বিরোধী দল রাজি হলে মধ্যস্থতা করবেন স্পিকার-নিঃশর্ত সংলাপের কথা বলছে না কোনো দলই
নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে সংলাপের বিষয়টি আবারও সামনে এসেছে। সংলাপে আপত্তি নেই—এমন কথা বললেও আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই দলই বারবার শর্ত জুড়ে দিচ্ছে। সর্বশেষ গতকাল রোববার এ ব্যাপারে বিএনপির কাছে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব চেয়েছে আওয়ামী লীগ। বিএনপি বলেছে, সংলাপে আপত্তি নেই।
তবে দলীয় লোকদের দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার হবে না, এমন নিশ্চয়তা দিতে হবে।
এদিকে গতকাল সংসদে স্পিকার আবদুল হামিদ বলেছেন, চলমান রাজনৈতিক সমস্যার সমাধানে বিরোধী দল সংলাপে বসতে রাজি হলে তিনি মধ্যস্থতাকারীর দায়িত্ব পালন করবেন।
গতকাল ধানমন্ডির দলীয় কার্যালয়ে ১৪ দলের বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে বিরোধী দল সুনির্দিষ্ট ও যুক্তিসংগত প্রস্তাব দিলে সরকার আলোচনা করবে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আলোচনা অবশ্যই হতে হবে। আলোচনায় সরকার প্রস্তুত। তবে তত্ত্বাবধায়ক-ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনার কোনো সুযোগ নেই।
সৈয়দ আশরাফের এই বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। দলের নীতিনির্ধারকেরা বলেছেন, বিএনপি আলোচনার জন্য প্রস্তুত আছে। তবে অন্তর্বর্তীকালীন বা যে নামেই হোক, নির্বাচনকালীন তিন মাসের সরকারে কোনো দলীয় লোক থাকতে পারবে না। বিএনপির এই শর্ত মানলে ওই সরকারের রূপরেখা নিয়ে যেকোনো আলোচনার প্রস্তাব তাঁদের দল সাদরে গ্রহণ করবে। তাঁরা বলেন, আলোচনা সংসদের ভেতরে বা বাইরে যেকোনো স্থানে হতে পারে। নির্দলীয় অন্তর্বর্তী সরকারের বিষয়ে লিখিত প্রস্তাব চাইলেও বিএনপি তা দিতে রাজি আছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন আগেই বলেছেন, যে নামেই হোক না কেন নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় ব্যক্তিকে দিয়ে ওই সরকার গঠন করতে হবে। তিনি বলেন, ‘সৈয়দ আশরাফ সাহেব যদি খোলা মন নিয়ে প্রস্তাব দেওয়ার কথা বলেন, তাহলে বিএনপি অবশ্যই সাড়া দেবে। তার আগে সরকারকে নিশ্চয়তা দিতে হবে, আগামী নির্বাচন তাদের অধীনে হবে না।’
মওদুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইঙ্গিত দিলেন তাঁদের অধীনে নির্বাচন হবে। এখন তাঁর দলের সাধারণ সম্পাদক অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিয়ে আলোচনার কথা বললেন। তাই বিএনপিকে নিশ্চয়তা দেওয়াটা জরুরি। এরপর রূপরেখা, কারা সরকারে থাকবেন ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। সংবিধান সংশোধনও করতে হবে। তাই আলোচনার জন্য সরকারকেই এগিয়ে আসতে হবে।
গতকাল ১৪ দলের বৈঠক শেষে সৈয়দ আশরাফ সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সংবিধান অনুসারে নির্বাচন হবে। প্রশাসন নির্বাচন কমিশনের হাতে থাকবে। বৈঠকে এ বক্তব্যকে স্বাগত জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, মহাজোট ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন করে বিজয়ী হয়েছে। আগামীতেও একসঙ্গে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত আছে।
বেলা সাড়ে ১১টায় ১৪ দলের বৈঠক শুরু হয়ে শেষ হয় দুপুর একটা ৫০ মিনিটে। বৈঠকে ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা রাশেদ খান মেনন অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে ১৪ দলের পক্ষে একটি রূপরেখা তৈরির প্রস্তাব দেন। তিনি এখনই এ বিষয়ে সংলাপ শুরুর তাগিদ দেন।
বৈঠক শেষে সাংসদ রাশেদ খান মেনন সাংবাদিকদের বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই। তবে অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে বিরোধী দলের প্রস্তাব থাকলে তা তারা উত্থাপন করুক। তার ভিত্তিতে আলোচনা হবে। আমরা চাই, সবাই নির্বাচনে আসুক।’
স্পিকারের প্রস্তাব: চলমান রাজনৈতিক সমস্যার সমাধানে বিরোধী দল সংলাপে বসতে রাজি হলে স্পিকার আবদুল হামিদ মধ্যস্থতাকারীর দায়িত্ব পালন করবেন। তবে আলোচনা সংসদ অধিবেশন কক্ষে অথবা সংসদের অন্য কোনো কক্ষে হতে হবে। গতকাল রোববার স্পিকার সংসদে এ প্রস্তাব দেন।
এর আগে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে স্বতন্ত্র সদস্য ফজলুল আজিম বলেন, বিরোধী দলের শত শত নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হাজার হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করা হয়েছে। ৪২ জনের মধ্যে ছয়জনকে জামিন দেওয়া হয়েছে। ৩৬ জন এখনো কারাগারে। এভাবে পুলিশি কায়দায় রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। এ ধরনের সমস্যা রাজনৈতিকভাবেই সমাধান করতে হবে।
জবাবে স্পিকার বলেন, ‘বিরোধী দল যদি সংসদে এসে দাবি-দাওয়া বলে তবে সরকারি দলকে অনুরোধ করে বিতর্কের আয়োজন করতে পারি। বিরোধী দল যদি সংসদে থাকত, তাদের দাবি-দাওয়া জানালে আমি সরকারি দলকে এ বিষয়ে আলোচনার অনুরোধ করতে পারতাম। বিষয়টি নিয়ে বিতর্কের আয়োজন করতে পারতাম।’
সংসদের বাইরে যদি কোনো কথা হয় সেটা বিরোধী বা সরকারি দল যে-ই বলুক না কেন, তাতে তাঁর কিছু করার নেই বলে স্পিকার মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, সংসদে আলোচনা হলে তিনি হস্তক্ষেপ করতে পারেন।
স্পিকার বলেন, ‘বিরোধী দল সংসদে এলে আমি তাদের কথা আমলে নিতে পারি। সরকারকেও বলতে পারি। এখানে ছাড়াও সংসদে অনেক কক্ষ আছে। যদি অন্য কোনো কক্ষে সরকারি ও বিরোধী দল বা অন্য যেসব দল আছে আলোচনা করতে পারে। আমি সহযোগিতা করব। চা-নাশতা লাগলে পাঠাতে পারব।’
ফজলুল আজিমকে উদ্দেশ করে স্পিকার বলেন, ‘আপনার সঙ্গে বিরোধী দলের কথার কোনো সম্পৃক্ততা আছে কি না আমি জানি না। আপনি একসময় তাদের দলে যুক্ত ছিলেন। আশা করেছিলাম, পাঁচজন এমপি কারাগারে রয়েছেন, সে বিষয়ে কথা বলবেন। যদিও আমি খবর পেয়েছি, তাঁরা জামিনে মুক্ত হয়েছেন।’
সংসদের ত্রয়োদশ অধিবেশনের উদ্বোধনী বক্তব্যে স্পিকার এসব কথা বলেন। বিকেল সাড়ে পাঁচটায় অধিবেশন শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বিরোধী দল সংসদে যোগ দেয়নি।
সংসদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আগামী ২৮ জুন ২০১২-১৩ অর্থবছরের বাজেট পাস হবে। ৭ মে এ বাজেট সংসদে উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। গতকাল বিকেলে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কার্য উপদেষ্টা কমিটির ১৭তম সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
১৪ দলের বৈঠকে অন্যান্য বিষয়: বৈঠকে ধান-পাটের কম দাম এবং বিদ্যুৎ-পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। বিদ্যুৎ খাতে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীর ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করা হয়। পরে অর্থ, কৃষি, খাদ্য ও বিদ্যুৎমন্ত্রীকে নিয়ে ১৪ দলের বৈঠক করা সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, গুম, খুন বেড়ে যাওয়ার সমালোচনা হয় বৈঠকে।
এদিকে গতকাল সংসদে স্পিকার আবদুল হামিদ বলেছেন, চলমান রাজনৈতিক সমস্যার সমাধানে বিরোধী দল সংলাপে বসতে রাজি হলে তিনি মধ্যস্থতাকারীর দায়িত্ব পালন করবেন।
গতকাল ধানমন্ডির দলীয় কার্যালয়ে ১৪ দলের বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে বিরোধী দল সুনির্দিষ্ট ও যুক্তিসংগত প্রস্তাব দিলে সরকার আলোচনা করবে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আলোচনা অবশ্যই হতে হবে। আলোচনায় সরকার প্রস্তুত। তবে তত্ত্বাবধায়ক-ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনার কোনো সুযোগ নেই।
সৈয়দ আশরাফের এই বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। দলের নীতিনির্ধারকেরা বলেছেন, বিএনপি আলোচনার জন্য প্রস্তুত আছে। তবে অন্তর্বর্তীকালীন বা যে নামেই হোক, নির্বাচনকালীন তিন মাসের সরকারে কোনো দলীয় লোক থাকতে পারবে না। বিএনপির এই শর্ত মানলে ওই সরকারের রূপরেখা নিয়ে যেকোনো আলোচনার প্রস্তাব তাঁদের দল সাদরে গ্রহণ করবে। তাঁরা বলেন, আলোচনা সংসদের ভেতরে বা বাইরে যেকোনো স্থানে হতে পারে। নির্দলীয় অন্তর্বর্তী সরকারের বিষয়ে লিখিত প্রস্তাব চাইলেও বিএনপি তা দিতে রাজি আছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন আগেই বলেছেন, যে নামেই হোক না কেন নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় ব্যক্তিকে দিয়ে ওই সরকার গঠন করতে হবে। তিনি বলেন, ‘সৈয়দ আশরাফ সাহেব যদি খোলা মন নিয়ে প্রস্তাব দেওয়ার কথা বলেন, তাহলে বিএনপি অবশ্যই সাড়া দেবে। তার আগে সরকারকে নিশ্চয়তা দিতে হবে, আগামী নির্বাচন তাদের অধীনে হবে না।’
মওদুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইঙ্গিত দিলেন তাঁদের অধীনে নির্বাচন হবে। এখন তাঁর দলের সাধারণ সম্পাদক অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিয়ে আলোচনার কথা বললেন। তাই বিএনপিকে নিশ্চয়তা দেওয়াটা জরুরি। এরপর রূপরেখা, কারা সরকারে থাকবেন ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। সংবিধান সংশোধনও করতে হবে। তাই আলোচনার জন্য সরকারকেই এগিয়ে আসতে হবে।
গতকাল ১৪ দলের বৈঠক শেষে সৈয়দ আশরাফ সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সংবিধান অনুসারে নির্বাচন হবে। প্রশাসন নির্বাচন কমিশনের হাতে থাকবে। বৈঠকে এ বক্তব্যকে স্বাগত জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, মহাজোট ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন করে বিজয়ী হয়েছে। আগামীতেও একসঙ্গে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত আছে।
বেলা সাড়ে ১১টায় ১৪ দলের বৈঠক শুরু হয়ে শেষ হয় দুপুর একটা ৫০ মিনিটে। বৈঠকে ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা রাশেদ খান মেনন অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে ১৪ দলের পক্ষে একটি রূপরেখা তৈরির প্রস্তাব দেন। তিনি এখনই এ বিষয়ে সংলাপ শুরুর তাগিদ দেন।
বৈঠক শেষে সাংসদ রাশেদ খান মেনন সাংবাদিকদের বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই। তবে অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে বিরোধী দলের প্রস্তাব থাকলে তা তারা উত্থাপন করুক। তার ভিত্তিতে আলোচনা হবে। আমরা চাই, সবাই নির্বাচনে আসুক।’
স্পিকারের প্রস্তাব: চলমান রাজনৈতিক সমস্যার সমাধানে বিরোধী দল সংলাপে বসতে রাজি হলে স্পিকার আবদুল হামিদ মধ্যস্থতাকারীর দায়িত্ব পালন করবেন। তবে আলোচনা সংসদ অধিবেশন কক্ষে অথবা সংসদের অন্য কোনো কক্ষে হতে হবে। গতকাল রোববার স্পিকার সংসদে এ প্রস্তাব দেন।
এর আগে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে স্বতন্ত্র সদস্য ফজলুল আজিম বলেন, বিরোধী দলের শত শত নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হাজার হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করা হয়েছে। ৪২ জনের মধ্যে ছয়জনকে জামিন দেওয়া হয়েছে। ৩৬ জন এখনো কারাগারে। এভাবে পুলিশি কায়দায় রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। এ ধরনের সমস্যা রাজনৈতিকভাবেই সমাধান করতে হবে।
জবাবে স্পিকার বলেন, ‘বিরোধী দল যদি সংসদে এসে দাবি-দাওয়া বলে তবে সরকারি দলকে অনুরোধ করে বিতর্কের আয়োজন করতে পারি। বিরোধী দল যদি সংসদে থাকত, তাদের দাবি-দাওয়া জানালে আমি সরকারি দলকে এ বিষয়ে আলোচনার অনুরোধ করতে পারতাম। বিষয়টি নিয়ে বিতর্কের আয়োজন করতে পারতাম।’
সংসদের বাইরে যদি কোনো কথা হয় সেটা বিরোধী বা সরকারি দল যে-ই বলুক না কেন, তাতে তাঁর কিছু করার নেই বলে স্পিকার মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, সংসদে আলোচনা হলে তিনি হস্তক্ষেপ করতে পারেন।
স্পিকার বলেন, ‘বিরোধী দল সংসদে এলে আমি তাদের কথা আমলে নিতে পারি। সরকারকেও বলতে পারি। এখানে ছাড়াও সংসদে অনেক কক্ষ আছে। যদি অন্য কোনো কক্ষে সরকারি ও বিরোধী দল বা অন্য যেসব দল আছে আলোচনা করতে পারে। আমি সহযোগিতা করব। চা-নাশতা লাগলে পাঠাতে পারব।’
ফজলুল আজিমকে উদ্দেশ করে স্পিকার বলেন, ‘আপনার সঙ্গে বিরোধী দলের কথার কোনো সম্পৃক্ততা আছে কি না আমি জানি না। আপনি একসময় তাদের দলে যুক্ত ছিলেন। আশা করেছিলাম, পাঁচজন এমপি কারাগারে রয়েছেন, সে বিষয়ে কথা বলবেন। যদিও আমি খবর পেয়েছি, তাঁরা জামিনে মুক্ত হয়েছেন।’
সংসদের ত্রয়োদশ অধিবেশনের উদ্বোধনী বক্তব্যে স্পিকার এসব কথা বলেন। বিকেল সাড়ে পাঁচটায় অধিবেশন শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বিরোধী দল সংসদে যোগ দেয়নি।
সংসদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আগামী ২৮ জুন ২০১২-১৩ অর্থবছরের বাজেট পাস হবে। ৭ মে এ বাজেট সংসদে উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। গতকাল বিকেলে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কার্য উপদেষ্টা কমিটির ১৭তম সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
১৪ দলের বৈঠকে অন্যান্য বিষয়: বৈঠকে ধান-পাটের কম দাম এবং বিদ্যুৎ-পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। বিদ্যুৎ খাতে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীর ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করা হয়। পরে অর্থ, কৃষি, খাদ্য ও বিদ্যুৎমন্ত্রীকে নিয়ে ১৪ দলের বৈঠক করা সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, গুম, খুন বেড়ে যাওয়ার সমালোচনা হয় বৈঠকে।
No comments