ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক-সংস্কারকাজ বন্ধ by নিয়ামুল কবীর সজল ও মোখলেছুর রহমান মনির
দেশের অন্যতম মহাসড়ক ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার কাজ এখন শুরু হয়েছে। এ কাজের কারণেই এ সড়কটির নিয়মিত কোনো উন্নয়ন ও সংস্কারকাজ এখন আর নেই। এ পরিস্থিতির কারণেই গত বর্ষা মৌসুমে চরম বেহাল দশা সৃষ্টি হয়েছিল মহাসড়কটির স্থানে স্থানে।
সে সময় ইট-সুরকি দিয়ে তড়িঘড়ি করে ভরাট করা হয় ছোটবড় গর্তগুলো। সড়কের বিধ্বস্ত অংশে এখনো সেই ইট-সুরকিই আছে। তবে চালকরা আশঙ্কা করছেন, আসন্ন বর্ষা মৌসুমে ভারি বৃষ্টিতে সড়কটির আবার বেহালদশা তৈরি হতে পারে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, চার লেন প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের সব দায়দায়িত্ব এখন প্রকল্পের আওতাধীন। প্রকল্পের কাজ করার পাশাপাশি মহাসড়কটিকে যান চলাচলের উপযোগী রাখাও প্রকল্প কর্মকর্তাদের দায়িত্ব। ময়মনসিংহ সওজ বিভাগের এখন আর কোনো দায়দায়িত্ব নেই এ সড়কটির সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণে। এ অবস্থায় গত বছর বর্ষা মৌসুমে সংস্কারের অভাবে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভালুকা অংশের নাছির গ্লাস ফ্যাক্টরিসংলগ্ন এলাকা, জামিরদিয়া মাস্টারবাড়ী বাসস্ট্যান্ড, সিডস্টোর বাসস্ট্যান্ড, সিডস্টোর পেট্রল পাম্প এলাকা, ভালুকা সদরের থানার মোড়, পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মোড় এলাকাসহ ত্রিশাল অংশের কয়েকটি স্থানে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়। স্বাভাবিক যান চলাচল একেবারে অসম্ভব হয়ে পড়লে এক পর্যায়ে বাস মালিক সমিতি এ মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। পরে সংবাদ মাধ্যমে এ দুরবস্থার চিত্র প্রকাশ হলে সরকারের উচ্চ মহলের হস্তক্ষেপে তড়িঘড়ি সংস্কারকাজ হাতে নেয় যোগাযোগ মন্ত্রণালয়। মহাসড়কের দুই পাশে নর্দমা কেটে সড়কে জমে থাকা পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে ও সড়কের ভাঙা অংশে কোথাও ইট, আবার কোথাও পাথর-বালু-সিমেন্ট ফেলে জোড়াতালি দিয়ে কোনোমতে মহাসড়কটি যান চলাচলের উপযোগী করা হয়। তবে সেই সংস্কারেই সড়ক এখনো সচল। বড় ধরনের কোনো সংস্কার আর হয়নি। তবে চালক আর যাত্রীদের ভয় হলো সামনের বর্ষা মৌসুম নিয়ে। তাঁদের আশঙ্কা তখন যানবাহনের চাপে সড়কে গত মৌসুমে বসানো ইটগুলো উঠে আসবে। আর পরিণতিতে সেখানে সৃষ্টি হবে ছোটবড় গর্ত।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে নিয়মিত যাতায়াতকারী বাসচালক আবদুস ছাত্তার ও ট্রাকচালক আমিনুল ইসলাম মহাসড়কের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে বলেন, মহাসড়কের ভালুকা অংশের জামিরদিয়া মাস্টারবাড়ী এলাকা, সিডস্টোর, ভালুকা হৃদয় মার্কেট থেকে কলেজ পর্যন্ত এবং ত্রিশালের সৌদিয়া পাম্পের কাছে সড়কের স্থানে স্থানে ইটের সলিং রয়ে গেছে। পাশাপাশি ভালুকার মেহেরাবাড়ীতে ব্রিজ নির্মাণের জন্য করা বাইপাস রাস্তাটিও ইটের সলিংয়ের করা। এ ছাড়া ত্রিশাল বানারের ব্রিজের কাছে ও সদরের বেলতলী এলাকায় মহাসড়কের কিছু অংশ খারাপ। তাদের মতে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বর্ষার আগেই মহাসড়ক সংস্কার করা প্রয়োজন। ইটের সলিংগুলোতে হালকাভাবে হলেও কার্পেটিং প্রয়োজন। শাহাদাত হোসেন নামের এক ট্রাকচালক জানান, বর্তমানে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যানবাহন চলাচলে তেমন কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু,এই অবস্থায় টানা বৃষ্টি শুরু হলেই গাড়ির চাকার ঘষায় রাস্তার ইট-সুরকি উঠে যাবে। তৈরি হবে বড় বড় গর্ত।
আতাউর রহমান নামের একজন জানান, বিটুমিনের বড় শত্রু পানি। প্রতিদিন বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ত্রিশাল ও ভালুকা এলাকা থেকে পাঙ্গাশসহ বিভিন্ন মাছবাহী কয়েক শ ছোটবড় ট্রাক ঢাকার দিকে যাতায়াত করে এবং এসব গাড়ির পানিভর্তি ড্রাম থেকে অবিরাম পানি পড়তে থাকে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক নষ্ট হওয়ার জন্য এসব গাড়ির কিছু ভূমিকা রয়েছে।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের সংস্কার প্রসঙ্গে ময়মনসিংহ সওজ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. সাদ্দাম হোসেন বলেন, এ সড়কটি এখন চার লেন প্রকল্পের আওতায়। তাদের এখন আর সেখানে কিছু করা সম্ভব না। তবে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে সড়কটির বেশ কিছু স্থানে সমস্যা হতে পারে- এমন আশঙ্কার বিষয়টি তাঁরা ইতিমধ্যেই চার লেন প্রকল্পের কর্মকর্তাদের চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন। এতে সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার আগেই তাঁরা প্রস্তুতি নিতে পারবেন।
একই বিষয়ে কথা হয়, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চার লেন প্রকল্পের উপ-প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোকাদ্দেসুল হকের সঙ্গে। তিনি বলেন, প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার কারণে পুরনো সড়কে বড় ধরনের কোনো উন্নয়ন তাঁরা আর করবেন না। এটি ঠিক করাও হবে না। প্রকল্পের কাজের সঙ্গে সঙ্গে সড়কের সার্বিক উন্নয়ন হবে। তবে বর্ষা মৌসুমে যেন যান চলাচলে কোনো অসুবিধা না হয়, এ জন্য প্রস্তুতি আছে। তিনি আরো বলেন, এ মহাসড়কের ৫৬ কিলোমিটার অংশ ময়মনসিংহ সড়ক বিভাগের আওতায়। চার লেন প্রকল্পের আওতায় এর মাঝে ১৩ কিলোমিটার অংশের মাটির কাজ শেষ হয়েছে। মাটির কাজশেষে বিটুমিনের কাজ হবে। এর পর হবে কার্পেটিংয়ের কাজ। তিনি বলেন, আগামী ২০১৩-এর আগস্ট মাসের মাঝে এ কাজ শেষ করার কথা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই প্রকল্পের কাজ চলছে ভীষণ ধীরগতিতে এবং প্রকল্প শুরুর ১৭ মাস চলে গেলেও বর্তমানে কাজ এগিয়েছে মাত্র ১১ শতাংশ। এ অবস্থায় ঠিক সময়ে প্রকল্পটি শেষ হবে কি না, তা নিয়ে ময়মনসিংহবাসী সন্দিহান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, চার লেন প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের সব দায়দায়িত্ব এখন প্রকল্পের আওতাধীন। প্রকল্পের কাজ করার পাশাপাশি মহাসড়কটিকে যান চলাচলের উপযোগী রাখাও প্রকল্প কর্মকর্তাদের দায়িত্ব। ময়মনসিংহ সওজ বিভাগের এখন আর কোনো দায়দায়িত্ব নেই এ সড়কটির সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণে। এ অবস্থায় গত বছর বর্ষা মৌসুমে সংস্কারের অভাবে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভালুকা অংশের নাছির গ্লাস ফ্যাক্টরিসংলগ্ন এলাকা, জামিরদিয়া মাস্টারবাড়ী বাসস্ট্যান্ড, সিডস্টোর বাসস্ট্যান্ড, সিডস্টোর পেট্রল পাম্প এলাকা, ভালুকা সদরের থানার মোড়, পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মোড় এলাকাসহ ত্রিশাল অংশের কয়েকটি স্থানে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়। স্বাভাবিক যান চলাচল একেবারে অসম্ভব হয়ে পড়লে এক পর্যায়ে বাস মালিক সমিতি এ মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। পরে সংবাদ মাধ্যমে এ দুরবস্থার চিত্র প্রকাশ হলে সরকারের উচ্চ মহলের হস্তক্ষেপে তড়িঘড়ি সংস্কারকাজ হাতে নেয় যোগাযোগ মন্ত্রণালয়। মহাসড়কের দুই পাশে নর্দমা কেটে সড়কে জমে থাকা পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে ও সড়কের ভাঙা অংশে কোথাও ইট, আবার কোথাও পাথর-বালু-সিমেন্ট ফেলে জোড়াতালি দিয়ে কোনোমতে মহাসড়কটি যান চলাচলের উপযোগী করা হয়। তবে সেই সংস্কারেই সড়ক এখনো সচল। বড় ধরনের কোনো সংস্কার আর হয়নি। তবে চালক আর যাত্রীদের ভয় হলো সামনের বর্ষা মৌসুম নিয়ে। তাঁদের আশঙ্কা তখন যানবাহনের চাপে সড়কে গত মৌসুমে বসানো ইটগুলো উঠে আসবে। আর পরিণতিতে সেখানে সৃষ্টি হবে ছোটবড় গর্ত।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে নিয়মিত যাতায়াতকারী বাসচালক আবদুস ছাত্তার ও ট্রাকচালক আমিনুল ইসলাম মহাসড়কের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে বলেন, মহাসড়কের ভালুকা অংশের জামিরদিয়া মাস্টারবাড়ী এলাকা, সিডস্টোর, ভালুকা হৃদয় মার্কেট থেকে কলেজ পর্যন্ত এবং ত্রিশালের সৌদিয়া পাম্পের কাছে সড়কের স্থানে স্থানে ইটের সলিং রয়ে গেছে। পাশাপাশি ভালুকার মেহেরাবাড়ীতে ব্রিজ নির্মাণের জন্য করা বাইপাস রাস্তাটিও ইটের সলিংয়ের করা। এ ছাড়া ত্রিশাল বানারের ব্রিজের কাছে ও সদরের বেলতলী এলাকায় মহাসড়কের কিছু অংশ খারাপ। তাদের মতে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বর্ষার আগেই মহাসড়ক সংস্কার করা প্রয়োজন। ইটের সলিংগুলোতে হালকাভাবে হলেও কার্পেটিং প্রয়োজন। শাহাদাত হোসেন নামের এক ট্রাকচালক জানান, বর্তমানে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যানবাহন চলাচলে তেমন কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু,এই অবস্থায় টানা বৃষ্টি শুরু হলেই গাড়ির চাকার ঘষায় রাস্তার ইট-সুরকি উঠে যাবে। তৈরি হবে বড় বড় গর্ত।
আতাউর রহমান নামের একজন জানান, বিটুমিনের বড় শত্রু পানি। প্রতিদিন বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ত্রিশাল ও ভালুকা এলাকা থেকে পাঙ্গাশসহ বিভিন্ন মাছবাহী কয়েক শ ছোটবড় ট্রাক ঢাকার দিকে যাতায়াত করে এবং এসব গাড়ির পানিভর্তি ড্রাম থেকে অবিরাম পানি পড়তে থাকে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক নষ্ট হওয়ার জন্য এসব গাড়ির কিছু ভূমিকা রয়েছে।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের সংস্কার প্রসঙ্গে ময়মনসিংহ সওজ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. সাদ্দাম হোসেন বলেন, এ সড়কটি এখন চার লেন প্রকল্পের আওতায়। তাদের এখন আর সেখানে কিছু করা সম্ভব না। তবে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে সড়কটির বেশ কিছু স্থানে সমস্যা হতে পারে- এমন আশঙ্কার বিষয়টি তাঁরা ইতিমধ্যেই চার লেন প্রকল্পের কর্মকর্তাদের চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন। এতে সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার আগেই তাঁরা প্রস্তুতি নিতে পারবেন।
একই বিষয়ে কথা হয়, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চার লেন প্রকল্পের উপ-প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোকাদ্দেসুল হকের সঙ্গে। তিনি বলেন, প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার কারণে পুরনো সড়কে বড় ধরনের কোনো উন্নয়ন তাঁরা আর করবেন না। এটি ঠিক করাও হবে না। প্রকল্পের কাজের সঙ্গে সঙ্গে সড়কের সার্বিক উন্নয়ন হবে। তবে বর্ষা মৌসুমে যেন যান চলাচলে কোনো অসুবিধা না হয়, এ জন্য প্রস্তুতি আছে। তিনি আরো বলেন, এ মহাসড়কের ৫৬ কিলোমিটার অংশ ময়মনসিংহ সড়ক বিভাগের আওতায়। চার লেন প্রকল্পের আওতায় এর মাঝে ১৩ কিলোমিটার অংশের মাটির কাজ শেষ হয়েছে। মাটির কাজশেষে বিটুমিনের কাজ হবে। এর পর হবে কার্পেটিংয়ের কাজ। তিনি বলেন, আগামী ২০১৩-এর আগস্ট মাসের মাঝে এ কাজ শেষ করার কথা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই প্রকল্পের কাজ চলছে ভীষণ ধীরগতিতে এবং প্রকল্প শুরুর ১৭ মাস চলে গেলেও বর্তমানে কাজ এগিয়েছে মাত্র ১১ শতাংশ। এ অবস্থায় ঠিক সময়ে প্রকল্পটি শেষ হবে কি না, তা নিয়ে ময়মনসিংহবাসী সন্দিহান।
No comments