২০ লাখ টাকার চুক্তিতে এমবিবিএস পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের চেষ্টা
মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস চেষ্টার মূল হোতা হিসেবে শুভেচ্ছা কোচিং সেন্টারের মালিক আবদুল মান্নানকে শনাক্ত করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। একটি প্রশ্নপত্র দেওয়া হলে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যুরোর ছাপাখানার শ্রমিক শাহেনশাহকে ২০ লাখ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন মান্নান। তবে শাহেনশাহ প্রশ্নপত্র দেওয়ার বিনিময়ে মান্নানের কাছে ১৫ লাখ টাকা দাবি করেন। মান্নানের ফার্মগেটের অফিসে বসেই লেনদেন চূড়ান্ত হয়। এ সময় শাহেনশাহর মামা ছাপাখানার ব্যবস্থাপক
ফাইজুরও ছিলেন। মূলত ফাইজুরই দু'পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করেন। এ ঘটনার সঙ্গে আরও কয়েকজনের যোগসাজশ রয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। এমনকি রাজধানীর আরও চারটি কোচিং সেন্টার প্রশ্নপত্র ফাঁসচেষ্টার সঙ্গে জড়িত। ডিবি তাদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছে।
গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কর্মকর্তারা বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার শাহেনশাহ ঠাকুর এসব তথ্য দিয়েছেন। মান্নানকে জড়িয়ে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন। তার বক্তব্যের ওপর ভিত্তি করে গত মঙ্গলবার ভোরে ডিবি গ্রেফতার করেছে শুভেচ্ছার মালিক আবদুল মান্নানকে। গতকাল মান্নানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
ডিবি কর্মকর্তারা বলেন, মান্নান শারীরিকভাবে অসুস্থ। তিনি ডায়াবেটিস ও হৃদরোগে ভুগছেন। তাই আদালতে তার সুস্থতা সাপেক্ষে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করা হয়েছিল। আদালত তাকে কারা হেফাজতে পাঠিয়েছেন।
এর আগেও কোচিং সেন্টারের মালিকরা প্রশ্নপত্র ফাঁস করার চেষ্টা করেন। তবে ওই সময় তারা ব্যর্থ হন। এবার প্রশ্নপত্র ফাঁসের দায়িত্ব দেওয়া হয় শাহেনশাহকে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের পর চুক্তির টাকা নিয়ে ইতালিতে যাওয়ার পরিকল্প্ননা ছিল শাহেনশাহর। মেডিকেল ও ডেন্টালে ভর্তির জন্য শুভেচ্ছা কোচিং সেন্টার দীর্ঘদিন ধরে 'শতভাগ সাফল্যের গ্যারান্টি' দিয়ে ব্যবসা করে আসছিল। প্রায় প্রতি বছরই মেডিকেল ও ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার ঠিক আগে বিদেশে বেড়াতে যান মান্নান। তার এই বিদেশযাত্রার আসল রহস্য খতিয়ে দেখছে গোয়েন্দারা।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর মহাখালীর সরকারি প্রেস থেকে অন্তর্বাসের নিচে একটি প্রশ্নপত্র নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন শাহেনশাহ। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে ওই ছাপাখানার ব্যবস্থাপক ফাইজুর রহমান (৪৭) ও কারিগর এসএম আলমগীরকে (৩৯) গ্রেফতার করে ডিবি। শাহেনশাহ ঠাকুরের মামা হলেন ফাইজুর। তারা তিনজনই বর্তমানে কারা হেফাজতে রয়েছেন। সর্বশেষ এ চক্রের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে ডিবি গ্রেফতার করেছে শুভেচ্ছা কোচিং সেন্টারের মালিককে। এ ঘটনায় আরও কয়েকজন কোচিং সেন্টার ব্যবসায়ী জড়িত বলে জানতে পেরেছে ডিবি।
ডিবির উপ-কমিশনার (উত্তর) মাহাবুবর রহমান সমকালকে বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসে মান্নান জড়িত রয়েছেন_ এটা নিশ্চিত হয়েই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রশ্নের কপি হাতে পেঁৗছে দিতে পারলে শাহেনশাহকে ২০ লাখ টাকা দিতে চেয়েছিলেন মান্নান। প্রশ্নপত্র ফাঁসচেষ্টার সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে আমাদের একাধিক টিম মাঠে রয়েছে।
উপ-কমিশনার বলেন, স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর ছাপাখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজে ঢুকেছিলেন ফাইজুর। পরে তিনি ব্যবস্থাপক হন। ফাইজুর এর আগেও এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে সন্দেহ করছেন তারা। ফাইজুরের ব্যক্তিগত সম্পদ ও পূর্ব ইতিহাসের বিস্তারিত খবর নেওয়া হচ্ছে।
ডিবি কর্মকর্তারা বলেন, আরও অনেক কোচিং সেন্টার শতভাগ সাফল্যের নিশ্চয়তা দিচ্ছে। তারা আসলে কিসের ভিত্তিতে এই নিশ্চয়তা দিচ্ছেন এই বিষয়গুলোও তদন্ত করবে ডিবি।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার মেডিকেল ও ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার আগের রাতে ভুয়া প্রশ্নপত্র বিক্রির অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, ব্যাংক কর্মকর্তা, কোচিং সেন্টারের পরিচালকসহ মোট ২১ জনকে গ্রেফতার করে র্যাব। তারা বর্তমানে কারা হেফাজতে রয়েছেন।
গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কর্মকর্তারা বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার শাহেনশাহ ঠাকুর এসব তথ্য দিয়েছেন। মান্নানকে জড়িয়ে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন। তার বক্তব্যের ওপর ভিত্তি করে গত মঙ্গলবার ভোরে ডিবি গ্রেফতার করেছে শুভেচ্ছার মালিক আবদুল মান্নানকে। গতকাল মান্নানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
ডিবি কর্মকর্তারা বলেন, মান্নান শারীরিকভাবে অসুস্থ। তিনি ডায়াবেটিস ও হৃদরোগে ভুগছেন। তাই আদালতে তার সুস্থতা সাপেক্ষে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করা হয়েছিল। আদালত তাকে কারা হেফাজতে পাঠিয়েছেন।
এর আগেও কোচিং সেন্টারের মালিকরা প্রশ্নপত্র ফাঁস করার চেষ্টা করেন। তবে ওই সময় তারা ব্যর্থ হন। এবার প্রশ্নপত্র ফাঁসের দায়িত্ব দেওয়া হয় শাহেনশাহকে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের পর চুক্তির টাকা নিয়ে ইতালিতে যাওয়ার পরিকল্প্ননা ছিল শাহেনশাহর। মেডিকেল ও ডেন্টালে ভর্তির জন্য শুভেচ্ছা কোচিং সেন্টার দীর্ঘদিন ধরে 'শতভাগ সাফল্যের গ্যারান্টি' দিয়ে ব্যবসা করে আসছিল। প্রায় প্রতি বছরই মেডিকেল ও ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার ঠিক আগে বিদেশে বেড়াতে যান মান্নান। তার এই বিদেশযাত্রার আসল রহস্য খতিয়ে দেখছে গোয়েন্দারা।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর মহাখালীর সরকারি প্রেস থেকে অন্তর্বাসের নিচে একটি প্রশ্নপত্র নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন শাহেনশাহ। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে ওই ছাপাখানার ব্যবস্থাপক ফাইজুর রহমান (৪৭) ও কারিগর এসএম আলমগীরকে (৩৯) গ্রেফতার করে ডিবি। শাহেনশাহ ঠাকুরের মামা হলেন ফাইজুর। তারা তিনজনই বর্তমানে কারা হেফাজতে রয়েছেন। সর্বশেষ এ চক্রের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে ডিবি গ্রেফতার করেছে শুভেচ্ছা কোচিং সেন্টারের মালিককে। এ ঘটনায় আরও কয়েকজন কোচিং সেন্টার ব্যবসায়ী জড়িত বলে জানতে পেরেছে ডিবি।
ডিবির উপ-কমিশনার (উত্তর) মাহাবুবর রহমান সমকালকে বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসে মান্নান জড়িত রয়েছেন_ এটা নিশ্চিত হয়েই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রশ্নের কপি হাতে পেঁৗছে দিতে পারলে শাহেনশাহকে ২০ লাখ টাকা দিতে চেয়েছিলেন মান্নান। প্রশ্নপত্র ফাঁসচেষ্টার সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে আমাদের একাধিক টিম মাঠে রয়েছে।
উপ-কমিশনার বলেন, স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর ছাপাখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজে ঢুকেছিলেন ফাইজুর। পরে তিনি ব্যবস্থাপক হন। ফাইজুর এর আগেও এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে সন্দেহ করছেন তারা। ফাইজুরের ব্যক্তিগত সম্পদ ও পূর্ব ইতিহাসের বিস্তারিত খবর নেওয়া হচ্ছে।
ডিবি কর্মকর্তারা বলেন, আরও অনেক কোচিং সেন্টার শতভাগ সাফল্যের নিশ্চয়তা দিচ্ছে। তারা আসলে কিসের ভিত্তিতে এই নিশ্চয়তা দিচ্ছেন এই বিষয়গুলোও তদন্ত করবে ডিবি।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার মেডিকেল ও ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার আগের রাতে ভুয়া প্রশ্নপত্র বিক্রির অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, ব্যাংক কর্মকর্তা, কোচিং সেন্টারের পরিচালকসহ মোট ২১ জনকে গ্রেফতার করে র্যাব। তারা বর্তমানে কারা হেফাজতে রয়েছেন।
No comments