গতকাল সমকাল-অযোধ্যার আট বিঘা জমি by ফারুক চৌধুরী

যে জমিটি নিয়ে ১৯৪৯ সাল থেকে অযোধ্যার রামজন্মভূমি আর বাবরি মসজিদের মামলার ঝামেলা চলছে, তার আয়তন ২ দশমিক ৭৭ একর, অর্থাৎ প্রায় আট বিঘা। কিন্তু আজ রবিঠাকুরের হূদয়ছোঁয়া কাল্পনিক ‘দুই বিঘা জমি’র চিরন্তন নিষ্ঠুরতার চেয়ে বেশি দৃষ্টি আকর্ষণ করছে অযোধ্যার সেই আট বিঘা জমির সাময়িক রূঢ় বাস্তবতা।


‘বাবু’র লোভের শিকার উপেন তার দুই বিঘা জমি হারিয়ে বেদনায় অশ্রুসজল হয়েছিলেন মাত্র, কিন্তু অযোধ্যার আট বিঘা জমির দাঙ্গায় প্রাণ দিয়েছে হাজার হাজার মানুষ, যাদের মধ্যে কেউ কেউ ধর্মান্ধ আর কেউ বা নিরীহ। উপেনের দুই বিঘা জমি আত্মসাৎ করে, তার ‘পরিবর্তে’ তাকে বিশ্বনিখিল লিখে দেওয়া হয়েছিল। আর অযোধ্যার ক্ষেত্রে নিখিলবিশ্ব অবাক বিস্ময়ে প্রত্যক্ষ করল ধর্মের নামে সহিংস সাম্প্রদায়িকতার নগ্নতম বহিঃপ্রকাশ। এই আট বিঘা জমির দাবিদারেরা বিনা যুদ্ধে ছাড়তে চাননি ‘সূচ্যগ্র মেদিনী’।
ব্রিটিশ আমল থেকেই জায়গাটি নিয়ে হিন্দু-মুসলমান বচসা তপ্ত হয়ে উঠেছিল। বেগতিক দেখে শাসক খ্রিষ্টান ইংরেজ বড় বড় তালা ঝুলিয়ে রুদ্ধ করে দিয়েছিল স্থাপনাটির দ্বার। সাম্প্রদায়িকতা পুড়িয়ে মারল হিন্দু-মুসলমানের মন, কিন্তু খ্রিষ্টান শাসকের ভয়ে তারা রইল চুপ। তবে রবিঠাকুরের ‘দুই বিঘা জমি’র মতোই দেখা গেল ‘জোর যার মুলুক তার’। ইংরেজ ভারত ছাড়ল ১৯৪৭-এ। তার দুই বছরের মধ্যেই তাদের লাগানো বড় বড় তালা ভেঙে ১৯৪৯ সালের ডিসেম্বরে রাতারাতি হয়ে গেল রামমূর্তির প্রতিষ্ঠা। মানুষের রক্ত ঝরল। মোকদ্দমা আদালতে উঠল।
১৯৮৯ সালে গায়ের জোরেই সেই স্থানটিতে মন্দিরের ‘শিলান্যাস’ অর্থাৎ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হলো। সেই সময়ে আমি দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার ছিলাম। তার কিছুদিন পর অন্য একটি বিষয় নিয়ে আলোচনায় ভারতের তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী, অগ্রজপ্রতিম নরসিমা রাও আমাকে একটি উপদেশ দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে জীবনসাগরে প্রতিটি প্রতিকূল ঢেউয়ের মোকাবিলা করা অপ্রয়োজনীয়। কখনো কখনো ডুব দিলে ঢেউ মাথার ওপর দিয়ে চলে যায়। মাঝেমধ্যে ভাবি, ১৯৮৯ সালে রামমন্দিরের শিলান্যাসের সময় তিনি কি তা-ই করেছিলেন? ১৯৯২ সালে শত শত ‘কর সেবক’ মসজিদ বলে পরিচিত মধ্যযুগীয় স্থাপনাটি ধূলিসাৎ করে দিল। অযোধ্যার পবিত্র ধূলিকণা পেল সহিংসতায় হত মানুষের রক্তের আস্বাদ। এই দুই ঘটনার সময়ে ভারতে কংগ্রেসই ছিল ক্ষমতায় সমাসীন। ক্ষমতাসীন দলের অসাম্প্রদায়িক নীতির তোয়াক্কা না করেই হিংসার যূপকাষ্ঠে হলো অসাম্প্রদায়িকতার বলিদান। আর প্রতিহিংসায় উন্মত্ত ধর্মান্ধরা এই উপমহাদেশের কত না মন্দিরে করল অগ্নিসংযোগ। সাম্প্রদায়িকতা চরমে উঠল।
বিষয়টি তখন আদালতে বিচারাধীন। এই মামলাটি মানব-ইতিহাসের নথিভুক্ত ঝগড়া-ফ্যাসাদের মধ্যে নিঃসন্দেহে অভিনব। মামলার সময়ের ব্যাপ্তিটি সাত হাজার বছরেরও বেশি, অবশ্য শ্রীরামের জন্মবছর যদি কথিত খ্রিষ্টপূর্ব ৫১১৪ সাল হয়ে থাকে। তারপর পৃথিবীর বয়স তো আর কম বাড়েনি—কত কালই না কেটে গেছে। পৃথিবীর আয়ুষ্কাল জানা নেই বলে হয়তো বা পৃথিবী হাজার হাজার বছর পরও এখনো শৈশবেই রয়েছে। কতগুলো ক্ষেত্রে মানুষের কর্ম আর চিন্তার অপরিপক্বতায় তা-ই মনে হয় বৈকি। তবু একবিংশ শতাব্দীর ভারত পৃথিবীর উন্নয়নগামী দেশগুলোর শীর্ষ ছুঁয়েছে। জ্ঞানে, বিজ্ঞানে, গুণে, গরিমায় সমৃদ্ধতর হয়েছে ভারত। এই অগ্রযাত্রায় রামমন্দির আর বাবরি মসজিদের বচসা বেদনাদায়ক ছন্দপতনই বটে। তবে আইনি প্রক্রিয়া এখনো শেষ হয়নি। সুপ্রিম কোর্ট রয়েছেন। তাঁদের বিচারই হবে অন্তিম বচন।
এলাহাবাদ আদালতের বিভক্ত রায়ে জমিটি ত্রিধাবিভক্ত হয়েছে। রামমূর্তির অনুগতরা পেয়েছে ‘গর্ভগৃহ’ বলে অংশটি। সেখানে রাম ভূমিষ্ঠ হয়েছিলেন বলে তাদের বিশ্বাস। ‘সীতার রসুই’ বলে পরিচিত স্থানটি দেওয়া হয়েছে নির্মোহি আখড়া নামক একটি কট্টরপন্থী বৈষ্ণব গোষ্ঠীকে আর বাদবাকি অংশ পেয়েছে সুন্নি ওয়াক্ফ বোর্ড। মামলাটিতে সংখ্যাগুরু সিদ্ধান্তে বিচারপতি সুধীর আগরওয়াল আর বিচারপতি এস ইউ খান বলেছেন যে তিনটি পক্ষেরই জমিটির ওপর যুগ্ম মালিকানা রয়েছে। কিন্তু বিচারপতি ধর্মবীর শর্মা বলেছেন, না, পুরো জমিটাই হিন্দুদের। এদিকে বিচারপতি আগরওয়াল আর শর্মা একমত যে মন্দির ধ্বংস করে মসজিদটি ষোড়শ শতাব্দীতে নির্মিত হয়েছিল। বিচারপতি খানের মত হলো, এ রকম কিছু যে হয়েছে, তার কোনো প্রমাণ নেই। জজদের সংখ্যাগরিষ্ঠ মত হচ্ছে যে বিবদমান স্থানটির ওপর নির্মিত ভবনটি একটি মসজিদ ছিল, কিন্তু সংখ্যালঘিষ্ঠ মতে, কাঠামোটি ইসলামের নীতির বিরুদ্ধে নির্মিত হয়েছিল বলে একে মসজিদ বলা যায় না। তিনজন জজই একমত যে, ১৯৪৯ সালে তালা ভেঙে স্থাপনাটিতে রামমূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল।
এটা স্পষ্ট যে মামলাধীন সময়সীমার বিশাল এই ব্যাপ্তিতে, পুরাকালে আর মধ্যযুগে আইন ছিল অনুপস্থিত এবং বর্ণিত ইতিহাসের সত্যতা সন্দেহাতীত নয়। অতএব, হাইকোর্টের রায়টি স্বভাবতই আইননির্ভর না হয়ে বিশ্বাসনির্ভর। ভারতের স্বনামধন্য ইতিহাসবিদ রোমিলা থাপারের কথায়, এই মামলায় আদালতের সংখ্যাগুরু সিদ্ধান্তটি ‘হিন্দুবিশ্বাস আর ধর্মের আবেদনে সাড়া দিয়ে নেওয়া হয়েছে।’ আসলে রায়টিতে আইনের চেয়ে বাস্তবতা আর উপস্থিত বুদ্ধির প্রভাবই অনিবার্যভাবে অধিকতর, ন্যায়নীতির চেয়ে গুরুত্ব বেশি রাজনীতির। তবে কথা হলো এই যে উচ্চতম আদালত, অর্থাৎ সুপ্রিম কোর্টের রায় সব পক্ষকেই মেনে নিতে হবে। সমাজে বিচার বিভাগকে মর্যাদাদান অপরিহার্য। সংবিধান বিশ্লেষণের দায়িত্ব সুপ্রিম কোর্টের। দেশে শান্তি এবং সংহতি নিশ্চিত করার জন্যই বিচার বিভাগের সৃষ্টি। বিচার বিভাগের মতামত গ্রহণ করা দেশের জন্য মঙ্গলকর এবং দশের জন্য বাধ্যতামূলক ও অপরিহার্য।
ভারতের রাজনীতিতে সহিংসতা নেই, তা বলা যাবে না। কাশ্মীর, গুজরাট, মুম্বাই, উত্তর-পূর্ব ভারত আর মাওবাদী-প্রভাবান্বিত বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বিভিন্ন কারণে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে রামজন্মভূমি নিয়ে এলাহাবাদ আদালতের রায়ের আনন্দবার্তাটি এই যে রায় সম্পর্কে নানা মুনির নানা মত সত্ত্বেও সহিংসতার মাধ্যমে তার বহিঃপ্রকাশ অন্তত এখনো ঘটেনি। ভারতীয় সাংবাদিক ও কলামিস্ট এম জে আকবর বলেছেন যে ভারতের একটি ‘অভূতপূর্ব পরিবর্তন ঘটেছে। ভারতের জনগণ হিন্দু ও মুসলমান ধর্মীয় সংঘাতের নেতিবাচক রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে গেছে। তারা উন্নয়নের ইতিবাচক বিবর্তনে আগ্রহী। বিশ্বাস এবং উপাসনা ভারতীয়দের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। দিল্লির বিশেষ একটি শ্রেণীর মুষ্টিমেয় মানুষের ধারণা যে, নতুন প্রজন্ম ধর্ম থেকে সরে গেছে, তা ঘটেনি। কিন্তু তারা তাদের দিগন্ত ছোঁয়াকে সহিংসতানির্ভর করতে চায় না।’ তারপর তিনি মোদ্দাকথাটি বললেন, যার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করার কোনো অবকাশ নেই। ‘হতদরিদ্ররা একটি সরল কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বাস্তবতা অনুধাবন করেছে, তা হলো দারিদ্র্য সাম্প্রদায়িক নয়। আমাদের দেশে উপাসনাস্থলের অভাব নেই। কিন্তু আত্মমর্যাদার অভাব রয়েছে। প্রতিটি ক্ষুধার্ত উদর ভারতকে শক্ত চপেটাঘাতই করে। ২০১০ সাল এখন ১৯৯২ (যে বছর অযোধ্যার মসজিদ ধ্বংস করা হয়েছিল) থেকে শতবর্ষ এগিয়ে।’
এই মামলাটির অন্য একটি অভিনবত্ব হলো এই যে, যে দুজন মানুষের নাম এই মামলাটিতে সম্পৃক্ত রয়েছে, তাঁদের ভিন্নতা বলার অপেক্ষা রাখে না। রামের জন্মের কথিত বছর হলো খ্রিষ্টপূর্ব ৫১১৪ সাল। এই সালটির বিবেচনায় বাস্তবতার চেয়ে বিশ্বাসই বড়। রামের জন্ম অযোধ্যায়। সন্তানকামনায় তাঁর পিতা মহারাজ দশরথ এক যজ্ঞ অনুষ্ঠিত করলেন। চৈত্র মাসে শুক্লপক্ষের নবম রাতে কর্কটলগ্নে পুনর্বসু তারকার আবির্ভাবে কৌশল্যার ঘরে শ্রীরাম ভূমিষ্ঠ হলেন। রামায়ণে তা বর্ণিত আছে, কিন্তু আমার জানামতে কৌশল্যার প্রাসাদের ঠিকানাটি তাতে উল্লেখ নেই। বাবরনামায় বাবর বলেছেন, ১৪৯৪ সালে বারো বছর বয়সে একটি দুর্ঘটনায় তাঁর পিতা ওমর শেখের মৃত্যুতে তিনি ফারগানা রাজ্যের নৃপতি হিসেবে অধিষ্ঠিত হন। সেই হিসাবে বাবরের জন্ম ১৪৮২ সালে, অর্থাৎ অযোধ্যায় রামের জন্মের ৬৫১৬ বছর পর। আগ্রহ-উদ্দীপক বিষয়টি এই যে বাবরের কাছে সিংহাসন এতই গুরুত্বপূর্ণ ছিল যে তিনি তাঁর আত্মজীবনীতে জন্মতারিখের কথা সরাসরি না বলে উল্লেখ করেছেন তাঁর ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার তারিখটি। আর শ্রীরামের কাছে সিংহাসনের মূল্য ছিল এতই সামান্য যে অযোধ্যাবাসীর শান্তি যাতে বিঘ্নিত না হয়, সে জন্য তিনি সুদীর্ঘ বনবাস বরণ করেছিলেন। শ্রীরাম এই কথাটি জানলে ব্যথিত হতেন নিশ্চয়ই যে জন্মের সাত হাজার বছর পর তাঁর জন্মস্থান নিয়ে বচসায় অযোধ্যার মাটিতেই মানুষের রক্ত ঝরেছে। মধ্যযুগের সম্রাট বাবরের সাম্রাজ্য বিস্তার ছিল ভারত আর এশিয়ার ভূখণ্ডে। পুরাকালের মহামানব রামের সাম্রাজ্যের বিস্তার ছিল মানুষের মনে।
রামায়ণ মহাকাব্যের মহানায়ক ছিলেন শ্রীরাম। প্রেম, ভক্তি, ভালোবাসা, অনুকম্পা, কর্তব্য, সাহস, বীরত্ব আর কষ্টসহিষ্ণুতা—সব গুণের চরম ও পরম ছিলেন শ্রীরাম। বাবর ছিলেন একজন নৃপতি ও যোদ্ধা। তাঁর দৃষ্টিতে ষোড়শ শতাব্দীতে ভারত ছিল পাঁচজন মুসলমান রাজা আর দুজন অমুসলমান রাজার দেশ। বাবরের ইচ্ছে ছিল এদের সবাইকে পরাভূত করে হিন্দুস্তানের একচ্ছত্র অধিপতি হওয়ার। ইসলামে তিনি ছিলেন বিশ্বাসী (যদিও মদ্যপান না করার ব্রত তিনি ভেঙেছিলেন), কিন্তু জাতিধর্মনির্বিশেষে মুসলমান ও অমুসলমান শত্রুদের বিরুদ্ধে তিনি অস্ত্র ধরতেন মধ্যযুগীয় নৃশংসতায়। তাঁর যুদ্ধে ছিল না কোনো সাম্প্রদায়িকতা। আমরা তাঁর নিজের লেখা বাবরনামা থেকেই জানি যে সুন্দর মন্দির অথবা পূজাঘরের তিনি প্রশংসা করেছেন। কিন্তু যখন তাঁর মধ্যযুগীয় মূল্যবোধে পাহাড়ের গায়ে উৎকীর্ণ মূর্তিগুলোকে নগ্ন মনে হয়েছে, তখন তিনি তার নগ্নতাই দেখেছেন, ভাস্কর্যের উৎকর্ষ অনুধাবন করেননি। তিনি সেগুলো ধ্বংসের আদেশ দিয়েছেন। ধর্মের নামে নয়, তাঁর মধ্যযুগীয় মূল্যবোধে শালীনতার নামে।
পুরাকালের শ্রীরাম অবশ্যই ষোড়শ শতাব্দীর ফারগানার জহিরউদ্দিন বাবরকে জানতেন না। আর বাবরনামায় রামনাম কোথাও লিখিত আছে বলে আমি দেখিনি। তবে এই দুই যুগের, এক অর্থে দুই জগতের দুজন মানুষ ব্যথিতই হতেন জেনে যে রামজন্মস্থান আর বাবরি মসজিদের নামে মানুষ প্রাণ দিয়েছে। কিন্তু তাঁরা নিঃসন্দেহে প্রীত হবেন জানলে যে ভারতবাসী এই মামলায় উচ্চ আদালতের রায় শান্তিপূর্ণভাবে গ্রহণ করেছে। তা এরও ইঙ্গিতবাহী হবে যে এই উপমহাদেশে, যেখানে ধর্ম, অর্থ অথবা ক্ষমতার লোভে খুনখারাবি নিত্যদিনের ঘটনা, সেখানে মানবসভ্যতা কিছুটা হলেও পরিপক্বতা লাভ করেছে। রবিঠাকুরের ‘দুই বিঘা জমি’ ভালোবাসার মর্মে পৌঁছায়। অযোধ্যার আট বিঘা ভূমিতে এখনো রয়েছে ধর্মান্ধতা, সংকীর্ণতা, ঘৃণা আর অবিশ্বাসের গন্ধ। তবে ভারতের সাংবিধানিক বিশ্লেষক প্রতাপ ভানু মেহতা যথার্থই বলেছেন যে এলাহাবাদ উচ্চ আদালত ‘ভারতের সমুচিত একটি রায় প্রদান করেছেন। তা হলো, সৃষ্টিকর্তার কথা আপসহীন, সম্পত্তির বিষয় সমঝোতাসাপেক্ষ কিন্তু ইতিহাস সম্মুখগামী।’
ফারুক চৌধুরী: সাবেক পররাষ্ট্রসচিব। কলাম লেখক।
zaaf@bdmail.net

No comments

Powered by Blogger.