কোনো অজুহাতে নির্বাচন পেছানো যাবে না-স্থানীয় সরকারের জবাবদিহি
জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরকালে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদনেত্রী শেখ হাসিনা মেয়াদ শেষে জনপ্রতিনিধিরা ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন তার যথাযথ বাস্তবায়ন দেখতে চাইবে দেশবাসী। তিনি আরও বলেছেন, মেয়াদ শেষে জনপ্রতিনিধিদের জবাবদিহি থাকে না। ফলে দুর্নীতি ও অপচয় বাড়ে।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে অতিশয়োক্তি আছে, সে কথা কেউ বলবেন না। বরং তাঁর কথায় আমাদের সমাজ-বাস্তবতার কঠিন সত্যই বেরিয়ে এসেছে।
প্রধানমন্ত্রী যখন এ বক্তব্য দিলেন তখন দেশের অধিকাংশ ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার মেয়াদ আড়াই বছর আগেই শেষ হয়ে গেছে। পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত প্রতিনিধিরা যদি সাত-আট বছর একই পদে অধিষ্ঠিত থাকেন তাহলে যে দুর্নীতি, অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা জেঁকে বসে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রতিটি স্থানীয় সরকার সংস্থায় মেয়াদ শেষে নির্বাচন করার ক্ষেত্রে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা আছে। দৈবদুর্বিপাকে কোনো স্থানীয় সংস্থার নির্বাচন পিছিয়ে যেতে পারে। তার অর্থ এই নয় যে, বছরের পর বছর তা ঝুলিয়ে রাখা হবে।
সংবিধানে শক্তিশালী স্থানীয় সরকারব্যবস্থার কথা থাকলেও পূর্বাপর কোনো সরকারই এ ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখায়নি, বরং রাজনৈতিক স্বার্থে তারা ব্যবহার করতে বরাবর সচেষ্ট থেকেছে। যখন সুবিধা মনে করেছে নির্বাচন দিয়েছে, যখন অসুবিধা মনে করেছে বিভিন্ন অজুহাতে তা আটকে রেখেছে। দীর্ঘকাল কাঠখড় পুড়িয়ে ২০০৯ সালের গোড়ার দিকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হলেও তাদের ক্ষমতা ও এখতিয়ার নিয়ে বিতণ্ডা রয়েই গেছে। সাংসদেরা শুরু থেকেই যেমন স্থানীয় সরকারের কর্তৃত্বকে সুনজরে নেননি, তেমনি উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত প্রতিনিধিরাও সাংসদদের ‘পরামর্শ’ মানতে পারছেন না। স্থানীয় সরকারব্যবস্থার সুফল বৃহত্তর জনগণের কাছে পৌঁছাতে দুই পক্ষের এ মনস্তাত্ত্বিক লড়াইয়েরও অবসান জরুরি। একে অপরের পরিপূরক হিসেবেই কাজ করতে হবে।
স্থানীয় সরকারের কোনো জনপ্রতিনিধি মেয়াদ শেষে ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না বলে শেখ হাসিনা যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার সঙ্গে নিশ্চয়ই কেউ দ্বিমত করবে না। প্রশ্ন হলো এর বিকল্প কী? নিশ্চয়ই নির্বাচিত প্রতিনিধিকে সরিয়ে কোনো প্রশাসক বসানো নয়। অনির্বাচিত প্রশাসকেরা কীভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করেন, তার বহু নজির রয়েছে। সে ক্ষেত্রে মেয়াদ শেষে প্রতিটি স্থানীয় সরকার সংস্থার নির্বাচন নিশ্চিত করা জরুরি। ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভায় নির্বাচন না হওয়ায় দুই বছর অনির্বাচিত সরকারের ক্ষমতায় থাকাকে দায়ী করা হয়। কিন্তু ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন না করার কী যুক্তি থাকতে পারে? এ ক্ষেত্রে আইনগত সমস্যা থাকলেও অবিলম্বে তা দূর করা প্রয়োজন। নির্বাচিত সরকারের দেড় বছর পার হওয়ার পরও বিষয়টি ঝুলিয়ে রাখার কোনো যুক্তি নেই। যত দ্রুত সম্ভব ঢাকা সিটি করপোরেশন এবং সব মেয়াদোত্তীর্ণ ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার নির্বাচন সম্পন্ন করত হবে। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলেই প্রত্যাশিত। কোনো অজুহাতেই কোনো স্থানীয় সরকার সংস্থার নির্বাচন পেছানো যাবে না।
প্রধানমন্ত্রী যখন এ বক্তব্য দিলেন তখন দেশের অধিকাংশ ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার মেয়াদ আড়াই বছর আগেই শেষ হয়ে গেছে। পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত প্রতিনিধিরা যদি সাত-আট বছর একই পদে অধিষ্ঠিত থাকেন তাহলে যে দুর্নীতি, অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা জেঁকে বসে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রতিটি স্থানীয় সরকার সংস্থায় মেয়াদ শেষে নির্বাচন করার ক্ষেত্রে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা আছে। দৈবদুর্বিপাকে কোনো স্থানীয় সংস্থার নির্বাচন পিছিয়ে যেতে পারে। তার অর্থ এই নয় যে, বছরের পর বছর তা ঝুলিয়ে রাখা হবে।
সংবিধানে শক্তিশালী স্থানীয় সরকারব্যবস্থার কথা থাকলেও পূর্বাপর কোনো সরকারই এ ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখায়নি, বরং রাজনৈতিক স্বার্থে তারা ব্যবহার করতে বরাবর সচেষ্ট থেকেছে। যখন সুবিধা মনে করেছে নির্বাচন দিয়েছে, যখন অসুবিধা মনে করেছে বিভিন্ন অজুহাতে তা আটকে রেখেছে। দীর্ঘকাল কাঠখড় পুড়িয়ে ২০০৯ সালের গোড়ার দিকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হলেও তাদের ক্ষমতা ও এখতিয়ার নিয়ে বিতণ্ডা রয়েই গেছে। সাংসদেরা শুরু থেকেই যেমন স্থানীয় সরকারের কর্তৃত্বকে সুনজরে নেননি, তেমনি উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত প্রতিনিধিরাও সাংসদদের ‘পরামর্শ’ মানতে পারছেন না। স্থানীয় সরকারব্যবস্থার সুফল বৃহত্তর জনগণের কাছে পৌঁছাতে দুই পক্ষের এ মনস্তাত্ত্বিক লড়াইয়েরও অবসান জরুরি। একে অপরের পরিপূরক হিসেবেই কাজ করতে হবে।
স্থানীয় সরকারের কোনো জনপ্রতিনিধি মেয়াদ শেষে ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না বলে শেখ হাসিনা যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার সঙ্গে নিশ্চয়ই কেউ দ্বিমত করবে না। প্রশ্ন হলো এর বিকল্প কী? নিশ্চয়ই নির্বাচিত প্রতিনিধিকে সরিয়ে কোনো প্রশাসক বসানো নয়। অনির্বাচিত প্রশাসকেরা কীভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করেন, তার বহু নজির রয়েছে। সে ক্ষেত্রে মেয়াদ শেষে প্রতিটি স্থানীয় সরকার সংস্থার নির্বাচন নিশ্চিত করা জরুরি। ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভায় নির্বাচন না হওয়ায় দুই বছর অনির্বাচিত সরকারের ক্ষমতায় থাকাকে দায়ী করা হয়। কিন্তু ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন না করার কী যুক্তি থাকতে পারে? এ ক্ষেত্রে আইনগত সমস্যা থাকলেও অবিলম্বে তা দূর করা প্রয়োজন। নির্বাচিত সরকারের দেড় বছর পার হওয়ার পরও বিষয়টি ঝুলিয়ে রাখার কোনো যুক্তি নেই। যত দ্রুত সম্ভব ঢাকা সিটি করপোরেশন এবং সব মেয়াদোত্তীর্ণ ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার নির্বাচন সম্পন্ন করত হবে। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলেই প্রত্যাশিত। কোনো অজুহাতেই কোনো স্থানীয় সরকার সংস্থার নির্বাচন পেছানো যাবে না।
No comments