অটিস্টিক শিশুটির ওপর এই নির্মমতা!
রাজধানীতে অটিস্টিক এক শিশুকে রাতেরবেলা স্কুলের মধ্যে আটকে রেখে নির্দয়ভাবে পিটিয়েছে নিরাপত্তাকর্মীরা। শিশুটির নাম মাইনউদ্দিন শরীফ (১২)। শেওড়াপাড়ায় মনিপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের ৩ নম্বর শাখায় গত শনিবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। মাইনউদ্দিন মিরপুর ১৪ নম্বরে প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশনের বিশেষায়িত স্কুলের শিক্ষার্থী। তার বাবা জসিমউদ্দিন আগারগাঁওয়ের তালতলায় আহবাহওয়া অধিদপ্তরের কর্মচারী। তিনি সপরিবারে তালতলা কলোনির
কোয়ার্টারে থাকেন। কাফরুল থানার এএসআই আবদুর রাজ্জাক গতকাল জানান, শুক্রবার মধ্যরাতে থানায় খবর আসে মনিপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের ৩ নম্বর শাখার ফটক লাগিয়ে একটি শিশুকে পেটাচ্ছে নিরাপত্তাকর্মীরা। স্কুলের আশপাশের লোকজনের কাছ থেকে এ খবর পেয়ে এএসআই মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে কাফরুল থানার টহল পুলিশ মাইনউদ্দিনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এরপর ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সব থানায় বিষয়টি জানান। শেরেবাংলা নগর থানায় গিয়ে এ খবর পেয়ে ছেলেটির বাবা রাত তিনটার দিকে কাফরুল থানায় আসেন। এরপর মাইনউদ্দিনকে তার বাবার জিম্মায় দেওয়া হয়।
এএসআই মিজানুর রহমান জানান, পুলিশ স্কুলে যাওয়ার পর নিরাপত্তাকর্মী হেলালউদ্দিন ও আনোয়ার প্রথমে স্কুলের ফটক খুলে দিতে রাজি হননি। পরে তাঁরা ওই ফটক খুলে দিতে বাধ্য হন। এরপর ছেলেটিকে উদ্ধার করা হয়।
গতকাল বিকেলে মাইনউদ্দিনের বাসায় গেলে তাঁর মা মেহেরুননেসা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, মাইনউদ্দিনের শরীরের পেছন দিক ও দুই হাত থেঁতলে গেছে। দুই পায়ে ভর করে হাঁটতে পারছে না। দুপুরে তাকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নেওয়া হয়।
মেহেরুননেসা বলেন, তাঁর মেয়ে মনিপুর স্কুলে পড়ে। মাইনউদ্দিনকে নিয়ে তিনি মেয়েকে আনতে ওই স্কুলে যেতেন। এ জন্য মাইনউদ্দিন ওই স্কুল চেনে। বাসার দরজা খোলা পেয়ে আগেও সে একবার বাইরে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিল। তিনি জানান, শুক্রবার রাত ১২টার দিকে মাইনউদ্দিন হঠাৎ বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। ভবনের কলাপসিবল গেট খোলা ছিল। এরপর তার খোঁজ শুরু হয়।
এ বিষয়ে মনিপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের ৩ নম্বর শাখার অধ্যক্ষ ফরহাদ হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন, ছেলেটি তাঁর স্কুলের ছাত্র কি না। এরপর তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘এ রকমের একটি ঘটনা ঘটল আর আমি জানলামই না।’
গতকাল সন্ধ্যায় মাইনউদ্দিনের বাবা জসিমউদ্দিন কাফরুল থানায় মামলা করতে গেলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। তবে অভিযোগটি একটি জিডি হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।
থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান বলেন, ‘ঘটনার মধ্যে মামলার উপাদান না থাকায় এটি জিডি হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।’
এএসআই মিজানুর রহমান জানান, পুলিশ স্কুলে যাওয়ার পর নিরাপত্তাকর্মী হেলালউদ্দিন ও আনোয়ার প্রথমে স্কুলের ফটক খুলে দিতে রাজি হননি। পরে তাঁরা ওই ফটক খুলে দিতে বাধ্য হন। এরপর ছেলেটিকে উদ্ধার করা হয়।
গতকাল বিকেলে মাইনউদ্দিনের বাসায় গেলে তাঁর মা মেহেরুননেসা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, মাইনউদ্দিনের শরীরের পেছন দিক ও দুই হাত থেঁতলে গেছে। দুই পায়ে ভর করে হাঁটতে পারছে না। দুপুরে তাকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নেওয়া হয়।
মেহেরুননেসা বলেন, তাঁর মেয়ে মনিপুর স্কুলে পড়ে। মাইনউদ্দিনকে নিয়ে তিনি মেয়েকে আনতে ওই স্কুলে যেতেন। এ জন্য মাইনউদ্দিন ওই স্কুল চেনে। বাসার দরজা খোলা পেয়ে আগেও সে একবার বাইরে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিল। তিনি জানান, শুক্রবার রাত ১২টার দিকে মাইনউদ্দিন হঠাৎ বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। ভবনের কলাপসিবল গেট খোলা ছিল। এরপর তার খোঁজ শুরু হয়।
এ বিষয়ে মনিপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের ৩ নম্বর শাখার অধ্যক্ষ ফরহাদ হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন, ছেলেটি তাঁর স্কুলের ছাত্র কি না। এরপর তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘এ রকমের একটি ঘটনা ঘটল আর আমি জানলামই না।’
গতকাল সন্ধ্যায় মাইনউদ্দিনের বাবা জসিমউদ্দিন কাফরুল থানায় মামলা করতে গেলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। তবে অভিযোগটি একটি জিডি হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।
থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান বলেন, ‘ঘটনার মধ্যে মামলার উপাদান না থাকায় এটি জিডি হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।’
No comments