পূজায়ও ব্যস্ত টালিগঞ্জের নায়িকারা by সাগর মৈত্রী
টালিগঞ্জের রুপালি পর্দার কন্যারা পূজার সময়টাতে দিগ্বিদিক ছুটে বেড়াচ্ছেন। এ সময়ে নেই শুটিং, নেই ডাবিং, তাতে কী? প্রতিটি দিনই তারকাদের কাছে যেন খুবই মূল্যবান। তাই শুটিং না হওয়ার ক্ষতিটা পুষিয়ে নিচ্ছেন এ মণ্ডপ-ও মণ্ডপে গিয়ে এবং ভক্তদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে অনুষ্ঠান করে। তাতেই তো কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা। অবশ্য এ নিয়ে তারকাদের কোনো সুনির্দিষ্ট চাহিদা নেই। যে যা দেয়, তাতেই খুশি।
এই যেমন ঋতুপর্ণার কথাই ধরা যাক না। সপ্তমীর দিন থেকেই শুরু হবে সফর। যেতে হবে মুম্বাইতে। তাঁকে সেখানে গিয়ে ভোগ দিতে হবে এবং নিতে হবে। অষ্টমীর দিনই আবার আসতে হবে কলকাতায়। এবারের দশমীর দিনে জামাই সঞ্জয়ের জন্মদিন। তাই দশমীর দিনে কোনো কাজ না রেখে অষ্টমীতে রাতে কলকাতা শহরের পাশেই তিনটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে হবে তাঁকে। ‘রাত যত গভীর হবে, ততই একেকটি অনুষ্ঠানে মানুষের ঢল নামবে। ভোরের দিকে বাড়ি ফেরা।’ বলছিলেন ঋতু।
নবমীর দিনে দুপুরের পর থেকে অনুষ্ঠানে যাওয়া আর একই সঙ্গে ঠাকুর দেখা। বলা যায়, রথ দেখা ও কলা বেচা দুটো একসঙ্গেই সারবেন তিনি। সন্ধ্যার পরে জামাই আর ছেলেকে নিয়ে দেবী দুর্গার দর্শনে বেরোবেন ঋতুপর্ণা।
স্বস্তিকা পূজাকে কেন্দ্র করে নতুন তথ্য দিয়েছেন। পূজা মানেই সেরা দিন হলো নবমীর দিন। এ দিন যত পারো মাস্তি করো, ফ্লার্ট করো, যতটা সম্ভব নিজেকে আকর্ষণীয় করে সাজিয়ে তোলো এবং আনন্দ করো।
জানালেন, কলকাতা শহরে খুব ধুম পড়ে যায়, তাই বাইরে বেরোনোর খুব একটা জায়গা হয় না। তবে বালিগঞ্জের একটি প্যান্ডেলে তাঁর পূর্বনির্ধারিত অনুষ্ঠান রয়েছে। সেখানেই তিনি নবমীর দিনে রাতভর অনুষ্ঠান করবেন। স্থানীয় মানুষজন এ অনুষ্ঠানের আয়োজক হলেও বন্ধুরা উপস্থিত হয় এ অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠান শেষে বন্ধুরা একটি পার্টির আয়োজন করে। তারপর ঠাকুর দর্শন করতে হবে তাঁকে। দশমীর দিনে কলকাতার বাইরে যেতে হবে অন্য একটি শোতে। বললেন, ‘এই একটা সময়, যখন আমরা শো বা অনুষ্ঠান করি, তখন নিজেকে উজাড় করে দিতে ইচ্ছা করে। আনন্দে এতটাই আত্মহারা হয়ে যাই যে তখন আসলে আমি ভুলেই যাই আমি স্বস্তিকা।’
কোয়েল মল্লিকের পূজার সময়টা কাটে দুভাবে। এক. ভোরে ঘুম থেকে উঠে স্নান শেষ করে পূজা দেওয়া। শাঁখা তো তাঁকে বাজাতেই হবে। বাবা কাঁসার ঘণ্টা বাজাবেন, এই আবহ তৈরি হলেই কেবল কোয়েল মনে করেন, তিনি ঠাকুরের কাছে যা চাইবেন, তা-ই পাবেন। দুই. তিনি পূজার সময় দু-একটি শো করেন। এবারও কলকাতার বাইরে একটি শোতে যাওয়ার কথা চলছে। ‘আসলে শো মানে তো দর্শক আর ভক্তদের সঙ্গে পূজার সময় শুভেচ্ছা বিনিময় করা, তাদের একটু আনন্দ দেওয়া। পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে গিয়ে ঠাকুরের দর্শন পাওয়া। এর মধ্যে অন্য রকম এক আনন্দ আছে। সেই আনন্দে আমরা সবাই শামিল হই।’ বললেন তিনি।
শ্রাবন্তীর পূজাটা হবে একদিকে আনন্দের, অন্যদিকে টেনশনের। ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দেরে ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে এ পূজাতেই। ফলে আনন্দ আর টেনশন দুটো নিয়েই আছেন তিনি। বললেন, ‘ময়ূরকণ্ঠী সাজে সাজব। সিনেমা হলের খোঁজ নেব। তবে বিভিন্ন স্থানে যখন যাব, তখন জানার চেষ্টা করব যে দর্শক ছবিটিকে কীভাবে নিচ্ছে। যদি ভালোভাবে নেয়, তবে তো পূজার আনন্দের সঙ্গে বোনাস যোগ হবে। আর যেসব অনুষ্ঠানে যোগ দেব, সেটিও হবে অনেক বেশি প্রাণচঞ্চল। পাশাপাশি এ সময়ে আমি খাওয়াদাওয়াটা করি গা ছেড়ে। যেখানে যাই অনুষ্ঠানে বা মন্দিরে, সেখানেই ভাগ নিই, বেগুন ভাজা, পোলাও খাই, খেতেও দারুণ লাগে।’ বললেন তিনি।
[তারকাদের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে]
নবমীর দিনে দুপুরের পর থেকে অনুষ্ঠানে যাওয়া আর একই সঙ্গে ঠাকুর দেখা। বলা যায়, রথ দেখা ও কলা বেচা দুটো একসঙ্গেই সারবেন তিনি। সন্ধ্যার পরে জামাই আর ছেলেকে নিয়ে দেবী দুর্গার দর্শনে বেরোবেন ঋতুপর্ণা।
স্বস্তিকা পূজাকে কেন্দ্র করে নতুন তথ্য দিয়েছেন। পূজা মানেই সেরা দিন হলো নবমীর দিন। এ দিন যত পারো মাস্তি করো, ফ্লার্ট করো, যতটা সম্ভব নিজেকে আকর্ষণীয় করে সাজিয়ে তোলো এবং আনন্দ করো।
জানালেন, কলকাতা শহরে খুব ধুম পড়ে যায়, তাই বাইরে বেরোনোর খুব একটা জায়গা হয় না। তবে বালিগঞ্জের একটি প্যান্ডেলে তাঁর পূর্বনির্ধারিত অনুষ্ঠান রয়েছে। সেখানেই তিনি নবমীর দিনে রাতভর অনুষ্ঠান করবেন। স্থানীয় মানুষজন এ অনুষ্ঠানের আয়োজক হলেও বন্ধুরা উপস্থিত হয় এ অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠান শেষে বন্ধুরা একটি পার্টির আয়োজন করে। তারপর ঠাকুর দর্শন করতে হবে তাঁকে। দশমীর দিনে কলকাতার বাইরে যেতে হবে অন্য একটি শোতে। বললেন, ‘এই একটা সময়, যখন আমরা শো বা অনুষ্ঠান করি, তখন নিজেকে উজাড় করে দিতে ইচ্ছা করে। আনন্দে এতটাই আত্মহারা হয়ে যাই যে তখন আসলে আমি ভুলেই যাই আমি স্বস্তিকা।’
কোয়েল মল্লিকের পূজার সময়টা কাটে দুভাবে। এক. ভোরে ঘুম থেকে উঠে স্নান শেষ করে পূজা দেওয়া। শাঁখা তো তাঁকে বাজাতেই হবে। বাবা কাঁসার ঘণ্টা বাজাবেন, এই আবহ তৈরি হলেই কেবল কোয়েল মনে করেন, তিনি ঠাকুরের কাছে যা চাইবেন, তা-ই পাবেন। দুই. তিনি পূজার সময় দু-একটি শো করেন। এবারও কলকাতার বাইরে একটি শোতে যাওয়ার কথা চলছে। ‘আসলে শো মানে তো দর্শক আর ভক্তদের সঙ্গে পূজার সময় শুভেচ্ছা বিনিময় করা, তাদের একটু আনন্দ দেওয়া। পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে গিয়ে ঠাকুরের দর্শন পাওয়া। এর মধ্যে অন্য রকম এক আনন্দ আছে। সেই আনন্দে আমরা সবাই শামিল হই।’ বললেন তিনি।
শ্রাবন্তীর পূজাটা হবে একদিকে আনন্দের, অন্যদিকে টেনশনের। ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দেরে ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে এ পূজাতেই। ফলে আনন্দ আর টেনশন দুটো নিয়েই আছেন তিনি। বললেন, ‘ময়ূরকণ্ঠী সাজে সাজব। সিনেমা হলের খোঁজ নেব। তবে বিভিন্ন স্থানে যখন যাব, তখন জানার চেষ্টা করব যে দর্শক ছবিটিকে কীভাবে নিচ্ছে। যদি ভালোভাবে নেয়, তবে তো পূজার আনন্দের সঙ্গে বোনাস যোগ হবে। আর যেসব অনুষ্ঠানে যোগ দেব, সেটিও হবে অনেক বেশি প্রাণচঞ্চল। পাশাপাশি এ সময়ে আমি খাওয়াদাওয়াটা করি গা ছেড়ে। যেখানে যাই অনুষ্ঠানে বা মন্দিরে, সেখানেই ভাগ নিই, বেগুন ভাজা, পোলাও খাই, খেতেও দারুণ লাগে।’ বললেন তিনি।
[তারকাদের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে]
No comments