নগর প্রতীকের অনন্য রূপকল্প by মামুন আবদুল্লাহ
চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সামনের শিশুপার্কটি তুলে দিলে সৃষ্টি হবে এক চিলতে সবুজ চত্বর। এর সামনে আউটার স্টেডিয়ামের মাঠটি অবিকল রাখতে হবে। এই মাঠের চারপাশে থাকবে নগর মিলনায়তন (সিটি হল), গ্রন্থাগার (লাইব্রেরি), আর থাকবে একটি জাদুঘর, যেখানে সংরক্ষণ করা হবে এই নগরের ইতিহাস, ঐতিহ্য, কিংবদন্তি এবং মনীষীদের জীবনবৃত্তান্ত ও ছবি। আরও থাকবে তথ্য-প্রযুক্তিকেন্দ্রসহ (আইটি সেন্টার) আনুষঙ্গিক নানা স্থাপনা।
এই সব স্থাপনার সঙ্গে এম এ আজিজ স্টেডিয়াম, চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা মিলনায়তন, রেলের পাহাড় ও চট্টগ্রাম ক্লাবকে সংযুক্ত করার সুযোগ আছে। সব মিলিয়ে এখানে জায়গার দরকার হবে মোট ১৩ একর। কোনো প্রকার ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি অধিগ্রহণ ছাড়াই নগরের এই কেন্দ্রস্থলে গড়ে উঠতে পারে চট্টগ্রামের এক অনন্য প্রতীক। একই স্থানের স্থাপনাগুলো দেখে দেশি-বিদেশি পর্যটক আর নতুন প্রজন্ম চিনে নেবে চট্টগ্রামকে। জানতে পারবে হাজার বছরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য। চট্টগ্রামের রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ ও দাবি-দাওয়া উত্থাপনের কেন্দ্রবিন্দুও হতে পারে এখানকার বিশাল মাঠটি।
এটা কোনো কল্পনার বিষয় নয়, মার্কিন মুলুকে বসে একদল গবেষক, নগর পরিকল্পনাবিদ ও স্থপতিরা চট্টগ্রামে এ ধরনের প্রতীকী স্থাপনা নির্মাণের রূপকল্প তৈরি করছেন। এ জন্য ২০০৯ সালে ‘চিটাগং-২০২০’ নামের একটি প্রকল্পও গ্রহণ করা হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ‘দ্য ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটি অব আমেরিকা’য়। প্রকল্পের মূল উদ্যোক্তা ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক নগর গবেষক ও পরিকল্পনাবিদ স্থপতি আদনান মোর্শেদ। তাঁর বাড়িও চট্টগ্রামে।
এই প্রকল্পের অধীনে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৫ জন ছাত্র-শিক্ষক একটানা কাজ করেন পাঁচ মাস। ১৩টি আলাদা দলে বিভক্ত হয়ে তাঁরা চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকার ঐতিহাসিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক গুরুত্ব সম্পর্কে তথ্য-প্রমাণ ও দলিলাদি সংগ্রহ করেন প্রথম তিন মাস। পরের দুই মাস কাজ করে তাঁরা পরিকল্পনার কাঠামো দাঁড় করান।
আদনান মোর্শেদ প্রথম আলোকে বলেন, চট্টগ্রাম-সম্পর্কিত এই গবেষণাকর্ম নিয়ে ওয়াশিংটন ডিসিতে ২০০৯ সালের মে মাসে চট্টগ্রাম মেলা বসেছিল। এই মেলায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামাসহ সব নগর পরিকল্পনাবিদ ও স্থপতির পাশাপাশি কিছু বিনিয়োগকারীও উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা প্রকল্পের অর্থনৈতিক বিপুল সম্ভবনার বিষয়টি আঁচ করতে পেরে বিনিয়োগের আগ্রহও দেখিয়েছেন।
গত শনিবার নগরের কাজীর দেউড়ির ব্র্যাক সেন্টার মিলনায়তনে গবেষণাপ্রতিষ্ঠান পিপিআরসি চিটাগং রিসার্চ ইনেশিয়েটিভ আয়োজিত সাংবাদিকদের একটি কর্মশালায় এই ‘চট্টগ্রাম ২০২০’ প্রকল্পের গবেষণাকর্ম উপস্থাপনায় তুলে ধরা হয়। এতে আলোচক ছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক দুই উপদেষ্টা আকবর আলি খান ও হোসেন জিল্লুর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ, প্রবীণ সাংবাদিক আতাউস সামাদ ও গবেষক আদনান মোর্শেদ এবং শিল্পপতি সালাউদ্দিন কাশেম খান।
তাঁরা বলেছেন, বিশ্বমানের সব নগরের একেকটি প্রতীক আছে। কোথাও এটা দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা, আবার কোথাও উন্মুক্ত চত্বর। উদাহরণ দিয়ে তাঁরা বলেন, প্যারিসের আইফেল টাওয়ার, ইতালির কলোসিয়াম, নিউইয়র্কের স্ট্যাচু অব লিবার্টি সুন্দর স্থাপনা। আবার মেক্সিকো সিটির সোকালো (উন্মুক্ত উদ্যান) এবং ওয়াশিংটন ন্যাশনাল মলের উন্মুক্ত চত্বর দিয়ে শহর দুটির পরিচিতি উদ্ভাসিত হয়েছে। চট্টগ্রামের জন্যও এ ধরনের একটি প্রতীক দরকার। আর এই ভাবনা থেকে ‘চট্টগ্রাম ২০২০’ প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়। প্রস্তাবিত প্রকল্পটি চট্টগ্রামকে চেনাজানার একটি প্রতীক হতে পারে বলে তাঁরা জানান। আলোচকেরা বলেছেন, এই সব স্থাপনা নির্মাণের জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের অর্থ বরাদ্দের প্রয়োজন নেই। বরং চট্টগ্রামের অনেক ধনাঢ্য ব্যবসায়ী এককভাবে কিংবা জোটবদ্ধ হয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে রাজি আছেন। সরকারি নীতিমালার সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের সম্ভাবনা উজ্জ্বল বলে তাঁরা স্বীকার করেন।
এটা কোনো কল্পনার বিষয় নয়, মার্কিন মুলুকে বসে একদল গবেষক, নগর পরিকল্পনাবিদ ও স্থপতিরা চট্টগ্রামে এ ধরনের প্রতীকী স্থাপনা নির্মাণের রূপকল্প তৈরি করছেন। এ জন্য ২০০৯ সালে ‘চিটাগং-২০২০’ নামের একটি প্রকল্পও গ্রহণ করা হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ‘দ্য ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটি অব আমেরিকা’য়। প্রকল্পের মূল উদ্যোক্তা ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক নগর গবেষক ও পরিকল্পনাবিদ স্থপতি আদনান মোর্শেদ। তাঁর বাড়িও চট্টগ্রামে।
এই প্রকল্পের অধীনে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৫ জন ছাত্র-শিক্ষক একটানা কাজ করেন পাঁচ মাস। ১৩টি আলাদা দলে বিভক্ত হয়ে তাঁরা চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকার ঐতিহাসিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক গুরুত্ব সম্পর্কে তথ্য-প্রমাণ ও দলিলাদি সংগ্রহ করেন প্রথম তিন মাস। পরের দুই মাস কাজ করে তাঁরা পরিকল্পনার কাঠামো দাঁড় করান।
আদনান মোর্শেদ প্রথম আলোকে বলেন, চট্টগ্রাম-সম্পর্কিত এই গবেষণাকর্ম নিয়ে ওয়াশিংটন ডিসিতে ২০০৯ সালের মে মাসে চট্টগ্রাম মেলা বসেছিল। এই মেলায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামাসহ সব নগর পরিকল্পনাবিদ ও স্থপতির পাশাপাশি কিছু বিনিয়োগকারীও উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা প্রকল্পের অর্থনৈতিক বিপুল সম্ভবনার বিষয়টি আঁচ করতে পেরে বিনিয়োগের আগ্রহও দেখিয়েছেন।
গত শনিবার নগরের কাজীর দেউড়ির ব্র্যাক সেন্টার মিলনায়তনে গবেষণাপ্রতিষ্ঠান পিপিআরসি চিটাগং রিসার্চ ইনেশিয়েটিভ আয়োজিত সাংবাদিকদের একটি কর্মশালায় এই ‘চট্টগ্রাম ২০২০’ প্রকল্পের গবেষণাকর্ম উপস্থাপনায় তুলে ধরা হয়। এতে আলোচক ছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক দুই উপদেষ্টা আকবর আলি খান ও হোসেন জিল্লুর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ, প্রবীণ সাংবাদিক আতাউস সামাদ ও গবেষক আদনান মোর্শেদ এবং শিল্পপতি সালাউদ্দিন কাশেম খান।
তাঁরা বলেছেন, বিশ্বমানের সব নগরের একেকটি প্রতীক আছে। কোথাও এটা দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা, আবার কোথাও উন্মুক্ত চত্বর। উদাহরণ দিয়ে তাঁরা বলেন, প্যারিসের আইফেল টাওয়ার, ইতালির কলোসিয়াম, নিউইয়র্কের স্ট্যাচু অব লিবার্টি সুন্দর স্থাপনা। আবার মেক্সিকো সিটির সোকালো (উন্মুক্ত উদ্যান) এবং ওয়াশিংটন ন্যাশনাল মলের উন্মুক্ত চত্বর দিয়ে শহর দুটির পরিচিতি উদ্ভাসিত হয়েছে। চট্টগ্রামের জন্যও এ ধরনের একটি প্রতীক দরকার। আর এই ভাবনা থেকে ‘চট্টগ্রাম ২০২০’ প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়। প্রস্তাবিত প্রকল্পটি চট্টগ্রামকে চেনাজানার একটি প্রতীক হতে পারে বলে তাঁরা জানান। আলোচকেরা বলেছেন, এই সব স্থাপনা নির্মাণের জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের অর্থ বরাদ্দের প্রয়োজন নেই। বরং চট্টগ্রামের অনেক ধনাঢ্য ব্যবসায়ী এককভাবে কিংবা জোটবদ্ধ হয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে রাজি আছেন। সরকারি নীতিমালার সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের সম্ভাবনা উজ্জ্বল বলে তাঁরা স্বীকার করেন।
No comments