১৮ দলীয় জোটের নতুন কর্মসূচি
দেশব্যাপী ১৪ দিনের গণসংযোগের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট। আজ ২৮ মে থেকে ১০ জুন পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে। এরপর ১১ জুন ঢাকার সমাবেশ থেকে আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া।
গতকাল রবিবার নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, 'আমি দিব্যি দেখতে পাচ্ছি, প্রধানমন্ত্রী অচিরেই নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবি মানতে বাধ্য হয়েছেন।'
গতকাল বিকেলে বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। নিখোঁজ নেতা ইলিয়াস আলীর সন্ধান, বিদ্যুৎ-গ্যাস-পানি সমস্যার সমাধান, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ; আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, দুর্নীতির অবসান এবং আটক নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে তাঁদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে গণসংযোগের এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে পূর্বঘোষিত দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচির অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয়ভাবে এই বিক্ষোভ সমাবেশ হয়।
মওদুদ আহমদ বলেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে মনে হচ্ছে, তিনি তা মানতে রাজি নন। ১০ জুনের মধ্যে সরকার গণদাবি না মানলে ১১ জুন ঢাকার সমাবেশ থেকে খালেদা জিয়া আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দেবেন।
নেতাদের মামলার জামিনের বিষয়ে মওদুদ আহমদ বলেন, 'আজ হাইকোর্ট পাঁচজন সংসদ সদস্যকে জামিন দিয়েছেন। আশা করা যায়, আগামীকাল তাঁরা আমাদের মধ্যে ফিরে আসবেন। ইনশাআল্লাহ, আগামী সপ্তাহে আমাদের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বাকি নেতাদেরও মুক্ত দেখতে পারবেন। আইনি লড়াই ও রাজপথের আন্দোলন একসঙ্গে চলবে।'
আওয়ামী লীগের অধীনেই আগামী নির্বাচন হবে_প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের জবাবে মওদুদ আহমদ বলেন, গতকাল প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তাঁর অধীনেই নির্বাচন হবে। আজ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলছেন, বিরোধী দল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা দিলে তা নিয়ে আলোচনা করতে আমরা প্রস্তুত। এ থেকে বোঝা যায়, সরকারের মধ্যে কোনো সমন্বয় নেই।' প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, 'যত কথাই বলুন, আপনাকে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবি মানতেই হবে। এই বিষয়ে আপনাকে আপস করতেই হবে। প্রধানমন্ত্রীকে একদিন জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে অথবা সংসদে ঘোষণা দিতে হবে, আগামী নির্বাচন নির্দলীয় সরকারের অধীনেই হবে।' সাবেক আইনমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।
মহানগর বিএনপির সদস্য আবদুস সালামের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, সহসভাপতি আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সেলিমা রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মিজানুর রহমান মিনু, বরকতউল্লা বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, প্রচার সম্পাদক জয়নুল আবদিন ফারুক, যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মহিলা দল সভানেত্রী নুরে আরা সাফা, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুনীর হোসেন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলী রেজাউর রহমান রিপন, ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শহীদুল ইসলাম বাবুল, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক রয়েল প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সমাবেশে ১৮ দলীয় জোটের মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, কর্মপরিষদের সদস্য হামিদুর রহমান আযাদ, মিয়া গোলাম পরওয়ার, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব আবদুল লতিফ নেজামী, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির মহাসচিব শামীম আল মামুন, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, লেবার পার্টির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এনডিপির মহাসচিব আলমগীর মজুমদার, জাগপা সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার লুৎফর রহমান, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব এম এ রশিদ প্রধান, এনপিপির মহাসচিব ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ন্যাপ মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া প্রমুখ বক্তব্য দেন।
'জেলে রেখে আলোচনা হতে পারে না' : এদিকে গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে হোমনা উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠন আয়োজিত মানববন্ধনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, 'নেতাদের জেলে চিকিৎসা না দিয়ে আটক রাখবেন, আবার আলোচনার জন্য কথা বলবেন। এটি আলোচনার পরিবেশ হতে পারে না।'
বিএনপি নেতা এম কে আনোয়ারসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের মুক্তির দাবিতে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। হোমনা উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতা মাহফুজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহস্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন, হোমনা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান, হোমনা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শেফালি আক্তার প্রমুখ।
গতকাল বিকেলে বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। নিখোঁজ নেতা ইলিয়াস আলীর সন্ধান, বিদ্যুৎ-গ্যাস-পানি সমস্যার সমাধান, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ; আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, দুর্নীতির অবসান এবং আটক নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে তাঁদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে গণসংযোগের এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে পূর্বঘোষিত দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচির অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয়ভাবে এই বিক্ষোভ সমাবেশ হয়।
মওদুদ আহমদ বলেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে মনে হচ্ছে, তিনি তা মানতে রাজি নন। ১০ জুনের মধ্যে সরকার গণদাবি না মানলে ১১ জুন ঢাকার সমাবেশ থেকে খালেদা জিয়া আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দেবেন।
নেতাদের মামলার জামিনের বিষয়ে মওদুদ আহমদ বলেন, 'আজ হাইকোর্ট পাঁচজন সংসদ সদস্যকে জামিন দিয়েছেন। আশা করা যায়, আগামীকাল তাঁরা আমাদের মধ্যে ফিরে আসবেন। ইনশাআল্লাহ, আগামী সপ্তাহে আমাদের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বাকি নেতাদেরও মুক্ত দেখতে পারবেন। আইনি লড়াই ও রাজপথের আন্দোলন একসঙ্গে চলবে।'
আওয়ামী লীগের অধীনেই আগামী নির্বাচন হবে_প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের জবাবে মওদুদ আহমদ বলেন, গতকাল প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তাঁর অধীনেই নির্বাচন হবে। আজ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলছেন, বিরোধী দল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা দিলে তা নিয়ে আলোচনা করতে আমরা প্রস্তুত। এ থেকে বোঝা যায়, সরকারের মধ্যে কোনো সমন্বয় নেই।' প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, 'যত কথাই বলুন, আপনাকে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবি মানতেই হবে। এই বিষয়ে আপনাকে আপস করতেই হবে। প্রধানমন্ত্রীকে একদিন জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে অথবা সংসদে ঘোষণা দিতে হবে, আগামী নির্বাচন নির্দলীয় সরকারের অধীনেই হবে।' সাবেক আইনমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।
মহানগর বিএনপির সদস্য আবদুস সালামের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, সহসভাপতি আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সেলিমা রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মিজানুর রহমান মিনু, বরকতউল্লা বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, প্রচার সম্পাদক জয়নুল আবদিন ফারুক, যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মহিলা দল সভানেত্রী নুরে আরা সাফা, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুনীর হোসেন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলী রেজাউর রহমান রিপন, ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শহীদুল ইসলাম বাবুল, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক রয়েল প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সমাবেশে ১৮ দলীয় জোটের মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, কর্মপরিষদের সদস্য হামিদুর রহমান আযাদ, মিয়া গোলাম পরওয়ার, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব আবদুল লতিফ নেজামী, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির মহাসচিব শামীম আল মামুন, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, লেবার পার্টির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এনডিপির মহাসচিব আলমগীর মজুমদার, জাগপা সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার লুৎফর রহমান, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব এম এ রশিদ প্রধান, এনপিপির মহাসচিব ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ন্যাপ মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া প্রমুখ বক্তব্য দেন।
'জেলে রেখে আলোচনা হতে পারে না' : এদিকে গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে হোমনা উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠন আয়োজিত মানববন্ধনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, 'নেতাদের জেলে চিকিৎসা না দিয়ে আটক রাখবেন, আবার আলোচনার জন্য কথা বলবেন। এটি আলোচনার পরিবেশ হতে পারে না।'
বিএনপি নেতা এম কে আনোয়ারসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের মুক্তির দাবিতে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। হোমনা উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতা মাহফুজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহস্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন, হোমনা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান, হোমনা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শেফালি আক্তার প্রমুখ।
No comments