দাহকালের কথা-সার্কাস by মাহমুদুজ্জামান বাবু
বেসরকারি টেলিভিশনের মধ্যরাতের সংবাদে নাটোরের উপজেলা চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ নূরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এবং লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করার দৃশ্যটি কয়েক সেকেন্ড দেখার পর রাতের বাকি সময়টা কেটেছে দুঃস্বপ্নে, আধো ঘুম ও জাগরণে। দৃশ্যটা খুব স্পষ্ট নয়; বোঝা যাচ্ছিল, অনেক দূর থেকে তোলা। খুব সাধারণ ভিডিও ক্যামেরায়,
অপটু হাতে। ক্যামেরা অস্থির ছিল, কিন্তু তবুও বোঝা যাচ্ছিল, আক্রান্ত সানাউল্লাহ নূর রাস্তায় পড়ে থাকা অবস্থা থেকে উঠতে চাইছেন, তাঁকে ঘিরে আছে, যারা লাঠি দিয়ে বারবার আঘাত করেছে তার মাথায়, শরীরে। ঘিরে থাকা মানুষগুলোর কয়েক জোড়া পা তাঁকে চেপে ধরে আছে পথের সঙ্গে। এটা সেই পথ, নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার চেনা পথ, এই পথে সানাউল্লাহ নূর নিশ্চয়ই অনেক দিন হেঁটেছেন। সেই পথের বুকে লুটিয়ে পড়ে মরে গেলেন একটি মানুষ, যাঁর রাজনৈতিক দল বিএনপি এবং তাঁকে যারা আক্রমণ করে খুন করল, তারা আওয়ামী লীগের।
হত্যার প্রতিবাদে পরদিন যখন নাটোরে হরতাল হচ্ছিল, সেদিনই কুমিল্লায় বিএনপির যুব সংগঠন যুবদলের সম্মেলনে দুই পক্ষের মারামারি লেগে গিয়েছিল। পরদিনের সংবাদপত্র ও টেলিভিশন সংবাদের ভিডিওচিত্রে মুখে কালো কাপড় বাঁধা নানা রকমের আগ্নেয়াস্ত্র উঁচানো যুবসম্প্রদায়ের ওই তাণ্ডব রূপের বদমায়েশি প্রত্যক্ষ করল বাংলাদেশ। বন্দুকধারী পান্ডাদের মুখে বাঁধা কালো কাপড়, দুই চোখের জায়গায় একটুখানি করে ছিদ্র, মাথার দুই দিকে ঊর্ধ্বমুখী দুই কোণ...দেখে মনে পড়ছিল ছোটবেলায় পাঠ করা সচিত্র ঠাকুরমার ঝুলির কথা। সেখানে আঁকা রাক্ষসের ছবি এমনটিই ছিল।
তার পরদিন পাল্লা দিয়ে ছুটতে গিয়ে ঢাকার আমিনবাজারের কাছে যাত্রীবাহী বাস রাস্তা থেকে ছিটকে পড়ল তুরাগ নদে। প্রায় ৫০ জন মানুষ ডুবে গেল চোখের পলকে। সাঁতরে উঠে বেঁচে গেলেন ছয়জন। ৫৪ ঘণ্টা পার করে বাসটি তোলা হলেও পানিতে নিরুপায় ডুবে মরে যাওয়া সব মানুষকে এখনো পাওয়া গেল না। পাওয়া গেলেই বা কী! তাদের পরিবারের অশ্রুপাত তো তুরাগ নদেও ধারণ করা যাবে না। ঠিক তার পরদিনই চোখের জলের রেখা না মিলিয়ে যেতেই সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদে আন্তনগর ট্রেনে আগুন জ্বলে উঠল দাউ দাউ করে। নিজে থেকে নয়, মানুষের হাত জ্বালাল সেই আগুন। ক্ষুব্ধ মানুষের তপ্ত হাত। খালেদা জিয়ার জনসভার ২০ গজ দূরে ছিল রেললাইন, সেই রেললাইন আগলে বসে ছিল সেই সব মানুষ, যারা পাঁচ বছর পর পর সেজেগুজে ভোটকেন্দ্রে যায়, লাইনে দাঁড়ায় এবং হয় নৌকা মার্কা কিংবা ধানের শীষ-দাঁড়িপাল্লা বা লাঙল মার্কায় সিল দিয়ে বাড়ি ফিরে স্বপ্ন দেখে আগামীকাল থেকে বদলে যাবে সবকিছু। ডাল-ভাত পাওয়া যাবে অথবা বদলে যাবে দিন।
দিন বদলায়নি। ডাল-ভাতও পাওয়া যায়নি। সুতরাং মানুষগুলো ক্ষুব্ধ ছিল। সমবেত হয়েছিল তাই জনসভায়। রেললাইনের ধাতব আসনে নিতম্ব ঠেকিয়ে বসে ছিল নেত্রীর ভাষণ শুনতে। আচ্ছন্ন শ্রুতিতে ট্রেনের ইঞ্জিনের হুইসেল পৌঁছাল না। অথবা সচেতনভাবে উপেক্ষা করতে বলেছিল হয়তো কেউ। হয়তো সমবেত কোনো একটি অংশ চেয়েছিল ট্রেনকে আটকে দিতে। কিন্তু ট্রেনচালক কি চেয়েছিলেন? নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছার আগে তাঁর থেমে যাওয়ার কোনো বিধান নেই, নিয়ম নেই, নির্দেশও নেই। তাঁর তো জবাবদিহির চাকরি। তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আছে। যাত্রীদল আছে। বিচ্যুতি ঘটলে তাঁকে তদন্ত কমিটির সামনে বসতে হবে। তবু চালক হুইসেল বাজিয়েছিলেন, যারা রেললাইনের ওপর বসেছিল, তারা সরে যায়নি। আন্তনগর ট্রেনগুলো একটু জোরালো গতির হয়, সহসা তাকে থামানো যায় না, এ তো রিকশা বা বাইসাইকেল নয়। তাই ট্রেন থামতে থামতে তার চাকার নিচে অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু ঘটল ছয়জন মানুষের।
এবার কথা চালাচালি, বিবৃতি-পাল্টাবিবৃতির পালা শুরু হলো। খালেদা জিয়া বললেন, এটা কোনো দুর্ঘটনা নয়, একটি এজেন্সি হামলা চালিয়েছে। শেখ হাসিনা বললেন, যমুনা রিসোর্টে খালেদা জিয়া বসে ছিলেন লাশের জন্য। প্রিয় পাঠক, হতভম্ব হচ্ছেন? নাটোরের উপজেলা চেয়ারম্যানের খুনকে কেন্দ্র করেও এ রকম কথা চালাচালি হয়েছে। অনেকেই হয়তো বলবেন, এ আর নতুন কী! বাংলাদেশে তো এই-ই হয়, এই-ই চলে, চলছে! কিন্তু এভাবে আর কত দিন? পাঁচ বছর পর পর একবার তপ্ত কড়াই আর একবার জ্বলন্ত চুলায় আর কতবার পুড়তে হবে সাধারণ মানুষকে, বাংলাদেশকে?
জানি, দুশ্চিন্তার বলিরেখা ভাঁজ ফেলছে ক্রমশ আমাদের কপালে। স্বদেশজুড়ে যে অনাচার, ক্ষমতায় টিকে থাকা আর ক্ষমতায় যেতে চাওয়ার এই যে রাজনীতি নামের তাণ্ডব, প্রতিহিংসার দানবীয় চোখমুখ আর ক্ষমতা প্রকাশের পাশবিক ভাষা—এর মাঝে বাংলাদেশ কোথায়? সাধারণ মানুষের বিপর্যস্ত প্রাত্যহিক জীবনযাপন, বিদ্যুৎ-সংকট, চড়ামূল্যের বাজার, শেয়ার মার্কেটের ফাটকাবাজি আর ঝলমলে বিপণিবিতান—এই বিপরীত মেরুর সহাবস্থানের বাংলাদেশ কতদূর যাবে? কীভাবে যাবে? যাওয়া যায়? গেছে কেউ?
আসুন, দুশ্চিন্তা আরেকটু বাড়াই। এসব ঘটনা যখন চলছে (দুই দলের কামড়াকামড়ি), তখনই তুরাগ নদে বাসটি ডুবে গিয়েছিল। যাত্রাবাড়ীতে জুতা কারখানায় আগুন লেগে শ্রমিকশ্রেণীর কজন মানুষ পুড়ে মারা গিয়েছিল, ৩ নম্বর সতর্কসংকেতের নোনা প্লাবনে উপকূলীয় মানুষ হাবুডুবু খাচ্ছিল—এসব নিয়ে কোনো নেতা বা নেত্রী ভাষণ দেননি, বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়াননি, এসব তাঁদের রাজনীতির বিষয় নয়। মানুষের মঙ্গল বা কল্যাণ তাঁদের অভিধানে নেই। ঠিক সে সময়ই লাতিন আমেরিকার দেশ চিলির খনি দুর্ঘটনায় মাটির নিচে আটকে পড়া ৩৩ জন শ্রমিককে উদ্ধার করার কাজ চলছিল, আর সেখানে ঠায় দাঁড়িয়ে ছিলেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও দুশ্চিন্তা করতেন। লিখেছেন, ‘লোকেরা কিছুই ঠিকমতো করিতেছে না, সংসারে যেমন হওয়া উচিত ছিল, তেমন হইতেছে না, সময় খারাপ পড়িয়াছে—এই সমস্ত দুশ্চিন্তা প্রকাশ করিয়া মানুষ দিব্য আরামে থাকে, তাহার আহার-নিদ্রার কিছুমাত্র ব্যাঘাত হয় না, এটা প্রায়ই দেখিতে পাওয়া যায়। দুশ্চিন্তা-আগুনটা শীতের আগুনের মতো উপাদেয়, যদি সেটা পাশে থাকে কিন্তু নিজের গায়ে না লাগে।’
মাহমুদুজ্জামান বাবু: গায়ক ও সংস্কৃতিকর্মী।
Che21c@yahoo.com
হত্যার প্রতিবাদে পরদিন যখন নাটোরে হরতাল হচ্ছিল, সেদিনই কুমিল্লায় বিএনপির যুব সংগঠন যুবদলের সম্মেলনে দুই পক্ষের মারামারি লেগে গিয়েছিল। পরদিনের সংবাদপত্র ও টেলিভিশন সংবাদের ভিডিওচিত্রে মুখে কালো কাপড় বাঁধা নানা রকমের আগ্নেয়াস্ত্র উঁচানো যুবসম্প্রদায়ের ওই তাণ্ডব রূপের বদমায়েশি প্রত্যক্ষ করল বাংলাদেশ। বন্দুকধারী পান্ডাদের মুখে বাঁধা কালো কাপড়, দুই চোখের জায়গায় একটুখানি করে ছিদ্র, মাথার দুই দিকে ঊর্ধ্বমুখী দুই কোণ...দেখে মনে পড়ছিল ছোটবেলায় পাঠ করা সচিত্র ঠাকুরমার ঝুলির কথা। সেখানে আঁকা রাক্ষসের ছবি এমনটিই ছিল।
তার পরদিন পাল্লা দিয়ে ছুটতে গিয়ে ঢাকার আমিনবাজারের কাছে যাত্রীবাহী বাস রাস্তা থেকে ছিটকে পড়ল তুরাগ নদে। প্রায় ৫০ জন মানুষ ডুবে গেল চোখের পলকে। সাঁতরে উঠে বেঁচে গেলেন ছয়জন। ৫৪ ঘণ্টা পার করে বাসটি তোলা হলেও পানিতে নিরুপায় ডুবে মরে যাওয়া সব মানুষকে এখনো পাওয়া গেল না। পাওয়া গেলেই বা কী! তাদের পরিবারের অশ্রুপাত তো তুরাগ নদেও ধারণ করা যাবে না। ঠিক তার পরদিনই চোখের জলের রেখা না মিলিয়ে যেতেই সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদে আন্তনগর ট্রেনে আগুন জ্বলে উঠল দাউ দাউ করে। নিজে থেকে নয়, মানুষের হাত জ্বালাল সেই আগুন। ক্ষুব্ধ মানুষের তপ্ত হাত। খালেদা জিয়ার জনসভার ২০ গজ দূরে ছিল রেললাইন, সেই রেললাইন আগলে বসে ছিল সেই সব মানুষ, যারা পাঁচ বছর পর পর সেজেগুজে ভোটকেন্দ্রে যায়, লাইনে দাঁড়ায় এবং হয় নৌকা মার্কা কিংবা ধানের শীষ-দাঁড়িপাল্লা বা লাঙল মার্কায় সিল দিয়ে বাড়ি ফিরে স্বপ্ন দেখে আগামীকাল থেকে বদলে যাবে সবকিছু। ডাল-ভাত পাওয়া যাবে অথবা বদলে যাবে দিন।
দিন বদলায়নি। ডাল-ভাতও পাওয়া যায়নি। সুতরাং মানুষগুলো ক্ষুব্ধ ছিল। সমবেত হয়েছিল তাই জনসভায়। রেললাইনের ধাতব আসনে নিতম্ব ঠেকিয়ে বসে ছিল নেত্রীর ভাষণ শুনতে। আচ্ছন্ন শ্রুতিতে ট্রেনের ইঞ্জিনের হুইসেল পৌঁছাল না। অথবা সচেতনভাবে উপেক্ষা করতে বলেছিল হয়তো কেউ। হয়তো সমবেত কোনো একটি অংশ চেয়েছিল ট্রেনকে আটকে দিতে। কিন্তু ট্রেনচালক কি চেয়েছিলেন? নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছার আগে তাঁর থেমে যাওয়ার কোনো বিধান নেই, নিয়ম নেই, নির্দেশও নেই। তাঁর তো জবাবদিহির চাকরি। তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আছে। যাত্রীদল আছে। বিচ্যুতি ঘটলে তাঁকে তদন্ত কমিটির সামনে বসতে হবে। তবু চালক হুইসেল বাজিয়েছিলেন, যারা রেললাইনের ওপর বসেছিল, তারা সরে যায়নি। আন্তনগর ট্রেনগুলো একটু জোরালো গতির হয়, সহসা তাকে থামানো যায় না, এ তো রিকশা বা বাইসাইকেল নয়। তাই ট্রেন থামতে থামতে তার চাকার নিচে অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু ঘটল ছয়জন মানুষের।
এবার কথা চালাচালি, বিবৃতি-পাল্টাবিবৃতির পালা শুরু হলো। খালেদা জিয়া বললেন, এটা কোনো দুর্ঘটনা নয়, একটি এজেন্সি হামলা চালিয়েছে। শেখ হাসিনা বললেন, যমুনা রিসোর্টে খালেদা জিয়া বসে ছিলেন লাশের জন্য। প্রিয় পাঠক, হতভম্ব হচ্ছেন? নাটোরের উপজেলা চেয়ারম্যানের খুনকে কেন্দ্র করেও এ রকম কথা চালাচালি হয়েছে। অনেকেই হয়তো বলবেন, এ আর নতুন কী! বাংলাদেশে তো এই-ই হয়, এই-ই চলে, চলছে! কিন্তু এভাবে আর কত দিন? পাঁচ বছর পর পর একবার তপ্ত কড়াই আর একবার জ্বলন্ত চুলায় আর কতবার পুড়তে হবে সাধারণ মানুষকে, বাংলাদেশকে?
জানি, দুশ্চিন্তার বলিরেখা ভাঁজ ফেলছে ক্রমশ আমাদের কপালে। স্বদেশজুড়ে যে অনাচার, ক্ষমতায় টিকে থাকা আর ক্ষমতায় যেতে চাওয়ার এই যে রাজনীতি নামের তাণ্ডব, প্রতিহিংসার দানবীয় চোখমুখ আর ক্ষমতা প্রকাশের পাশবিক ভাষা—এর মাঝে বাংলাদেশ কোথায়? সাধারণ মানুষের বিপর্যস্ত প্রাত্যহিক জীবনযাপন, বিদ্যুৎ-সংকট, চড়ামূল্যের বাজার, শেয়ার মার্কেটের ফাটকাবাজি আর ঝলমলে বিপণিবিতান—এই বিপরীত মেরুর সহাবস্থানের বাংলাদেশ কতদূর যাবে? কীভাবে যাবে? যাওয়া যায়? গেছে কেউ?
আসুন, দুশ্চিন্তা আরেকটু বাড়াই। এসব ঘটনা যখন চলছে (দুই দলের কামড়াকামড়ি), তখনই তুরাগ নদে বাসটি ডুবে গিয়েছিল। যাত্রাবাড়ীতে জুতা কারখানায় আগুন লেগে শ্রমিকশ্রেণীর কজন মানুষ পুড়ে মারা গিয়েছিল, ৩ নম্বর সতর্কসংকেতের নোনা প্লাবনে উপকূলীয় মানুষ হাবুডুবু খাচ্ছিল—এসব নিয়ে কোনো নেতা বা নেত্রী ভাষণ দেননি, বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়াননি, এসব তাঁদের রাজনীতির বিষয় নয়। মানুষের মঙ্গল বা কল্যাণ তাঁদের অভিধানে নেই। ঠিক সে সময়ই লাতিন আমেরিকার দেশ চিলির খনি দুর্ঘটনায় মাটির নিচে আটকে পড়া ৩৩ জন শ্রমিককে উদ্ধার করার কাজ চলছিল, আর সেখানে ঠায় দাঁড়িয়ে ছিলেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও দুশ্চিন্তা করতেন। লিখেছেন, ‘লোকেরা কিছুই ঠিকমতো করিতেছে না, সংসারে যেমন হওয়া উচিত ছিল, তেমন হইতেছে না, সময় খারাপ পড়িয়াছে—এই সমস্ত দুশ্চিন্তা প্রকাশ করিয়া মানুষ দিব্য আরামে থাকে, তাহার আহার-নিদ্রার কিছুমাত্র ব্যাঘাত হয় না, এটা প্রায়ই দেখিতে পাওয়া যায়। দুশ্চিন্তা-আগুনটা শীতের আগুনের মতো উপাদেয়, যদি সেটা পাশে থাকে কিন্তু নিজের গায়ে না লাগে।’
মাহমুদুজ্জামান বাবু: গায়ক ও সংস্কৃতিকর্মী।
Che21c@yahoo.com
No comments