সংসদ কার্যকর করুন
বিএনপিদলীয় সংসদ সদস্যরা গত মঙ্গলবার সংসদ অধিবেশনে যোগদান করেছেন। আবার কিছু সময় পর ওয়াকআউটও করেছেন। বিদ্যুৎ চমকানোর মতোই মনে হয়েছে তাঁদের এই আসা-যাওয়া। যতক্ষণই তাঁরা সংসদে ছিলেন ততক্ষণই অধিবেশন ছিল প্রাণবন্ত, ঠিক যে জিনিসটি দেশবাসীর কাম্য।
সরকারি দলের পক্ষ থেকে যেমন বলা হয়েছিল, বিরোধী দল জাতীয় সংসদে যোগদান করলে তাদের পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হবে, তার প্রমাণ মিলেছে সেদিন। বিরোধীদলীয় নেতা ঘণ্টাব্যাপী বক্তৃতা দিয়েছেন। তাঁর বক্তৃতা ছিল খুবই ঝাঁঝালো, যা একজন বিরোধীদলীয় নেতার জন্য স্বাভাবিক ঘটনা। এতে সরকারদলীয় কোনো সদস্য যদি মনঃক্ষুণ্ন হয়েও থাকেন তার পরও বলতে হবে এটাই সংসদীয় রীতি। এটাই গণতান্ত্রিক বিধান। আরো বলতে গেলে, সরকারের কর্মকাণ্ডে যেসব ভুলত্রুটি থাকে সেগুলো নিয়ে যত সমালোচনা হবে, ততই মঙ্গল। অন্তত সরকার তাদের ত্রুটিগুলো সংশোধন করার জন্য দিকনির্দেশনা পাবে। আর এই দিকনির্দেশনার প্রয়োজনেই জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের সমালোচনাকে স্বাগত জানাতে হবে। কিন্তু হঠাৎ ঝলকানির মতো তাঁরা সংসদে যোগদান করেই আবার যখন বেরিয়ে গেলেন তখন সংগত কারণেই প্রশ্ন জেগেছে, তাঁরা কি আসলেই জাতীয় সংসদকে কার্যকর রাখতে আন্তরিক? ইতিপূর্বে সরকারদলীয় সংসদ সদস্যদের অনেকেই বিরোধীদলীয় সদস্যদের সমালোচনা করতে গিয়ে বলেছেন, বিরোধী দল সংসদে যোগ দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করে না এবং তারা নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিও ভঙ্গ করছে। বিরোধী দলের এভাবে সংসদ থেকে ওয়াকআউট করে চলে আসার পর কি সেই সমালোচনাই সত্য বলে প্রমাণ হবে?
সংসদ সদস্য পদ টিকিয়ে রাখার জন্যই যদি তাঁরা সংসদে যোগ দিয়ে থাকেন, তা হবে জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক। এ বিষয়টি বিভিন্ন সময় দেশের বিভিন্ন মহল থেকেই বলা হয়েছে। কারণ এ মুহূর্তে সংসদে তাঁদের উপস্থিতি অত্যন্ত জরুরি। সরকারি দল নির্বাচনের আগে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সেগুলো তারা পূরণ করতে পারছে কি না_সেসব বিষয় একটি একটি করে ধরিয়ে দিলে তাতে যেমন তাদের নিজেদের মঙ্গল হতো, তেমনি দেশেরও কল্যাণ হতো। সরকারের জবাবদিহিতাও বেড়ে যেত। তা না হলে বিরোধীদলীয় নেতা যেভাবে বলেছেন যে একজনের নির্দেশেই সংসদ চলছে, সে কথাই যে বাস্তবায়িত হবে। এমন হলে বিরোধীদলীয় নেতাকেও তার দায় বহন করতে হবে। বিরোধীদলীয় নেতা তাঁর দীর্ঘ ভাষণে দেশে ভয়ংকর কিছু ঘটতে পারে বলে যে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, তা অত্যন্ত গুরুত্ববহ। বিরোধীদলীয় নেতা যেহেতু এমন মনে করেন কিংবা তাঁর কাছে যদি এর কোনো প্রমাণ থেকে থাকে, তাহলে এটা সংসদে আলোচনার দাবি রাখে। কারণ ভয়ংকর কিছু হলে যে তা সবার জন্যই হবে। শুধু সরকার কিংবা বিরোধী দল এককভাবে কারো জন্য হবে না।
সংসদ অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করা সংসদীয় রীতিরই অংশ। তাই বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যদের ওয়াকআউটকে অবৈধ বলার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু ওয়াকআউট যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলেই বিপত্তি। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, বাংলাদেশের সংসদ সদস্যরা বিরোধী দলে গেলেই সেই বিপত্তির কাজটি করে থাকেন। সংসদে গিয়ে কথা বলার সুযোগ না নিয়ে বরং বাইরে থেকে কথা বলার সুযোগ নেই বলে সরকারি দলকে দোষারোপ করে থাকেন। সরকারি দল ও বিরোধী দলের মধ্যে বিরোধিতা থাকবে মত ও পথের ক্ষেত্রে। কিন্তু সেই মত প্রকাশের জন্য তাঁদের অবশ্যই সংসদ অধিবেশনে যোগ দিতে হবে।
তাই আমরা এখনো আশা করি, বিরোধী দল পদ বাঁচিয়ে রাখার প্রয়োজনে নয়, কথা বলার জন্য সংসদে ফিরে যাবে। দেশের স্বার্থে সংসদকে কার্যকর রাখার জন্য তাদের যে দায়িত্ব আছে, তা-ই তারা করবে।
সংসদ সদস্য পদ টিকিয়ে রাখার জন্যই যদি তাঁরা সংসদে যোগ দিয়ে থাকেন, তা হবে জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক। এ বিষয়টি বিভিন্ন সময় দেশের বিভিন্ন মহল থেকেই বলা হয়েছে। কারণ এ মুহূর্তে সংসদে তাঁদের উপস্থিতি অত্যন্ত জরুরি। সরকারি দল নির্বাচনের আগে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সেগুলো তারা পূরণ করতে পারছে কি না_সেসব বিষয় একটি একটি করে ধরিয়ে দিলে তাতে যেমন তাদের নিজেদের মঙ্গল হতো, তেমনি দেশেরও কল্যাণ হতো। সরকারের জবাবদিহিতাও বেড়ে যেত। তা না হলে বিরোধীদলীয় নেতা যেভাবে বলেছেন যে একজনের নির্দেশেই সংসদ চলছে, সে কথাই যে বাস্তবায়িত হবে। এমন হলে বিরোধীদলীয় নেতাকেও তার দায় বহন করতে হবে। বিরোধীদলীয় নেতা তাঁর দীর্ঘ ভাষণে দেশে ভয়ংকর কিছু ঘটতে পারে বলে যে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, তা অত্যন্ত গুরুত্ববহ। বিরোধীদলীয় নেতা যেহেতু এমন মনে করেন কিংবা তাঁর কাছে যদি এর কোনো প্রমাণ থেকে থাকে, তাহলে এটা সংসদে আলোচনার দাবি রাখে। কারণ ভয়ংকর কিছু হলে যে তা সবার জন্যই হবে। শুধু সরকার কিংবা বিরোধী দল এককভাবে কারো জন্য হবে না।
সংসদ অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করা সংসদীয় রীতিরই অংশ। তাই বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যদের ওয়াকআউটকে অবৈধ বলার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু ওয়াকআউট যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলেই বিপত্তি। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, বাংলাদেশের সংসদ সদস্যরা বিরোধী দলে গেলেই সেই বিপত্তির কাজটি করে থাকেন। সংসদে গিয়ে কথা বলার সুযোগ না নিয়ে বরং বাইরে থেকে কথা বলার সুযোগ নেই বলে সরকারি দলকে দোষারোপ করে থাকেন। সরকারি দল ও বিরোধী দলের মধ্যে বিরোধিতা থাকবে মত ও পথের ক্ষেত্রে। কিন্তু সেই মত প্রকাশের জন্য তাঁদের অবশ্যই সংসদ অধিবেশনে যোগ দিতে হবে।
তাই আমরা এখনো আশা করি, বিরোধী দল পদ বাঁচিয়ে রাখার প্রয়োজনে নয়, কথা বলার জন্য সংসদে ফিরে যাবে। দেশের স্বার্থে সংসদকে কার্যকর রাখার জন্য তাদের যে দায়িত্ব আছে, তা-ই তারা করবে।
No comments