আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক-রোহিঙ্গা ইস্যুতে আরো সতর্ক থাকার পরামর্শ
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আরো সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। গতকাল রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠকে এ পরামর্শ দেওয়া হয়। পররাষ্ট্রসচিব মোহাম্মদ মিজারুল কায়েসের সভাপতিত্বে বৈঠকে স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র, খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, নৌপরিবহনসহ সংশ্লিষ্ট
মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের প্রতিনিধিরা ছাড়াও সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, গতকালের বৈঠকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সাম্প্রতিক দাঙ্গা-পরবর্তী পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের নেওয়া উদ্যোগগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কূটনীতিক কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের ওই রাজ্যটিতে জরুরি অবস্থা চলছে। সেখানে পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়ার পর সীমান্তে আবার যাতে নতুন করে সমস্যা সৃষ্টি না হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আরো সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
ওই কূটনীতিক আরো বলেন, 'রোহিঙ্গা সংকট হয়তো রাতারাতি সমাধান হবে না। তাই ওই সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগুলো নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।' তিনি বলেন, জাতীয় স্বার্থে গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়েও ওই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যমে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করা হয়েছে। অথচ বাংলাদেশের অবস্থান ছিল যেমন বাস্তবসম্মত, ঠিক তেমনি মানবিক। বিশেষ করে সীমান্তে আসার পর আহত রোহিঙ্গাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে, তাদের খাবার ও জ্বালানি দেওয়া হয়েছে।
জ্যেষ্ঠ এক কূটনীতিক বলেন, 'যতটুকু মানবিক উদ্যোগ দেখানো দরকার বাংলাদেশ তার চেয়েও বেশি করেছে। স্বাভাবিকভাবে আমাদের কেউ যখন সীমান্ত পাড়ি দেয়, তখন তাদের লক্ষ্য করে ওপার থেকে গুলি পর্যন্ত ছোড়া হয়। মিয়ানমার থেকে আগতদের ঠেকাতে বাংলাদেশ সীমান্তে গুলি চালায়নি। এমনকি যারা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে, তাদের বিরুদ্ধেও বাংলাদেশ নিপীড়ন চালায়নি।'
কূটনীতিক আরো বলেন, 'এ পর্যন্ত বাংলাদেশ যে আচরণ রোহিঙ্গাদের ক্ষেত্রে দেখিয়েছে তা অত্যন্ত মানবিক।'
আলোচনায় দুই রোহিঙ্গা সশস্ত্র সংগঠন : মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে গত ৯ জুন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে পাঠিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান অস্থিরতার সঙ্গে বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা ন্যাশনাল অরগানাইজেশন (এআরএনও) ও রাখাইন সোলজার আইভি অরগানাইজেশনের (আরএসও) যোগসাজশ রয়েছে। ইয়াঙ্গুনের অভিযোগ, রোহিঙ্গাদের ওই দুটি সংগঠনের বেশ কয়েকজন সশস্ত্র সদস্য সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে ঢুকে সংঘাতে ইন্ধন জোগায়। এর পেছনে বাংলাদেশের কোনো কোনো রাজনৈতিক মহল থেকে পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া হয়েছে বলেও দেশটি অভিযোগ করেছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি গত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ৩০০ বিধিতে বিবৃতি দেওয়ার সময় সুস্পষ্টভাবেই জামায়াতের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ আনেন।
সরকারি সূত্রগুলো জানিয়েছে, পররাষ্ট্রসচিব মোহাম্মদ মিজারুল কায়েস মিয়ানমারের অভিযোগগুলো তুলে ধরে সত্যতা যাচাই করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, গতকাল অনুষ্ঠিত আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠকেও রোহিঙ্গা সংগঠন দুটির ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। সংগঠনগুলো সক্রিয় নয় বলে সাধারণ ধারণা থাকলেও মিয়ানমারের অভিযোগ বাংলাদেশ অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। কারণ পররাষ্ট্রনীতি অনুযায়ী বাংলাদেশ তার ভূখণ্ড অন্য কোনো রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ব্যবহার হতে দিতে পারে না।
পাঁচ পদক্ষেপের পক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় : সরকারি সূত্রগুলো জানিয়েছে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সাম্প্রতিক ঘটনাবলির পরিপ্রেক্ষিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সরকারের কাছে পাঁচ ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার সুপারিশ করেছে। এগুলো হলো- মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত পুরোপুরি নিশ্ছিদ্রভাবে বন্ধ করে দেওয়া, উভয় দেশের সীমান্তের স্থলভাগে অবকাঠামো নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া, নাফ নদী ও সমুদ্র এলাকায় টহল সর্বোচ্চ মাত্রায় জোরদার করা, অনুপ্রবেশ প্রচেষ্টা বিজিবির মাধ্যমে কঠোরভাবে প্রতিরোধ করা এবং অনুপ্রবেশকারীদের তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া।
সীমান্ত খুলে দেওয়া হবে না : কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায়, বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ২৯ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে। এর বাইরে আরো প্রায় সাড়ে চার লাখ রোহিঙ্গা অবৈধভাবে এ দেশে অবস্থান করছে। তাদের চাপ সামলাতেই বাংলাদেশকে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে। এর ওপর বর্তমান পরিস্থিতিতে নতুন করে শরণার্থী নেওয়া বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব নয়।
সীমান্ত খুলে দিয়ে রোহিঙ্গাদের আসার সুযোগ করে দিতে আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বিভিন্ন দাতা দেশের আহ্বান প্রসঙ্গে কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলেছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইতিমধ্যে বলেছেন, তারা যে সাহায্য রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আসার পর দিতে চাইছে, তা যেন মিয়ানমারের ভেতরে গিয়েই দেয়।
সূত্রগুলো আরো জানায়, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার খবর আসছে। মিয়ানমারের সঙ্গেও বাংলাদেশের নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে। রোহিঙ্গা সমস্যা মিয়ানমারের। ওই সমস্যা বাংলাদেশের কাঁধে তুলে নেওয়ার প্রশ্নই আসে না। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে সীমান্ত খুলে দেওয়ার আহ্বানে সাড়া দেওয়া বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব নয়।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, গতকালের বৈঠকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সাম্প্রতিক দাঙ্গা-পরবর্তী পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের নেওয়া উদ্যোগগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কূটনীতিক কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের ওই রাজ্যটিতে জরুরি অবস্থা চলছে। সেখানে পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়ার পর সীমান্তে আবার যাতে নতুন করে সমস্যা সৃষ্টি না হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আরো সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
ওই কূটনীতিক আরো বলেন, 'রোহিঙ্গা সংকট হয়তো রাতারাতি সমাধান হবে না। তাই ওই সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগুলো নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।' তিনি বলেন, জাতীয় স্বার্থে গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়েও ওই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যমে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করা হয়েছে। অথচ বাংলাদেশের অবস্থান ছিল যেমন বাস্তবসম্মত, ঠিক তেমনি মানবিক। বিশেষ করে সীমান্তে আসার পর আহত রোহিঙ্গাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে, তাদের খাবার ও জ্বালানি দেওয়া হয়েছে।
জ্যেষ্ঠ এক কূটনীতিক বলেন, 'যতটুকু মানবিক উদ্যোগ দেখানো দরকার বাংলাদেশ তার চেয়েও বেশি করেছে। স্বাভাবিকভাবে আমাদের কেউ যখন সীমান্ত পাড়ি দেয়, তখন তাদের লক্ষ্য করে ওপার থেকে গুলি পর্যন্ত ছোড়া হয়। মিয়ানমার থেকে আগতদের ঠেকাতে বাংলাদেশ সীমান্তে গুলি চালায়নি। এমনকি যারা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে, তাদের বিরুদ্ধেও বাংলাদেশ নিপীড়ন চালায়নি।'
কূটনীতিক আরো বলেন, 'এ পর্যন্ত বাংলাদেশ যে আচরণ রোহিঙ্গাদের ক্ষেত্রে দেখিয়েছে তা অত্যন্ত মানবিক।'
আলোচনায় দুই রোহিঙ্গা সশস্ত্র সংগঠন : মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে গত ৯ জুন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে পাঠিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান অস্থিরতার সঙ্গে বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা ন্যাশনাল অরগানাইজেশন (এআরএনও) ও রাখাইন সোলজার আইভি অরগানাইজেশনের (আরএসও) যোগসাজশ রয়েছে। ইয়াঙ্গুনের অভিযোগ, রোহিঙ্গাদের ওই দুটি সংগঠনের বেশ কয়েকজন সশস্ত্র সদস্য সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে ঢুকে সংঘাতে ইন্ধন জোগায়। এর পেছনে বাংলাদেশের কোনো কোনো রাজনৈতিক মহল থেকে পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া হয়েছে বলেও দেশটি অভিযোগ করেছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি গত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ৩০০ বিধিতে বিবৃতি দেওয়ার সময় সুস্পষ্টভাবেই জামায়াতের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ আনেন।
সরকারি সূত্রগুলো জানিয়েছে, পররাষ্ট্রসচিব মোহাম্মদ মিজারুল কায়েস মিয়ানমারের অভিযোগগুলো তুলে ধরে সত্যতা যাচাই করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, গতকাল অনুষ্ঠিত আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠকেও রোহিঙ্গা সংগঠন দুটির ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। সংগঠনগুলো সক্রিয় নয় বলে সাধারণ ধারণা থাকলেও মিয়ানমারের অভিযোগ বাংলাদেশ অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। কারণ পররাষ্ট্রনীতি অনুযায়ী বাংলাদেশ তার ভূখণ্ড অন্য কোনো রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ব্যবহার হতে দিতে পারে না।
পাঁচ পদক্ষেপের পক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় : সরকারি সূত্রগুলো জানিয়েছে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সাম্প্রতিক ঘটনাবলির পরিপ্রেক্ষিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সরকারের কাছে পাঁচ ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার সুপারিশ করেছে। এগুলো হলো- মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত পুরোপুরি নিশ্ছিদ্রভাবে বন্ধ করে দেওয়া, উভয় দেশের সীমান্তের স্থলভাগে অবকাঠামো নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া, নাফ নদী ও সমুদ্র এলাকায় টহল সর্বোচ্চ মাত্রায় জোরদার করা, অনুপ্রবেশ প্রচেষ্টা বিজিবির মাধ্যমে কঠোরভাবে প্রতিরোধ করা এবং অনুপ্রবেশকারীদের তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া।
সীমান্ত খুলে দেওয়া হবে না : কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায়, বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ২৯ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে। এর বাইরে আরো প্রায় সাড়ে চার লাখ রোহিঙ্গা অবৈধভাবে এ দেশে অবস্থান করছে। তাদের চাপ সামলাতেই বাংলাদেশকে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে। এর ওপর বর্তমান পরিস্থিতিতে নতুন করে শরণার্থী নেওয়া বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব নয়।
সীমান্ত খুলে দিয়ে রোহিঙ্গাদের আসার সুযোগ করে দিতে আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বিভিন্ন দাতা দেশের আহ্বান প্রসঙ্গে কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলেছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইতিমধ্যে বলেছেন, তারা যে সাহায্য রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আসার পর দিতে চাইছে, তা যেন মিয়ানমারের ভেতরে গিয়েই দেয়।
সূত্রগুলো আরো জানায়, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার খবর আসছে। মিয়ানমারের সঙ্গেও বাংলাদেশের নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে। রোহিঙ্গা সমস্যা মিয়ানমারের। ওই সমস্যা বাংলাদেশের কাঁধে তুলে নেওয়ার প্রশ্নই আসে না। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে সীমান্ত খুলে দেওয়ার আহ্বানে সাড়া দেওয়া বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব নয়।
No comments