আওয়ামী লীগ আপাতত কাউকে সমর্থন দিচ্ছে না
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আপাতত কাউকে সমর্থন দিচ্ছে না। গতকাল আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় একাধিক নেতা সমকালকে এ তথ্য জানিয়েছেন। দু'একদিনের মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর নাম ঘোষণার কথা ছিল। বুধবার দিনভর নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ ঘরানার রাজনীতিতে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
আলোচিত দুই প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক সাংসদ একেএম শামীম ওসমান এবং সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীও আপাতত আওয়ামী লীগের সমর্থন উন্মুক্ত রাখার কথা শুনেছেন। দু'জনই সমকালকে বলেছেন, তারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন না। একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, 'আমি নির্বাচন করছি। আল্লাহর ওপর ভরসা করি আমি।' ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর কথা, ভাইয়ের (শামীম
ওসমান) সঙ্গে তিনিও নির্বাচনে লড়বেন। দুই প্রার্থী এর বাইরে কিছু বলতে চাননি। দলীয়ভাবে গণমাধ্যমে কথা না বলার নির্দেশ রয়েছে।
আওয়ামী লীগের সমর্থনের দৌড়ে এই দুই প্রার্থী হাড্ডাহাড্ডি অবস্থানে রয়েছেন। কেউ কাউকে ছাড় দিতে চাইছেন না। গত রোববার দীর্ঘ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের পরও তাদের অবস্থানের কোনো নড়চড় হয়নি। একেবারেই অনড় অবস্থানে রয়েছেন ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী।
এ কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় সমর্থনের বিষয় নিয়ে নতুন করে চিন্তা-ভাবনা করছেন। সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে তৎপর শামীম ওসমানের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ইতিবাচক মনোভাব রয়েছে। কিন্তু তিনি আইভীর সম্ভাব্য বিদ্রোহের কথা ভেবে ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। এ কারণেই কারও পক্ষে দলীয় সমর্থন ঘোষণা করা হচ্ছে না।
এ অবস্থায় বিকল্প চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলী ও সম্পাদকমণ্ডলীর একাধিক সদস্য। তাদের দাবি অনুযায়ী, দুই প্রার্থীর মুখোমুখি অবস্থানের কারণে পরোক্ষভাবে প্রার্থিতা উন্মুক্ত রাখার পক্ষে মনোভাব দেখিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এলজিআরডিমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম প্রার্থিতা উন্মুক্ত করার পক্ষে মত দিয়েছেন। দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীও এ প্রস্তাবের সমর্থক।
এই দুই নেতার পাশাপাশি দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবউল আলম হানিফ ও কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য আবদুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নাসিক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী শামীম ওসমান এবং আইভীর মধ্যে সমঝোতার দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু নির্ধারিত দু'দিনের মধ্যে কোনো সমঝোতা হয়নি।
আবার একেএম শামীম ওসমান এবং ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীও নিজেদের মধ্যে সমঝোতায় পেঁৗছতে পারেননি। বুধবারের মধ্যে সমঝোতায় আসার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু এ সময়ের মধ্যে সমঝোতা হয়নি। দুই প্রার্থী নিজেদের মধ্যে কথাও বলেননি। এমনকি তাদের মধ্যে কোনো ধরনের যোগাযোগও হয়নি।
এ অবস্থায় সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম গতকাল বুধবার লন্ডন গেছেন। ফিরবেন ১৯ অক্টোবর। তিনি অবশ্য নাসিক নির্বাচনকে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন হিসেবেই দেখছেন। এর সঙ্গে সরকারের জনপ্রিয়তার কোনো যোগসূত্র নেই বলেও তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন। মতিয়া চৌধুরী মঙ্গলবার তুরস্ক সফরে গেছেন। তিনি দেশে ফিরবেন ৮ অক্টোবর।
নাসিক নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের বিশ্লেষণ, ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) পদ্ধতিতে নির্বাচনের বিরোধিতা করে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করতে পারে। তখন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার নির্বাচনে নাও থাকতে পারেন। সেই ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ শামীম ওসমানকে সমর্থন দিলে আইভীর পক্ষে যাবে বিএনপি। আর আইভী বিজয়ী হলে সরকারের জনপ্রিয়তা নিয়ে বিএনপি প্রশ্ন তোলার সুযোগ পাবে। এ কারণে শামীম ওসমান এবং আইভীর মধ্যে কাউকেই আপাতত সমর্থন দিতে চাইছে না আওয়ামী লীগ। অর্থাৎ দলীয় সমর্থনের বিষয়টি উন্মুক্ত থাকবে। এ ক্ষেত্রে ১২ অক্টোবর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত বিএনপির সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে থাকবে আওয়ামী লীগ। তারা বিএনপির কৌশল দেখেই প্রার্থী সমর্থনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
আওয়ামী লীগ নেতারা মনে করেন, নাসিক নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকবে একেএম শামীম ওসমান ও ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। এখানে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা কম। তারা নিজেদের প্রার্থীকে সরিয়ে আইভীকে সমর্থন দিলেও লাভবান হবে আওয়ামী লীগ। সুতরাং নির্দিষ্ট কাউকে সমর্থন দিয়ে আওয়ামী লীগ ঝুঁকি নিতে চাচ্ছে না।
এ প্রসঙ্গে জানতে আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কিছুতেই মুখ খুলতে চাননি। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবউল আলম হানিফ সমকালকে জানিয়েছেন, নাসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থন উন্মুক্তও থাকতে পারে। এতে দোষের কিছু নেই। তবে এ নিয়ে দলীয়ভাবে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
আপাতত প্রার্থিতা উন্মুক্ত রাখার সিদ্ধান্তের পাশাপাশি বিকল্প চিন্তাও আছে আওয়ামী লীগে। শুরুর দিকে দলের নীতিনির্ধারক মহলে শামীম ওসমানের একচেটিয়া গ্রহণযোগ্যতা থাকলেও আস্তে-ধীরে সেই বিশ্বাসে কিছুটা চিড় ধরেছে। দলের একটি অংশ এখন আইভীর পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়েছে। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেছেন তারা।
তাদের মতে, বিএনপি প্রার্থী নির্বাচনে থাকবেন। সেই ক্ষেত্রে শামীম ও আইভী নির্বাচনে থাকলে বিএনপি প্রার্থী বিজয়ী হতে পারেন। এই যুক্তি দেখিয়ে তারা যে কোনো একজনকে এখনই সমর্থন দেওয়ার জন্য হাইকমান্ডকে অনুরোধ করেছেন। শেষতক এই যুক্তি হাইকমান্ডের কাছে গ্রহণযোগ্য হলে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আগেই যে কোনো একজনকে দলের সমর্থন দেওয়া হবে।
ওসমান) সঙ্গে তিনিও নির্বাচনে লড়বেন। দুই প্রার্থী এর বাইরে কিছু বলতে চাননি। দলীয়ভাবে গণমাধ্যমে কথা না বলার নির্দেশ রয়েছে।
আওয়ামী লীগের সমর্থনের দৌড়ে এই দুই প্রার্থী হাড্ডাহাড্ডি অবস্থানে রয়েছেন। কেউ কাউকে ছাড় দিতে চাইছেন না। গত রোববার দীর্ঘ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের পরও তাদের অবস্থানের কোনো নড়চড় হয়নি। একেবারেই অনড় অবস্থানে রয়েছেন ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী।
এ কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় সমর্থনের বিষয় নিয়ে নতুন করে চিন্তা-ভাবনা করছেন। সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে তৎপর শামীম ওসমানের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ইতিবাচক মনোভাব রয়েছে। কিন্তু তিনি আইভীর সম্ভাব্য বিদ্রোহের কথা ভেবে ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। এ কারণেই কারও পক্ষে দলীয় সমর্থন ঘোষণা করা হচ্ছে না।
এ অবস্থায় বিকল্প চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলী ও সম্পাদকমণ্ডলীর একাধিক সদস্য। তাদের দাবি অনুযায়ী, দুই প্রার্থীর মুখোমুখি অবস্থানের কারণে পরোক্ষভাবে প্রার্থিতা উন্মুক্ত রাখার পক্ষে মনোভাব দেখিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এলজিআরডিমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম প্রার্থিতা উন্মুক্ত করার পক্ষে মত দিয়েছেন। দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীও এ প্রস্তাবের সমর্থক।
এই দুই নেতার পাশাপাশি দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবউল আলম হানিফ ও কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য আবদুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নাসিক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী শামীম ওসমান এবং আইভীর মধ্যে সমঝোতার দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু নির্ধারিত দু'দিনের মধ্যে কোনো সমঝোতা হয়নি।
আবার একেএম শামীম ওসমান এবং ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীও নিজেদের মধ্যে সমঝোতায় পেঁৗছতে পারেননি। বুধবারের মধ্যে সমঝোতায় আসার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু এ সময়ের মধ্যে সমঝোতা হয়নি। দুই প্রার্থী নিজেদের মধ্যে কথাও বলেননি। এমনকি তাদের মধ্যে কোনো ধরনের যোগাযোগও হয়নি।
এ অবস্থায় সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম গতকাল বুধবার লন্ডন গেছেন। ফিরবেন ১৯ অক্টোবর। তিনি অবশ্য নাসিক নির্বাচনকে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন হিসেবেই দেখছেন। এর সঙ্গে সরকারের জনপ্রিয়তার কোনো যোগসূত্র নেই বলেও তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন। মতিয়া চৌধুরী মঙ্গলবার তুরস্ক সফরে গেছেন। তিনি দেশে ফিরবেন ৮ অক্টোবর।
নাসিক নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের বিশ্লেষণ, ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) পদ্ধতিতে নির্বাচনের বিরোধিতা করে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করতে পারে। তখন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার নির্বাচনে নাও থাকতে পারেন। সেই ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ শামীম ওসমানকে সমর্থন দিলে আইভীর পক্ষে যাবে বিএনপি। আর আইভী বিজয়ী হলে সরকারের জনপ্রিয়তা নিয়ে বিএনপি প্রশ্ন তোলার সুযোগ পাবে। এ কারণে শামীম ওসমান এবং আইভীর মধ্যে কাউকেই আপাতত সমর্থন দিতে চাইছে না আওয়ামী লীগ। অর্থাৎ দলীয় সমর্থনের বিষয়টি উন্মুক্ত থাকবে। এ ক্ষেত্রে ১২ অক্টোবর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত বিএনপির সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে থাকবে আওয়ামী লীগ। তারা বিএনপির কৌশল দেখেই প্রার্থী সমর্থনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
আওয়ামী লীগ নেতারা মনে করেন, নাসিক নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকবে একেএম শামীম ওসমান ও ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। এখানে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা কম। তারা নিজেদের প্রার্থীকে সরিয়ে আইভীকে সমর্থন দিলেও লাভবান হবে আওয়ামী লীগ। সুতরাং নির্দিষ্ট কাউকে সমর্থন দিয়ে আওয়ামী লীগ ঝুঁকি নিতে চাচ্ছে না।
এ প্রসঙ্গে জানতে আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কিছুতেই মুখ খুলতে চাননি। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবউল আলম হানিফ সমকালকে জানিয়েছেন, নাসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থন উন্মুক্তও থাকতে পারে। এতে দোষের কিছু নেই। তবে এ নিয়ে দলীয়ভাবে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
আপাতত প্রার্থিতা উন্মুক্ত রাখার সিদ্ধান্তের পাশাপাশি বিকল্প চিন্তাও আছে আওয়ামী লীগে। শুরুর দিকে দলের নীতিনির্ধারক মহলে শামীম ওসমানের একচেটিয়া গ্রহণযোগ্যতা থাকলেও আস্তে-ধীরে সেই বিশ্বাসে কিছুটা চিড় ধরেছে। দলের একটি অংশ এখন আইভীর পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়েছে। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেছেন তারা।
তাদের মতে, বিএনপি প্রার্থী নির্বাচনে থাকবেন। সেই ক্ষেত্রে শামীম ও আইভী নির্বাচনে থাকলে বিএনপি প্রার্থী বিজয়ী হতে পারেন। এই যুক্তি দেখিয়ে তারা যে কোনো একজনকে এখনই সমর্থন দেওয়ার জন্য হাইকমান্ডকে অনুরোধ করেছেন। শেষতক এই যুক্তি হাইকমান্ডের কাছে গ্রহণযোগ্য হলে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আগেই যে কোনো একজনকে দলের সমর্থন দেওয়া হবে।
No comments