নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে অব্যাহতি পেলেন বিমানের চার কর্মকর্তা
নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের চার কর্মকর্তা। গতকাল রোববার বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এই চার কর্মকর্তা হলেন—বিমানের ডিরেক্টর অব ফ্লাইট অপারেশন ক্যাপ্টেন শফিক, বৈমানিক ক্যাপ্টেন এনামুল হক, ফার্স্ট অফিসার আবেদ ও কেবিন ক্রু শবনম কাদের।
জানা যায়, গত ২৮ অক্টোবর হাইকোর্টের একজন বিচারপতি বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর যান। তাঁর যাওয়ার আগের দিন বিমানের সদর দপ্তর থেকে ওই বিচারপতির টিকিট ইকনোমিক ক্লাস থেকে বিজনেস ক্লাসে উন্নীত করে দেওয়া হয়। এরপর বিমানের ক্যাপ্টেন ও ক্রুরা ওই বিচারপতির সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন—এমন অভিযোগে এক আইনজীবী হাইকোর্টে আদালত অবমাননার আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে আদালত তাঁদের প্রতি আদালত অবমাননার রুল জারি করেন এবং হাজির হতে নির্দেশ দেন। গতকাল তাঁরা আদালতে হাজির ছিলেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন রোকন উদ্দিন মাহমুদ, বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পক্ষে আইনজীবী আজমালুল হোসেন কিউসি, ক্যাপ্টেনদের পক্ষে আইনজীবী আনিসুল হক ও কাজী আকতার হামিদ এবং কেবিন ক্রুর পক্ষে আইনজীবী মাসুদ রেজা সোবহান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আলতাফ হোসেন।
আদেশ প্রসঙ্গে এ বি এম আলতাফ হোসেন প্রথম আলোকে জানান, যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সতর্ক করে দিয়েছেন আদালত। নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা চাওয়ায় চারজনকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। তবে ক্যাপ্টেন শফিকের বিদেশে ব্যাংক হিসাব আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন রোকন উদ্দিন মাহমুদ, বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পক্ষে আইনজীবী আজমালুল হোসেন কিউসি, ক্যাপ্টেনদের পক্ষে আইনজীবী আনিসুল হক ও কাজী আকতার হামিদ এবং কেবিন ক্রুর পক্ষে আইনজীবী মাসুদ রেজা সোবহান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আলতাফ হোসেন।
আদেশ প্রসঙ্গে এ বি এম আলতাফ হোসেন প্রথম আলোকে জানান, যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সতর্ক করে দিয়েছেন আদালত। নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা চাওয়ায় চারজনকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। তবে ক্যাপ্টেন শফিকের বিদেশে ব্যাংক হিসাব আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
No comments