বর্তমান সরকারের তিন বছর-অভিনন্দন অভিনন্দন অভিনন্দন

ত্যন্ত সফলতার সঙ্গে বর্তমান সরকারের গত তিন বছর আগের সব কটি সরকারের প্রথম তিন বছরের সঙ্গে মোটামুটি মিলে গেছে! একেই বলে ইতিহাসের শিক্ষা হচ্ছে ইতিহাস থেকে কেউ কখনো শিক্ষা গ্রহণ করে না। ইতিহাস ঘুরেফিরে বারবার আসে। সেটা ফ্যাশনেও, গভ. সেশনেও। সরকারের একমাত্র খাত যেটা ইতিহাসের মতো হয়নি, বরং অন্য সব মেঘের আড়াল দিয়ে ঠিকই শেষ বিকেলের সোনাররোদ ছড়াচ্ছিল, সেটাও শেষ পর্যন্ত সহ্য হয়নি মিরপুরের একজন


সাংসদের। নিজেই স্কুলে গিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির নামে চাঁদাবাজি করে সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে তার চরিত্রের কালিমা দিয়ে ঢেকে দেওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন! কলেজ-ভার্সিটি পরীক্ষার সময় ছাত্ররা প্রতিদিনই ভাবে, এখনো অনেক দিন বাকি পরীক্ষার, কাল থেকে পড়ব। এরপর এসে দাঁড়ায় এখনো চার ঘণ্টা বাকি, আরেকটু রেস্ট নিয়ে নিই। কেন বললাম? কারণ, সরকারের এখনো দুশ্চিন্তা করার মতো সময় আসেনি, এখনো পরবর্তী নির্বাচনের জন্য সাত শ তিরিশ দিন বাকি! অনেক দিন! আরেকটু রেস্ট নিতে পারেন আপনারা। সরকারের তিন বছর উপলক্ষে বিভিন্ন মাধ্যমের জরিপ, বিশিষ্টজনের কথাবার্তা, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফলাফল—সবকিছু মিলিয়ে পাল্লা এখন বিরোধী দলের দিকে একটু ভারী। আর তাতেই বিরোধী দল সরকারকে উপদেশ দিতে শুরু করেছে! মজার বিষয় হচ্ছে, বিরোধী দলের কোনো কাজের জন্য কিন্তু তাদের পাল্লা ভারী হয়নি। ভারী হয়েছে সরকারের পাল্লা হালকা হয়ে যাওয়ার কারণে। তাদের পাল্লায় আগেও যা ছিল, এখনো তা-ই আছে। আসলে পুরো বিষয়টি সেই দুই ইঁদুরের রুটি বানর যেভাবে ভাগ করে দিয়েছিল সে রকম। প্রতিবার এক পাল্লায় একটু কমে, আর অন্য পাল্লা থেকে একটু একটু করে খেতে থাকে বানর। এভাবে একদিন ইঁদুরের উপার্জিত রুটির পুরোটাই কিন্তু গিয়েছিল দুষ্টু বানরের পেটে! এটা অ্যালার্মিং, জনগণের জন্য নয়, দুই দলের জন্য। কারণ, আওয়ামী লীগ, বিএনপি দুটি শব্দ কেবল। শব্দ দুটি বাদ দিলে তারাও সাধারণ মানুষের চেয়ে ভিন্ন কিছু নয়। যা হোক, সরকারকে অভিনন্দন, পুরোনো ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য। নতুন কোনো ইতিহাস রচিত হলে ইতিহাসের শিক্ষার্থীদের কষ্ট বেড়ে যেত! তার চেয়ে এই ভালো, ডিজিটাল বাংলায় জাস্ট কপি-পেস্ট!!

No comments

Powered by Blogger.