বিশেষ সাক্ষাৎকার : ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা-নির্বাচন স্বচ্ছ হলে সরকার পদ্ধতি কোনো বিষয় নয়

চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে করণীয়, প্রধানমন্ত্রীকে সংলাপের আহ্বান জানানোর জন্য বিরোধীদলীয় নেতাকে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া, বিরোধীদলীয় আন্দোলনে জামায়াতের ভূমিকা ও প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে কালের কণ্ঠের সঙ্গে কথা বলেছেন বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা।


সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছেন মোস্তফা হোসেইন
কালের কণ্ঠ : দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় রাজনীতিতে যুক্ত আছেন আপনি। অনেক ক্রান্তিকাল উত্তরণেও আপনার ভূমিকা আছে। চলমান রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণের পথ কী হতে পারে বলে আপনি মনে করেন?
নাজমুল হুদা : রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টির বিভিন্ন কারণ আছে। সবক্ষেত্রে দলীয়করণ একটি সমস্যা। দলীয়করণের কারণে প্রতিপক্ষ বঞ্চিত হচ্ছে। অসহিষ্ণু পর্যায়ে চলে যায় বলে সেখানে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তারপর আছে স্বজনপ্রীতি। ক্ষমতার লোভও একটা কারণ। রাজনীতির একটি লক্ষ্য ক্ষমতা হলেও এই লক্ষ্য অর্জনে অনাকাঙ্ক্ষিত পন্থা অবলম্বন রাজনৈতিক সংকট তৈরি করে। গণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতায় আসার ব্যাপারে যদি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতৈক্য তৈরি হয় তাহলে সংকট বাড়বে না। এটা রীতি হওয়া উচিত। নির্বাচিত দল ক্ষমতায় আসবে পাঁচ বছরের জন্য। তাকে সেই সময় দেওয়া উচিত। তা না করে আন্দোলনের মাধ্যমে তাকে সরিয়ে দেওয়ার মানসিকতা দূর করা প্রয়োজন। বিশ্বের সবখানেই সরকারি দল বিরোধী দলের মধ্যে নূ্যনতম ইস্যুতে এক ধরনের বোঝাপড়া থাকে। এখানে নেই। এখানে দুই নেত্রীর হাতে ক্ষমতা নিরঙ্কুশ হওয়ার কারণে সংকট তৈরি হচ্ছে। আমি মনে করি, সব কিছুরই সমাধান সম্ভব। এর জন্য দুই পক্ষকে নমনীয় হতে হবে। সমঝোতার মানসিকতা থাকতে হবে। এর জন্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন সংলাপ। দুই নেত্রীর মানসিকতার পরিবর্তন হলে গোটা রাজনৈতিক পরিস্থিতি পাল্টে যাবে; কারণ তাঁরা শুধু দুটি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তা নয়_তাঁরা দুটি জোটেরও নেতৃত্ব দিচ্ছেন। মনে রাখা প্রয়োজন, রাজনীতি শুধু মাঠ-ময়দান গরম করার বিষয় নয়, আলোচনার টেবিলই এখনকার সংকট মোচনের প্রধান পথ।
কালের কণ্ঠ : নির্বাচন নিয়ে কোনো সংকট তৈরি হচ্ছে কি?
নাজমুল হুদা : নির্বাচনও রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়ায়। কিন্তু গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আমাদের নির্বাচনে যেতেই হবে। কারণ নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ থেকে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়। আমি এ ব্যাপারে স্পষ্ট মতামত দিয়েছি। বলেছি, ১৮ বছর বয়স হওয়ার পর প্রত্যেকের পাসপোর্ট হবে। সেই পাসপোর্টে কয়েকটি পাতা থাকবে, যা নির্বাচনী কাজে ব্যবহৃত হবে। পাসপোর্ট দেখিয়ে নাগরিকরা ভোট দেবে। সেই পাতায় নির্বাচনী কর্মকর্তা সিল-স্বাক্ষর দেবেন। এতে ব্যালট বাঙ্ ছিনতাইয়ের আশঙ্কা কেটে যাবে। কারচুপিও কমে যাবে।
কালের কণ্ঠ : জাতীয় কোনো সমস্যা সমাধানে পরামর্শের প্রয়োজন হলে সরকারের পক্ষ থেকে বিরোধী দলকে সংলাপে আহ্বান জানানো হবে_এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আপনি বিরোধী দলের নেতার কাছে দাবি জানালেন সংলাপের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আহ্বান জানাতে_এটা কেন?
নাজমুল হুদা : সংলাপের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উচিত ছিল বিরোধী দলকে আহ্বান জানানো। যেহেতু আমি একটি দল করি তাই আমার নেত্রীর কাছেই প্রথম দাবি জানাব। আমি বলছি, উনি যেহেতু ডাকেননি তাই আপনি ডাকুন। এর ফলে সহিংসতা কমে যাবে। প্রধানমন্ত্রী যদি ডাকে সাড়া দেন তাহলে সংঘাতময় পরিস্থিতি কেটে যাবে। যদি তিনি ডাক না শোনেন তাহলেও আমার নেত্রীরই জয় হবে।
কালের কণ্ঠ : সংলাপের আলোচ্যসূচি, কর্ম-পরিকল্পনা কী হতে পারে?
নাজমুল হুদা : আমি কয়েকটি প্রস্তাব দিয়েছি_রাজবন্দিদের মুক্তি দিতে হবে, ১/১১ পরবর্তীকালে যে মামলাগুলো হয়েছে সেগুলো প্রত্যাহার করতে হবে, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য কেয়ারটেকার গভর্নমেন্ট ব্যবস্থা চালু করতে হবে, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং প্রাকৃতিক সম্পদ ও জনসম্পদ রক্ষা করতে হবে।
কালের কণ্ঠ : সংলাপে বসলেই কি হরতালের মতো জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী কর্মসূচি থেকে বিরোধী দল ফিরে আসবে বলে আপনি মনে করেন?
নাজমুল হুদা : ক্ষমতায় গেলে আমরা হরতালের বিরুদ্ধে কথা বলি। বিরোধী দলে গেলে সেই হরতালকেই অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করি। হরতালের ব্যবহার নিয়ে সব দলের একটি সমাধানে পেঁৗছানো দরকার। হরতাল আইন করে বন্ধ করা যাবে না। এটা ঠিক হবে না। তবে দলগুলো মতৈক্যে পেঁৗছাতে পারে যে এখন থেকে কোনো হরতালে আর পিকেটিং করা যাবে না। হরতাল যদি স্বতঃস্ফূর্ত হয় তাহলে বল প্রয়োগ হবে কেন? যখনই পিকেটিং হয় তখনই বল প্রয়োগ হয়। হরতালের স্পিরিট নষ্ট হয়ে যায়। ছাত্র রাজনীতি নিয়েও কথা হতে পারে। আসলে চলমান সংকটগুলো নিয়ে উভয় পক্ষ আলোচনায় বসলে সবই সমাধান করা সম্ভব।
কালের কণ্ঠ : বিরোধী দল বলছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রশ্নে তারা সংলাপে বসতে রাজি। সরকারের জবাব_না। এমন পরিস্থিতিতে আপনার প্রস্তাব কি তারা মেনে নেবে?
নাজমুল হুদা : জনগণই হচ্ছে ক্ষমতার উৎস। জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটে মূলত জনপ্রতিনিধিদের প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমে। তারা কী চায় সেদিকে নজর দিতে হবে। দলীয় প্রভাবমুক্ত নির্বাচন হলেই নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই সত্যটি আমাদের মেনে নেওয়া উচিত।
কালের কণ্ঠ : দলীয় ফোরামে কি আপনি এ প্রস্তাব রেখেছিলেন?
নাজমুল হুদা : দলীয় ফোরামে প্রস্তাব রাখা হয়নি। দলীয়ভাবে আমার অবস্থান বিবেচ্য। আমি তো স্ট্যান্ডিং কমিটিতে নেই। ম্যাডাম আমাকে ভালো জায়গায় রাখেননি। তবে ম্যাডামের সঙ্গে একান্ত আলোচনা হয়েছে আমার। তিনি আমাকে সেই সুযোগ দেন। তবে কথা বলার পর যদি কথার কোনো মূল্যায়ন না হয় তাহলে সেই কথা না বলাই ভালো। তাই জাতীয়ভাবেই আমি আমার কথা প্রকাশ করেছি। আমি আবারও বলছি, দুই নেত্রীর নূ্যনতম বিষয়ে যদি ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহলে আমরা অনেক সমস্যা সমাধানে সফল হব।
কালের কণ্ঠ : বিরোধী দলের আন্দোলনে, বিশেষ করে হরতাল কর্মসূচিতে বিএনপি সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আপনাকে তেমন দেখা যায়নি কেন?
নাজমুল হুদা : অনেক কিছুই আমার বিশ্বাসের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। আমার অবস্থানও চিন্তা করতে হবে। নেত্রী আমাকে মূল্যায়ন করেন। যখনই ক্যাবিনেট গঠিত হয়েছে আমাকে সেখানে স্থান দিয়েছেন। আমি তার আগে কেয়ারটেকার সরকার নিয়ে জোরালো বক্তব্য দিয়েছিলাম। দলীয় অবস্থান সম্পর্কে আপনারা জানেন। এত কিছুর পরও ম্যাডাম আমাকে ক্যাবিনেটে স্থান দিয়েছিলেন। কিন্তু একটা জিনিস দেখতে হবে। আমি যদি কথা বলি আর সেই কথা যদি মূল্যায়ন না করা হয় তাহলে সেখানে আমার কথা বলার কোনো যুক্তি আছে কি?
কালের কণ্ঠ : গুম, অপহরণ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির মতো ঘটনা নিরসনে কী করণীয় বলে মনে করেন?
নাজমুল হুদা : এখন তো আইনের শাসন নেই। আইনকেই শাসন করা হচ্ছে। ক্রসফায়ার করা হচ্ছে, গুম হচ্ছে_সবই তো অপরাধমূলক কাজ। অন্যদিকে আমাদের এখানে যে আইন আছে তাও কিন্তু সঠিকভাবে প্রয়োগ হচ্ছে না। যদি প্রচলিত আইন যথার্থ না হয়, তাহলে নতুন আইন করা দরকার। প্রয়োজনে মৃত্যুদণ্ড আরো আইনে সংযোজন করা হোক।
কালের কণ্ঠ : আপনি বলেছেন, ৫ জুনের মধ্যে আপনার দাবি অনুযায়ী বিরোধীদলীয় নেতা সংলাপের আহ্বান না জানালে আপনি রাজনীতিও ত্যাগ করবেন। রাজনীতি ছেড়ে দিয়ে কি রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানে আপনি ভূমিকা রাখতে পারবেন?
নাজমুল হুদা : আমার চেষ্টা আমি করতে থাকব। তবে যে দলের সঙ্গে বিশ্বাসের সংগতি নেই তার সঙ্গে থাকা না থাকার মধ্যে পার্থক্য কী? হরতাল, জ্বালাও-পোড়াও চলতে থাকলে সেখানে থাকব কিভাবে? তবে আমি বিশ্বাস করি, আমার নেত্রী আমাকে মূল্যায়ন করবেন। আমি মনে করি, তিনি তেমন কোনো পদক্ষেপ নেবেন না। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে আহ্বান জানাবেন। প্রধানমন্ত্রীকে আহ্বান জানালে আমার নেত্রীর অবস্থান আরো অনেক ওপরে চলে যাবে। তবে আমি তো মানবাধিকার নিয়ে কাজ করি। কিছু যদি হয়ে যায় তাহলে আমি মানবাধিকার নিয়ে কাজ চালিয়ে যাব।
কালের কণ্ঠ : দলীয় ফোরামের বাইরে এসে আপনার এই প্রস্তাব দেওয়াকে কি দলের ভেতরে মত প্রকাশের সুযোগ না থাকার বিষয়টি প্রমাণ করে না?
নাজমুল হুদা : ভেতরে প্রকাশ করলেও লাভ হবে না। এটা আমার অনুভূতি। কারণ দলের ভেতরে মত প্রকাশ করতে হলে তো আগে আমাকে দলে থাকতে হবে। আমি স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য নই। ম্যাডামকে আমি বলেছি। আমি বলেছি, গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে সিসিটিভির ব্যবস্থা করতে হবে। পাসপোর্টকে ভোটার আইডি কার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। আমার দাবিগুলো যৌক্তিক। দুটো দাবিই পূরণ হোক, আমি তাই চাই।
কালের কণ্ঠ : আপনি কি মনে করেন আপনার এই মতের সঙ্গে আপনার দলীয় আরো নেতা-কর্মী সহমত পোষণ করবেন? যদি তেমন কেউ থাকেন তাহলে তাঁর কিংবা তাঁদের সঙ্গে কি আপনি পরামর্শ করেছিলেন?
নাজমুল হুদা : আমার মতের সঙ্গে কেউ সহমত পোষণ করেন কি না সেটা আমি জানি না। দলের মধ্যে পরশ্রীকাতরতা আছে। আমি অনেক সময় দলের ভেতরে কথা বলেও দেখেছি। মান্নান ভূঁইয়া সাহেব ছিলেন। অনেক সময় গঠনমূলক কোনো কথা বললেও মানতে চাইতেন না। সেখানে কথা বললে একজনের বলা হয়। জাতীয়ভাবে বললে এর ফল অন্য রকম হতে পারে। আরেকটা বিষয় ভোটগ্রহণ এবং ভোট গণনা যদি স্বচ্ছ হয় তাহলে সরকার কোন পদ্ধতির তা মূল বিষয় হতে পারে না।
কালের কণ্ঠ : বিএনপির রাজনীতিতে আপনার দীর্ঘকালের অবদান আছে; কিন্তু একসময় আপনাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। কিন্তু দলে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয়নি আপনাকে। এ ক্ষোভ থেকেই কী আপনার বর্তমান এ অবস্থান?
নাজমুল হুদা : বিএনপি প্রতিষ্ঠা লাভ করে আমাদের নেতা জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে। প্রথম যে ৯ জন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন আমি তাঁদের একজন। আমি ছিলাম প্রথম স্ট্যান্ডিং কমিটিরও সদস্য। সুতরাং দল গঠন থেকে দলের অবস্থা দৃঢ়তর হওয়ার পেছনে কাজ করার সুযোগ হয়েছে আমার। আজকে আমি প্রস্তাব পেশ করলাম কেন এটা বড় কথা নয়। প্রশ্ন হচ্ছে আমার প্রস্তাব ভালো কি না। আর এ প্রস্তাব তো আমার স্বার্থ বিসর্জন দিয়েই করেছি। আমি সদস্যপদ হারানোর ঝুঁকি নিয়েই তো প্রস্তাবটা উত্থাপন করেছি।
কালের কণ্ঠ : আবারও মাইনাস টু বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এমন কোনো লক্ষণ কি দেখতে পাচ্ছেন?
নাজমুল হুদা : মাইনাস টু একটা ক্ষেত্র থেকে আসে। আমার নেতা জিয়াউর রহমানও সেই রোল প্লে করেছেন। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য তিনি তা করেছিলেন। আর এটা তো সাময়িক ঘটনা। এ ধরনের ঘটনা ঘটে সাধারণত দেশে অস্থিরতা বিরাজ করলে। সে জন্যই অনেকে বলে থাকতে পারেন।
কালের কণ্ঠ : আপনার দল, দেশি রাজনৈতিক সমস্যা নিয়ে অভিযোগ উত্থাপন করেছেন বিদেশি কূটনীতিকদের আমন্ত্রণ জানিয়ে। বাংলাদেশের এই রীতিকে আপনি কিভাবে মূল্যায়ন করেন?
নাজমুল হুদা : একদমই সঠিক মনে করি না। বিদেশিদের প্রভু ভাবব কেন? তারা আমাদের বন্ধু হতে পারে। আমাদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে তারা আমাদের সহযোগী। তবে আরেকটা বিষয়, বিদেশিরা আমাদের এখানে উন্নয়নের জন্য যে অর্থ ব্যয় করে সেই অর্থ তাদের দেশের জনগণের টাকা। সেই জনগণ যখন জানতে পারে তাদের টাকা যে দেশে ব্যয় হচ্ছে সেখানে গুম, হত্যাকাণ্ড চলে, তখন স্বাভাবিকভাবেই আমাদের বিষয়টি নিয়েও তাদের চিন্তা করতে হয়। তবে প্রশ্ন উত্থাপন করলে তা হবে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তাদের হস্তক্ষেপ।
কালের কণ্ঠ : বিএনপির দীর্ঘদিনের সঙ্গী জামায়াতকে ১৮ দলীয় জোটের আন্দোলনে তেমন সক্রিয় দেখা যাচ্ছে না। শুধু তাই নয়, জোটগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে ৩৩ নেতা আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন। জামায়াত সেখানেও নেই। কিভাবে মূল্যায়ন করবেন এই দূরত্বকে?
নাজমুল হুদা : জামায়াত কিছু নেতার মতো। তারা যেখানে সুবিধা পাবে সেখানেই যাবে। তারা সুবিধা পাওয়ার জন্য বিএনপিতে গেছে। একসময় আওয়ামী লীগে গেছে। সুযোগের সন্ধানে থাকা জামায়াত এখন আবার কী করে বসে কে জানে।
কালের কণ্ঠ : আপনাকে ধন্যবাদ।
নাজমুল হুদা : আপনাকেও ধন্যবাদ।

No comments

Powered by Blogger.