দাম বাড়ে তৎক্ষণাৎ, কমে ধীরে-বাজেট ও বাজার
জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেট পেশের দুই দিনের মধ্যেই চিনির দাম বেড়ে গেছে। এর কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। অপরিশোধিত চিনি আমদানির জন্য প্রতি মেট্রিক টনে দুই হাজার টাকা ও পরিশোধিত চিনির জন্য চার হাজার টাকা নির্ধারিত শুল্ক আরোপের যে প্রস্তাব করা হয়েছে সংসদে বাজেট পাসের সময় প্রস্তাবিত এই শুল্ক প্রত্যাহারও হতে পারে।
বর্তমানে বাজারে যে চিনি আছে তা বাজেট ঘোষণার আগে থেকেই বাজারে রয়েছে। তাহলে এখনই চিনির দাম কেজিপ্রতি চার-পাঁচ টাকা বেড়ে যাওয়ার কী কারণ থাকতে পারে? ঢাকায় খুচরা দোকানে এখন চিনির দাম কেজিপ্রতি ৪৬ থেকে ৪৮ টাকা। কয়েক দিন আগেও ছিল ৪২-৪৩ টাকা।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেছেন, বিশ্ববাজারে চিনির দাম বেড়ে যাওয়ায় গত বছর অপরিশোধিত চিনির ওপর প্রযোজ্য নির্ধারিত শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছিল আর বর্তমান বছরে বিশ্বব্যাপী আখের ভালো ফলন হওয়ায় দেশে চিনির মূল্য হ্রাস পেয়েছে। এ কারণে সরকারি রাজস্ব আদায়ের স্বার্থে বাজেটে শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ববাজারে চিনির দাম টনপ্রতি ২০-৩০ ডলার বেড়েছে। তাহলে তো গত বছরের বিশ্ববাজার পরিস্থিতি-সম্পর্কিত অর্থমন্ত্রীর যুক্তি এ বছরও প্রযোজ্য। শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব না করাই ভালো ছিল। কারণ, অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, বাজেট প্রস্তাবের সঙ্গে সঙ্গে কিছু জিনিসের দাম বেড়ে যায়, কিন্তু শুল্ককর কমানোর প্রস্তাবে জিনিসের দাম তাৎক্ষণিকভাবে কমে না। বাজারের এই সংবেদনশীলতা মনে রাখা উচিত ছিল। এবারের বাজেট প্রস্তাবে গুঁড়ো দুধের ওপর আমদানি শুল্ক ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে, কিন্তু দাম তো কমেনি এখনো। বিদ্যুৎ-সাশ্রয়ী বাল্ব এবং এর উপকরণ উৎপাদনকারী শিল্পকে আগামী পাঁচ বছরের জন্য মূসক অব্যাহতি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে; এসবের দাম কি কমছে?
বাজেট প্রস্তাবে চাল, ডাল, ভোজ্যতেল প্রভৃতির ওপর বিদ্যমান শূন্য শতাংশ শুল্কহার অব্যাহত রাখা হয়েছে। এসব পণ্যের দাম না কমলেও অন্তত বাড়ার কথা নয়, অথচ কম-বেশি বাড়ছে। বাবুবাজারের চাল ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গেছে, গত সাত-আট দিনে চালের দাম মণপ্রতি ৫০-৬০ টাকা বেড়েছে। অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ভালো হওয়া সত্ত্বেও বাজারে চালের দাম বাড়ার কোনো যুক্তিসংগত কারণ থাকতে পারে না। বলা হয়, পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি পাওয়ায় চালের দাম বাড়ছে। কিন্তু এমন অভিযোগও আছে যে চালকল-মালিকেরা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে বিপুল পরিমাণ ধান মজুদ রেখেছেন; এখন তাঁরা ইচ্ছামতো দাম বাড়াচ্ছেন। এ রকম অভিযোগ সব সময়ই শোনা যায়। সরকার যদি খোদ কৃষক থেকে সরাসরি চাল কেনার কাজটি দক্ষতার সঙ্গে করতে পারত, তাহলে মধ্যস্বত্বভোগী ব্যবসায়ীদের পক্ষে কারসাজি করা সম্ভব হতো না।
চিনি ও চাল সাধারণ মানুষের জীবনধারণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। শহরে যে রিকশাচালক ও দিনমজুরেরা চা খেতে পছন্দ করে, তার একটি কারণ চায়ের সঙ্গে চিনি। তাদের শ্রমের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি জোগায় এই চিনি। আর ভাত না খেলে সাধারণ মানুষের পক্ষে শ্রম দেওয়াই সম্ভব নয়। তাই এই দুটি খাদ্যদ্রব্য যেন সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে, তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। দেখা দরকার, প্রস্তাবিত বাজেট যেন এ ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি না করে।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেছেন, বিশ্ববাজারে চিনির দাম বেড়ে যাওয়ায় গত বছর অপরিশোধিত চিনির ওপর প্রযোজ্য নির্ধারিত শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছিল আর বর্তমান বছরে বিশ্বব্যাপী আখের ভালো ফলন হওয়ায় দেশে চিনির মূল্য হ্রাস পেয়েছে। এ কারণে সরকারি রাজস্ব আদায়ের স্বার্থে বাজেটে শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ববাজারে চিনির দাম টনপ্রতি ২০-৩০ ডলার বেড়েছে। তাহলে তো গত বছরের বিশ্ববাজার পরিস্থিতি-সম্পর্কিত অর্থমন্ত্রীর যুক্তি এ বছরও প্রযোজ্য। শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব না করাই ভালো ছিল। কারণ, অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, বাজেট প্রস্তাবের সঙ্গে সঙ্গে কিছু জিনিসের দাম বেড়ে যায়, কিন্তু শুল্ককর কমানোর প্রস্তাবে জিনিসের দাম তাৎক্ষণিকভাবে কমে না। বাজারের এই সংবেদনশীলতা মনে রাখা উচিত ছিল। এবারের বাজেট প্রস্তাবে গুঁড়ো দুধের ওপর আমদানি শুল্ক ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে, কিন্তু দাম তো কমেনি এখনো। বিদ্যুৎ-সাশ্রয়ী বাল্ব এবং এর উপকরণ উৎপাদনকারী শিল্পকে আগামী পাঁচ বছরের জন্য মূসক অব্যাহতি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে; এসবের দাম কি কমছে?
বাজেট প্রস্তাবে চাল, ডাল, ভোজ্যতেল প্রভৃতির ওপর বিদ্যমান শূন্য শতাংশ শুল্কহার অব্যাহত রাখা হয়েছে। এসব পণ্যের দাম না কমলেও অন্তত বাড়ার কথা নয়, অথচ কম-বেশি বাড়ছে। বাবুবাজারের চাল ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গেছে, গত সাত-আট দিনে চালের দাম মণপ্রতি ৫০-৬০ টাকা বেড়েছে। অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ভালো হওয়া সত্ত্বেও বাজারে চালের দাম বাড়ার কোনো যুক্তিসংগত কারণ থাকতে পারে না। বলা হয়, পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি পাওয়ায় চালের দাম বাড়ছে। কিন্তু এমন অভিযোগও আছে যে চালকল-মালিকেরা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে বিপুল পরিমাণ ধান মজুদ রেখেছেন; এখন তাঁরা ইচ্ছামতো দাম বাড়াচ্ছেন। এ রকম অভিযোগ সব সময়ই শোনা যায়। সরকার যদি খোদ কৃষক থেকে সরাসরি চাল কেনার কাজটি দক্ষতার সঙ্গে করতে পারত, তাহলে মধ্যস্বত্বভোগী ব্যবসায়ীদের পক্ষে কারসাজি করা সম্ভব হতো না।
চিনি ও চাল সাধারণ মানুষের জীবনধারণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। শহরে যে রিকশাচালক ও দিনমজুরেরা চা খেতে পছন্দ করে, তার একটি কারণ চায়ের সঙ্গে চিনি। তাদের শ্রমের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি জোগায় এই চিনি। আর ভাত না খেলে সাধারণ মানুষের পক্ষে শ্রম দেওয়াই সম্ভব নয়। তাই এই দুটি খাদ্যদ্রব্য যেন সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে, তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। দেখা দরকার, প্রস্তাবিত বাজেট যেন এ ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি না করে।
No comments