নারী নির্যাতন-আমাদের নীরবতা নিপীড়কের পক্ষে যায় by ওমর তারেক চৌধুরী
নারীর প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির ইতিবাচক পরিবর্তন আনার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে এক্ষেত্রে। নারীর ওপর নির্যাতন আসলে চূড়ান্ত বিচারে আমাদের সবার ওপর নির্যাতন। রুমানা মঞ্জুরের ঘটনা এ সত্যকে আমাদের সামনে স্বচ্ছ করে তুলে ধরেছে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুমানা মঞ্জুরকে গত ৫ জুন তার বর্বর স্বামী যে অবর্ণনীয় নৃশংসভাবে শারীরিক নিপীড়ন করেছে সে সংবাদ আমাদের সবার জানা আছে। আমরা অনুমান করি, আমাদের মতোই পুরো দেশই আজ সে নিপীড়নের ঘটনায় হতবিহ্বল এবং ক্ষুব্ধ। আমাদের মতোই নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সমগ্র দেশবাসী রুমানা মঞ্জুরের দৃষ্টিশক্তি ফিরে আসাসহ তার পূর্ণ আরোগ্য কামনার পাশাপাশি এই বর্বরতার বিচার দাবি করছে।
আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে, অবশেষে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এ বর্বরোচিত ঘটনার অপরাধীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। এ জন্য আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকসহ আপামর সাধারণ মানুষকে সোচ্চার হওয়া, হাইকোর্টের স্বতঃপ্রণোদিত উদ্যোগ এবং পরিশেষে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সরকারের সক্রিয়তাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। এই সক্রিয়তা শ্রেণী-পেশা-সামাজিক অবস্থান-আর্থিক সঙ্গতি নির্বিশেষে পারিবারিক নির্যাতন ও সহিংসতার শিকার সব নারীর ক্ষেত্রেই সমভাবে অব্যাহত থাকবে বলেই আমরা প্রত্যাশা করি।
আমরা আশা করি, অবিলম্বে এই অপরাধীর বিচার শুরু হবে। কোনো ধরনের রাজনৈতিক-সামাজিক প্রভাব ছাড়া এই অপরাধীকে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করে দেশের জনসংখ্যার অর্ধেক নারীর প্রতি এক নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করার ব্যাপারে সরকার তার আন্তরিকতা প্রমাণ করবে বলে আমরা বিশ্বাস করতে চাই।
অধ্যাপক রুমানা মঞ্জুরকে নিয়ে আমাদের আন্তরিক উৎকণ্ঠা সত্ত্বেও আমাদের প্রতিবাদ ও দাবি শুধু তাকে কেন্দ্র করে নয়। কারণ, রুমান মঞ্জুরের ঘটনাটি বর্বর নৃশংসতায় অতুলনীয় এবং অবর্ণনীয় হলেও আমাদের সমাজে নারীর ওপর এমন নির্যাতনের ঘটনা কোনো ব্যতিক্রম নয়। বরং জানা ও অজানা, সংবাদমাধ্যম ও পুলিশের কাছে আসা ও না আসা, প্রতিদিন ঘটে যাওয়া অসংখ্য ঘটনার মধ্যে এটি একটিমাত্র শীর্ষস্থানীয় ঘটনা। পরিবার, কর্মস্থল, বিদ্যাঙ্গন, রাস্তাঘাট, গণপরিবহন সর্বত্র নারীর প্রতি নির্যাতন, নিপীড়ন, হয়রানির ঘটনা বিরামহীনভাবে ঘটে চলেছে। স্বামীর নির্যাতনে দৃষ্টিশক্তিহীন, ক্ষতবিক্ষত শরীরে অসহায় রুমানা মঞ্জুর যখন হাসপাতালে নিরাপক্তাহীন দিনযাপন করছিলেন, তখনই গত ১৩ মে মতিঝিলে এক স্বামী পিটিয়ে তার স্ত্রীকে হত্যা করেছে। একই দিনে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানা এলাকায় দুর্বৃত্তরা, সিঙ্গাপুর প্রত্যাগত এক নারী শ্রমিককে গণধর্ষণের পর তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।
এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য প্রয়োজন লাগাতার প্রতিরোধ ও লড়াইয়ের। সামাজিক সচেতনতা, সমগ্র সমাজ থেকে পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করার সামগ্রিক উদ্যোগ, আইন প্রয়োগ, নির্যাতনের শিকারের পাশে দাঁড়ানো; তাদের নৈতিক, আইনি, চিকিৎসা, কাউন্সিলিং এবং পুনর্বাসনের সহায়তা দেওয়া। সমভাবে প্রয়োজন নির্যাতকদের বিচার করা।
নারীর প্রতি সহিংসতা, নির্যাতন, নিপীড়ন, যৌন হয়রানি, ধর্ষণ, এসিড নিক্ষেপ, মৌখিক হয়রানি, মানসিক নির্যাতন চূড়ান্ত বিচারে সমাজের সব নারী-পুরুষ-শিশুকে সমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এ অবস্থা কোনো সুস্থ সমাজের জন্য কাম্য নয়। আমরা দৃঢ়ভাবে এমন অবস্থার অবসান চাই। এই অনাকাঙ্ক্ষিত অবস্থার পরিবর্তনের জন্য আমাদের দাবি :
অধ্যাপক রুমানা মঞ্জুরের নিপীড়ক বর্বর স্বামীকে অবিলম্বে বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। এছাড়া এই অপরাধীকে সহায়তাদানকারীদেরও বিচারের আওতায় এনে 'অপরাধীর সহায়তাদানকারীকেও ছাড় না দেওয়ার' দৃষ্টিভঙ্গির দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। অধ্যাপক রুমানা মঞ্জুরের কন্যাসহ তার পুরো পরিবারে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি দফতর, নির্দিষ্টসংখ্যক নারীকর্মী সংবলিত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নারীকর্মীদের পারিবারিক নির্যাতনসহ যে কোনো ধরনের হয়রানি, নিপীড়নমূলক প্রকৃত বা সম্ভাব্য ঘটনায় সহায়তা ও পরামর্শ দেওয়ার মতো প্রাতিষ্ঠানিক পেশাদারি ব্যবস্থা ও নীতিমালা প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করতে হবে।
আক্রান্ত নারী ও শিশুদের সুরক্ষা প্রদান নিশ্চিত করার জন্য সরকারিভাবে হয়রানিবিহীন আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সরকারি তহবিল বরাদ্দ করতে হবে।
নারী নির্যাতন প্রতিরোধে আইনি উদ্যোগ ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম নেওয়ার জন্য দেশের প্রতিষ্ঠিত আইনি সহায়তাদানকারী সংস্থা ও নারী সংগঠনগুলোকে সরকারি কোষাগার থেকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
নারীর প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির প্রসার ঘটায় এমন ধরনের নাটক-গান-বিজ্ঞাপন-বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান প্রচার থেকে গণমাধ্যমকে বিরত হতে কঠোর সম্প্রচার নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।
মালিকানার ধরন নির্বিশেষে সব রেডিও-টিভি-সংবাদপত্রের জন্য নারী সংগঠনগুলোর নারী নির্যাতনবিরোধী জনসচেতনতামূলক নির্দিষ্ট পরিমাণ বিজ্ঞাপন নিখরচায় প্রচার করা বাধ্যতামূলক করতে হবে।
সবশেষে বলা দরকার যে, নারী নির্যাতন প্রতিরোধে আমরা সবাই ব্যক্তিগতভাবে, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারি। নারীর প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির ইতিবাচক পরিবর্তন আনার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে এক্ষেত্রে। নারীর ওপর নির্যাতন আসলে চূড়ান্ত বিচারে আমাদের সবার ওপর নির্যাতন। রুমানা মঞ্জুরের ঘটনা এ সত্যকে আমাদের সামনে স্বচ্ছ করে তুলে ধরেছে। এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে দরকার সনাতনী তথাকথিত 'সম্মান', 'পারিবারিক মর্যাদা', 'দুর্নাম' ইত্যাদি চিন্তার বাইরে উঠে নির্যাতন প্রতিরোধে সোচ্চার হওয়া, এর প্রতিবাদে মুখ খোলা, সংগঠিত হওয়া। আমাদের নীরবতা নির্যাতক-নিপীড়ককে বেড়ে উঠতে বল্গাহীন করে তোলে। আসুন, আমরা সবাই নীরবতার এই জালকে ছিন্ন করি। কেননা, সোচ্চার ও প্রতিবাদী হওয়াই আমাদের অন্যতম রক্ষাকবচ।
ওমর তারেক চৌধুরী :গবেষক
otc1960@gmail.com
আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে, অবশেষে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এ বর্বরোচিত ঘটনার অপরাধীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। এ জন্য আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকসহ আপামর সাধারণ মানুষকে সোচ্চার হওয়া, হাইকোর্টের স্বতঃপ্রণোদিত উদ্যোগ এবং পরিশেষে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সরকারের সক্রিয়তাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। এই সক্রিয়তা শ্রেণী-পেশা-সামাজিক অবস্থান-আর্থিক সঙ্গতি নির্বিশেষে পারিবারিক নির্যাতন ও সহিংসতার শিকার সব নারীর ক্ষেত্রেই সমভাবে অব্যাহত থাকবে বলেই আমরা প্রত্যাশা করি।
আমরা আশা করি, অবিলম্বে এই অপরাধীর বিচার শুরু হবে। কোনো ধরনের রাজনৈতিক-সামাজিক প্রভাব ছাড়া এই অপরাধীকে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করে দেশের জনসংখ্যার অর্ধেক নারীর প্রতি এক নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করার ব্যাপারে সরকার তার আন্তরিকতা প্রমাণ করবে বলে আমরা বিশ্বাস করতে চাই।
অধ্যাপক রুমানা মঞ্জুরকে নিয়ে আমাদের আন্তরিক উৎকণ্ঠা সত্ত্বেও আমাদের প্রতিবাদ ও দাবি শুধু তাকে কেন্দ্র করে নয়। কারণ, রুমান মঞ্জুরের ঘটনাটি বর্বর নৃশংসতায় অতুলনীয় এবং অবর্ণনীয় হলেও আমাদের সমাজে নারীর ওপর এমন নির্যাতনের ঘটনা কোনো ব্যতিক্রম নয়। বরং জানা ও অজানা, সংবাদমাধ্যম ও পুলিশের কাছে আসা ও না আসা, প্রতিদিন ঘটে যাওয়া অসংখ্য ঘটনার মধ্যে এটি একটিমাত্র শীর্ষস্থানীয় ঘটনা। পরিবার, কর্মস্থল, বিদ্যাঙ্গন, রাস্তাঘাট, গণপরিবহন সর্বত্র নারীর প্রতি নির্যাতন, নিপীড়ন, হয়রানির ঘটনা বিরামহীনভাবে ঘটে চলেছে। স্বামীর নির্যাতনে দৃষ্টিশক্তিহীন, ক্ষতবিক্ষত শরীরে অসহায় রুমানা মঞ্জুর যখন হাসপাতালে নিরাপক্তাহীন দিনযাপন করছিলেন, তখনই গত ১৩ মে মতিঝিলে এক স্বামী পিটিয়ে তার স্ত্রীকে হত্যা করেছে। একই দিনে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানা এলাকায় দুর্বৃত্তরা, সিঙ্গাপুর প্রত্যাগত এক নারী শ্রমিককে গণধর্ষণের পর তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।
এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য প্রয়োজন লাগাতার প্রতিরোধ ও লড়াইয়ের। সামাজিক সচেতনতা, সমগ্র সমাজ থেকে পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করার সামগ্রিক উদ্যোগ, আইন প্রয়োগ, নির্যাতনের শিকারের পাশে দাঁড়ানো; তাদের নৈতিক, আইনি, চিকিৎসা, কাউন্সিলিং এবং পুনর্বাসনের সহায়তা দেওয়া। সমভাবে প্রয়োজন নির্যাতকদের বিচার করা।
নারীর প্রতি সহিংসতা, নির্যাতন, নিপীড়ন, যৌন হয়রানি, ধর্ষণ, এসিড নিক্ষেপ, মৌখিক হয়রানি, মানসিক নির্যাতন চূড়ান্ত বিচারে সমাজের সব নারী-পুরুষ-শিশুকে সমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এ অবস্থা কোনো সুস্থ সমাজের জন্য কাম্য নয়। আমরা দৃঢ়ভাবে এমন অবস্থার অবসান চাই। এই অনাকাঙ্ক্ষিত অবস্থার পরিবর্তনের জন্য আমাদের দাবি :
অধ্যাপক রুমানা মঞ্জুরের নিপীড়ক বর্বর স্বামীকে অবিলম্বে বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। এছাড়া এই অপরাধীকে সহায়তাদানকারীদেরও বিচারের আওতায় এনে 'অপরাধীর সহায়তাদানকারীকেও ছাড় না দেওয়ার' দৃষ্টিভঙ্গির দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। অধ্যাপক রুমানা মঞ্জুরের কন্যাসহ তার পুরো পরিবারে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি দফতর, নির্দিষ্টসংখ্যক নারীকর্মী সংবলিত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নারীকর্মীদের পারিবারিক নির্যাতনসহ যে কোনো ধরনের হয়রানি, নিপীড়নমূলক প্রকৃত বা সম্ভাব্য ঘটনায় সহায়তা ও পরামর্শ দেওয়ার মতো প্রাতিষ্ঠানিক পেশাদারি ব্যবস্থা ও নীতিমালা প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করতে হবে।
আক্রান্ত নারী ও শিশুদের সুরক্ষা প্রদান নিশ্চিত করার জন্য সরকারিভাবে হয়রানিবিহীন আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সরকারি তহবিল বরাদ্দ করতে হবে।
নারী নির্যাতন প্রতিরোধে আইনি উদ্যোগ ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম নেওয়ার জন্য দেশের প্রতিষ্ঠিত আইনি সহায়তাদানকারী সংস্থা ও নারী সংগঠনগুলোকে সরকারি কোষাগার থেকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
নারীর প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির প্রসার ঘটায় এমন ধরনের নাটক-গান-বিজ্ঞাপন-বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান প্রচার থেকে গণমাধ্যমকে বিরত হতে কঠোর সম্প্রচার নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।
মালিকানার ধরন নির্বিশেষে সব রেডিও-টিভি-সংবাদপত্রের জন্য নারী সংগঠনগুলোর নারী নির্যাতনবিরোধী জনসচেতনতামূলক নির্দিষ্ট পরিমাণ বিজ্ঞাপন নিখরচায় প্রচার করা বাধ্যতামূলক করতে হবে।
সবশেষে বলা দরকার যে, নারী নির্যাতন প্রতিরোধে আমরা সবাই ব্যক্তিগতভাবে, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারি। নারীর প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির ইতিবাচক পরিবর্তন আনার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে এক্ষেত্রে। নারীর ওপর নির্যাতন আসলে চূড়ান্ত বিচারে আমাদের সবার ওপর নির্যাতন। রুমানা মঞ্জুরের ঘটনা এ সত্যকে আমাদের সামনে স্বচ্ছ করে তুলে ধরেছে। এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে দরকার সনাতনী তথাকথিত 'সম্মান', 'পারিবারিক মর্যাদা', 'দুর্নাম' ইত্যাদি চিন্তার বাইরে উঠে নির্যাতন প্রতিরোধে সোচ্চার হওয়া, এর প্রতিবাদে মুখ খোলা, সংগঠিত হওয়া। আমাদের নীরবতা নির্যাতক-নিপীড়ককে বেড়ে উঠতে বল্গাহীন করে তোলে। আসুন, আমরা সবাই নীরবতার এই জালকে ছিন্ন করি। কেননা, সোচ্চার ও প্রতিবাদী হওয়াই আমাদের অন্যতম রক্ষাকবচ।
ওমর তারেক চৌধুরী :গবেষক
otc1960@gmail.com
No comments