যুদ্ধাপরাধের বিচার-সবার দায়িত্বশীল থাকা বাঞ্ছনীয়
বিলম্ব সত্ত্বেও একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের দায়ে একজন অভিযুক্তের বিচার শুরু হতে চলার খবরে বিভিন্ন মহলে আশাবাদ সৃষ্টি হয়েছে। আসামিপক্ষের তরফে বিচার বর্জনের ইঙ্গিত সত্ত্বেও ৩০ অক্টোবর বিচার শুরু হচ্ছে। এখন সংশ্লিষ্ট মহলের উচিত হবে, জনগণের ও আইনের শাসনের দাবি পূরণে যাতে আশাভঙ্গের কারণ না ঘটে, তা নিশ্চিত করা। পুরো বিষয়টি যাতে সুষ্ঠু, পরিচ্ছন্ন, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ থাকে, সে জন্য প্রসিকিউশন ও তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাই শুধু নন, পুরো নির্বাহী বিভাগকেও সজাগ থাকতে হবে। কারণ, তারা তাদের কাজে স্বাধীন হলেও বাস্তবে আনুষঙ্গিক অনেক বিষয়েই প্রসিকিউশন ও তদন্ত সংস্থা নির্বাহী বিভাগের ওপর নির্ভরশীল থাকে।
মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিচার-প্রক্রিয়াটি যুগপৎ আইনি ও রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল। তাই বিচার-সংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশে গণমাধ্যমকেও দায়িত্বশীল হতে হবে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে মিডিয়ার অতি উৎ সাহ সমস্যা সৃষ্টি করে।
গোড়া থেকেই আমরা নির্বাহী বিভাগ, বিশেষ করে, এক জুনিয়র মন্ত্রীকে বিচার অনুষ্ঠান নিয়ে নানা মন্তব্য করতে দেখছি, যা বিচারবিরোধীদের অপপ্রচারের ক্ষেত্র তৈরি করেছে। এত দিন বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার শুরু না হওয়ার পর্যায়ে ছিল। কিন্তু এখন যদি অতি উৎ সাহী ব্যক্তিদের না সামলানো হয়, তাঁরা যদি আগের মতো মেঠো বক্তৃতা করে আসর মাত করার প্রবণতা অব্যাহত রাখেন, তাহলে সমূহ বিপদ। সরকারের মধ্যে যাঁরা বাগাড়ম্বরপ্রিয়, তাঁদের মনে রাখা উচিত, হাইকোর্টে বিচারাধীন কোনো মামলা নিয়ে তাঁরা কিন্তু একই ধরনের মন্তব্য করেন না। তাঁরা কোনো ফৌজদারি মামলা চলমান থাকার সময় বলেন না যে আদালত অমুক তারিখ বা সময়ের মধ্যে দোষীকে শাস্তি দেবেন। আদালতের প্রতি অযাচিত পক্ষাবলম্বনও কখনো আদালত অবমাননা বলে গণ্য হতে পারে। ট্রাইব্যুনাল ইতিমধ্যে প্রথমবারের মতো ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ-এ প্রকাশিত একটি নিবন্ধের বিষয়ে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন। এখন সরকারের তরফে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারাধীন বিষয়ে সব ধরনের অনভিপ্রেত মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকা উচিত। মানুষ এখন আরও সতর্কতার সঙ্গে লক্ষ করবে যে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিচার-প্রক্রিয়া নিয়ে সরকার, প্রসিকিউশন ও তদন্ত সংস্থা কী ধরনের আচরণ দেখিয়ে থাকে। ট্রাইব্যুনালের পক্ষে ঘোষিত মুখপাত্র ছাড়া অন্যদের আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন পরিহার করাই বাঞ্ছনীয়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন অনুযায়ী, তদন্তকারী দল তাদের তদন্ত প্রতিবেদন চিফ প্রসিকিউটরের কাছে পেশ করবে। কিন্তু আমরা দেখলাম, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ও সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর তদন্ত প্রতিবেদন প্রথমেই মিডিয়ার সামনে পেশ করা হলো। এটা অসংগত ও বিধিবহির্ভূত, যা নানা প্রশ্ন তৈরি করতে পারে। তদন্ত প্রতিবেদন জমাদানের আগে সংবাদ সম্মেলন ডাকা বিধিসম্মত কি না, সেই প্রশ্ন তোলা হলেও তা অগ্রাহ্য করা হচ্ছে। এটা কাম্য নয়।
আমরা আশা করব, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও বিরোধী দলের বৈধ উদ্বেগ বিবেচনায় নিয়ে ট্রাইব্যুনাল তার ওপর অর্পিত সাংবিধানিক ও আইনি দায়িত্ব সুসম্পন্ন করতে সক্ষম হবেন, যা ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার পাশাপাশি জাতিকে গ্লানিমুক্ত করবে।
মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিচার-প্রক্রিয়াটি যুগপৎ আইনি ও রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল। তাই বিচার-সংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশে গণমাধ্যমকেও দায়িত্বশীল হতে হবে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে মিডিয়ার অতি উৎ সাহ সমস্যা সৃষ্টি করে।
গোড়া থেকেই আমরা নির্বাহী বিভাগ, বিশেষ করে, এক জুনিয়র মন্ত্রীকে বিচার অনুষ্ঠান নিয়ে নানা মন্তব্য করতে দেখছি, যা বিচারবিরোধীদের অপপ্রচারের ক্ষেত্র তৈরি করেছে। এত দিন বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার শুরু না হওয়ার পর্যায়ে ছিল। কিন্তু এখন যদি অতি উৎ সাহী ব্যক্তিদের না সামলানো হয়, তাঁরা যদি আগের মতো মেঠো বক্তৃতা করে আসর মাত করার প্রবণতা অব্যাহত রাখেন, তাহলে সমূহ বিপদ। সরকারের মধ্যে যাঁরা বাগাড়ম্বরপ্রিয়, তাঁদের মনে রাখা উচিত, হাইকোর্টে বিচারাধীন কোনো মামলা নিয়ে তাঁরা কিন্তু একই ধরনের মন্তব্য করেন না। তাঁরা কোনো ফৌজদারি মামলা চলমান থাকার সময় বলেন না যে আদালত অমুক তারিখ বা সময়ের মধ্যে দোষীকে শাস্তি দেবেন। আদালতের প্রতি অযাচিত পক্ষাবলম্বনও কখনো আদালত অবমাননা বলে গণ্য হতে পারে। ট্রাইব্যুনাল ইতিমধ্যে প্রথমবারের মতো ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ-এ প্রকাশিত একটি নিবন্ধের বিষয়ে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন। এখন সরকারের তরফে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারাধীন বিষয়ে সব ধরনের অনভিপ্রেত মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকা উচিত। মানুষ এখন আরও সতর্কতার সঙ্গে লক্ষ করবে যে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিচার-প্রক্রিয়া নিয়ে সরকার, প্রসিকিউশন ও তদন্ত সংস্থা কী ধরনের আচরণ দেখিয়ে থাকে। ট্রাইব্যুনালের পক্ষে ঘোষিত মুখপাত্র ছাড়া অন্যদের আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন পরিহার করাই বাঞ্ছনীয়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন অনুযায়ী, তদন্তকারী দল তাদের তদন্ত প্রতিবেদন চিফ প্রসিকিউটরের কাছে পেশ করবে। কিন্তু আমরা দেখলাম, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ও সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর তদন্ত প্রতিবেদন প্রথমেই মিডিয়ার সামনে পেশ করা হলো। এটা অসংগত ও বিধিবহির্ভূত, যা নানা প্রশ্ন তৈরি করতে পারে। তদন্ত প্রতিবেদন জমাদানের আগে সংবাদ সম্মেলন ডাকা বিধিসম্মত কি না, সেই প্রশ্ন তোলা হলেও তা অগ্রাহ্য করা হচ্ছে। এটা কাম্য নয়।
আমরা আশা করব, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও বিরোধী দলের বৈধ উদ্বেগ বিবেচনায় নিয়ে ট্রাইব্যুনাল তার ওপর অর্পিত সাংবিধানিক ও আইনি দায়িত্ব সুসম্পন্ন করতে সক্ষম হবেন, যা ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার পাশাপাশি জাতিকে গ্লানিমুক্ত করবে।
No comments