জমি ইজারা দিতে বাধ্য করানোর অভিযোগ
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার রমজানপুর ইউনিয়ের চর আইরকান্দি গ্রামে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও অনুমতি ছাড়া প্রায় ১০ একর ফসলিজমি নষ্ট করে গড়ে তোলা হয়েছে ইটভাটা। অভিযোগ রয়েছে ইটভাটার মালিক প্রভাবশালী হওয়ায় নিজের জমি ছাড়াও আশপাশের সাধারণ কৃষকদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে জমি ইজারা দিতে বাধ্য করেছেন। স্থানীয় লোকজন ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার রমজানপুর ইউনিয়নের চর আইরকান্দি
গ্রামের মো. জসিম সরদার ও মো. রিপন বেপারী প্রায় দুই একর জমি ক্রয় করে মেসার্স আরএনবি ব্রিকস নামে ইটভাটাটি গত ১৩ নভেম্বর চালু করেন। এ জন্য কোনো দপ্তরের কোনো ধরনের অনুমতি নেওয়া হয়নি। চর আইরকান্দি গ্রামের কৃষক মো. শহিদুল ইসলাম, হালিমা বেগম, টরকী গ্রামের নজরুল ইসলামসহ অনেকেই জানান, চর আইরকান্দি মৌজার মাটি আমন ও বোরো চাষের খুবই উপযোগী, উৎপাদনও খুব ভালো। এখানে ইটভাটা করায় প্রায় ১০ একর জমির ধান চাষ বন্ধ হয়ে যাবে।
স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, জসিম ও রিপন এলাকার প্রভাবশালী। তাঁরা নিজেদের জমিতে ভাটা চালু করলেও ইট তৈরির মাটি সংগ্রহ, ইটভাটা সম্প্রসারণের জন্য আশপাশের জমি ইজারা নিচ্ছেন। যাঁরা ইজারা দিতে চাইছেন না, তাঁদের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এমনকি কারও কারও জমি থেকে জোরপূর্বক মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে। টরকী চরগ্রামের আ. কাদের (৫২) বলেন, ওই মৌজায় তাঁর ৬৫ শতাংশ দুই ফসলি জমি ছিল, যার ফসল দিয়ে তাঁর সংসার ভালোমতো চলত। কিন্তু ইটভাটার মালিকদের চাপে ওই জমি তিনি ইজারা দিতে বাধ্য হয়েছেন।
গত শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়, বিশাল এক সোনালি ফসলের মাঠ। মাঝখানে গড়ে উঠেছে ইটভাটা। ধান বিনষ্ট করে ইট তৈরির জন্য মাটি কাটা হচ্ছে। ভাটার পশ্চিম পাশে প্রায় ৬০ শতাংশ ধানখেত বিনষ্ট করে মাটি কেটে পুকুরের মতো তৈরি করা হয়েছে। এ ছাড়া ভাটাসংলগ্ন দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিম পাশে আরও প্রায় দুই একর জমিতে মাটি কাটার কাজ করেছে শতাধিক শ্রমিক। চর আইরকান্দি গ্রামের শহিদুল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘গায়ের জোরে ধান ক্ষ্যাত শেষ কইর্যা দিয়া ইট বানায়, কেউ দেহার নাই। মোরা কি করমু? কাম কইরা ভাত খাই, কতা কইলে এহানে থাকতে পারমু না।’
মেসার্স আরএনবি ব্রিকসের ব্যবস্থাপক আ. মজিদ হাওলাদার এ ব্যাপারে কথা বলতে নারাজ। ইটভাটা চালুর কাগজপত্র দেখতে চাইলে তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র মালিকের কাছে আছে। মালিকদের একজন রিপন বেপারী বলেন, সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে, এখনো কাগজপত্র হাতে পাননি। জোর করে জমি ইজারা ও মাটি কাটার অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন।
মাদারীপুরের পরিবেশবাদী সংগঠন ফ্রেন্ডস অব নেচারের পরিচালক রাজন মাহমুদ ও গৌরনদী উপজেলা পরিবেশ সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি আবদুর রব জানান, ইট পোড়ানো আইন ১৯৯৫ অনুযায়ী কৃষিজমিতে ইটভাটা করা যাবে না। কালকিনি উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ইটভাটা করায় গোটা এলাকার প্রায় ১০ একর জমিতে আমন ও বোরো চাষ ব্যাহত হবে।
সহকারী বন সংরক্ষক, সামাজিক বনায়ন জোন মাদারীপুর ও ইটভাটা তদন্ত সংক্রান্ত কমিটির সদস্য মো. ওসমান গনি এ সম্পর্কে বলেন, রমজানপুর এলাকায় কোনো ইটভাটার অনুমোদন দেওয়া হয়নি। জেলা ইটভাটা তদন্ত সংক্রান্ত কমিটির আহ্বায়ক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘ওই ইটভাটা সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না।’
স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, জসিম ও রিপন এলাকার প্রভাবশালী। তাঁরা নিজেদের জমিতে ভাটা চালু করলেও ইট তৈরির মাটি সংগ্রহ, ইটভাটা সম্প্রসারণের জন্য আশপাশের জমি ইজারা নিচ্ছেন। যাঁরা ইজারা দিতে চাইছেন না, তাঁদের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এমনকি কারও কারও জমি থেকে জোরপূর্বক মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে। টরকী চরগ্রামের আ. কাদের (৫২) বলেন, ওই মৌজায় তাঁর ৬৫ শতাংশ দুই ফসলি জমি ছিল, যার ফসল দিয়ে তাঁর সংসার ভালোমতো চলত। কিন্তু ইটভাটার মালিকদের চাপে ওই জমি তিনি ইজারা দিতে বাধ্য হয়েছেন।
গত শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়, বিশাল এক সোনালি ফসলের মাঠ। মাঝখানে গড়ে উঠেছে ইটভাটা। ধান বিনষ্ট করে ইট তৈরির জন্য মাটি কাটা হচ্ছে। ভাটার পশ্চিম পাশে প্রায় ৬০ শতাংশ ধানখেত বিনষ্ট করে মাটি কেটে পুকুরের মতো তৈরি করা হয়েছে। এ ছাড়া ভাটাসংলগ্ন দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিম পাশে আরও প্রায় দুই একর জমিতে মাটি কাটার কাজ করেছে শতাধিক শ্রমিক। চর আইরকান্দি গ্রামের শহিদুল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘গায়ের জোরে ধান ক্ষ্যাত শেষ কইর্যা দিয়া ইট বানায়, কেউ দেহার নাই। মোরা কি করমু? কাম কইরা ভাত খাই, কতা কইলে এহানে থাকতে পারমু না।’
মেসার্স আরএনবি ব্রিকসের ব্যবস্থাপক আ. মজিদ হাওলাদার এ ব্যাপারে কথা বলতে নারাজ। ইটভাটা চালুর কাগজপত্র দেখতে চাইলে তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র মালিকের কাছে আছে। মালিকদের একজন রিপন বেপারী বলেন, সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে, এখনো কাগজপত্র হাতে পাননি। জোর করে জমি ইজারা ও মাটি কাটার অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন।
মাদারীপুরের পরিবেশবাদী সংগঠন ফ্রেন্ডস অব নেচারের পরিচালক রাজন মাহমুদ ও গৌরনদী উপজেলা পরিবেশ সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি আবদুর রব জানান, ইট পোড়ানো আইন ১৯৯৫ অনুযায়ী কৃষিজমিতে ইটভাটা করা যাবে না। কালকিনি উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ইটভাটা করায় গোটা এলাকার প্রায় ১০ একর জমিতে আমন ও বোরো চাষ ব্যাহত হবে।
সহকারী বন সংরক্ষক, সামাজিক বনায়ন জোন মাদারীপুর ও ইটভাটা তদন্ত সংক্রান্ত কমিটির সদস্য মো. ওসমান গনি এ সম্পর্কে বলেন, রমজানপুর এলাকায় কোনো ইটভাটার অনুমোদন দেওয়া হয়নি। জেলা ইটভাটা তদন্ত সংক্রান্ত কমিটির আহ্বায়ক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘ওই ইটভাটা সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না।’
No comments