ফুলগুলো যেন রঙিন ছাতা by মোকারম হোসেন
আমাদের দেশে লেডিস আমব্রেলা নামেই পরিচিত। নামটা বেশ চটকদার, তবে যথার্থও বটে। প্রথম দেখি রমনা পার্কে। পার্কের তত্ত্বাবধায়ক জিয়াউল হাসান একদিন নিয়ে গেলেন গাছটি দেখাতে। তার আগে কতবার যে এই গাছের আশপাশ দিয়ে হেঁটেছি, হিসাব নেই। তখন ভেবেছি বাগানবিলাসের ঝাড়। ফুল ও পাতাগুলো দূর থেকে দেখতে অনেকটা সে রকমই। এ কারণে আগ্রহ নিয়ে দেখা হয়নি কখনো। ভালোভাবে তাকিয়ে দেখি, কমলা রঙের ফুলগুলোর গড়ন অনেকটা
ছাতার মতোই। মাঝখানে বেশ জুতসই একটা ডাঁটিও আছে। ফুলগুলো নিখুঁত বিন্যাসে ফুটে আছে গাছজুড়ে। লেডিস আমব্রেলা (Holmskioldia sanguinea) আশ্রয়ে জড়ানো গুল্ম ধরনের শক্ত লতা। লেডিস হেডপ্ল্যান্ট, চায়নিজ হ্যাট প্ল্যান্ট ও ম্যান্ডারিন হ্যাট নামেও পরিচিত। পাতা একক, আগা চোখা, বোঁটা আড়াই সেন্টিমিটার লম্বা, গাঢ় সবুজ, নিচ ফ্যাকাশে ধরনের, বিপ্রতীপ, ডিম্বাকার বা লম্ব-ডিম্বাকার, চার থেকে ছয় সেন্টিমিটার লম্বা, কিনার ঈষৎ দাঁতানো। কচি পাতা ও কুঁড়ি রোমশ। প্রস্ফুটনকাল অক্টোবর থেকে জানুয়ারি। ফুল ডালের আগায় অথবা পাতার কোলে গুচ্ছবদ্ধভাবে থাকে। বৃতি ঘণ্টাকৃতির, প্রায় দুই সেন্টিমিটার চওড়া, দেখতে লালচে কমলা রঙের। দল নলাকার এবং বহিস্থ, ঠোঁটাল, দুই সেন্টিমিটার লম্বা ও ওপরের ঠোঁট দুই খণ্ড আর নিচের ঠোঁট তিন খণ্ডে বিভক্ত। ডিম্বাশয় চার কোষী। গর্ভদণ্ড লম্বাটে, গর্ভমুণ্ড দুই ভাগে বিভক্ত। পুংকেশর চারটি, দুই গুচ্ছ। ফল ডিম্বাকার, চার খণ্ড, বীজের সংখ্যাও চার।
এরা উপহিমালয় অঞ্চলের প্রজাতি। পৃথিবীর অন্যান্য উষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চলে হলুদ প্রজাতির ফুলও সহজলভ্য। পূর্ব সিলেটের পাহাড়ে আপনাআপনিই জন্মে। আলংকারিক গুল্ম হিসেবে বাগানেও চাষযোগ্য। ফুলদানিতেও বেশ মানানসই। বংশবৃদ্ধি দাবাকলমে। চাষের জন্য অপেক্ষাকৃত উঁচু ও উর্বর স্থান প্রয়োজন। গোড়ায় পানি জমলে বাঁচে না।
এরা উপহিমালয় অঞ্চলের প্রজাতি। পৃথিবীর অন্যান্য উষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চলে হলুদ প্রজাতির ফুলও সহজলভ্য। পূর্ব সিলেটের পাহাড়ে আপনাআপনিই জন্মে। আলংকারিক গুল্ম হিসেবে বাগানেও চাষযোগ্য। ফুলদানিতেও বেশ মানানসই। বংশবৃদ্ধি দাবাকলমে। চাষের জন্য অপেক্ষাকৃত উঁচু ও উর্বর স্থান প্রয়োজন। গোড়ায় পানি জমলে বাঁচে না।
No comments