টেলিযোগাযোগের অপটিক্যাল ফাইবার লাইন স্থাপন প্রকল্প-১০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ চেষ্টা by কাজী হাফিজ
দেশে দেড় হাজার কিলোমিটার অপটিক্যাল ফাইবার স্থাপনের প্রকল্পটি ঝুলে আছে এ নিয়ে আদালতে মামলা-পাল্টামামলায়। এরই মধ্যে জানা গেছে, এ প্রকল্পে একটি অসাধু চক্র ফাইবার স্থাপনের মিটারপ্রতি খরচ দ্বিগুণেরও বেশি দেখিয়ে ১০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার পরিকল্পনা করেছে বলে একটি গোয়েন্দা সংস্থাও কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে।
গত ১ মে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ও বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে প্রতিবেদন পাঠিয়ে এই অতি মূল্যায়িত প্রাক্কলন তৈরির চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে গোয়েন্দা সংস্থাটি। তবে বিটিসিএল কর্তৃপক্ষের দাবি, গোয়েন্দা সংস্থার অভিযোগ সঠিক নয়। তারা নিজেদের যুক্তি তুলে ধরে গোয়েন্দা সংস্থাটির কাছে পাল্টা প্রতিবেদন পাঠিয়েছে।
গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রকল্পের পরিচালক অশোক কুমার মণ্ডল, বিটিসিএলের কিছু পরিচালক, প্রধান কর্মাধ্যক্ষ, সহকারী পরিচালক (ক্রয়), তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ড. আবু সাইদ খান), জাপানি পরামর্শক কাওয়াবাতাসহ বেশ কয়েকজন ওই অপতৎপরতার সঙ্গে জড়িত। গোয়েন্দা সংস্থাটির প্রতিবেদন সম্পর্কে জানতে চাইলে বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আজিজুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বিষয়টি তদন্তের জন্য মন্ত্রণালয় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বলে জানি।
তবে আমরা গোয়েন্দা সংস্থার ওই অভিযোগ সঠিক বিবেচনা করছি না। উত্থাপিত অভিযোগের বিরুদ্ধে বিটিসিএলের পক্ষ থেকে বিস্তারিত জবাব দেওয়া হয়েছে।'
টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কের উন্নয়নের লক্ষ্যে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রকল্পটিতে ব্যাপক অনিয়ম হচ্ছে- এমন অভিযোগ তুলে আদালতে মামলা-পাল্টামামলা হয়েছে। আইনি এ লড়াইয়ে বিটিসিএলের বিরুদ্ধে আদালতের কাছে তথ্য গোপনের অভিযোগ ওঠে এবং মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উচ্চ আদালত প্রকল্পের কাজে স্থিতাবস্থার আদেশ দিয়েছেন। এ অবস্থায় দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এ কাজটি মুখ থুবড়ে পড়ার জন্য দায়ী কে, সে প্রশ্নের জবাব খুঁজছেন অনেকেই।
গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন : গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একনেক কর্তৃক অনুমোদিত এ প্রকল্পের প্রাক্কলিত মূল্য ছিল ১৩ দশমিক ৬ মিলিয়ন আমেরিকান ডলার। কিন্তু বিটিসিএলের কিছু শীর্ষ ব্যক্তি, ওই প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত কয়েকজন কর্মকর্তা এবং জাপানি পরামর্শক কাওয়াবাতা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে ২৪ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলারের অতি মূল্যায়িত প্রাক্কলন তৈরি করেন। অপটিক্যাল ফাইবার স্থাপনের কাজে এর আগে মিটারপ্রতি গড় মূল্য ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা নির্ধারিত থাকলেও অতি মূল্যায়িত ওই প্রাক্কলনে তা মিটারপ্রতি এক হাজার টাকার ওপরে নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে প্রকল্পে ১০০ কোটি টাকা অনিয়ম হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে অনিয়মের টাকার ভাগবাটোয়ারা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিধিবহির্ভূতভাবে দরপত্রে অংশগ্রহণকারী পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে তিনটিকে অযোগ্য ঘোষণা করে শুধু দুটি প্রতিষ্ঠানকে রাখা হয়েছে। সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট বা সিপিটিইউর রিভিউ প্যানেল এ কাজকে 'অসংগত কার্য' উল্লেখ করে বাদ দেওয়া কম্পানিকে (তুরস্কের নেতাস) ওই প্রকল্পের কাজে যোগ্য ঘোষণা করে রায় দেয় এবং সে রায় বাস্তবায়ন করার নির্দেশ দেয়। কিন্তু ওই রায় বাস্তবায়ন না করার জন্য নানামুখী ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে বলে জানা যায়। বিধিবহির্ভূত এসব কার্যক্রম বন্ধ করে বিপুল অঙ্কের সরকারি টাকা সাশ্রয় করাসহ এ বিষয়ে দায়ী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা অতীব জরুরি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অসাধু চক্রটি বিটিসিএলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, মন্ত্রণালয় এবং প্ল্যানিং কমিশনকে অবহিত না করেই ২৪ দশমিক ৭ মার্কিন ডলারের একটি অতি মূল্যায়িত প্রাক্কলন তৈরি করে। এই অতি মূল্যায়িত প্রাক্কলন অনুমোদনের জন্য প্রধান কর্মাধ্যক্ষ নাদির শাহ কোরেশীর কাছে পাঠানো হয়। নাদির শাহ কোরেশী এটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে না পাঠিয়ে যাচাই-বাছাইয়ের উদ্যোগ নিলে তাঁকে বদলি করে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা হয় মো. আমিনুল হাসানকে। এরপর আবার ওই প্রাক্কলন অনুমোদনের উদ্যোগ নেওয়া হলে পরিচালক (পরিকল্পনা) মো. আজমত আলী তা যাচাইয়ের পক্ষেই মত দেন। বিটিসিএলের তৎকালীন সদস্য (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) আজিজুল ইসলামও অতি মূল্যায়িত প্রাক্কলন অনুমোদন না করার জন্য নথি পেশ করেন। কিন্তু এসব আপত্তি সত্ত্বেও অশোক কুমার মণ্ডলের সঙ্গে আলোচনা করে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক এটি অনুমোদন করেন। প্রতিবেদনে রিভিউ কমিটির রায় না মানার ষড়যন্ত্র সম্পর্কে বলা হয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় গত ১৮ মার্চ বিটিসিএলকে রিভিউ কমিটির রায় মেনে নেওয়ার নির্দেশ দেয়। এ ছাড়া বোর্ড অব ডিরেক্টরস গত ২১ মার্চ তাদের সভায় বিটিসিএলকে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ প্রতিপালন এবং কেন প্রাক্কলন অতি মূল্যায়ন করা হলো সে বিষয়ে অনুসন্ধান করে বোর্ডকে জানানোর নির্দেশ দেয়। কিন্তু এ নির্দেশ তামিল করা হয়নি। এ বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কথোপকথন যাচাই করে অসাধু চক্রের পছন্দের কম্পানি কেটি করপোরেশন অথবা এনইসি করপোরেশনকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার বিষয়ে বিটিসিএলের পরিচালক (প্রকিউরমেন্ট) শাহাবুদ্দিন, প্রকল্প পরিচালক অশোক কুমার মণ্ডল, মশিউর রহমান (জাইকা প্রজেক্টের একজন পরিচালক), জাপানি পরামর্শক কাওয়াবাতা এবং অন্যদের যোগসাজশ ও অর্থপ্রাপ্তির সুবিধাদি পাওয়ার তথ্য জানতে পেরেছে।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনের শেষ অধ্যায়ে সুপারিশ করা হয়, অসাধু চক্রটি যাতে নিয়মবহির্ভূতভাবে তাদের পছন্দের কোনো কম্পানিকে ওই প্রকল্পের কাজ পাইয়ে দিতে না পারে সে লক্ষ্যে পুুরো প্রক্রিয়াটি পুনর্বিবেচনা করে স্বচ্ছ টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যোগ্য প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা যেতে পারে। এ ছাড়া প্রকল্পের কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে অবৈধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন কর্মকর্তাদের অন্যত্র বদলি করে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রকল্পের পরিচালক অশোক কুমার মণ্ডল, বিটিসিএলের কিছু পরিচালক, প্রধান কর্মাধ্যক্ষ, সহকারী পরিচালক (ক্রয়), তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ড. আবু সাইদ খান), জাপানি পরামর্শক কাওয়াবাতাসহ বেশ কয়েকজন ওই অপতৎপরতার সঙ্গে জড়িত। গোয়েন্দা সংস্থাটির প্রতিবেদন সম্পর্কে জানতে চাইলে বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আজিজুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বিষয়টি তদন্তের জন্য মন্ত্রণালয় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বলে জানি।
তবে আমরা গোয়েন্দা সংস্থার ওই অভিযোগ সঠিক বিবেচনা করছি না। উত্থাপিত অভিযোগের বিরুদ্ধে বিটিসিএলের পক্ষ থেকে বিস্তারিত জবাব দেওয়া হয়েছে।'
টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কের উন্নয়নের লক্ষ্যে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রকল্পটিতে ব্যাপক অনিয়ম হচ্ছে- এমন অভিযোগ তুলে আদালতে মামলা-পাল্টামামলা হয়েছে। আইনি এ লড়াইয়ে বিটিসিএলের বিরুদ্ধে আদালতের কাছে তথ্য গোপনের অভিযোগ ওঠে এবং মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উচ্চ আদালত প্রকল্পের কাজে স্থিতাবস্থার আদেশ দিয়েছেন। এ অবস্থায় দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এ কাজটি মুখ থুবড়ে পড়ার জন্য দায়ী কে, সে প্রশ্নের জবাব খুঁজছেন অনেকেই।
গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন : গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একনেক কর্তৃক অনুমোদিত এ প্রকল্পের প্রাক্কলিত মূল্য ছিল ১৩ দশমিক ৬ মিলিয়ন আমেরিকান ডলার। কিন্তু বিটিসিএলের কিছু শীর্ষ ব্যক্তি, ওই প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত কয়েকজন কর্মকর্তা এবং জাপানি পরামর্শক কাওয়াবাতা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে ২৪ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলারের অতি মূল্যায়িত প্রাক্কলন তৈরি করেন। অপটিক্যাল ফাইবার স্থাপনের কাজে এর আগে মিটারপ্রতি গড় মূল্য ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা নির্ধারিত থাকলেও অতি মূল্যায়িত ওই প্রাক্কলনে তা মিটারপ্রতি এক হাজার টাকার ওপরে নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে প্রকল্পে ১০০ কোটি টাকা অনিয়ম হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে অনিয়মের টাকার ভাগবাটোয়ারা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিধিবহির্ভূতভাবে দরপত্রে অংশগ্রহণকারী পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে তিনটিকে অযোগ্য ঘোষণা করে শুধু দুটি প্রতিষ্ঠানকে রাখা হয়েছে। সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট বা সিপিটিইউর রিভিউ প্যানেল এ কাজকে 'অসংগত কার্য' উল্লেখ করে বাদ দেওয়া কম্পানিকে (তুরস্কের নেতাস) ওই প্রকল্পের কাজে যোগ্য ঘোষণা করে রায় দেয় এবং সে রায় বাস্তবায়ন করার নির্দেশ দেয়। কিন্তু ওই রায় বাস্তবায়ন না করার জন্য নানামুখী ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে বলে জানা যায়। বিধিবহির্ভূত এসব কার্যক্রম বন্ধ করে বিপুল অঙ্কের সরকারি টাকা সাশ্রয় করাসহ এ বিষয়ে দায়ী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা অতীব জরুরি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অসাধু চক্রটি বিটিসিএলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, মন্ত্রণালয় এবং প্ল্যানিং কমিশনকে অবহিত না করেই ২৪ দশমিক ৭ মার্কিন ডলারের একটি অতি মূল্যায়িত প্রাক্কলন তৈরি করে। এই অতি মূল্যায়িত প্রাক্কলন অনুমোদনের জন্য প্রধান কর্মাধ্যক্ষ নাদির শাহ কোরেশীর কাছে পাঠানো হয়। নাদির শাহ কোরেশী এটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে না পাঠিয়ে যাচাই-বাছাইয়ের উদ্যোগ নিলে তাঁকে বদলি করে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা হয় মো. আমিনুল হাসানকে। এরপর আবার ওই প্রাক্কলন অনুমোদনের উদ্যোগ নেওয়া হলে পরিচালক (পরিকল্পনা) মো. আজমত আলী তা যাচাইয়ের পক্ষেই মত দেন। বিটিসিএলের তৎকালীন সদস্য (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) আজিজুল ইসলামও অতি মূল্যায়িত প্রাক্কলন অনুমোদন না করার জন্য নথি পেশ করেন। কিন্তু এসব আপত্তি সত্ত্বেও অশোক কুমার মণ্ডলের সঙ্গে আলোচনা করে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক এটি অনুমোদন করেন। প্রতিবেদনে রিভিউ কমিটির রায় না মানার ষড়যন্ত্র সম্পর্কে বলা হয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় গত ১৮ মার্চ বিটিসিএলকে রিভিউ কমিটির রায় মেনে নেওয়ার নির্দেশ দেয়। এ ছাড়া বোর্ড অব ডিরেক্টরস গত ২১ মার্চ তাদের সভায় বিটিসিএলকে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ প্রতিপালন এবং কেন প্রাক্কলন অতি মূল্যায়ন করা হলো সে বিষয়ে অনুসন্ধান করে বোর্ডকে জানানোর নির্দেশ দেয়। কিন্তু এ নির্দেশ তামিল করা হয়নি। এ বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কথোপকথন যাচাই করে অসাধু চক্রের পছন্দের কম্পানি কেটি করপোরেশন অথবা এনইসি করপোরেশনকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার বিষয়ে বিটিসিএলের পরিচালক (প্রকিউরমেন্ট) শাহাবুদ্দিন, প্রকল্প পরিচালক অশোক কুমার মণ্ডল, মশিউর রহমান (জাইকা প্রজেক্টের একজন পরিচালক), জাপানি পরামর্শক কাওয়াবাতা এবং অন্যদের যোগসাজশ ও অর্থপ্রাপ্তির সুবিধাদি পাওয়ার তথ্য জানতে পেরেছে।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনের শেষ অধ্যায়ে সুপারিশ করা হয়, অসাধু চক্রটি যাতে নিয়মবহির্ভূতভাবে তাদের পছন্দের কোনো কম্পানিকে ওই প্রকল্পের কাজ পাইয়ে দিতে না পারে সে লক্ষ্যে পুুরো প্রক্রিয়াটি পুনর্বিবেচনা করে স্বচ্ছ টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যোগ্য প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা যেতে পারে। এ ছাড়া প্রকল্পের কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে অবৈধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন কর্মকর্তাদের অন্যত্র বদলি করে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
No comments