এবার ওয়াসফিয়া নাজরীন-এভারেস্ট চূড়ায় আবার বাংলাদেশের পতাকা
আবার। আরো একবার এভারেস্ট চূড়ায় বাংলাদেশের পতাকা ওড়ালেন আরেক বাংলাদেশি নারী। নিশাত মজুমদারের এভারেস্ট জয়ের এক সপ্তাহ পরই এভারেস্ট চূড়ায় পা রাখলেন ওয়াসফিয়া নাজরীন। মূসা ইব্রাহীম, এম এ মুহিত, নিশাত মজুমদারের পর চতুর্থ বাংলাদেশি এবং দ্বিতীয় নারী নাজরীন বাংলাদেশকে আবারও পেঁৗছে দিলেন এভারেস্ট উচ্চতায়।
হিমালয় পর্বতশৃঙ্গে প্রথম মানুষের পদচিহ্ন পড়েছিল ১৯৫৩ সালের ২৯ মে। নিউজিল্যান্ডের স্যার এডমন্ড হিলারি ও নেপালের শেরপা তেনজিং নোরগে প্রথম এভারেস্ট শৃঙ্গ জয় করেছিলেন। নেপালি ভাষায় যে পর্বতের নাম সাগগর মাথা বা আকাশের দেবী, তিব্বতি ভাষায় চোমোলুংমা বা মহাবিশ্বের দেবী মা, সেই এভারেস্ট শৃঙ্গের নামকরণ করা হয়েছে ভারতের ব্রিটিশ সার্ভেয়ার জেনারেল স্যার জর্জ এভারেস্টের নামে। তিনিই প্রথম এই পর্বতশৃঙ্গের অবস্থান নির্ণয় করেছিলেন। মেপেছিলেন এর উচ্চতা। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৯ হাজার ৩৫ ফুট উচ্চতার পর্বতশৃঙ্গে আজ বাংলাদেশের নারী। এভারেস্ট যাত্রা মোটেও সহজ কোনো ব্যাপার নয়। কঠিন পরীক্ষার মখোমুখি হতে হয় পর্বতারোহীদের। বাংলাদেশের এভারেস্ট বিজয়ী দ্বিতীয় নারী ওয়াসফিয়া নাজরীনকেও পাড়ি দিতে হয়েছে বিপদসংকুল পথ। এভারেস্টের পথে পদে পদে মৃত্যুর হাতছানি থাকে। বিপদে পড়তে হয়েছে নাজরীনকেও। ২৬ মার্চ এভারেস্ট যাত্রা শুরু করলেও অনেকবার বিপদে পড়তে হয়েছে তাঁকে। রশি বাঁধতে গিয়ে শেরপারা আহত হয়েছেন। প্রচণ্ড ঝড়ের মধ্যে পড়তে হয়েছে তাঁকে। কিন্তু পিছিয়ে আসেননি তিনি। অদম্য সাহস নিয়ে এগিয়ে গেছেন। বাঙালি নারীর শক্তি ও সাহস প্রমাণ করেছেন।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশের নারীর শক্তি পৃথিবীর কাছে তুলে ধরার উদ্দেশ্য নিয়ে স্বাধীনতার ৪০ বছর পূর্তির সাল ২০১১-এ ওয়াসফিয়া সেভেন সামিটের ঘোষণা দেন। প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ অন সেভেন সামিট ফাউন্ডেশন। এভারেস্ট বিজয়ের মাধ্যমে ওয়াসফিয়া সেভেন সামিটের তিনটি চূড়া জয় করলেন। এর আগে গত বছরের ২ অক্টোবর তিনি আফ্রিকার সর্বোচ্চ পর্বত কিলিমানজারো এবং ১৬ ডিসেম্বর দক্ষিণ আমেরিকার সর্বোচ্চ পর্বত অ্যাকোনকাগুয়া জয় করেন। এর আগে জুলাই মাসে ইউরোপের সর্বোচ্চ পর্বত এলবার্সের চূড়ার ৩০০ মিটার নিচে থেকে খারাপ আবহাওয়ার জন্য ফিরে আসেন ওয়াসফিয়া। তিনি ২০০৯ সালে নেপালের লু রি পর্বত, ২০১০ সালে আইল্যান্ড পিকও জয় করেন।
বাংলাদেশের নারীরা দিনে দিনে এগিয়ে যাচ্ছেন। পুরুষের সঙ্গে সমানতালে পা রেখে বাঙালি নারী যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আর পিছিয়ে নেই। নিশাত ও নাজরীনের এভারেস্ট জয়ের মধ্য দিয়ে সেটাই আবার নতুন করে প্রমাণিত হলো। ওয়াসফিয়া নাজরীন আজ বাংলাদেশের গর্ব। বাঙালি নারীর গর্ব।
ওয়াসফিয়ার এই কৃতিত্বে তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলের নেতা। আমরাও তাঁকে অভিনন্দন জানাই। সাহসী বাঙালি নারীর প্রতীক হয়ে থাকবেন ওয়াসফিয়া।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশের নারীর শক্তি পৃথিবীর কাছে তুলে ধরার উদ্দেশ্য নিয়ে স্বাধীনতার ৪০ বছর পূর্তির সাল ২০১১-এ ওয়াসফিয়া সেভেন সামিটের ঘোষণা দেন। প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ অন সেভেন সামিট ফাউন্ডেশন। এভারেস্ট বিজয়ের মাধ্যমে ওয়াসফিয়া সেভেন সামিটের তিনটি চূড়া জয় করলেন। এর আগে গত বছরের ২ অক্টোবর তিনি আফ্রিকার সর্বোচ্চ পর্বত কিলিমানজারো এবং ১৬ ডিসেম্বর দক্ষিণ আমেরিকার সর্বোচ্চ পর্বত অ্যাকোনকাগুয়া জয় করেন। এর আগে জুলাই মাসে ইউরোপের সর্বোচ্চ পর্বত এলবার্সের চূড়ার ৩০০ মিটার নিচে থেকে খারাপ আবহাওয়ার জন্য ফিরে আসেন ওয়াসফিয়া। তিনি ২০০৯ সালে নেপালের লু রি পর্বত, ২০১০ সালে আইল্যান্ড পিকও জয় করেন।
বাংলাদেশের নারীরা দিনে দিনে এগিয়ে যাচ্ছেন। পুরুষের সঙ্গে সমানতালে পা রেখে বাঙালি নারী যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আর পিছিয়ে নেই। নিশাত ও নাজরীনের এভারেস্ট জয়ের মধ্য দিয়ে সেটাই আবার নতুন করে প্রমাণিত হলো। ওয়াসফিয়া নাজরীন আজ বাংলাদেশের গর্ব। বাঙালি নারীর গর্ব।
ওয়াসফিয়ার এই কৃতিত্বে তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলের নেতা। আমরাও তাঁকে অভিনন্দন জানাই। সাহসী বাঙালি নারীর প্রতীক হয়ে থাকবেন ওয়াসফিয়া।
No comments