আদালতে সিআইডি কর্মকর্তার সাক্ষ্য-হামলাকারীদের নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছিলেন তারেক
গ্রেনেড হামলাকারীদের নিরাপত্তা ও নিরাপদে ঘটনাস্থল ত্যাগ করার ব্যবস্থা করা হবে বলে জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নানকে আশ্বাস দিয়েছিলেন বিএনপির নেতা তারেক রহমান। গতকাল রোববার ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে সিআইডির পরিদর্শক আবু হেনা মোহাম্মদ ইউসুফ এ তথ্য দেন।
আবু হেনা আদালতকে বলেন, তিনি রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন। ২০০৮ সালের ২৯ নভেম্বর হরকাতুল জিহাদের (হুজি) নেতা মুফতি হান্নানসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে এ-সংক্রান্ত মামলা দুটির অভিযোগপত্র দেন। এর আগে ২০০৫ সালের অক্টোবরে মুফতি হান্নানকে র্যাব গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর তাঁকে বিভিন্ন মামলায় রিমান্ডে নেন সিআইডির তৎকালীন বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন। তখন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুন্সী আতিকুর রহমান এবং আবু হেনা নিজে মুফতি হান্নানকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদে মুফতি হান্নান জানান, তিনি হুজির একজন শীর্ষ নেতা। জবানবন্দির মাধ্যমে হান্নান ২০০০ সালে টুঙ্গিপাড়ায় বোমা পুঁতে রেখে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা, সিলেটে ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী, সিলেটের মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান, সুনামগঞ্জে আওয়ামী লীগের নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ওপর গ্রেনেড হামলার কথা জানান।
মুফতি হান্নানের জবানবন্দির বরাত দিয়ে সিআইডির এই কর্মকর্তা আদালতকে বলেন, মুফতি হান্নান, মাওলানা তাজউদ্দিন ও মাওলানা আবু জান্দালদের নিয়ে তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর বাসায় গিয়ে শেখ হাসিনার সমাবেশস্থলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনা করেন।
এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী টি এম আকবর আদালতকে বলেন, সাক্ষ্য আইনের বিধান অনুযায়ী এভাবে সাক্ষ্য দিতে পারেন না। জবাবে বিচারক বলেন, এ বিষয়টি আসামিদের পক্ষে জেরা করার সময় অথবা যুক্তিতর্কের সময় আইনগত যুক্তি উপস্থাপন করার সুযোগ রয়েছে।
এরপর আবু হেনা বলেন, গ্রেনেড হামলার আগে মুফতি হান্নান হুজির অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় নেতাকর্মীকে নিয়ে তারেক রহমানের অফিস হাওয়া ভবনে যান। তাঁদের তারেক রহমান আশ্বাস দেন, যারা গ্রেনেড হামলা করবে, তাদের নিরাপত্তা দেওয়া হবে। হামলার পর ঘটনাস্থল থেকে পালানোর ব্যবস্থা করে দেওয়ারও আশ্বাস দেন তিনি। এ বিষয়ে তারেক রহমান তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকেও নির্দেশ দেন। এরপর উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই তাজউদ্দীনের কাছ থেকে মুফতি হান্নান গ্রেনেড সংগ্রহ করেন। আবু হেনা বলেন, মুফতি হান্নানের এ বক্তব্য ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার তৎকালীন তদন্ত-তদারক কর্মকর্তা রুহুর আমিন ও তদন্ত কর্মকর্তা মুন্সী আতিকুর রহমান লিপিবদ্ধ করেন।
সিআইডির পরিদর্শক আবু হেনা বলেন, তিনি রমনা বটমূলের মামলায় ২০০৬ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর মুফতি হান্নানকে রিমান্ডে নেন। জিজ্ঞাসাবাদে তখন হান্নান এসব কথা স্বীকার করেন। তখন তিনি হান্নানের কথা একটি সাদা কাগজে লেখেন এবং সিআইডির কর্মকর্তা রুহুল আমিন, মুন্সী আতিক ও সিআইডি প্রধান (অতিরিক্ত আইজিপি) খোদা বখশ চৌধুরীকে দেখান। এতে আবু হেনার ওপর এ তিন কর্মকর্তা ক্ষুব্ধ হন এবং ২১ আগস্টের ঘটনা বাদ দিয়ে জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার নির্দেশ দেন।
সাক্ষ্যে আবু হেনা বলেন, ‘রুহুল আমিন ও মুন্সী আতিক আমাকে বলেন, “গ্রেনেড হামলা মামলা আমরা তদন্ত ও তদারক করছি।” এ বিষয়ে আমার দেখার প্রয়োজন নেই। এরপর আমি মুফতি হান্নানের জবানবন্দি নেওয়ার জন্য ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে প্রেরণ করি। পরে জানতে পারি, হান্নান স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।’
ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক শাহেদ নুরউদ্দিন এ সাক্ষ্য গ্রহণ করেন এবং আগামী ৩ ও ৪ জুন আবু হেনাকে আসামিপক্ষের জেরার তারিখ ধার্য করেন। এর আগে এ মামলায় ৬১ জনের সাক্ষ্য ও জেরা শেষ হয়েছে। গতকাল রাষ্ট্রপক্ষে ৬২ নম্বর সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন আবু হেনা।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত বিশেষ এজলাসে সাক্ষ্য গ্রহণকালে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ভাগনে লে. কমান্ডার (অব.) সাইফুল ইসলাম ডিউকসহ গ্রেপ্তারে থাকা ২৬ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। জামিনে থাকা সাতজন আসামিও উপস্থিত ছিলেন। এ মামলায় তারেক রহমানসহ ১৯ জন আসামি পলাতক।
মুফতি হান্নানের জবানবন্দির বরাত দিয়ে সিআইডির এই কর্মকর্তা আদালতকে বলেন, মুফতি হান্নান, মাওলানা তাজউদ্দিন ও মাওলানা আবু জান্দালদের নিয়ে তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর বাসায় গিয়ে শেখ হাসিনার সমাবেশস্থলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনা করেন।
এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী টি এম আকবর আদালতকে বলেন, সাক্ষ্য আইনের বিধান অনুযায়ী এভাবে সাক্ষ্য দিতে পারেন না। জবাবে বিচারক বলেন, এ বিষয়টি আসামিদের পক্ষে জেরা করার সময় অথবা যুক্তিতর্কের সময় আইনগত যুক্তি উপস্থাপন করার সুযোগ রয়েছে।
এরপর আবু হেনা বলেন, গ্রেনেড হামলার আগে মুফতি হান্নান হুজির অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় নেতাকর্মীকে নিয়ে তারেক রহমানের অফিস হাওয়া ভবনে যান। তাঁদের তারেক রহমান আশ্বাস দেন, যারা গ্রেনেড হামলা করবে, তাদের নিরাপত্তা দেওয়া হবে। হামলার পর ঘটনাস্থল থেকে পালানোর ব্যবস্থা করে দেওয়ারও আশ্বাস দেন তিনি। এ বিষয়ে তারেক রহমান তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকেও নির্দেশ দেন। এরপর উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই তাজউদ্দীনের কাছ থেকে মুফতি হান্নান গ্রেনেড সংগ্রহ করেন। আবু হেনা বলেন, মুফতি হান্নানের এ বক্তব্য ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার তৎকালীন তদন্ত-তদারক কর্মকর্তা রুহুর আমিন ও তদন্ত কর্মকর্তা মুন্সী আতিকুর রহমান লিপিবদ্ধ করেন।
সিআইডির পরিদর্শক আবু হেনা বলেন, তিনি রমনা বটমূলের মামলায় ২০০৬ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর মুফতি হান্নানকে রিমান্ডে নেন। জিজ্ঞাসাবাদে তখন হান্নান এসব কথা স্বীকার করেন। তখন তিনি হান্নানের কথা একটি সাদা কাগজে লেখেন এবং সিআইডির কর্মকর্তা রুহুল আমিন, মুন্সী আতিক ও সিআইডি প্রধান (অতিরিক্ত আইজিপি) খোদা বখশ চৌধুরীকে দেখান। এতে আবু হেনার ওপর এ তিন কর্মকর্তা ক্ষুব্ধ হন এবং ২১ আগস্টের ঘটনা বাদ দিয়ে জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার নির্দেশ দেন।
সাক্ষ্যে আবু হেনা বলেন, ‘রুহুল আমিন ও মুন্সী আতিক আমাকে বলেন, “গ্রেনেড হামলা মামলা আমরা তদন্ত ও তদারক করছি।” এ বিষয়ে আমার দেখার প্রয়োজন নেই। এরপর আমি মুফতি হান্নানের জবানবন্দি নেওয়ার জন্য ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে প্রেরণ করি। পরে জানতে পারি, হান্নান স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।’
ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক শাহেদ নুরউদ্দিন এ সাক্ষ্য গ্রহণ করেন এবং আগামী ৩ ও ৪ জুন আবু হেনাকে আসামিপক্ষের জেরার তারিখ ধার্য করেন। এর আগে এ মামলায় ৬১ জনের সাক্ষ্য ও জেরা শেষ হয়েছে। গতকাল রাষ্ট্রপক্ষে ৬২ নম্বর সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন আবু হেনা।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত বিশেষ এজলাসে সাক্ষ্য গ্রহণকালে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ভাগনে লে. কমান্ডার (অব.) সাইফুল ইসলাম ডিউকসহ গ্রেপ্তারে থাকা ২৬ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। জামিনে থাকা সাতজন আসামিও উপস্থিত ছিলেন। এ মামলায় তারেক রহমানসহ ১৯ জন আসামি পলাতক।
No comments