চট্টগ্রাম অভিমুখে চার দলের রোডমার্চ-কুমিল্লা ও ফেনীতে সংঘর্ষ by আবু তাহের ও গাজীউল হক
চারদলীয় জোটের রোডমার্চের পথসভার মঞ্চে বসা নিয়ে কুমিল্লার পদুয়ার বাজারে বিএনপির দুই নেতার সমর্থকদের মধ্যে এবং মাঠে মঞ্চের সামনে বসা নিয়ে ফেনীতে ছাত্রশিবিরের সঙ্গে ছাত্রদলের কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ৪৫ জন আহত হন। ফেনীর পাইলট হাইস্কুল মাঠে গতকাল সকাল নয়টা থেকেই জামায়াত ও শিবিরের নেতা-কর্মীরা হাতে দুপুরের খাবারের প্যাকেট ও পানির বোতল নিয়ে মঞ্চের সামনে বসেন। ১১টা নাগাদ মাঠের দুই-তৃতীয়াংশই
শিবিরকর্মীতে ভরে যায়। দুপুর ১২টার দিকে মিছিল নিয়ে ছাত্রদলের কর্মীরা মাঠে ঢুকে মঞ্চের কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করলে শিবিরকর্মীদের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। বিএনপি ও জামায়াতের নেতারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
বেলা একটার দিকে আবার জায়গা নিয়ে ছাত্রদল ও শিবিরের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় সদর থানা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রহমান বারবার মাইকে কর্মীদের প্রতি জনসভা বানচাল করতে ‘সরকারের এজেন্টের’ উসকানিতে সাড়া না দিতে আহ্বান জানান।
পরে শিবিরের ফেনী শহর কমিটির সভাপতি রাশেদুল হাসান মাইকে ঘোষণা দেন, ‘শিবিরের ব্যাজ বাঁধা তরুণেরা এখনই বসে পড়বেন না। বসলে ধরে নেব, তাঁরা সরকারের এজেন্ট।’ এরপর পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এর ১০ মিনিট পরে মিছিল নিয়ে আসা ছাত্রদলের কর্মীরা মঞ্চের সামনের দিকে বসতে গেলে শিবিরের কর্মীদের সঙ্গে আবার সংঘর্ষ বাধে। প্রায় ১৫ মিনিট পরে নেতাদের চেষ্টায় পরিস্থিতি শান্ত হয়। তৃতীয় দফা সংঘর্ষের পর শিবিরের বড় একটা অংশ মাঠের বাইরে গিয়ে আশপাশের সড়কে অবস্থান নেয়।
তিন দফা সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হন। তাঁদের মধ্যে ১২ জন ফেনী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আলাউদ্দিন মজুমদার।
কুমিল্লায় সংঘর্ষ: বেলা একটায় কুমিল্লার পদুয়ার বাজারের পথসভায় বিএনপির দুই পক্ষের কর্মীদের কয়েক দফায় সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হন। আহত নেতা-কর্মীদের স্থানীয় ইউনিক হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া পৌঁছার আগেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র মনিরুল হকের অনুসারীরা সকাল থেকে পথসভার মঞ্চ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়। বেলা একটায় কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিন উর রশিদের অনুসারীরা মঞ্চের কাছে গেলেই উভয় পক্ষের মধ্যে চেয়ার নিয়ে মারামারি শুরু হয়। প্রায় ৪০ মিনিট ধরে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়।
রাতে আমিন উর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছেলেপেলেদের মধ্যে চেয়ারে বসা নিয়ে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। এটা ভুল বোঝাবুঝি।’
মেয়র মনিরুল হক বলেন, মঞ্চের সামনে বসাকে কেন্দ্র করে কর্মীদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সাজিদ বলেন, মঞ্চের সামনে বসাকে কেন্দ্র করে মেয়রপক্ষের সঙ্গে দলের সাধারণ সম্পাদকের পক্ষের অনুসারীদের মারামারি হয়েছে।
বেলা একটার দিকে আবার জায়গা নিয়ে ছাত্রদল ও শিবিরের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় সদর থানা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রহমান বারবার মাইকে কর্মীদের প্রতি জনসভা বানচাল করতে ‘সরকারের এজেন্টের’ উসকানিতে সাড়া না দিতে আহ্বান জানান।
পরে শিবিরের ফেনী শহর কমিটির সভাপতি রাশেদুল হাসান মাইকে ঘোষণা দেন, ‘শিবিরের ব্যাজ বাঁধা তরুণেরা এখনই বসে পড়বেন না। বসলে ধরে নেব, তাঁরা সরকারের এজেন্ট।’ এরপর পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এর ১০ মিনিট পরে মিছিল নিয়ে আসা ছাত্রদলের কর্মীরা মঞ্চের সামনের দিকে বসতে গেলে শিবিরের কর্মীদের সঙ্গে আবার সংঘর্ষ বাধে। প্রায় ১৫ মিনিট পরে নেতাদের চেষ্টায় পরিস্থিতি শান্ত হয়। তৃতীয় দফা সংঘর্ষের পর শিবিরের বড় একটা অংশ মাঠের বাইরে গিয়ে আশপাশের সড়কে অবস্থান নেয়।
তিন দফা সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হন। তাঁদের মধ্যে ১২ জন ফেনী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আলাউদ্দিন মজুমদার।
কুমিল্লায় সংঘর্ষ: বেলা একটায় কুমিল্লার পদুয়ার বাজারের পথসভায় বিএনপির দুই পক্ষের কর্মীদের কয়েক দফায় সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হন। আহত নেতা-কর্মীদের স্থানীয় ইউনিক হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া পৌঁছার আগেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র মনিরুল হকের অনুসারীরা সকাল থেকে পথসভার মঞ্চ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়। বেলা একটায় কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিন উর রশিদের অনুসারীরা মঞ্চের কাছে গেলেই উভয় পক্ষের মধ্যে চেয়ার নিয়ে মারামারি শুরু হয়। প্রায় ৪০ মিনিট ধরে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়।
রাতে আমিন উর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছেলেপেলেদের মধ্যে চেয়ারে বসা নিয়ে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। এটা ভুল বোঝাবুঝি।’
মেয়র মনিরুল হক বলেন, মঞ্চের সামনে বসাকে কেন্দ্র করে কর্মীদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সাজিদ বলেন, মঞ্চের সামনে বসাকে কেন্দ্র করে মেয়রপক্ষের সঙ্গে দলের সাধারণ সম্পাদকের পক্ষের অনুসারীদের মারামারি হয়েছে।
No comments