সময় এখন সেলেনার by মাহফুজ রহমান
‘নিপাত যাক, নিপাত যাক, সেলেনা গোমেজ নিপাত যাক!’ খুব বেশি দিন আগের কথা নয়, এমন ভীষণ কোপানলে পড়তে হয়েছিল ১৯ বছর বয়সী সেলেনা গোমেজকে! দোষ কী তাঁর? দোষ একটাই—তিনি কেন জাস্টিন বিবারের প্রেমিকা! বিবার আমাদের। দুনিয়ার বিবারভক্তদের এমন পাগলামি দেখে প্রথম প্রথম চটেই গিয়েছিলেন সেলেনা। সংবাদমাধ্যমের সামনে ঝেড়েছিলেন তীব্র ক্ষোভ। বলা বাহুল্য, ফলাফল হয়েছিল আরও খারাপ। অসংখ্য টিনএজ তরুণীর আকথা-কুকথা হজম করেছে তাঁর কান।
তাই একসময় পাসওয়ার্ড দিয়ে লক করে রেখেছিলেন নিজের মুখ। অকাল বর্ষার মতো বিক্ষোভের জল নেমে গিয়েছিল হঠাৎ করেই। অনেকেই ভেবেছিলেন, বিবারের এমন পাগলা ভক্তদের কারণে হয়তো বা সেলেনার উঠতি জনপ্রিয়তার চারাটা আর বাড়বে না। কিন্তু সময়মতো মুখে তালা মারার ওই সিদ্ধান্তের ফলেই ঘটনা অন্যদিকে বাঁক নিল। ঠিকই সেলেনার জনপ্রিয়তার ডালপালা মেলল তরতর করে। সেটার প্রমাণ মেলে এই টিন তারকার টুইটার অ্যাকাউন্টটি দেখলেই। সেখানে এখন প্রায় ছয় মিলিয়নের বেশি মানুষ তাঁকে ফলো করছে।
কেবল টুইটার দিয়েই তো আর জনপ্রিয়তা বা প্রতিভার সঠিক মূল্যায়ন হয় না। এত অল্প সময়ে দুনিয়ার আনাচ-কানাচে নিজের নামটি ছড়িয়ে দেওয়ার পেছনে সেলেনার পরিশ্রমই সবকিছু। জন্ম ১৯৯২ সালের ২২ জুলাই, যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের গ্র্যান্ড প্রেইরিতে। মা-বাবা দুজনই ছিলেন অভিনয়শিল্পী। মঞ্চে কাজ করতেন তাঁরা। তাই মাত্র সাত বছর বয়সে দুনিয়াব্যাপী প্রচারিত ‘বার্নি অ্যান্ড ফ্রেন্ডস’ অনুষ্ঠানে তাঁকে আবিষ্কার করা গিয়েছিল সাবলীল খুদে অভিনয়শিল্পী হিসেবে। সেই ছেলেবেলার ওই মজার অনুষ্ঠানটির অভিজ্ঞতা নিয়ে সেলেনা বললেন, ‘আমরা প্রায় ১৪০০ বাচ্চা গিয়েছিলাম অডিশন দিতে। কাকে নেয়, কাকে নেয়? সবশেষে দেখলাম, আমি আছি সেই তালিকায়! কী যে মজার স্মৃতি সেটা, ভাবলে এখনো ভালো লাগে!’ বার্নি সিরিজ শেষ হলে ডিজনি চ্যানেলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন সেলেনা। এভাবেই ২০০৩ সালে নাম লেখানস্পাই কিডস থ্রিডি: গেম ওভার ছবিটিতে। এরপর এই টিন তারকা ২০০৯ সাল পর্যন্ত অভিনয় করেছেন আরও চারটি ছবি ও চারটি টিভি অনুষ্ঠানে। বাজিমাত করলেন ওই একই বছরে ডিজনি চ্যানেলের উইজার্ডস অব ওয়েভারলি প্লেস: দ্য মুভিতে অ্যালেক্স রুশো চরিত্রে অভিনয় করে। ছবিটিতে চমৎকার অভিনয় করে ঘরের শোকেসে সাজিয়েছিলেন বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অ্যাওয়ার্ডও। আর ডিজনি চ্যানেলে প্রচারিত ওই একই নামের টিভি সিরিজটি অ্যামি অ্যাওয়ার্ডও জিতেছিল ২০০৯ সালে। এ ছাড়া এ পর্যন্ত সেলেনা অভিনীত উল্লেখযোগ্য কাজগুলোর নাম বললে বলা যায়—অ্যানাদার সিনড্রেলা স্টোরি, প্রিন্সেস প্রোটেকশন প্রোগ্রাম এবং সাম্প্রতিক সময়ের র্যামোনা অ্যান্ড বিজাস ছবিগুলোর কথা।
‘সব সময় চাইতাম আমি গান করব। তবে একা নয়, একটা ব্যান্ড দল নিয়ে। গানগুলো বাচ্চাকাচ্চা আর মা-বাবারা—সবাই শুনবে, আনন্দে লাফ-ঝাঁপ দেবে, এটা ভাবতেই ভালো লাগত আমার।’ কয়েক দিন আগে এক সাক্ষাৎকারে সংগীত নিয়ে নিজের ভাবনার কথা এভাবেই বলেছিলেন সেলেনা। স্বপ্ন তাঁর সত্যি হয়েছিল ২০০৯ সালে এসে। ‘সেলেনা গোমেজ অ্যান্ড দ্য সিন’ নামের এক ব্যান্ড দলের আত্মপ্রকাশ হয় সে বছর তাঁরই নেতৃত্বে। দলটির প্রথম অ্যালবাম বাজারে আসে একই বছরের ২৯ সেপ্টেম্বরে। এর নাম ছিল কিস অ্যান্ড টেল। পরের বছর রেকর্ডিং ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকা অ্যালবামটিকে গোল্ড সার্টিফিকেট দেয়। এর কয়েক দিন পরই ওই অ্যালবামে সেলেনার গাওয়া ‘ন্যাচারালি’ গানটি পায় প্লাটিনাম সার্টিফিকেট। আর শ্রোতাদের কাছ থেকে যে বিপুল সাড়া পেয়েছিল তাঁর ব্যান্ড দলটি, তা তো না বললেও চলে।
কেবল অভিনয়, গান নিয়েই ব্যস্ত নেই সেলেনা। ব্যবসার দুনিয়াতেও বেশ নামডাক ছড়িয়ে পড়ছে তাঁর। ‘ড্রিম আউট লাউড বাই সেলেনা’ নামের এক ফ্যাশন লাইনও দাঁড়িয়ে গেছে এরই মধ্যে। আসছে তাঁর ব্র্যান্ডের সুগন্ধি। আর এমটিভি ঘোষণা দিয়েছে, আর কদিন বাদে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তাদের ইউরোপিয়ান মিউজিক অ্যাওয়ার্ড ২০১১। সেলেনা গোমেজ হচ্ছেন সেটির উপস্থাপক। মজার ব্যাপার হলো, এই অ্যাওয়ার্ডের বিগেস্ট ফ্যানস ক্যাটাগরির মনোনয়নের তালিকায় নাম আছে তাঁরও। আরও মজার ব্যাপার হলো, একই তালিকায় আছে প্রেমিক জাস্টিন বিবারের নামটিও। দেখা যাক, শেষমেশ কার ভক্তের পাল্লা বেশি হয়! সূত্র: ফিল্মক্রিটিক, সেভেনটিন এবং উইকিপিডিয়া
কেবল টুইটার দিয়েই তো আর জনপ্রিয়তা বা প্রতিভার সঠিক মূল্যায়ন হয় না। এত অল্প সময়ে দুনিয়ার আনাচ-কানাচে নিজের নামটি ছড়িয়ে দেওয়ার পেছনে সেলেনার পরিশ্রমই সবকিছু। জন্ম ১৯৯২ সালের ২২ জুলাই, যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের গ্র্যান্ড প্রেইরিতে। মা-বাবা দুজনই ছিলেন অভিনয়শিল্পী। মঞ্চে কাজ করতেন তাঁরা। তাই মাত্র সাত বছর বয়সে দুনিয়াব্যাপী প্রচারিত ‘বার্নি অ্যান্ড ফ্রেন্ডস’ অনুষ্ঠানে তাঁকে আবিষ্কার করা গিয়েছিল সাবলীল খুদে অভিনয়শিল্পী হিসেবে। সেই ছেলেবেলার ওই মজার অনুষ্ঠানটির অভিজ্ঞতা নিয়ে সেলেনা বললেন, ‘আমরা প্রায় ১৪০০ বাচ্চা গিয়েছিলাম অডিশন দিতে। কাকে নেয়, কাকে নেয়? সবশেষে দেখলাম, আমি আছি সেই তালিকায়! কী যে মজার স্মৃতি সেটা, ভাবলে এখনো ভালো লাগে!’ বার্নি সিরিজ শেষ হলে ডিজনি চ্যানেলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন সেলেনা। এভাবেই ২০০৩ সালে নাম লেখানস্পাই কিডস থ্রিডি: গেম ওভার ছবিটিতে। এরপর এই টিন তারকা ২০০৯ সাল পর্যন্ত অভিনয় করেছেন আরও চারটি ছবি ও চারটি টিভি অনুষ্ঠানে। বাজিমাত করলেন ওই একই বছরে ডিজনি চ্যানেলের উইজার্ডস অব ওয়েভারলি প্লেস: দ্য মুভিতে অ্যালেক্স রুশো চরিত্রে অভিনয় করে। ছবিটিতে চমৎকার অভিনয় করে ঘরের শোকেসে সাজিয়েছিলেন বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অ্যাওয়ার্ডও। আর ডিজনি চ্যানেলে প্রচারিত ওই একই নামের টিভি সিরিজটি অ্যামি অ্যাওয়ার্ডও জিতেছিল ২০০৯ সালে। এ ছাড়া এ পর্যন্ত সেলেনা অভিনীত উল্লেখযোগ্য কাজগুলোর নাম বললে বলা যায়—অ্যানাদার সিনড্রেলা স্টোরি, প্রিন্সেস প্রোটেকশন প্রোগ্রাম এবং সাম্প্রতিক সময়ের র্যামোনা অ্যান্ড বিজাস ছবিগুলোর কথা।
‘সব সময় চাইতাম আমি গান করব। তবে একা নয়, একটা ব্যান্ড দল নিয়ে। গানগুলো বাচ্চাকাচ্চা আর মা-বাবারা—সবাই শুনবে, আনন্দে লাফ-ঝাঁপ দেবে, এটা ভাবতেই ভালো লাগত আমার।’ কয়েক দিন আগে এক সাক্ষাৎকারে সংগীত নিয়ে নিজের ভাবনার কথা এভাবেই বলেছিলেন সেলেনা। স্বপ্ন তাঁর সত্যি হয়েছিল ২০০৯ সালে এসে। ‘সেলেনা গোমেজ অ্যান্ড দ্য সিন’ নামের এক ব্যান্ড দলের আত্মপ্রকাশ হয় সে বছর তাঁরই নেতৃত্বে। দলটির প্রথম অ্যালবাম বাজারে আসে একই বছরের ২৯ সেপ্টেম্বরে। এর নাম ছিল কিস অ্যান্ড টেল। পরের বছর রেকর্ডিং ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকা অ্যালবামটিকে গোল্ড সার্টিফিকেট দেয়। এর কয়েক দিন পরই ওই অ্যালবামে সেলেনার গাওয়া ‘ন্যাচারালি’ গানটি পায় প্লাটিনাম সার্টিফিকেট। আর শ্রোতাদের কাছ থেকে যে বিপুল সাড়া পেয়েছিল তাঁর ব্যান্ড দলটি, তা তো না বললেও চলে।
কেবল অভিনয়, গান নিয়েই ব্যস্ত নেই সেলেনা। ব্যবসার দুনিয়াতেও বেশ নামডাক ছড়িয়ে পড়ছে তাঁর। ‘ড্রিম আউট লাউড বাই সেলেনা’ নামের এক ফ্যাশন লাইনও দাঁড়িয়ে গেছে এরই মধ্যে। আসছে তাঁর ব্র্যান্ডের সুগন্ধি। আর এমটিভি ঘোষণা দিয়েছে, আর কদিন বাদে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তাদের ইউরোপিয়ান মিউজিক অ্যাওয়ার্ড ২০১১। সেলেনা গোমেজ হচ্ছেন সেটির উপস্থাপক। মজার ব্যাপার হলো, এই অ্যাওয়ার্ডের বিগেস্ট ফ্যানস ক্যাটাগরির মনোনয়নের তালিকায় নাম আছে তাঁরও। আরও মজার ব্যাপার হলো, একই তালিকায় আছে প্রেমিক জাস্টিন বিবারের নামটিও। দেখা যাক, শেষমেশ কার ভক্তের পাল্লা বেশি হয়! সূত্র: ফিল্মক্রিটিক, সেভেনটিন এবং উইকিপিডিয়া
No comments