স্টিভ জবসঃ সফল এক প্রযুক্তিশিল্পী
সত্তরের দশক অনেক কিছুর জন্যই স্মরণীয়। একইভাবে স্মরণীয় স্টিভ জবস নামের এক ব্যক্তির আবির্ভাবের জন্যও। কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি যে আজ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অন্যতম অনুষঙ্গ, তার পুরোধা পুরুষ এই জবসই। ১৯৭৬ সালে স্টিভ জবস বন্ধু ওজনিয়াকের সঙ্গে মিলে প্রতিষ্ঠা করেন তাঁর প্রাণের প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের। সেই থেকে শুরু। বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তিবাজারে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিপ্লব আনে অ্যাপল।
ব্যক্তিগত কম্পিউটার (পিসি) আজ যে ধারণার ওপর দাঁড়িয়ে আছে—সেটি স্টিভ জবস ও ওজনিয়াকেরই মিলিত প্রচেষ্টার ফসল। ১৯৮৫ সালে অ্যাপল কম্পিউটারে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের শিকার হয়ে বিদায় নিতে হয়েছিল জবসকে। অ্যাপলও হয়ে পড়ে অভিভাবকহীন। অভিভাবকের অনুপস্থিতিতে ব্যবসায়িকভাবে প্রায় শেষ হয়ে যাওয়ার পথে অনেক দূরই এগিয়ে গিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। নব্বইয়ের দশকের শুরু থেকেই অ্যাপল বিল গেটসের মাইক্রোসফট করপোরেশনের উদ্ভাবিত উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার কাছে মার খেতে থাকে। এই দশকের মাঝামাঝি সময়ে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের অভাবনীয় জনপ্রিয়তা অ্যাপলকে নিয়ে যায় খাদের শেষ প্রান্তে। অথচ অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই—আজকের কম্পিউটারে মাউস নিয়ন্ত্রণ, আলাদা আইকনের ব্যবহার ছিল স্টিভ জবসেরই মস্তিষ্ক-প্রসূত।
অ্যাপল যখন প্রায় শেষ হওয়ার পথে তখন এ প্রতিষ্ঠানটি ফিরে যায় তাদের অভিভাবকের কাছেই। স্টিভ জবস আবার হাল ধরেন অ্যাপলের। এরপরেই অ্যাপল যেন ফিরে পায় পথের দিশা। একটি মৃতপ্রায় প্রতিষ্ঠানকে নিজ হাতে ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির মুখ দেখান। নতুন শতকের শুরুতেই অ্যাপল নিয়ে আসে সংগীতপ্রিয়দের সুর মূর্ছনার উপাদান আইপড। এরপর থেকে অ্যাপলকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি পেছনে। ধীরে ধীরে আইফোন, আইপ্যাড, ম্যাক ল্যাপটপ ইত্যাদি দিয়ে অ্যাপল এখন পরিণত হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাশালী ও দামি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে।
স্টিভ জবসকে মানুষ মনে রাখবে অনেক কিছুর জন্যই। ১৯৮৫ সালে তিনি অ্যাপল ছেড়ে দিয়ে দুটি প্রতিষ্ঠান নিজ হাতে দাঁড় করান। একটি ছিল কম্পিউটার প্ল্যাটফর্ম প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান যা ‘নেক্সট’ নামে পরিচিত। অপরটি ‘পিক্সার অ্যানিমেশন লিমিটেড’। যে প্রতিষ্ঠানকে বিশ্বব্যাপী অ্যানিমেটেড ছবির উদ্ভাবকই বলা যেতে পারে। স্টিভ জবসই প্রথম উদ্ভাবন করেন চলচ্চিত্রে কম্পিউটার অ্যানিমেশন ও কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন মেশনের ব্যবহার।
নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে যখন বিশ্বের সংগীতশিল্প পাইরেসি ও ডিজিটাল চুরিতে আক্রান্ত ঠিক তখনই স্টিভ জবসের অ্যাপল নিয়ে এল ‘আইপড’। যা ছিল বিশ্বব্যাপী সংগীতশিল্পের এক ‘লাইফলাইন’। আইপডের মাধ্যমে সংগীতশিল্পের সঙ্গে জড়িত মানুষেরা খুঁজে পেলেন পাইরেসি ও ডিজিটাল চুরিকে পাশ কাটিয়ে তাঁদের বের করা বিভিন্ন অ্যালবামের একটি পরিবেশক চ্যানেল। তাঁরা কি স্টিভ জবসকে এত সহজে ভুলে যেতে পারবেন?
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহারকে নতুন মাত্রা দিয়েছেন এই জবস। আইফোন আসার আগেও মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহূত হতো। কিন্তু সেই মোবাইল ফোনসেটগুলো ছিল কিপ্যাড-কেন্দ্রিক। স্টিভ জবস উদ্ভাবন করলেন ‘টাচস্ক্রিন’-এর। জনপ্রিয় হলো এই টাচস্ক্রিন। আগামীর মোবাইল প্রযুক্তি এখন ছুটছে এই টাচস্ক্রিনের দিকেই। মোবাইল ফোনে সহজ উপায়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করার কৌশল আইফোন নিয়েই মানুষের ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন জবস ও তাঁর প্রতিষ্ঠান অ্যাপল।
ল্যাপটপের পর কম্পিউটারের চেহারা কী হবে সেটাও দেখিয়ে গেছেন স্টিভ জবস। অ্যাপল তৈরি করল আইপ্যাড। যা ঢুকে গেল মানুষের ব্রিফকেস-ব্যাগে। এমনকি ব্লেজারের পকেটেও। তৈরি হলো, কম্পিউটার প্রযুক্তি জগতে নতুন এক বিপ্লব।
মানুষ মোবাইল প্রযুক্তি বলতে এখন আইফোনকেই বোঝে, কম্পিউটার বলতে বোঝে আইপ্যাডকে। স্টিভ জবসের প্রদর্শিত পথে এগিয়ে চলেছে অ্যাপল, বলতে পারেন গোটা বিশ্বের তথ্যপ্রযুক্তিই।
এই তো গত ২৪ আগস্ট তিনি বিদায় জানিয়েছিলেন অ্যাপলের প্রধান নির্বাহীর পদটিকে। কারণ হিসেবে জানা গিয়েছিল, তিনি অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারে ভুগছিলেন। প্রাণের প্রতিষ্ঠান অ্যাপল ছেড়ে দেওয়ার মাত্র দেড় মাসের মাথাতেই পৃথিবী থেকেই বিদায় নিলেন এই মহান প্রযুক্তিবিদ। মাত্র ৫৬ বছর বয়সেই। সমাপ্তি ঘটল একটি অধ্যায়ের। যে অধ্যায় পুরোটাই সাফল্য আর সার্থকতায় মোড়া।
অ্যাপল যখন প্রায় শেষ হওয়ার পথে তখন এ প্রতিষ্ঠানটি ফিরে যায় তাদের অভিভাবকের কাছেই। স্টিভ জবস আবার হাল ধরেন অ্যাপলের। এরপরেই অ্যাপল যেন ফিরে পায় পথের দিশা। একটি মৃতপ্রায় প্রতিষ্ঠানকে নিজ হাতে ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির মুখ দেখান। নতুন শতকের শুরুতেই অ্যাপল নিয়ে আসে সংগীতপ্রিয়দের সুর মূর্ছনার উপাদান আইপড। এরপর থেকে অ্যাপলকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি পেছনে। ধীরে ধীরে আইফোন, আইপ্যাড, ম্যাক ল্যাপটপ ইত্যাদি দিয়ে অ্যাপল এখন পরিণত হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাশালী ও দামি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে।
স্টিভ জবসকে মানুষ মনে রাখবে অনেক কিছুর জন্যই। ১৯৮৫ সালে তিনি অ্যাপল ছেড়ে দিয়ে দুটি প্রতিষ্ঠান নিজ হাতে দাঁড় করান। একটি ছিল কম্পিউটার প্ল্যাটফর্ম প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান যা ‘নেক্সট’ নামে পরিচিত। অপরটি ‘পিক্সার অ্যানিমেশন লিমিটেড’। যে প্রতিষ্ঠানকে বিশ্বব্যাপী অ্যানিমেটেড ছবির উদ্ভাবকই বলা যেতে পারে। স্টিভ জবসই প্রথম উদ্ভাবন করেন চলচ্চিত্রে কম্পিউটার অ্যানিমেশন ও কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন মেশনের ব্যবহার।
নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে যখন বিশ্বের সংগীতশিল্প পাইরেসি ও ডিজিটাল চুরিতে আক্রান্ত ঠিক তখনই স্টিভ জবসের অ্যাপল নিয়ে এল ‘আইপড’। যা ছিল বিশ্বব্যাপী সংগীতশিল্পের এক ‘লাইফলাইন’। আইপডের মাধ্যমে সংগীতশিল্পের সঙ্গে জড়িত মানুষেরা খুঁজে পেলেন পাইরেসি ও ডিজিটাল চুরিকে পাশ কাটিয়ে তাঁদের বের করা বিভিন্ন অ্যালবামের একটি পরিবেশক চ্যানেল। তাঁরা কি স্টিভ জবসকে এত সহজে ভুলে যেতে পারবেন?
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহারকে নতুন মাত্রা দিয়েছেন এই জবস। আইফোন আসার আগেও মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহূত হতো। কিন্তু সেই মোবাইল ফোনসেটগুলো ছিল কিপ্যাড-কেন্দ্রিক। স্টিভ জবস উদ্ভাবন করলেন ‘টাচস্ক্রিন’-এর। জনপ্রিয় হলো এই টাচস্ক্রিন। আগামীর মোবাইল প্রযুক্তি এখন ছুটছে এই টাচস্ক্রিনের দিকেই। মোবাইল ফোনে সহজ উপায়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করার কৌশল আইফোন নিয়েই মানুষের ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন জবস ও তাঁর প্রতিষ্ঠান অ্যাপল।
ল্যাপটপের পর কম্পিউটারের চেহারা কী হবে সেটাও দেখিয়ে গেছেন স্টিভ জবস। অ্যাপল তৈরি করল আইপ্যাড। যা ঢুকে গেল মানুষের ব্রিফকেস-ব্যাগে। এমনকি ব্লেজারের পকেটেও। তৈরি হলো, কম্পিউটার প্রযুক্তি জগতে নতুন এক বিপ্লব।
মানুষ মোবাইল প্রযুক্তি বলতে এখন আইফোনকেই বোঝে, কম্পিউটার বলতে বোঝে আইপ্যাডকে। স্টিভ জবসের প্রদর্শিত পথে এগিয়ে চলেছে অ্যাপল, বলতে পারেন গোটা বিশ্বের তথ্যপ্রযুক্তিই।
এই তো গত ২৪ আগস্ট তিনি বিদায় জানিয়েছিলেন অ্যাপলের প্রধান নির্বাহীর পদটিকে। কারণ হিসেবে জানা গিয়েছিল, তিনি অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারে ভুগছিলেন। প্রাণের প্রতিষ্ঠান অ্যাপল ছেড়ে দেওয়ার মাত্র দেড় মাসের মাথাতেই পৃথিবী থেকেই বিদায় নিলেন এই মহান প্রযুক্তিবিদ। মাত্র ৫৬ বছর বয়সেই। সমাপ্তি ঘটল একটি অধ্যায়ের। যে অধ্যায় পুরোটাই সাফল্য আর সার্থকতায় মোড়া।
No comments