ফার্নিচারে ছাড় দিচ্ছে নামিদামি প্রতিষ্ঠান

দিন যত গড়াচ্ছে ততই জমে উঠছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা। গতকাল রোববার সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস হলেও শেষ বিকেলে দর্শক ও ক্রেতার পদচারণায় কানায় কানায় ভরে ওঠে মেলা প্রাঙ্গণ। ক্রেতার তুলনায় দর্শকই ছিল বেশি। তবে বেচাকেনাও কম হচ্ছে না। মেলায় অংশ নেওয়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা ব্যাপক লোকসমাগমে খুশি। তারা মনে করছেন, মেলায় লোকসমাগম বাড়লে কেনাবেচা বাড়বেই। মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায় গৃহস্থালি পণ্য, পোশাক-পরিচ্ছদ


এবং ফার্নিচারের শোরুমগুলোয় ক্রেতা ও দর্শক বেশি ভিড় করছেন। এবারের মেলায় দেশের প্রথম সারির ফার্নিচার উৎপাদনকারী নাভানা, আকতার ও পার্টেক্স ফার্নিচার কোম্পানি সুপরিসর সুদর্শন প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন নিয়ে মেলায় তাদের উৎপাদিত পণ্য প্রদর্শন করছে। অনেকে মেলার নানারকম লোভনীয় অফারের সুযোগ নিয়ে পছন্দের জিনিসটি কিনেও নিচ্ছেন।
আকতার ফার্নিচার প্যাভিলিয়ন ঘুরে দেখা যায় খাট, আলমারি, ড্রেসিং টেবিল, সোফা, ডাইনিং টেবিল, চেস্ট অব ড্রয়ার, কিচেন কেবিনেট এবং ডিভানসহ নানা আসবাব তারা মেলায় এনেছে। মেলায় এবার আকতার ফার্নিচার ৫ থেকে ২৫ শতাংশ মূল্য ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছে।
মেলায় কেমন বিক্রি হচ্ছে জানতে চাইলে আকতার ফার্নিচারের সহকারী মহাব্যবস্থাপক সুফিয়া খাতুন জানান, মেলায় অংশগ্রহণের প্রধান উদ্দেশ্য বিক্রি নয়, প্রদর্শনী। তিনি বলেন, আমরা কত উন্নত মানের পণ্য উৎপাদন করি তা ব্যাপকভাবে তুলে ধরার সবচেয়ে বড় মাধ্যম হচ্ছে এই বাণিজ্যমেলা। তবে মেলার মাত্র এক সপ্তাহ বয়সেই বিক্রির যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে তাতে অতীতের তুলনায় এবার বিক্রি বেশি হবে বলে আশা করছেন তিনি।
একইভাবে পার্টেক্স ফার্নিচার প্যাভিলিয়নেও ক্রেতা-দর্শকদের ভিড় দেখা গেছে। কোম্পানির সেলস ম্যানেজার অতুল প্রসাদ সরকার জানান, পার্টেক্স ফার্নিচারের শতভাগ পণ্যই সম্পূর্ণ কাঠের তৈরি। তাদের উৎপাদিত মানসম্মত আসবাব ক্রেতা-দর্শকদের কাছে তুলে ধরাই মেলায় অংশগ্রহণের প্রধান উদ্দেশ্য। তবে তাদের কোম্পানি সব আসবাবের ওপর ১৮ শতাংশ মূল্য ছাড়ের ঘোষণা ক্রেতাদের বেশি আকৃষ্ট করেছে বলে মনে করেন তিনি।
নাভানা ফার্নিচারের প্যাভিলিয়নেও দেখা গেছে ক্রেতা-দর্শক সমাগম। জানতে চাইলে সহকারী মহাব্যবস্থাপক (বিক্রয়) মাহবুব মোরশেদ ফেরদৌস জানিয়েছেন, মেলায় তাদের প্রধান উদ্দেশ্য ব্রান্ডিং। মেলায় তাদের উৎকৃষ্টমানের পণ্য সাধারণ মানুষের কাছে প্রচার করাই মেলায় অংশগ্রহণের প্রধান উদ্দেশ্য। তবে টার্গেট অনুযায়ী বিক্রি হচ্ছে বলে জানান তিনি।

No comments

Powered by Blogger.