চলতি সেচ মৌসুমে বিদ্যুৎ ঘাটতি হবে দেড় হাজার মেগাওয়াট
চলতি সেচ মৌসুমে বাড়বে বিদ্যুৎ ঘাটতি। সেচে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিদ্যুৎ দিতে গিয়ে শহরে লোডশেডিং করতে হতে পারে। বর্তমানে ঘাটতি না থাকলেও আগামী এপ্রিল নাগাদ ঘাটতির পরিমাণ দেড় হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে বিদ্যুৎ বিভাগের আশঙ্কা। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, বর্তমানে ৫ হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। ভরা সেচ মৌসুম ও গরম এগিয়ে আসার সঙ্গে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়তে থাকবে। এর সঙ্গে ঘাটতিও বাড়বে।
এতে লোডশেডিং ভোগান্তি আবারও ফিরে আসতে পারে। সূত্র জানায়, জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ সেচ মৌসুম ধরা হয়। অন্যান্য বছরের মতো এবারও রাত ১১টা থেকে পরদিন সকাল ৭টা পর্যন্ত সেচ যন্ত্র চালানোর জন্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। এ সময়ে গ্রামে অগ্রাধিকারভিত্তিতে বিদ্যুৎ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। লোড ম্যানেজমেন্টের পাশাপাশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়েও বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সিএনজি স্টেশন ও পেট্রোলপাম্প যাতে আলোকসজ্জা না করে সে জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে আইনি ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এছাড়া রাত ৮টার পর এবং 'হলিডে স্টেগারিং' অনুযায়ী দোকানপাট বন্ধ করা হচ্ছে কি-না তা নিয়মিত পর্যবেক্ষণের জন্য বিতরণ কোম্পানিগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে বিতরণ সংস্থাগুলোকে এসব নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় এ বছর কৃষি সেচপাম্পের সংখ্যা বাড়ছে। গত সেচ মৌসুমের চেয়ে এ বছর সাড়ে ২৩ হাজারের বেশি সেচযন্ত্র ব্যবহার হচ্ছে। গত বছর যেখানে মোট বিদ্যুৎনির্ভর সেচযন্ত্রের সংখ্যা ছিল দুই লাখ ৭৮ হাজার ২১টি। এ বছর
এ সংখ্যা তিন লাখ এক হাজার ৬৩১। শুধু কৃষি সেচেই এ বছর বিদ্যুৎ লাগছে এক হাজার ৫৩৮ মেগাওয়াট। সেচের ভরা মৌসুম এপ্রিলে। এর আগেই শীত কমে তাপমাত্রা বেড়ে যায়। এ কারণে এপ্রিল এগিয়ে আসার সঙ্গে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়তে থাকে।
সরকারি তথ্য মতে, চলতি মাসের শেষ নাগাদ সেচের পিক সময়ে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা পেঁৗছাবে ৫ হাজার ৫৬৫ মেগাওয়াট। এখনকার মতো বিদ্যুৎ উৎপাদন হলে এ মাসের শেষ দিকে লোডশেডিং হবে ৫শ' মেগাওয়াটের বেশি। একইভাবে ফেব্রুয়ারিতে এক হাজার ৪২৮, মার্চে এক হাজার ৯৫৮ এবং এপ্রিলে সর্বোচ্চ দুই হাজার ১৫৭ মেগাওয়াট লোডশেডিং হতে পারে। এ সময়ের মধ্যে ছোট ও মাঝারি আকারের আরও তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে আসতে পারে। সর্বোচ্চ গ্যাস সরবরাহ এবং সর্বোচ্চ মাত্রায় উৎপাদনের চেষ্টা চালালেও মার্চ-এপ্রিলে লোডশেডিং দেড় হাজার মেগাওয়াটের বেশি হবে।
বিদ্যুৎ বিভাগের হিসাবে চলতি সেচ মৌসুমে সেচের পিক সময়ে দেশে মোট বিদ্যুতের চাহিদা দাঁড়াবে ৭ হাজার ১২৫ মেগাওয়াট। তখন বিদ্যুৎ উৎপাদন ৫ হাজার ৩৩০ থেকে ৫ হাজার ৯৪৫ মেগাওয়াট হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। সর্বোচ্চ এক হাজার ২১৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতির আশঙ্কা করা হলেও বিতরণ সংস্থাগুলোর মাঠ কর্মকর্তাদের ধারণা কোনো কোনো দিন লোডশেডিং দুই হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে যেতে পারে। গড়ে লোডশেডিং হবে দেড় হাজার মেগাওয়াট। তাদের আশঙ্কা, সেচ মৌসুমের চার মাসে বিদ্যুতের চাহিদা ও ঘাটতি বেড়ে গেলে গভীর রাত এমনকি ভোরেও মানুষকে লোডশেডিংয়ের দুর্ভোগ পোহাতে হতে পারে। কারণ রাত ১১টার পর থেকে সকাল পর্যন্ত সেচ যন্ত্রগুলো চালানো হয়। এ কারণে বছরের অন্য সময়ের চেয়ে এ সেচ মৌসুমে গভীর রাত থেকে ভোর পর্যন্ত সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ চাহিদা থাকে।
এ সংখ্যা তিন লাখ এক হাজার ৬৩১। শুধু কৃষি সেচেই এ বছর বিদ্যুৎ লাগছে এক হাজার ৫৩৮ মেগাওয়াট। সেচের ভরা মৌসুম এপ্রিলে। এর আগেই শীত কমে তাপমাত্রা বেড়ে যায়। এ কারণে এপ্রিল এগিয়ে আসার সঙ্গে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়তে থাকে।
সরকারি তথ্য মতে, চলতি মাসের শেষ নাগাদ সেচের পিক সময়ে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা পেঁৗছাবে ৫ হাজার ৫৬৫ মেগাওয়াট। এখনকার মতো বিদ্যুৎ উৎপাদন হলে এ মাসের শেষ দিকে লোডশেডিং হবে ৫শ' মেগাওয়াটের বেশি। একইভাবে ফেব্রুয়ারিতে এক হাজার ৪২৮, মার্চে এক হাজার ৯৫৮ এবং এপ্রিলে সর্বোচ্চ দুই হাজার ১৫৭ মেগাওয়াট লোডশেডিং হতে পারে। এ সময়ের মধ্যে ছোট ও মাঝারি আকারের আরও তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে আসতে পারে। সর্বোচ্চ গ্যাস সরবরাহ এবং সর্বোচ্চ মাত্রায় উৎপাদনের চেষ্টা চালালেও মার্চ-এপ্রিলে লোডশেডিং দেড় হাজার মেগাওয়াটের বেশি হবে।
বিদ্যুৎ বিভাগের হিসাবে চলতি সেচ মৌসুমে সেচের পিক সময়ে দেশে মোট বিদ্যুতের চাহিদা দাঁড়াবে ৭ হাজার ১২৫ মেগাওয়াট। তখন বিদ্যুৎ উৎপাদন ৫ হাজার ৩৩০ থেকে ৫ হাজার ৯৪৫ মেগাওয়াট হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। সর্বোচ্চ এক হাজার ২১৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতির আশঙ্কা করা হলেও বিতরণ সংস্থাগুলোর মাঠ কর্মকর্তাদের ধারণা কোনো কোনো দিন লোডশেডিং দুই হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে যেতে পারে। গড়ে লোডশেডিং হবে দেড় হাজার মেগাওয়াট। তাদের আশঙ্কা, সেচ মৌসুমের চার মাসে বিদ্যুতের চাহিদা ও ঘাটতি বেড়ে গেলে গভীর রাত এমনকি ভোরেও মানুষকে লোডশেডিংয়ের দুর্ভোগ পোহাতে হতে পারে। কারণ রাত ১১টার পর থেকে সকাল পর্যন্ত সেচ যন্ত্রগুলো চালানো হয়। এ কারণে বছরের অন্য সময়ের চেয়ে এ সেচ মৌসুমে গভীর রাত থেকে ভোর পর্যন্ত সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ চাহিদা থাকে।
No comments