রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি কমেছে-অর্থবছরের ৬ মাস by আবু হেনা মুহিব
চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) রফতানি অয়ের পরিমাণ লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় কমেছে ৬১ কোটি ৬০ লাখ ডলার। রফতানি আয় দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৭৭ কোটি ৪৬ লাখ ডলার। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৪ দশমিক ৭২ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের একই সময় প্রবৃদ্ধি ছিল ৪১ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) রফতানিতে প্রবৃদ্ধি ছিল ১৭ দশমিক ৩৩ শতাংশ। জুলাই-অক্টোবরে প্রবৃদ্ধি ছিল ২১ শতাংশের বেশি।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ মাসিক রফতানি প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে। তথ্য অনুযায়ী একক মাস হিসেবে গত ডিসেম্বরে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রফতানি কমেছে ১১ শতাংশ। প্রতি মাসে রফতানি আয় আগের মাসের তুলনায় কমতে থাকায় অর্থবছরের শেষে এ বছর রফতানি আয় লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে না বলে আশঙ্কা করছেন রফতানিকারকরা। তবে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান শুভাশীষ বসু গতকাল সমকালকে জানান, আমাদের সার্বিক রফতানি প্রবৃদ্ধি ভালো যাচ্ছে। লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কঠিন হবে না।
প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, তৈরি পোশাকের নিট খাতে রফতানি আয় বেড়েছে ১১ শতাংশ। তবে রফতানি লক্ষ্যমাত্রা থেকে আয় কমেছে ৫ শতাংশ। এ খাতের আয় দাঁড়িয়েছে ৪৭৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। এ খাতের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৫০ কোটি ডলার। লক্ষ্যমাত্রা থেকে নামমাত্র আয় কমলেও ২২ দশমিক ৫৬ শতাংশ হারে রফতানি বেড়েছে দেশের অন্যতম প্রধান রফতানি আয়ের খাত ওভেন খাতে। এ সময়ে আয় দাঁড়িয়েছে ৪৪৫ কোটি ৬৯ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে এ খাতের রফতানি আয় ছিল ৩৬৩ কোটি ৬৫ লাখ ডলার। রফতানি আয়ের বড় খাতের মধ্যে হিমায়িত খাদ্যের রফতানি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ। লক্ষ্যমাত্রা থেকে ৭ শতাংশ বেড়ে প্রকৃত রফতানি দাঁড়িয়েছে ৩৬ কোটি ২৬ লাখ ডলার। চিংড়ির রফতানি আয় বেড়েছে ২৮ কোটি ৩০ লাখ ডলার। গত বছর এ খাতের রফতানি আয় ছিল ২৬ কোটি ৪১ লাখ ডলার। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং রফতানি আয় বেড়েছে। তবে অন্যতম প্রধান পণ্য কাঁচা পাট এবং পাট ও পাটপণ্য উভয় খাতেরই আয় কমেছে। কাঁচাপাটের রফতানি আয় কমেছে ৩২ শতাংশ। লক্ষ্যমাত্রা থেকে আয় কমেছে ৪২ শতাংশ। ১৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি কমেছে পাট ও পাট পণ্যের রফতানি। লক্ষ্যমাত্রা থেকে আয় কমেছে ২৪ শতাংশ। তবে দীর্ঘদিন ধরে রফতানি আয়ে নেতিবাচক তালিকায় থাকা চা শিল্প উলি্লখিত সময়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং রফতানি আয় দুই-ই বেড়েছে। লক্ষ্যমাত্রা থেকে আয় বেড়েছে ১৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ এবং প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ৪৭ দশমিক ১১ শতাংশ। গত বছর একই সময়ে এ খাতের রফতানি আয়ের প্রবৃদ্ধি ছিল ৬৮ দশমিক ৪১ শতাংশ। লক্ষ্যমাত্রা থেকে প্রকৃত আয় কম ছিল ৫৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
রফতানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি এমন উল্লেখযোগ্য খাতের মধ্যে রয়েছে জাহাজ রফতানি শিল্প, হোমটেক্স, টেরি টাওয়েল, পাটের তৈরি কার্পেট, পাটের তৈরি সুতা, কাঠ ও কাঠের পণ্য, সবজি, রাবার ইত্যাদি।
রফতানি লক্ষ্য সম্পর্কে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান শুভাশীষ বসু জানান, আমাদের সার্বিক রফতানি প্রবৃদ্ধি ভালো যাচ্ছে। লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কঠিন হবে না। গত কয়েক মাস ধরে রফতানি লক্ষ্য অর্জিত হচ্ছে না এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে রফতানি আয় সার্বিক রফতানি লক্ষ্য অর্জনে সহজ করে দেবে। মনে রাখতে হবে গত অর্থবছরে রেকর্ড রফতানি আয় ছিল আমাদের। তারপরও এখনও আমাদের রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত আছে। তবে এ বক্তব্যের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করে সালাম মুর্শেদী বলেন, প্রতি মাসে রফতানি আয় আগের মাসের তুলনায় কমতে থাকায় অর্থবছরের শেষে এ বছর লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবে না। তিনি বলেন, গত কয়েক মাস ধরে টানা প্রবৃদ্ধি কমছে। প্রধান প্রধান রফতানি বাজারে দ্বিতীয় দফা মন্দা দেখা দিয়েছে। ফলে এ বছর রফতানি লক্ষ্য অর্জন করা যাবে না।
ইপিবির রফতানি প্রতিবেদন অনুযায়ী একক মাস হিসেবে গত ডিসেম্বরে রফতানি আয় দাঁড়িয়েছে ২০৬ কোটি ৪৯ লাখ ডলার। আয় বেড়েছে ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ। তবে এ সময় রফতানি আয় কমেছে লক্ষ্যমাত্রা থেকে ১১ দশমিক ১৫ শতাংশ। গত অর্থবছর এ সময় প্রবৃদ্ধি ছিল ৬৭ দশমিক ৭৬ শতাংশ। প্রকৃত রফতানি আয় ছিল ১৯৮ কোটি ৮৩ লাখ ডলার_ যা লক্ষ্যমাত্রা থেকে ২২ শতাংশ বেশি।
প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, তৈরি পোশাকের নিট খাতে রফতানি আয় বেড়েছে ১১ শতাংশ। তবে রফতানি লক্ষ্যমাত্রা থেকে আয় কমেছে ৫ শতাংশ। এ খাতের আয় দাঁড়িয়েছে ৪৭৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। এ খাতের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৫০ কোটি ডলার। লক্ষ্যমাত্রা থেকে নামমাত্র আয় কমলেও ২২ দশমিক ৫৬ শতাংশ হারে রফতানি বেড়েছে দেশের অন্যতম প্রধান রফতানি আয়ের খাত ওভেন খাতে। এ সময়ে আয় দাঁড়িয়েছে ৪৪৫ কোটি ৬৯ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে এ খাতের রফতানি আয় ছিল ৩৬৩ কোটি ৬৫ লাখ ডলার। রফতানি আয়ের বড় খাতের মধ্যে হিমায়িত খাদ্যের রফতানি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ। লক্ষ্যমাত্রা থেকে ৭ শতাংশ বেড়ে প্রকৃত রফতানি দাঁড়িয়েছে ৩৬ কোটি ২৬ লাখ ডলার। চিংড়ির রফতানি আয় বেড়েছে ২৮ কোটি ৩০ লাখ ডলার। গত বছর এ খাতের রফতানি আয় ছিল ২৬ কোটি ৪১ লাখ ডলার। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং রফতানি আয় বেড়েছে। তবে অন্যতম প্রধান পণ্য কাঁচা পাট এবং পাট ও পাটপণ্য উভয় খাতেরই আয় কমেছে। কাঁচাপাটের রফতানি আয় কমেছে ৩২ শতাংশ। লক্ষ্যমাত্রা থেকে আয় কমেছে ৪২ শতাংশ। ১৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি কমেছে পাট ও পাট পণ্যের রফতানি। লক্ষ্যমাত্রা থেকে আয় কমেছে ২৪ শতাংশ। তবে দীর্ঘদিন ধরে রফতানি আয়ে নেতিবাচক তালিকায় থাকা চা শিল্প উলি্লখিত সময়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং রফতানি আয় দুই-ই বেড়েছে। লক্ষ্যমাত্রা থেকে আয় বেড়েছে ১৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ এবং প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ৪৭ দশমিক ১১ শতাংশ। গত বছর একই সময়ে এ খাতের রফতানি আয়ের প্রবৃদ্ধি ছিল ৬৮ দশমিক ৪১ শতাংশ। লক্ষ্যমাত্রা থেকে প্রকৃত আয় কম ছিল ৫৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
রফতানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি এমন উল্লেখযোগ্য খাতের মধ্যে রয়েছে জাহাজ রফতানি শিল্প, হোমটেক্স, টেরি টাওয়েল, পাটের তৈরি কার্পেট, পাটের তৈরি সুতা, কাঠ ও কাঠের পণ্য, সবজি, রাবার ইত্যাদি।
রফতানি লক্ষ্য সম্পর্কে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান শুভাশীষ বসু জানান, আমাদের সার্বিক রফতানি প্রবৃদ্ধি ভালো যাচ্ছে। লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কঠিন হবে না। গত কয়েক মাস ধরে রফতানি লক্ষ্য অর্জিত হচ্ছে না এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে রফতানি আয় সার্বিক রফতানি লক্ষ্য অর্জনে সহজ করে দেবে। মনে রাখতে হবে গত অর্থবছরে রেকর্ড রফতানি আয় ছিল আমাদের। তারপরও এখনও আমাদের রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত আছে। তবে এ বক্তব্যের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করে সালাম মুর্শেদী বলেন, প্রতি মাসে রফতানি আয় আগের মাসের তুলনায় কমতে থাকায় অর্থবছরের শেষে এ বছর লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবে না। তিনি বলেন, গত কয়েক মাস ধরে টানা প্রবৃদ্ধি কমছে। প্রধান প্রধান রফতানি বাজারে দ্বিতীয় দফা মন্দা দেখা দিয়েছে। ফলে এ বছর রফতানি লক্ষ্য অর্জন করা যাবে না।
ইপিবির রফতানি প্রতিবেদন অনুযায়ী একক মাস হিসেবে গত ডিসেম্বরে রফতানি আয় দাঁড়িয়েছে ২০৬ কোটি ৪৯ লাখ ডলার। আয় বেড়েছে ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ। তবে এ সময় রফতানি আয় কমেছে লক্ষ্যমাত্রা থেকে ১১ দশমিক ১৫ শতাংশ। গত অর্থবছর এ সময় প্রবৃদ্ধি ছিল ৬৭ দশমিক ৭৬ শতাংশ। প্রকৃত রফতানি আয় ছিল ১৯৮ কোটি ৮৩ লাখ ডলার_ যা লক্ষ্যমাত্রা থেকে ২২ শতাংশ বেশি।
No comments