার প্রয়োজন নেই। লেখকের নানা অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি, কালানৌচিত্য দোষ, তথ্যের অসংগতি, অতিকথন ইত্যাদি ত্রুটি ধুয়ে-মুছে একটি যথার্থ বই সম্পাদকই পারেন পাঠকের হাতে তুলে দিতে। লেখক, প্রকাশক ও সম্পাদক—এ তিনজন মিলে কাজটি হাতে নিলে ফল লাভের সম্ভাবনা দ্বিগুণ। সামান্য বাড়তি খরচের ভয় এড়িয়ে দু-একটি অতিরিক্ত পাতা যোগ করে একটি নির্ঘণ্ট বা সূত্রনির্দেশক অথবা দু-চারটি প্রয়োজনীয় টাকা জুড়ে দিলে যেকোনো প্রবন্ধ বা গবেষণামূলক বইয়ের মর্যাদা ও বক্তব্যের গ্রহণযোগ্যতা যে কতখানি বেড়ে যায়, তা-ও প্রকাশকদের অজানা নয়। সুখের বিষয়, এ ব্যাপারে কিছু কিছু প্রকাশক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছেন।
পুনর্মুদ্রণ আর সংস্করণ যে এক নয়, এ ব্যাপারে অনেক সময় একটা ঝাপসা ধারণায় পাঠক বিভ্রান্ত হয়। বইয়ের দ্বিতীয় সংস্করণ তখনই দাবি করা যায়, যখন লেখক তাঁর বই পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা পরিমার্জন করে বিদ্যমান টেক্সটকে সমৃদ্ধ করেন। গ্রহণ-বর্জন না করে সেই একই বই দ্বিতীয়বার ছাপালে তা হবে পুর্নমুদ্রণ বা দ্বিতীয় মুদ্রণ, দ্বিতীয় সংস্করণ নয়।
তথ্য ও বিশ্লেষণ ঘেঁটে আজকাল যে ধরনের গল্প-উপন্যাস লেখা হয়, তাতে ইতিহাসের মোটা মোটা নিরস বই না ঘেঁটে উপন্যাসেই অনেক তথ্য পাওয়া যায়। পাওয়া যায় নৃবিজ্ঞান, মহাকাশবিজ্ঞান, সমাজতত্ত্ব, চিত্রকলা, প্রত্নতত্ত্ব ও মনোবিজ্ঞানের নানা চিত্তাকর্ষক এবং জটিল তথ্য সহজ-সরল ও পাঠকবান্ধব ভাষায়। সুতরাং, কোনো বইকেই সম্পূর্ণ বৃথা বলে রায় দেওয়া যায় না।
আজকাল স্থানসমস্যা মেটানোর জন্য ই-বইয়ের গুণগান খুব জোরেশোরে বলা হচ্ছে। প্রযুক্তি দিয়ে কাগজের বইয়ের নব অবতার তৈরির প্রচেষ্টাও অনেক দূর এগিয়েছে। তবে এ পথে সমস্যা একটিই; বইয়ের অবয়ব আছে পাঠকের কাছে, সেই অবয়বে বিশাল আবেদনও আছে। বই হাতে নিয়ে এর পাতায় হাত বুলিয়ে পাঠকের মনে যে তৃপ্তির সৃষ্টি হয়, তা কী করে জোগাবে ই-বই। স্বীকার করি খুব দুষ্প্রাপ্য ও দুর্মূল্য বই ডাউনলোড করলে গবেষক ও ছাত্রদের কিছুটা সুবিধা হবেই, কিন্তু বইপ্রেমীদের কাছে কালো হরফে ছাপানো কাগজের বই-ই একমাত্র বই নামের দাবি রাখবে, বইয়ের বিকল্প বই ই-বই নয়।
বইমেলায় প্রতিবছর বইয়ের সংখ্যা বেড়ে চলেছে, বইয়ের বিষয় বস্তুতে দেখা দিয়েছে বৈচিত্র্য। শোনা যাচ্ছে, অন্য বছরের চেয়ে অনেক বেশি নতুন বই এবার মেলায় উঠবে—এসব আনন্দের সংবাদ। এ বছরের বইমেলায় প্রতিপাদ্য বিষয় মহান ভাষা আন্দোলনের ৬০ বছর। ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ অর্ঘ্য আর কী হতে পারে।
বইমেলা ৪০ বছরে পা রেখেছে। এ মেলা শতবর্ষ পেরিয়ে যাক—এই আমাদের কামনা। আমরা অনেকেই সেই প্রভাতে থাকব না। তবু এমন শুভদিনের প্রত্যাশা বুকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে ক্ষতি কী?
মাহবুব আলম: প্রাবন্ধিক, সাবেক রাষ্ট্রদূত।
mahboob1122@hotmail.com
No comments