কলকাতা চ্যাম্পিয়ন
বোলিংয়ে শুরুটা দুর্দান্ত করেছিলেন সাকিব আল হাসান। ব্যাটিংয়েও খেললেন ছোট্ট (৭ বলে ১১*) তবে কার্যকর এক ইনিংস। আর তাতেই রূপকথা রচিত হলো কলকাতা নাইট রাইডার্সের। চেন্নাই সুপার কিংসকে ৫ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো আইপিএলের শিরোপা জিতল শাহরুখ খানের দল।
চেন্নাইয়ের ১৯০ রানের চ্যালেঞ্জ ২ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেটে হারিয়ে টপকে যায় নাইট রাইডার্স। অবশ্য কলকাতাকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পেঁৗছে দিয়েছিলেন মানবিন্দর বিসলাই (৪৮ বলে ৮৯ রান)।
মাত্র ৩ রানে অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর আউট হলেও জ্যাক ক্যালিসকে দ্বিতীয় উইকেটে ১৩.৪ ওভারে ১৩৬ রানের এক পার্টনারশিপ গড়ে কলকাতার দিকে ম্যাচ ঝুলিয়ে দেন ওই বিসলাই। কিন্তু ১৭৫ রানে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে যখন জ্যাক ক্যালিস সাজঘরে ফেরেন, তখনো নাইট রাইডার্সের দরকার ছিল ৭ বলে ১৬ রান। শেষ ওভারে লক্ষ্যটা দাঁড়ায় ৯ রানের। ৪ বলেই ওই রান তুলে নেন সাকিব ও মনোজ তিওয়ারি। প্রথম বলে সিঙ্গেল নেন তিওয়ারি, পরের বলেও সাকিব নেন ১ রান। স্ট্রাইকে এসে ডোয়াইন ব্রাভোকে টানা দুটি বাউন্ডারিতে কলকাতাকে জয়ের বন্দরে পেঁৗছে দেন তিওয়ারিই। আর এতেই থেমে গেল মহেন্দ্র সিং ধোনির দলের শিরোপার যাত্রা।
প্রয়োজনের সময় জ্বলে ওঠায় জুড়ি নেই মহেন্দ্র সিং ধোনির দলের। এই তো, এবারের আইপিএলের শেষ চারে ওঠার সম্ভাবনা তাদের ছিল না বললেই চলে। কিন্তু লিগ পর্বের শেষ রাউন্ডে তাদের জয়ের সমান্তরালে আরো নানামুখী সমীকরণ মিলে যাওয়ায় তারা ঠিকই শেষ চারে উঠে আসে। সেখানে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসকে উড়িয়ে দেওয়ার পর দিলি্ল ডেয়ারডেভিলসকে গুঁড়িয়ে আবারও ফাইনালে। গত দুবারের শিরোপাজয়ীদের সামনে ছিল তাই হ্যাটট্রিকের হাতছানি। কিন্তু তাদের স্বপ্নযাত্রা থামিয়ে দিল সাকিবদের নাইট রাইডার্স।
ফাইনালে টস জিতে আগে ব্যাটিং নেন ধোনি। কিন্তু ব্রেট লির করা প্রথম ওভার থেকে আসেনি ৩ রানের বেশি। সাকিবের করা দ্বিতীয় ওভারে আরো ৩ রান। ২ ওভারে ৬ রান_ধীরগতির শুরুই মুরালি বিজয় ও মাইক হাসির। লির পরের ওভারে দুজনে দুটি চার মেরে ইঙ্গিত দেন খোলস ছেড়ে বেরোনোর। সাকিবের পরের ওভারে ১৪ রান নিয়ে রানরেট নিয়ে আসেন কক্ষপথে। প্রথম বলে ফাইন লেগ দিয়ে ছক্কা মারার ১ বল পর রিভার্স সুইপে চার মেরে সাকিবের মনোবলে চিড় ধরিয়ে দেন হাসি। সঙ্গে নিজের আত্মবিশ্বাস ছড়িয়ে দেন সঙ্গী বিজয়ের মধ্যেও। চার-ছক্কার ফুলঝুরি ফোটে তাই চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে। বাউন্ডারি থেকে বল কুড়ানোয় তাই ব্যস্ত থাকতে হয়েছে কলকাতার ফিল্ডারদের। এই করতে করতে ১০ ওভারে বিনা উইকেটে ৮৬ রানে পেঁৗছে যায় চেন্নাই। গৌতম গম্ভীরদের তখন রানপাহাড়ে চাপা পড়ার আশঙ্কা। তখনই সাকিবের এক দুর্দান্ত ক্যাচে স্বস্তির উপলক্ষ কলকাতা ক্যাম্পে। ৩২ বলে ৪২ রান করা বিজয়কে ডিপ স্কয়ার লেগে দারুণভাবে মুঠোবন্দি করেন সাকিব। ওই ক্যাচের জন্য কার্বন কামাল ক্যাচের পুরস্কার পান সাকিবই। চেন্নাই ইনিংসের শেষ ওভারটিও ছিল সাকিবময়, ওই ওভারে চেন্নাইয়ের টপ স্কোরার সুরেশ রায়নার (৩৮ বলে ৭৩ রান) উইকেট নিয়ে মাত্র ৮ রান দেন বাংলাদেশের এ অলরাউন্ডার। তবু জেতার মতোই রান পেয়েছিল চেন্নাই। কিন্তু ক্যালিস ও বিসলার চমৎকার ব্যাটিংয়ে হ্যাটট্রিক শিরোপার স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যায় চেন্নাইয়ের। ক্রিকইনফো।
চেন্নাই সুপার কিংস : ২০ ওভারে ১৯০/৩ কলকাতা নাইট
রাইডার্স : ১৯.৪ ওভারে ১৯২/৫
ফল : কলকাতা নাইট রাইডার্স
৫ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : বিসলা
মাত্র ৩ রানে অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর আউট হলেও জ্যাক ক্যালিসকে দ্বিতীয় উইকেটে ১৩.৪ ওভারে ১৩৬ রানের এক পার্টনারশিপ গড়ে কলকাতার দিকে ম্যাচ ঝুলিয়ে দেন ওই বিসলাই। কিন্তু ১৭৫ রানে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে যখন জ্যাক ক্যালিস সাজঘরে ফেরেন, তখনো নাইট রাইডার্সের দরকার ছিল ৭ বলে ১৬ রান। শেষ ওভারে লক্ষ্যটা দাঁড়ায় ৯ রানের। ৪ বলেই ওই রান তুলে নেন সাকিব ও মনোজ তিওয়ারি। প্রথম বলে সিঙ্গেল নেন তিওয়ারি, পরের বলেও সাকিব নেন ১ রান। স্ট্রাইকে এসে ডোয়াইন ব্রাভোকে টানা দুটি বাউন্ডারিতে কলকাতাকে জয়ের বন্দরে পেঁৗছে দেন তিওয়ারিই। আর এতেই থেমে গেল মহেন্দ্র সিং ধোনির দলের শিরোপার যাত্রা।
প্রয়োজনের সময় জ্বলে ওঠায় জুড়ি নেই মহেন্দ্র সিং ধোনির দলের। এই তো, এবারের আইপিএলের শেষ চারে ওঠার সম্ভাবনা তাদের ছিল না বললেই চলে। কিন্তু লিগ পর্বের শেষ রাউন্ডে তাদের জয়ের সমান্তরালে আরো নানামুখী সমীকরণ মিলে যাওয়ায় তারা ঠিকই শেষ চারে উঠে আসে। সেখানে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসকে উড়িয়ে দেওয়ার পর দিলি্ল ডেয়ারডেভিলসকে গুঁড়িয়ে আবারও ফাইনালে। গত দুবারের শিরোপাজয়ীদের সামনে ছিল তাই হ্যাটট্রিকের হাতছানি। কিন্তু তাদের স্বপ্নযাত্রা থামিয়ে দিল সাকিবদের নাইট রাইডার্স।
ফাইনালে টস জিতে আগে ব্যাটিং নেন ধোনি। কিন্তু ব্রেট লির করা প্রথম ওভার থেকে আসেনি ৩ রানের বেশি। সাকিবের করা দ্বিতীয় ওভারে আরো ৩ রান। ২ ওভারে ৬ রান_ধীরগতির শুরুই মুরালি বিজয় ও মাইক হাসির। লির পরের ওভারে দুজনে দুটি চার মেরে ইঙ্গিত দেন খোলস ছেড়ে বেরোনোর। সাকিবের পরের ওভারে ১৪ রান নিয়ে রানরেট নিয়ে আসেন কক্ষপথে। প্রথম বলে ফাইন লেগ দিয়ে ছক্কা মারার ১ বল পর রিভার্স সুইপে চার মেরে সাকিবের মনোবলে চিড় ধরিয়ে দেন হাসি। সঙ্গে নিজের আত্মবিশ্বাস ছড়িয়ে দেন সঙ্গী বিজয়ের মধ্যেও। চার-ছক্কার ফুলঝুরি ফোটে তাই চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে। বাউন্ডারি থেকে বল কুড়ানোয় তাই ব্যস্ত থাকতে হয়েছে কলকাতার ফিল্ডারদের। এই করতে করতে ১০ ওভারে বিনা উইকেটে ৮৬ রানে পেঁৗছে যায় চেন্নাই। গৌতম গম্ভীরদের তখন রানপাহাড়ে চাপা পড়ার আশঙ্কা। তখনই সাকিবের এক দুর্দান্ত ক্যাচে স্বস্তির উপলক্ষ কলকাতা ক্যাম্পে। ৩২ বলে ৪২ রান করা বিজয়কে ডিপ স্কয়ার লেগে দারুণভাবে মুঠোবন্দি করেন সাকিব। ওই ক্যাচের জন্য কার্বন কামাল ক্যাচের পুরস্কার পান সাকিবই। চেন্নাই ইনিংসের শেষ ওভারটিও ছিল সাকিবময়, ওই ওভারে চেন্নাইয়ের টপ স্কোরার সুরেশ রায়নার (৩৮ বলে ৭৩ রান) উইকেট নিয়ে মাত্র ৮ রান দেন বাংলাদেশের এ অলরাউন্ডার। তবু জেতার মতোই রান পেয়েছিল চেন্নাই। কিন্তু ক্যালিস ও বিসলার চমৎকার ব্যাটিংয়ে হ্যাটট্রিক শিরোপার স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যায় চেন্নাইয়ের। ক্রিকইনফো।
চেন্নাই সুপার কিংস : ২০ ওভারে ১৯০/৩ কলকাতা নাইট
রাইডার্স : ১৯.৪ ওভারে ১৯২/৫
ফল : কলকাতা নাইট রাইডার্স
৫ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : বিসলা
No comments