নিরাপদ জন্মের নিশ্চয়তা by সুব্রত ঘোষ
৫ মে বিশ্ব ধাত্রী দিবস। এ বছরের প্রতিপদ্য 'ঞযব ডড়ৎষফ ঘববফং গরফরিাবং ঘড় িগড়ৎব ঞযধহ ঊাবৎ' অর্থাৎ 'বিশ্বে বর্তমানে অন্য সময়ের চেয়ে বেশি ধাত্রী প্রয়োজন।' বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে এ দিবসটি পালিত হলেও এখনও নিশ্চিত হয়নি পর্যাপ্ত ধাত্রী এবং নিরাপদ মাতৃত্ব।
মা হতে গিয়েই এখনও প্রতি ২০ মিনিটে মারা যাচ্ছেন একজন মা। মাতৃমৃত্যু হার হ্রাসের ক্ষেত্রে এখনও পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশে প্রতি বছর ১২ থেকে ১৫ হাজার প্রসূতির মৃত্যু হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, নিরাপদ মাতৃত্ব ব্যবস্থার অভাবে বাংলাদেশে প্রতি ঘণ্টায় প্রসবকালীন অবস্থায় মারা যান তিনজন মা। প্রধানত সচেতনতা ও পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রশিক্ষিত ধাত্রীর অভাবেই বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রার এই যুগেও মাতৃমৃত্যুর এই সংখ্যা আজও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যু হার খুবই হতাশাব্যঞ্জক।
গত বছর আন্তর্জাতিক ধাত্রী দিবস উপলক্ষে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফ প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা যায়, ৮৭ শতাংশ মা স্বাস্থ্যকর্মী বা দক্ষ ধাত্রী ছাড়া ও ৯২ শতাংশ মা বাড়িতে প্রসব করান। এভাবে সচেতনতার অভাবে প্রতিনিয়ত ঘটছে মাতৃমৃত্যু। এর মধ্যে মাতৃমৃত্যুর ২৫ ভাগই ঘটে জন্মের সময় রক্তক্ষরণ, প্রসব-পরবর্তী জটিলতা এবং সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবের জন্য। জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) এক হিসাব অনুযায়ী বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন সত্ত্বেও বাংলাদেশের ৭৫ শতাংশ মেয়ের কৈশোরে বিয়ে হয়ে যায়। তাদের মধ্যে ২৬ ভাগ নারী প্রসবজনিত জটিলতায় মারা যাচ্ছেন এবং এর জন্য অনেকাংশে দায়ী প্রসবের সময় ও প্রসব-পরবর্তী জটিলতা যা কি-না প্রসবের সময় সুপ্রশিক্ষিত ধাত্রী বা দাইয়ের উপস্থিতির মাধ্যমে বহুলাংশেই কমিয়ে আনা সম্ভব।
মাতৃমৃত্যুর হার ২০১৫ সালের মধ্যে অর্ধেকে নামিয়ে আনতে হবে। কিন্তু সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের সময়সীমা ২০১৫ সালে শেষ হতে বাকি মাত্র সাড়ে ৪ বছর। এই অল্প সময়ে সেই লক্ষ্য অর্জনে আমরা কি সফলকাম হতে পারব? সরকারের গৃহীত সব কর্মসূচি বাস্তবায়নে আরও বেশি জোর দিতে হবে। প্রসূতি মায়ের প্রসবকালীন সেবা নিশ্চিত করতে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ধাত্রী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। একেবারে তৃণমূল পর্যায়ে প্রতিটি গ্রামে আনুপাতিক হারে উপযুক্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রসবকালীন ধাত্রীদের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে। মায়েদের প্রসবকালীন ও প্রসব-পরবর্তী স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার নিমিত্তে ধাত্রী প্রশিক্ষণের জন্য প্রয়োজনে স্বাস্থ্য খাতে আলাদা বাজেট দিতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষিত ধাত্রীদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করতে হবে, যাতে করে ধাত্রীরাই নিজ দায়িত্বে তার দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকায় প্রতিটি শিশু জন্মের সময় উপস্থিত থেকে নিরাপদ প্রসব নিশ্চিত করেন। এছাড়া তৃণমূল পর্যায়ে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে শিশু জন্মের সময় প্রশিক্ষিত ধাত্রীর উপস্থিতির সুবিধাবলি সবাইকে জানানোর জন্য ব্যাপক গণসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। এজন্য সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকেও এগিয়ে আসতে হবে। তবে সর্বাগ্রে প্রয়োজন সুপ্রশিক্ষিত ধাত্রীর অপ্রতুলতা দূর করা। এ ক্ষেত্রেও সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এগিয়ে আসা উচিত। ব্যক্তিগত পর্যায়ে স্ত্রী ও প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞরা নিজেদের ব্যক্তিগত উদ্যোগেও ধাত্রী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সমাজসেবায় অংশগ্রহণ করতে পারেন। প্রতিটি শিশুর জন্ম হোক নিরাপদ, আর একটি মা-ও যেন প্রসবকালীন জটিলতায় মারা না যায় বিশ্ব ধাত্রী দিবসে এটাই প্রত্যাশা।
গত বছর আন্তর্জাতিক ধাত্রী দিবস উপলক্ষে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফ প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা যায়, ৮৭ শতাংশ মা স্বাস্থ্যকর্মী বা দক্ষ ধাত্রী ছাড়া ও ৯২ শতাংশ মা বাড়িতে প্রসব করান। এভাবে সচেতনতার অভাবে প্রতিনিয়ত ঘটছে মাতৃমৃত্যু। এর মধ্যে মাতৃমৃত্যুর ২৫ ভাগই ঘটে জন্মের সময় রক্তক্ষরণ, প্রসব-পরবর্তী জটিলতা এবং সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবের জন্য। জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) এক হিসাব অনুযায়ী বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন সত্ত্বেও বাংলাদেশের ৭৫ শতাংশ মেয়ের কৈশোরে বিয়ে হয়ে যায়। তাদের মধ্যে ২৬ ভাগ নারী প্রসবজনিত জটিলতায় মারা যাচ্ছেন এবং এর জন্য অনেকাংশে দায়ী প্রসবের সময় ও প্রসব-পরবর্তী জটিলতা যা কি-না প্রসবের সময় সুপ্রশিক্ষিত ধাত্রী বা দাইয়ের উপস্থিতির মাধ্যমে বহুলাংশেই কমিয়ে আনা সম্ভব।
মাতৃমৃত্যুর হার ২০১৫ সালের মধ্যে অর্ধেকে নামিয়ে আনতে হবে। কিন্তু সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের সময়সীমা ২০১৫ সালে শেষ হতে বাকি মাত্র সাড়ে ৪ বছর। এই অল্প সময়ে সেই লক্ষ্য অর্জনে আমরা কি সফলকাম হতে পারব? সরকারের গৃহীত সব কর্মসূচি বাস্তবায়নে আরও বেশি জোর দিতে হবে। প্রসূতি মায়ের প্রসবকালীন সেবা নিশ্চিত করতে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ধাত্রী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। একেবারে তৃণমূল পর্যায়ে প্রতিটি গ্রামে আনুপাতিক হারে উপযুক্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রসবকালীন ধাত্রীদের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে। মায়েদের প্রসবকালীন ও প্রসব-পরবর্তী স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার নিমিত্তে ধাত্রী প্রশিক্ষণের জন্য প্রয়োজনে স্বাস্থ্য খাতে আলাদা বাজেট দিতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষিত ধাত্রীদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করতে হবে, যাতে করে ধাত্রীরাই নিজ দায়িত্বে তার দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকায় প্রতিটি শিশু জন্মের সময় উপস্থিত থেকে নিরাপদ প্রসব নিশ্চিত করেন। এছাড়া তৃণমূল পর্যায়ে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে শিশু জন্মের সময় প্রশিক্ষিত ধাত্রীর উপস্থিতির সুবিধাবলি সবাইকে জানানোর জন্য ব্যাপক গণসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। এজন্য সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকেও এগিয়ে আসতে হবে। তবে সর্বাগ্রে প্রয়োজন সুপ্রশিক্ষিত ধাত্রীর অপ্রতুলতা দূর করা। এ ক্ষেত্রেও সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এগিয়ে আসা উচিত। ব্যক্তিগত পর্যায়ে স্ত্রী ও প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞরা নিজেদের ব্যক্তিগত উদ্যোগেও ধাত্রী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সমাজসেবায় অংশগ্রহণ করতে পারেন। প্রতিটি শিশুর জন্ম হোক নিরাপদ, আর একটি মা-ও যেন প্রসবকালীন জটিলতায় মারা না যায় বিশ্ব ধাত্রী দিবসে এটাই প্রত্যাশা।
No comments