তরুণদের উদ্যম ও মেধাকে দেশ গঠনে ব্যবহারের পরিকল্পনা চাই-‘বাংলাদেশ: আগামী প্রজন্ম’ শীর্ষক জরিপ
জাতীয় আশার প্রাণভোমরা যে আমাদের তারুণ্য, সেই সত্য আবারও উঠে এল ব্রিটিশ কাউন্সিলের এক জরিপে। তরুণেরাই যে উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সম্ভাবনার উপযুক্ত বাহন, ‘বাংলাদেশ: আগামী প্রজন্ম’ শীর্ষক এই জরিপ তার সাক্ষ্য দিচ্ছে। জরিপে ৮৮ শতাংশ তরুণ জানিয়েছে, তারা সুখী, ৯৮ শতাংশ তরুণ সমাজসেবায় যুক্ত হতে চায়।
৩০ শতাংশ এখনই এলাকার সেবামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত এবং এই তরুণদের ৬৪ শতাংশই মনে করে, আগামী পাঁচ বছরে দেশ মৌলবাদী হওয়ার আশঙ্কা নেই। একই সঙ্গে তারা আগামী পাঁচ বছরে দুর্নীতি বাড়ার আশঙ্কাও ব্যক্ত করেছে।
বাংলাদেশের জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশই হলো তরুণ। অর্থাৎ সাড়ে পাঁচ কোটি তরুণ-তরুণীর এক বিরাট জনশক্তি বাংলাদেশের রয়েছে। কিন্তু বড় আকারে যাদের উপস্থিতি, প্রায়ই তাদের চিন্তাভাবনা, আশা-আকাঙ্ক্ষা ও সংকল্পের খবর নেওয়া হয় না। সরকারিভাবে তরুণদের নিয়ে নানা উদ্যোগ থাকলেও প্রশিক্ষিত করার দিকটি ছাড়া তাদের উদ্যম ও মেধাকে আশ্রয় করে জাতীয় আলোড়ন সৃষ্টির কোনো পরিকল্পনা চোখে পড়ে না। ব্রিটিশ কাউন্সিল পরিচালিত এই জরিপ এ কারণেই গুরুত্বপূর্ণ যে তা তরুণদের চিন্তা ও মানসিকতার ওপর আলো ফেলেছে। প্রচলিত অর্থে এটি সার্বিক জাতীয় জরিপ না হলেও জরিপের তথ্যকে প্রকৃত অবস্থার প্রতিফলন হিসেবে মানতে কোনো অসুবিধা নেই।
লক্ষণীয় যে সুখী হওয়া কিংবা সমাজসেবার প্রতি আগ্রহ এবং মৌলবাদের বিরুদ্ধে অবস্থানের বিচারে আমাদের তরুণেরা একটি সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক দেশ গঠনের যোগ্যতা ধারণ করে।
তরুণদের মনোভাবের আরেকটি লক্ষণ হিসেবে এই জরিপ বলছে, ৭৪ শতাংশ তরুণ রাজনীতিতে আগ্রহী নয়, ৩৬ শতাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্ররাজনীতির কুপ্রভাব নিয়ে সচেতন এবং ২৫ শতাংশ মনে করে, ছাত্ররাজনীতি দলীয় প্রভাবমুক্ত হওয়া উচিত। রাজনীতির প্রতি এই নেতিবাচক মনোভাব এ কারণে ইতিবাচক যে অধিকাংশ তরুণের মধ্যে সন্ত্রাস, দলাদলি, লেজুড়বৃত্তিবিরোধী গণতান্ত্রিক চেতনা বিদ্যমান। এখন প্রয়োজন রাজনীতির এই গণবিরোধী ধারার জায়গায় সুস্থ ধারার রাজনীতিকে এগিয়ে নেওয়ায় এই তরুণদের সম্পৃক্ত করার পদক্ষেপ নেওয়া। যে তরুণেরা সচেতন এবং দায়িত্বশীল হতে চায়, তারা বিরাট সামাজিক শক্তি হিসেবে দেশকে বদলে দেওয়ায় বিপুল প্রভাব ফেলতে সক্ষম। এদের জাতীয় উন্নতিতে জড়িত করার দায়িত্ব দেশের নীতিনির্ধারক ও শুভবোধসম্পন্ন রাজনীতিবিদদের। তাঁরা যেন সেই দায়িত্ব না ভোলেন।
বাংলাদেশের জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশই হলো তরুণ। অর্থাৎ সাড়ে পাঁচ কোটি তরুণ-তরুণীর এক বিরাট জনশক্তি বাংলাদেশের রয়েছে। কিন্তু বড় আকারে যাদের উপস্থিতি, প্রায়ই তাদের চিন্তাভাবনা, আশা-আকাঙ্ক্ষা ও সংকল্পের খবর নেওয়া হয় না। সরকারিভাবে তরুণদের নিয়ে নানা উদ্যোগ থাকলেও প্রশিক্ষিত করার দিকটি ছাড়া তাদের উদ্যম ও মেধাকে আশ্রয় করে জাতীয় আলোড়ন সৃষ্টির কোনো পরিকল্পনা চোখে পড়ে না। ব্রিটিশ কাউন্সিল পরিচালিত এই জরিপ এ কারণেই গুরুত্বপূর্ণ যে তা তরুণদের চিন্তা ও মানসিকতার ওপর আলো ফেলেছে। প্রচলিত অর্থে এটি সার্বিক জাতীয় জরিপ না হলেও জরিপের তথ্যকে প্রকৃত অবস্থার প্রতিফলন হিসেবে মানতে কোনো অসুবিধা নেই।
লক্ষণীয় যে সুখী হওয়া কিংবা সমাজসেবার প্রতি আগ্রহ এবং মৌলবাদের বিরুদ্ধে অবস্থানের বিচারে আমাদের তরুণেরা একটি সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক দেশ গঠনের যোগ্যতা ধারণ করে।
তরুণদের মনোভাবের আরেকটি লক্ষণ হিসেবে এই জরিপ বলছে, ৭৪ শতাংশ তরুণ রাজনীতিতে আগ্রহী নয়, ৩৬ শতাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্ররাজনীতির কুপ্রভাব নিয়ে সচেতন এবং ২৫ শতাংশ মনে করে, ছাত্ররাজনীতি দলীয় প্রভাবমুক্ত হওয়া উচিত। রাজনীতির প্রতি এই নেতিবাচক মনোভাব এ কারণে ইতিবাচক যে অধিকাংশ তরুণের মধ্যে সন্ত্রাস, দলাদলি, লেজুড়বৃত্তিবিরোধী গণতান্ত্রিক চেতনা বিদ্যমান। এখন প্রয়োজন রাজনীতির এই গণবিরোধী ধারার জায়গায় সুস্থ ধারার রাজনীতিকে এগিয়ে নেওয়ায় এই তরুণদের সম্পৃক্ত করার পদক্ষেপ নেওয়া। যে তরুণেরা সচেতন এবং দায়িত্বশীল হতে চায়, তারা বিরাট সামাজিক শক্তি হিসেবে দেশকে বদলে দেওয়ায় বিপুল প্রভাব ফেলতে সক্ষম। এদের জাতীয় উন্নতিতে জড়িত করার দায়িত্ব দেশের নীতিনির্ধারক ও শুভবোধসম্পন্ন রাজনীতিবিদদের। তাঁরা যেন সেই দায়িত্ব না ভোলেন।
No comments