পুলিশের হাতে মার খাওয়ার বর্ণনা দিলেন তিন সাংবাদিক-‘এ যেন সাংবাদিক মারার উৎসব’
‘পুলিশের দুই কর্মকর্তা তেড়ে এসে আমার শার্টের কলার ধরে উপর্যুপরি কিল-ঘুষি মারতে থাকে। আমি রাস্তায় পড়ে যাই। উঠে দাঁড়ানোর আগেই এক কর্মকর্তার নির্দেশে আরও কয়েকজন পুলিশ লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকে। লাথি মারতে মারতে কেড়ে নেয় হাতের ক্যামেরা। এ যেন সাংবাদিক মারার উৎসব।
তারপর মারতে মারতে আগারগাঁও মোড় থেকে শেরেবাংলা নগর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।’
পুলিশের হামলায় আহত প্রথম আলোর আলোকচিত্র সাংবাদিক সাজিদ হোসেন গতকাল রাজধানীর ট্রমা সেন্টারে বিছানায় শুয়ে নির্যাতনের এমন বর্ণনা দেন। ডান পা ব্যান্ডেজ করা, গোটা শরীরে তাঁর ব্যথা। পুলিশের নির্মম নির্যাতনের শিকার প্রথম আলোর অপর দুই আলোকচিত্র সাংবাদিক খালেদ সরকার ও জাহিদুল করিমও একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গত শনিবার আগারগাঁওয়ে পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধের ছবি তুলতে গিয়ে পুলিশের নির্মমতার শিকার হন তাঁরা।
সাজিদ বলেন, জ্যেষ্ঠ আলোকচিত্র সাংবাদিক খালেদ সরকার প্রথম আলোর একজন প্রদায়ক হাসান ইমামকে সঙ্গে নিয়ে আইডিবি ভবনে যাচ্ছিলেন। গোলযোগ দেখে তিনি থেমে ছবি তোলা শুরু করেন। এরপর আসেন জাহিদুল করিম। অবরোধের শেষ পর্যায়ে আসেন সাজিদ। অবরোধের কারণে রাস্তা আটকে থাকায় তিনি র্যাবের একটি গাড়ির পেছন পেছন উল্টো পথ দিয়ে আসছিলেন। আগারগাঁও মোড়ে এসে তিনি রাস্তায় ছাত্রীদের মিছিল দেখে মোটরসাইকেল থামানোর জায়গা খুঁজছিলেন। এ সময় পুলিশ তাঁকে থামিয়ে উল্টো পথে আসার জন্য দোষারোপ করে।
সাজিদ বলেন, অবরোধের কারণে যানজট থাকায় তিনি র্যাবের গাড়ির পেছনে ঘটনার ছবি তুলতে যাচ্ছেন—এ কথা বলার পর সহকারী কমিশনার (এসি) শহীদুল ইসলাম তাঁকে গালিগালাজ শুরু করেন। গালি দিচ্ছেন কেন—এ কথা বললে খেপে যান এসি শহীদুল। তেড়ে গিয়ে শার্টের কলার ধরে হেঁচড়াতে থাকেন। সাজিদের দিকে তেড়ে যান আরও দুই পুলিশ সদস্য। লাথি দিয়ে ফেলে দেন মোটরসাইকেলটি। পরে শহীদুল অন্যদেরও মারার নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘এই রকম সাংবাদিক কত দেখছি, কত মারছি। এগুলানরে মারলে কিছু হয় না। দেখি, কী করিস।’ এই বলে শুরু হয় মারধর।
সাজিদ বলেন, তাঁকে মারতে দেখে সহকর্মী জাহিদুল করিম এগিয়ে এলে তাঁর ওপরও হামলে পড়ে পুলিশ। সহকর্মীদের মারধরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসতেই পুলিশের একই নির্মমতার শিকার হন খালেদ সরকার। তাঁরা রাস্তায় লুটিয়ে পড়লেও ক্ষান্ত হয়নি পুলিশ। এ সময় এসি শহীদুল তাঁদের থানায় নিয়ে যেতে বলেন। শহীদুলসহ অন্য পুলিশ সদস্যরা তাঁদের মারতে মারতে আগারগাঁও মোড় থেকে থানার দিকে হাঁটানো শুরু করেন।
সাজিদ আরও জানান, ওই রাস্তায় তখন যানবাহন চলছিল। গাড়ি-রিকশা থামিয়ে মানুষ দেখছিল প্রকাশ্য রাস্তায় নির্মম মারধরের দৃশ্য। এ সময় প্রথম আলোর প্রদায়ক হাসান ইমাম মারধরের দৃশ্য মুঠোফোনে ভিডিও করলে পুলিশ তাঁকেও মারধর করে। তাঁর মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে মেমোরি কার্ডটি রেখে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। অন্য তিনজনকে থানায় নিয়ে যায়। এসি শহীদুল আগেই তাঁদের ক্যামেরাগুলো নিয়ে নিয়েছিলেন। মুঠোফোনগুলোও ছিনিয়ে নিয়ে তাঁদের থানায় গরমের মধ্যে একটি ঘরে বসিয়ে রাখা হয়। পানি চেয়েও তখন পাওয়া যায়নি। বেশ কিছুক্ষণ বসিয়ে রাখার পর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসে তাঁর কক্ষে নিয়ে যান তাঁদের। ততক্ষণে বিভিন্নভাবে খবর পেয়ে কয়েকজন সাংবাদিকও থানায় পৌঁছান।
পুলিশের হামলায় আহত প্রথম আলোর আলোকচিত্র সাংবাদিক সাজিদ হোসেন গতকাল রাজধানীর ট্রমা সেন্টারে বিছানায় শুয়ে নির্যাতনের এমন বর্ণনা দেন। ডান পা ব্যান্ডেজ করা, গোটা শরীরে তাঁর ব্যথা। পুলিশের নির্মম নির্যাতনের শিকার প্রথম আলোর অপর দুই আলোকচিত্র সাংবাদিক খালেদ সরকার ও জাহিদুল করিমও একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গত শনিবার আগারগাঁওয়ে পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধের ছবি তুলতে গিয়ে পুলিশের নির্মমতার শিকার হন তাঁরা।
সাজিদ বলেন, জ্যেষ্ঠ আলোকচিত্র সাংবাদিক খালেদ সরকার প্রথম আলোর একজন প্রদায়ক হাসান ইমামকে সঙ্গে নিয়ে আইডিবি ভবনে যাচ্ছিলেন। গোলযোগ দেখে তিনি থেমে ছবি তোলা শুরু করেন। এরপর আসেন জাহিদুল করিম। অবরোধের শেষ পর্যায়ে আসেন সাজিদ। অবরোধের কারণে রাস্তা আটকে থাকায় তিনি র্যাবের একটি গাড়ির পেছন পেছন উল্টো পথ দিয়ে আসছিলেন। আগারগাঁও মোড়ে এসে তিনি রাস্তায় ছাত্রীদের মিছিল দেখে মোটরসাইকেল থামানোর জায়গা খুঁজছিলেন। এ সময় পুলিশ তাঁকে থামিয়ে উল্টো পথে আসার জন্য দোষারোপ করে।
সাজিদ বলেন, অবরোধের কারণে যানজট থাকায় তিনি র্যাবের গাড়ির পেছনে ঘটনার ছবি তুলতে যাচ্ছেন—এ কথা বলার পর সহকারী কমিশনার (এসি) শহীদুল ইসলাম তাঁকে গালিগালাজ শুরু করেন। গালি দিচ্ছেন কেন—এ কথা বললে খেপে যান এসি শহীদুল। তেড়ে গিয়ে শার্টের কলার ধরে হেঁচড়াতে থাকেন। সাজিদের দিকে তেড়ে যান আরও দুই পুলিশ সদস্য। লাথি দিয়ে ফেলে দেন মোটরসাইকেলটি। পরে শহীদুল অন্যদেরও মারার নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘এই রকম সাংবাদিক কত দেখছি, কত মারছি। এগুলানরে মারলে কিছু হয় না। দেখি, কী করিস।’ এই বলে শুরু হয় মারধর।
সাজিদ বলেন, তাঁকে মারতে দেখে সহকর্মী জাহিদুল করিম এগিয়ে এলে তাঁর ওপরও হামলে পড়ে পুলিশ। সহকর্মীদের মারধরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসতেই পুলিশের একই নির্মমতার শিকার হন খালেদ সরকার। তাঁরা রাস্তায় লুটিয়ে পড়লেও ক্ষান্ত হয়নি পুলিশ। এ সময় এসি শহীদুল তাঁদের থানায় নিয়ে যেতে বলেন। শহীদুলসহ অন্য পুলিশ সদস্যরা তাঁদের মারতে মারতে আগারগাঁও মোড় থেকে থানার দিকে হাঁটানো শুরু করেন।
সাজিদ আরও জানান, ওই রাস্তায় তখন যানবাহন চলছিল। গাড়ি-রিকশা থামিয়ে মানুষ দেখছিল প্রকাশ্য রাস্তায় নির্মম মারধরের দৃশ্য। এ সময় প্রথম আলোর প্রদায়ক হাসান ইমাম মারধরের দৃশ্য মুঠোফোনে ভিডিও করলে পুলিশ তাঁকেও মারধর করে। তাঁর মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে মেমোরি কার্ডটি রেখে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। অন্য তিনজনকে থানায় নিয়ে যায়। এসি শহীদুল আগেই তাঁদের ক্যামেরাগুলো নিয়ে নিয়েছিলেন। মুঠোফোনগুলোও ছিনিয়ে নিয়ে তাঁদের থানায় গরমের মধ্যে একটি ঘরে বসিয়ে রাখা হয়। পানি চেয়েও তখন পাওয়া যায়নি। বেশ কিছুক্ষণ বসিয়ে রাখার পর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসে তাঁর কক্ষে নিয়ে যান তাঁদের। ততক্ষণে বিভিন্নভাবে খবর পেয়ে কয়েকজন সাংবাদিকও থানায় পৌঁছান।
No comments