আত্মোপলব্ধি জরুরি-সম্পদ ধ্বংসের সংস্কৃতি
মানুষের জীবনের দাম অর্থমূল্যে বিচার করার সুযোগ নেই। সিরাজগঞ্জে বিএনপির জনসভার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে যে কটি প্রাণ ঝরে গেছে, সে ক্ষতি কোনো দিনই পূরণ হওয়ার নয়। পরিবারগুলোকে সারা জীবন এই ক্ষত বয়ে বেড়াতে হবে।
কিন্তু এ ধরনের দুঃখজনক ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় যা ঘটল, সেটা কি সমর্থনযোগ্য? পুরো ট্রেনে আগুন ধরিয়ে যাঁরা ধ্বংসযজ্ঞে মেতে উঠেছেন, তাঁরা কি জানেন এতে রাষ্ট্রের কত সম্পদের ক্ষতি হয়েছে? সেদিন সেই ট্রেনে থাকা নির্দোষ যাত্রীরা কী ধরনের বিভীষিকার মুখোমুখি হয়েছিলেন? আত্মোপলব্ধির জন্য আমাদের এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজা জরুরি।
আমাদের দেশে নানা সময়ই লোকজন বিভিন্ন দুর্ঘটনার মুখোমুখি হয়। এসব দুর্ঘটনায় জীবনহানির মতো দুঃখজনক ঘটনাও ঘটে। কারও না কারও ভুল, গাফিলতি বা দায়িত্বহীনতার জন্যই এসব ঘটে থাকে। এসব ঘটনায় আমাদের মনে খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। কিন্তু প্রতিক্রিয়ার নামে অধিকাংশ ক্ষেত্রে যা ঘটে, তা নৈরাজ্য ছাড়া আর কিছু নয়। সড়ক দুর্ঘটনার পর নির্বিচারে গাড়ি ভাঙচুর ও সম্পদ ধ্বংসে মেতে ওঠার সংস্কৃতি আমাদের দেশে নতুন নয়। রাজনৈতিক নানা আন্দোলন, হরতাল-ধর্মঘটের নামেও চলে সম্পদহানির উৎসব।
সিরাজগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে ছয়জনের মৃত্যুর ঘটনার পর বিএনপির নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা ট্রেনটিতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ায় এর সবগুলো বগি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পুড়ে গেছে ট্রেনের বিদ্যুৎ সরবরাহের মূল বগি—পাওয়ার কার, ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ইঞ্জিনের। এই ইঞ্জিনটি কেনা হয়েছিল ২৫ কোটি টাকায়। ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ কত, তা জানা না গেলেও এ তথ্যটি থেকে আমরা কিছুটা অনুমান করতে পারছি। আর ইঞ্জিনসহ ট্রেনটি পুড়ে যাওয়ায় ঢাকা-দিনাজপুর রুটের এই ট্রেনটির চলাচলও বন্ধ থাকবে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য। সম্পদের ক্ষতির পাশাপাশি এই ঢাকা-দিনাজপুর রুটে চলাচল করে এমন যাত্রীদেরও দুর্ভোগ পোহাতে হবে।
সেদিন ট্রেনটিতে যখন হামলা চালানো হয়, যখন আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়, তখন ট্রেনটিতে যাত্রী ছিল। এই নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সময় যাত্রীদের সঙ্গে থাকা জিনিসপত্র লুটপাট হয়েছে। এ ধরনের অবস্থায় যাত্রীরা বিশেষ করে নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের কী অবস্থার মুখে পড়তে হয়েছিল, তা আমরা অনুমান করতে পারি। আমরা কোনো দুর্ঘটনার প্রতিক্রিয়া বা কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি বা আন্দোলনের নামে এ ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ দেখতে চাই না। এ ধরনের ঘটনায় যে সম্পদহানি ঘটে, তা জনগণেরই সম্পদ। আমরা আশা করব, দেশের রাজনৈতিক শক্তিসহ সব পক্ষ এ ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেবে।
আমাদের দেশে নানা সময়ই লোকজন বিভিন্ন দুর্ঘটনার মুখোমুখি হয়। এসব দুর্ঘটনায় জীবনহানির মতো দুঃখজনক ঘটনাও ঘটে। কারও না কারও ভুল, গাফিলতি বা দায়িত্বহীনতার জন্যই এসব ঘটে থাকে। এসব ঘটনায় আমাদের মনে খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। কিন্তু প্রতিক্রিয়ার নামে অধিকাংশ ক্ষেত্রে যা ঘটে, তা নৈরাজ্য ছাড়া আর কিছু নয়। সড়ক দুর্ঘটনার পর নির্বিচারে গাড়ি ভাঙচুর ও সম্পদ ধ্বংসে মেতে ওঠার সংস্কৃতি আমাদের দেশে নতুন নয়। রাজনৈতিক নানা আন্দোলন, হরতাল-ধর্মঘটের নামেও চলে সম্পদহানির উৎসব।
সিরাজগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে ছয়জনের মৃত্যুর ঘটনার পর বিএনপির নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা ট্রেনটিতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ায় এর সবগুলো বগি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পুড়ে গেছে ট্রেনের বিদ্যুৎ সরবরাহের মূল বগি—পাওয়ার কার, ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ইঞ্জিনের। এই ইঞ্জিনটি কেনা হয়েছিল ২৫ কোটি টাকায়। ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ কত, তা জানা না গেলেও এ তথ্যটি থেকে আমরা কিছুটা অনুমান করতে পারছি। আর ইঞ্জিনসহ ট্রেনটি পুড়ে যাওয়ায় ঢাকা-দিনাজপুর রুটের এই ট্রেনটির চলাচলও বন্ধ থাকবে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য। সম্পদের ক্ষতির পাশাপাশি এই ঢাকা-দিনাজপুর রুটে চলাচল করে এমন যাত্রীদেরও দুর্ভোগ পোহাতে হবে।
সেদিন ট্রেনটিতে যখন হামলা চালানো হয়, যখন আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়, তখন ট্রেনটিতে যাত্রী ছিল। এই নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সময় যাত্রীদের সঙ্গে থাকা জিনিসপত্র লুটপাট হয়েছে। এ ধরনের অবস্থায় যাত্রীরা বিশেষ করে নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের কী অবস্থার মুখে পড়তে হয়েছিল, তা আমরা অনুমান করতে পারি। আমরা কোনো দুর্ঘটনার প্রতিক্রিয়া বা কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি বা আন্দোলনের নামে এ ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ দেখতে চাই না। এ ধরনের ঘটনায় যে সম্পদহানি ঘটে, তা জনগণেরই সম্পদ। আমরা আশা করব, দেশের রাজনৈতিক শক্তিসহ সব পক্ষ এ ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেবে।
No comments