ইতিহাস ডাকছে মেসিকে
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো অনুষ্ঠানটিতে যাচ্ছেনই না। গত দুবার দর্শক হয়ে থাকতে হয়েছে। এবারও হতে পারে। এর জন্য বিমান ভ্রমণের ধকল সহ্য করার মানে নেই। পরদিন খেলা আছে, সেজন্য এক দিন বিশ্রাম নেওয়া তাঁর কাছে বেশি জরুরি। জাভি অবশ্য যাবেন। নিজের প্রিয় সতীর্থের পিঠ চাপড়ে দিতে হবে না! ভোটাভুটির ফল এখনো প্রকাশিত হয়নি। তবে চারদিকে এমন রব, যেন সোনালি আভা ছড়ানো ফুটবলের ট্রফিটা লিওনেল মেসি জিতেই গেছেন!
আগে দুটি পুরস্কার দেওয়া হতো। ইউরোপের বর্ষসেরা ব্যালন ডি’অর আর ফিফা বিশ্বসেরা। কয়েক বছর ধরে ব্যালন ডি’অর জয়ীর হাতেই ফিফা বর্ষসেরার পুরস্কার ওঠার পর গত বছর দুটি পুরস্কার এক করে দেওয়া হয়। নাম হয় ফিফা-ব্যালন ডি’অর। ভোটাভুটির পদ্ধতিটাও পাল্টে যায়।
ফিফার সদস্যভুক্ত প্রতিটি জাতীয় দলের কোচ আর অধিনায়ক তাঁদের পছন্দের সেরা তিন ফুটবলারের পক্ষে ভোট দেন। পাশাপাশি ভোট দেন ফ্রান্স ফুটবল সাময়িকীর নির্বাচিত ফুটবল সাংবাদিকেরাও। তাঁদের ভোটেই প্রথমে প্রাথমিক তালিকা করা হয়। এরপর করা হয় তিনজনের সংক্ষিপ্ত তালিকা। জানুয়ারিতে সেই তিনজনের মধ্যে সর্বাধিক ভোট পাওয়া একজনকে ঘোষণা করা হয় ফিফা-ব্যালন ডি’অর বিজয়ী। শুধু পুরুষ ফুটবলার নন, বর্ষসেরা নারী ফুটবলারও নির্বাচিত হন। এ ছাড়া বর্ষসেরা কোচ, বর্ষসেরা একাদশসহ আরও কিছু বিভাগে দেওয়া হয় পুরস্কার।
গতবার দেওয়া হয়েছে ২০১০ সালের বর্ষসেরা পুরস্কার, যেটি একই সঙ্গে প্রথম ফিফা-ব্যালন ডি’অর। প্রথমবারেই পুরস্কারটি জিতেছেন মেসি। ২০০৯-এর ব্যালন ডি’অর আর ফিফা বর্ষসেরা দুটোই উঠেছিল তাঁর হাতে। এবার হলে সেটি হবে টানা তৃতীয় বর্ষসেরা পুরস্কার। তিনবার করে ফিফা বর্ষসেরা হওয়ার কীর্তি আছে মাত্র দুজনের—ফ্রান্সের জিনেদিন জিদান আর ব্রাজিলের রোনালদোর। কিন্তু তাঁরা টানা তিনবার ফিফা বর্ষসেরা হননি। সেদিক দিয়ে লিওনেল মেসির হাতে পুরস্কারটি উঠলে সেটি হবে এক নতুন ইতিহাস।
অবশ্য ফিফা বর্ষসেরা পুরস্কারটি চালু হয়েছে ১৯৯১ সালে। এ কারণে পেলে, ডিয়েগো ম্যারাডোনা, ইয়োহান ক্রুইফ, মিশেল প্লাতিনিদের মতো সাবেক কিংবদন্তিদের ফিফা বর্ষসেরা জেতার সুযোগ হয়নি। তবে ব্যালন ডি’অর চালু হয় ১৯৫৬ সালে। সাংবাদিকদের ভোটে নির্বাচিত করা হতো ইউরোপ-সেরা। অবশ্য প্রথম দিকে ইউরোপের ক্লাব ফুটবলে খেলা ইউরোপিয়ান ফুটবলাররাই এই পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হতেন। এই প্রথা বাদ দেওয়া হয় ১৯৯৫ সালে। ফলে পেলে-ম্যারাডোনা নামের দুই কিংবদন্তির এই পুরস্কার জেতার সৌভাগ্য হয়নি।
তিনবার করে ব্যালন ডি’অর জিতেছেন তিনজন: ক্রুইফ, প্লাতিনি আর মার্কো ফন বাস্তেন। এঁদের মধ্যে কেবল প্লাতিনিই টানা তিনবার জিতেছেন (১৯৮৩-১৯৮৫)। আজ পুরস্কারটি হাতে নিতে পারলে প্লাতিনির কীর্তিটাও ছুঁয়ে ফেলবেন মেসি।
রোনালদো-ভক্তরা অবশ্য একেবারেই হাল ছেড়ে দেবেন না। মেসি-বন্দনায় রিয়ালের পর্তুগিজ উইঙ্গার আড়ালে যাচ্ছেন বটে, কিন্তু গত মৌসুমে তিনিও কিন্তু ক্লাবের হয়ে মেসির সমানই গোল করেছেন। মেসি ৫৫ ম্যাচে ৫৩টি। রোনালদো ৫৪ ম্যাচে ৫৩টি। তবে মেসি তাঁর দল বার্সেলোনাকে স্প্যানিশ লিগ আর চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতিয়েছেন। তা ছাড়া গত মৌসুমে ২৪টি গোলও করিয়েছেন। সব মিলে ভোটাররা তাঁর বাক্সের দিকেই ঝুঁকবেন বলে অনুমান। টানা তৃতীয়বারের মতো সংক্ষিপ্ত তালিকায় উঠে আসা জাভি অবশ্য আগে থেকেই নিজের দাবি ছেড়ে দিয়ে বলেছেন, পুরস্কারটা মেসির প্রাপ্য।
দেখা যাক, ফিফা সভাপতি সেপ ব্ল্যাটারের খামের ভেতর থেকে উঠে আসে কার নাম!
ফিফার সদস্যভুক্ত প্রতিটি জাতীয় দলের কোচ আর অধিনায়ক তাঁদের পছন্দের সেরা তিন ফুটবলারের পক্ষে ভোট দেন। পাশাপাশি ভোট দেন ফ্রান্স ফুটবল সাময়িকীর নির্বাচিত ফুটবল সাংবাদিকেরাও। তাঁদের ভোটেই প্রথমে প্রাথমিক তালিকা করা হয়। এরপর করা হয় তিনজনের সংক্ষিপ্ত তালিকা। জানুয়ারিতে সেই তিনজনের মধ্যে সর্বাধিক ভোট পাওয়া একজনকে ঘোষণা করা হয় ফিফা-ব্যালন ডি’অর বিজয়ী। শুধু পুরুষ ফুটবলার নন, বর্ষসেরা নারী ফুটবলারও নির্বাচিত হন। এ ছাড়া বর্ষসেরা কোচ, বর্ষসেরা একাদশসহ আরও কিছু বিভাগে দেওয়া হয় পুরস্কার।
গতবার দেওয়া হয়েছে ২০১০ সালের বর্ষসেরা পুরস্কার, যেটি একই সঙ্গে প্রথম ফিফা-ব্যালন ডি’অর। প্রথমবারেই পুরস্কারটি জিতেছেন মেসি। ২০০৯-এর ব্যালন ডি’অর আর ফিফা বর্ষসেরা দুটোই উঠেছিল তাঁর হাতে। এবার হলে সেটি হবে টানা তৃতীয় বর্ষসেরা পুরস্কার। তিনবার করে ফিফা বর্ষসেরা হওয়ার কীর্তি আছে মাত্র দুজনের—ফ্রান্সের জিনেদিন জিদান আর ব্রাজিলের রোনালদোর। কিন্তু তাঁরা টানা তিনবার ফিফা বর্ষসেরা হননি। সেদিক দিয়ে লিওনেল মেসির হাতে পুরস্কারটি উঠলে সেটি হবে এক নতুন ইতিহাস।
অবশ্য ফিফা বর্ষসেরা পুরস্কারটি চালু হয়েছে ১৯৯১ সালে। এ কারণে পেলে, ডিয়েগো ম্যারাডোনা, ইয়োহান ক্রুইফ, মিশেল প্লাতিনিদের মতো সাবেক কিংবদন্তিদের ফিফা বর্ষসেরা জেতার সুযোগ হয়নি। তবে ব্যালন ডি’অর চালু হয় ১৯৫৬ সালে। সাংবাদিকদের ভোটে নির্বাচিত করা হতো ইউরোপ-সেরা। অবশ্য প্রথম দিকে ইউরোপের ক্লাব ফুটবলে খেলা ইউরোপিয়ান ফুটবলাররাই এই পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হতেন। এই প্রথা বাদ দেওয়া হয় ১৯৯৫ সালে। ফলে পেলে-ম্যারাডোনা নামের দুই কিংবদন্তির এই পুরস্কার জেতার সৌভাগ্য হয়নি।
তিনবার করে ব্যালন ডি’অর জিতেছেন তিনজন: ক্রুইফ, প্লাতিনি আর মার্কো ফন বাস্তেন। এঁদের মধ্যে কেবল প্লাতিনিই টানা তিনবার জিতেছেন (১৯৮৩-১৯৮৫)। আজ পুরস্কারটি হাতে নিতে পারলে প্লাতিনির কীর্তিটাও ছুঁয়ে ফেলবেন মেসি।
রোনালদো-ভক্তরা অবশ্য একেবারেই হাল ছেড়ে দেবেন না। মেসি-বন্দনায় রিয়ালের পর্তুগিজ উইঙ্গার আড়ালে যাচ্ছেন বটে, কিন্তু গত মৌসুমে তিনিও কিন্তু ক্লাবের হয়ে মেসির সমানই গোল করেছেন। মেসি ৫৫ ম্যাচে ৫৩টি। রোনালদো ৫৪ ম্যাচে ৫৩টি। তবে মেসি তাঁর দল বার্সেলোনাকে স্প্যানিশ লিগ আর চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতিয়েছেন। তা ছাড়া গত মৌসুমে ২৪টি গোলও করিয়েছেন। সব মিলে ভোটাররা তাঁর বাক্সের দিকেই ঝুঁকবেন বলে অনুমান। টানা তৃতীয়বারের মতো সংক্ষিপ্ত তালিকায় উঠে আসা জাভি অবশ্য আগে থেকেই নিজের দাবি ছেড়ে দিয়ে বলেছেন, পুরস্কারটা মেসির প্রাপ্য।
দেখা যাক, ফিফা সভাপতি সেপ ব্ল্যাটারের খামের ভেতর থেকে উঠে আসে কার নাম!
No comments