বিচারের নামে বাড়াবাড়ি করা যাবে না
গাইবান্ধা সদর উপজেলার গিদারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের ‘নিজস্ব আদালত’ শিরোনামে প্রথম আলোয় গত রোববার একটি খবর ছাপা হয়েছে। কিন্তু প্রথম আলোর সম্পাদকীয় নীতি হচ্ছে—গ্রাম আদালতকে উৎসাহিত করা। আমরা ওই প্রতিবেদনে বিধিভঙ্গের দায়ে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান গোলাম সাদেক ওরফে লেবু এবং প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রতিবেদক নিশ্চিত করেন, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠেনি।
গোলাম সাদেকের যুক্তি, গ্রাম আদালত আইন অনুযায়ী, তিনি নিয়ম মেনেই বিচারকার্য পরিচালনা করছেন। পেশাগতভাবে তিনি স্থানীয় একটি কলেজের সমাজবিজ্ঞানের প্রভাষক। সাধারণ মানুষকে কম জটিলতায় বিচারের সুফল দিতেই বিচারকার্যে মনোযোগী হন বলে তিনি দাবি করেন।
প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশে প্রচলিত যে বিচারব্যবস্থা, তা ইতিমধ্যেই মামলাজটে জবুথবু শুধু নয়, এটা ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ। এই অবস্থা থেকে বেরোতে হলে সালিস-বৈঠক, গ্রাম আদালত এবং বিরোধ নিষ্পত্তির বিকল্প পদ্ধতির মতো বিচারব্যবস্থার দিকে মানুষকে আকৃষ্ট করতে হবে।
গোলাম সাদেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে গত ৯ আগস্ট শপথ নিয়েছেন। এ সময়ে ছোটবড় ২২টি বিবাদের মীমাংসা করার যে দাবি তিনি করেছেন, তা সত্য হলে আশাব্যঞ্জক ঘটনা। আমরা আশা করব, তিনি সর্বতোভাবে গ্রাম আদালত আইনের বিধিবিধান কঠোরভাবে অনুসরণ করবেন। তাঁর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের যেসব অভিযোগ উঠেছে, তার মধ্যে এক ‘মদ্যপ’ যুবককে গলায় জুতার মালা পরিয়ে ঘোরানো, স্বামীর পরিবর্তে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে জোর করে আদালতে হাজির করানো এবং বিবাদীকে ধরতে গিয়ে তাঁর বাড়িতেই গ্রাম পুলিশদের ভাত খাওয়ার অপরাধে তাঁদেরকে সূর্যের দিকে এক ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখা উল্লেখযোগ্য।
সংশ্লিষ্টরা বিবেচনায় নেবেন যে, জঘন্য অপরাধে দণ্ডিত ব্যক্তিরও মানবাধিকার রয়েছে। সংবিধানে বলা আছে, কোনো ব্যক্তিকে লাঞ্ছনাকর দণ্ড দেওয়া যাবে না। আইন মেনেই আইন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। গাইবান্ধার আদর্শ গ্রাম আদালতে বিচারের নামে বাড়াবাড়ি অবশ্যই পরিহার করতে হবে। বিষয়টির সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত হোক।
প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশে প্রচলিত যে বিচারব্যবস্থা, তা ইতিমধ্যেই মামলাজটে জবুথবু শুধু নয়, এটা ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ। এই অবস্থা থেকে বেরোতে হলে সালিস-বৈঠক, গ্রাম আদালত এবং বিরোধ নিষ্পত্তির বিকল্প পদ্ধতির মতো বিচারব্যবস্থার দিকে মানুষকে আকৃষ্ট করতে হবে।
গোলাম সাদেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে গত ৯ আগস্ট শপথ নিয়েছেন। এ সময়ে ছোটবড় ২২টি বিবাদের মীমাংসা করার যে দাবি তিনি করেছেন, তা সত্য হলে আশাব্যঞ্জক ঘটনা। আমরা আশা করব, তিনি সর্বতোভাবে গ্রাম আদালত আইনের বিধিবিধান কঠোরভাবে অনুসরণ করবেন। তাঁর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের যেসব অভিযোগ উঠেছে, তার মধ্যে এক ‘মদ্যপ’ যুবককে গলায় জুতার মালা পরিয়ে ঘোরানো, স্বামীর পরিবর্তে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে জোর করে আদালতে হাজির করানো এবং বিবাদীকে ধরতে গিয়ে তাঁর বাড়িতেই গ্রাম পুলিশদের ভাত খাওয়ার অপরাধে তাঁদেরকে সূর্যের দিকে এক ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখা উল্লেখযোগ্য।
সংশ্লিষ্টরা বিবেচনায় নেবেন যে, জঘন্য অপরাধে দণ্ডিত ব্যক্তিরও মানবাধিকার রয়েছে। সংবিধানে বলা আছে, কোনো ব্যক্তিকে লাঞ্ছনাকর দণ্ড দেওয়া যাবে না। আইন মেনেই আইন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। গাইবান্ধার আদর্শ গ্রাম আদালতে বিচারের নামে বাড়াবাড়ি অবশ্যই পরিহার করতে হবে। বিষয়টির সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত হোক।
No comments